৩ সিটির নির্বাচন অভিযোগ দিয়েই শুরু ও শেষ করলো বিএনপি

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অভিযোগের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা। আবার শেষও করলো পাহাড়সম অভিযোগের মধ্য দিয়ে। বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহন, প্রচারনা ও ভোট গ্রহনের সময় কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মনে হয়েছে, নেতিবাচক অভিযোগই ছিল নির্বাচনের একমাত্র ইশতেহার। ভোট প্রার্থনার চেয়ে বিএনপি বেশী গুরুত্ব দিয়েছে বহুমুখী অভিযোগের। ফলে বিএনপির প্রচারনা দেখে মনে হয়েছে তারা সুষ্ঠ নির্বাচনের চেয়ে জাল ভোট, ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি ও আওয়ামীলীগের পক্ষে নির্বাচন কমিশনের অনুকম্পা এসবই বেশী প্রত্যাশা করেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারনায় সারাক্ষনই তারা আতংষ্ক ছড়িয়েছেন সুকৌশলে, ভোটারদেরকে নির্বাচনে নিরুৎসাহিত করেছেন সারাক্ষন।

আজও নির্বাচনের শুরুতেই বিএনপি প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা শহরময় ঘুরে আতংষ্ক ছড়িছেন। যার ফলে বিএনপির এজেন্ট ও ভোটারদের মধ্য সারাদিনই আতংষ্ক বিরাজমান ছিল। অনেক কেন্দ্রে বিএনপি এজেন্টরা আসেননি। ফলে হয়ত আতংষ্কিত হয়ে কোন কোন কেন্দ্রে ভোটাররা অধিক সংখ্যায় আসেননি। এতে করে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট কাষ্ট কম হয়েছে। আসলে এমনটি হল কেন?

প্রথমত বিএনপি ধরেই নিয়েছিল তারা ৩ সিটির নির্বাচনে কোনটিতেই জয়লাভ করতে পারবে না। তাই তারা নেতিবাচক প্রচারনাই চালিয়েছেন পুরো নির্বাচনে। তারা প্রমান করতে চেয়েছেন আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব না। অতএব জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে-এমন দাবি তারা বেশ শক্তভাবেই করতে পারবে।

দ্বিতীয়ত বিএনপি নির্বাচনে হারতেই চেয়েছে যাতে করে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হস্তক্ষেপের কথা দেশে বিদেশে তুলে ধরতে পারে। নির্বাচনে জিতলে পরে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে হয়ত অভিযোগ করতে পারবে না এমন ধারনা থেকেই হয়ত তারা জিতার চেয়ে হারতেই বেশী গুরুত্ব দিয়েছে।

সিলেটে ১২টা বাজতেই আরিফুল হক চৌধুরী ঘোষনা দিলেন ফলাফল যাই হউক নির্বাচন প্রত্যাখ্যন করলাম। আর বুলবুল তো রাজশাহীতে ৩ ঘন্টা মাঠে বসেই থাকলেন। নিজের ভোটও তিনি দিলেন না। অপরদিকে বরিশালে সরওয়ার নির্বাচন বর্জন করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ১২টার আগেই। এসব কর্মকাণ্ড থেকে ধারনা করা যায় বিএনপি রাজনৈতিক কারনে হারতেই চেয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *