খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানীকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার কি ঘটতে পারে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানী হবে বৃহস্পতিবার। খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হবে নাকি জামিন না মঞ্জুর করা হবে- এই নিয়ে অভিজ্ঞ মহলে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন। আর এই বিষয়টি নিয়ে সারাদেশেই চলছে আলোচনা। তবে সাধারন মানুষের মধ্য নামিন মঞ্জুর কিংবা না মঞ্জুর নিয়ে ভিন্নধর্মী আলোচনা চললেও বিষয়টি আইনগত হওয়ায় আইনীভাবেই এর নিস্পত্তি করবে আদালত।

হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করা হলে নভেম্বরে আপিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ জামিন আবেদন শুনানীকালে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়ে ৫ই ডিসেম্বর জামিন শুনানীর পরবর্তী দিন ধার্য করে। এদিন শুনানীর শুরুতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আদালতকে জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা হয়েছে এবং কিছু পরীক্ষা বাকি আছে। তাই বিএসএমএমইউ রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারে নাই। ফলশ্রুতিতে তিনি সময়ের আবেদন করেন। এই সময় খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা এর তীব্র বিরোধীতা করে ও হট্রগোল শুরু করে। এই পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ শুনানীর পরবর্তী তারিখ ১২ই ডিসেম্বর ঘোষনা করলে এজলাস কক্ষে তীব্র হট্রগোল শুরু হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শ্লোগান দিতে থাকে খালেদা জিয়ার জামিনের দাবিতে। এজলাস কক্ষের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে বাহির থেকে ভিতরে ও ভিতর থেকে বাহিরে কেউ আসা যাওয়া করতে পারছিলা না। এক পর্যায়ে হট্রগোল থামাতে ব্যর্থ হয়ে বিচারক গন এজলাস ত্যগ করেন। এভাবে প্রায় ঐদিন দুপুর পর্যন্ত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষ অবরুদ্ধ করে রাখে। এই সময় অন্যান্য মামলার শুনানীও বন্ধ থাকে।

খালেদা জিয়ার জামিনকে কেন্দ্র করে বিএনপি থেকে নানা ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন গৃহীত না হলে এক দফার আন্দোলনে যাবেন বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের হাইকমান্ডের অন্যান্য নেতারা বলে আসছেন। সরকারের পক্ষে থেকেও বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া না পাওয়া আদালতের ব্যপার। এই বিষয়টি রাজপথে নিয়ে এসে কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখলে রাজনৈতিকভাবে তা মোকাবেলা করা হবে। অথাৎ হার্ড লাইনে যাবার ইঙ্গিত প্রদান করছেন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা।

গত ফেব্রুয়ারী থেকে জেলে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তেমন কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। কার্যত বিএনপির রাজনৈতিক গন্ডি অনেক ছোট হয়ে গেছে। তাই আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া জামিন না পেলেও বিএনপি তেমন কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না। তবে শেষ বলতে কিছু নাই, তার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *