খালেদা জিয়ার জেল হওয়াতে দেশের অধিকাংশ মানুষ ব্যথিত হয়েছেন

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
দূর্নীতির দায়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলার রায়ে ৫ বছরের সশ্রম সাজা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। ৮ই ফেব্রুয়ারী হতে তিনি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন জেল খানায় জেল খাটছেন। তার এই সাজা হওয়া ও তার জন্য জেল খাটা দেশের অনেক মানুষই মেনে নিতে পারেনি। খালেদা জিয়ার এই অবস্থায় দেশের অধিকাংশ মানুষ তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছে মনে হচ্ছে। ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দূর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হবেন এমনটি দেশের মানুষ আশা করেনি। কিন্তু বাস্তবে তাই হয়েছে।
উদাহরন দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যাক। চুরি করতে যেয়ে একজন চোর ধরা পড়েছে। জনতা তাকে বেদম প্রহার করছে। উপস্থিত সবাই নয়, কিছু লোক চোরটাকে গন ধূলাই দিচ্ছে। উপস্থিত অধিকাংশ মানুষ এভাবে মারাটাকে পছন্দ করছে না। কুমলমতি অনেক নারী পুরুষ চোরকে চোর হিসাবে চিন্তা না করে মানূষ হিসাবে চিন্তা করে তাকে বাঁচাবার চেষ্টা করছে। আর মহিলা হলে তো কথাই নাই। তারা খুবই ব্যথিত হবে এভাবে চোরকে মারার দৃশ্য দেখে। চোরের প্রতি তারা আরো বেশী সহানুভূতি দেখাবে। চোরও তো একজন মানুষ। আর দশটা মানুষের মত। এরকমই চিন্তা করবে অধিকাংশ মানুষ।
এর অর্থ এই নই তারা চুরিকে সমর্থন করছে। এর অর্থ এই নই তারা চোরকে সমর্থন করছে। চোরের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে এক্ষেত্রে এমনটি বলা যাবে না। বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও এমনটিই ঘটেছে। এ বয়সে জেল হওয়াতে অধিকাংশ মানুষ ব্যথিত হয়েছে। এর অর্থ এই নই খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে।
তবে বিএনপি ও সমমনারা বলে বেড়াচ্ছেন জেল হওয়াতে বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। আসলেই কি তাই? তাহলে তো মানুষ দুর্নীতি আরো বেশী করে করবে, জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য। তবে উচ্চ আদালতে যদি খালেদা জিয়া প্রমান করতে পারেন যে তিনি নির্দোষ, তাহলে তো জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়বে বৈকি। সে অবধি অপেক্ষা করতে হবে প্রত্যাশী সকলকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *