ইতালী থেকে ১৪২ বাংলাদেশী এমিরেটসের একটি বিমানে করে দেশে ফিরেছেন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ
এমিরেটসের একটি বিমানে করে দুবাই হয়ে ১৪২ জন বাংলাদেশী শনিবার সকালে দেশে ফিরে এসেছেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সকালে ১৪২ বাংলাদেশীকে নিয়ে অবতরন করলে বিমানটিকে নিরাপদ দুরত্বে ল্যান্ড করে রাখা হয়। বিমান বন্দরে আগে থেকেই অবস্থান করা নিরাপত্তা ও মেডিকেল স্টাফরা এই যাত্রীদের গাইড করে আসকোনা হাজি ক্যাম্পে নিয়ে আসে। তবে যাত্রীদের অনেকেই হাজি ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে যেতে চাচ্ছিলেন না। অনেককে তাদের সেবায় নিয়োজিত নিরাপত্তা ও মেডিকেল স্টাফদের সাথে ঝগড়া করতে দেখা যায়। যাত্রীরা হাজি ক্যাম্পের অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন সংবাদ কর্মীদের সাথে। আবার অনেকে দাবি করছেন তারা করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থেকে মুক্ত। আগত যাত্রীদের স্বজনরা হাজি ক্যাম্পের সামনে অবস্থান করেছেন তাদের স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। এই ক্যাম্পে ইতালী থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে যাতে করে এদের মধ্য কেউ করোনায় আক্রান্ত থাকলে শনাক্ত করা সহজ হয়। এর আগে একই ক্যাম্পে চীনের উহান থেকে আসা ৩১৪ জন বাংলাদেশীকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এদের মধ্য একজনেরও করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। ১৪ দিন পর এরা সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।

উল্লেখ্য ২ মাস আগে চীনের উহান প্রদেশে প্রথমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তখন থেকে চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই ছিল। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০৮২৪ জন। চীনে ইতিমধ্য মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩১৮৯ জন। তবে চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। চীনের পরেই আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে ২য় স্থানে রয়েছে ইতালী। ইতালীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৭৬৬০ জন ও মৃত্যু বরন করেছে ১২৬৬ জন। এর আগে ইতালী থেকে আগত ২ বাংলাদেশীর মধ্য করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে এদেরকে বিশেষভাবে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই দুইজনের সংস্পর্শে এসে তাদের আরো একজন স্বজন আক্রান্ত হলে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ জনে। আর ইতালী থেকে আগত এই দুই বাংলাদেশীর মাধ্যমেই দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস প্রবেশ করে। উল্লেখ্য গত রবিবারের পর থেকে দেশে আর কোন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।