রাজধানীর গুলিস্তানে এখনো এসব কি হচ্ছে!

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

কয়েকটি ব্যাগে জাকাতের জন্য কিছু শাড়ি, লংগী ও ঈদের জন্য কিছু জামা-কাপড় নিয়ে গুলিস্তানে যাই। মালামালগুলি সিএনজি থেকে নামিয়ে গুলিস্তান পার্ক মসজিদের দক্ষিন পাশের ফুটপাতে রাখি। সাথে আমার ভাগিনাও আছে। মোবাইলে একটি কল আসলে আমি কয়েক গজ দূরে মসজিদের গেইটে চলে যাই। মালামালগুলির কাছে ফিরে আসতেই দেখি একটি ছেলে ভাগিনাকে জিজ্ঞেস করছে-মাল কোথায় যাবে, কি আছে তাতে ……। মালের ভাড়া দিতে হবে। আমি ব্যপারটা প্রথমেই আচ করতে পেরেছি। ভাগিনা জিজ্ঞেস করলো কিসের ভাড়া? ছেলেটা বললো সিটি কর্পোরেশনের ভাড়া। হাতে কয়েকটা রিসিপ্টও দেখা যাচ্ছে। ভাগিনা আমার জবাবের জন্য আমার মুখের দিকে তাকাচ্ছে। আমি ছেলেটাকে এতোক্ষন পরখ করেছি। হালকা রাগতস্বরে বললাম এখান থেকে যা। একটু সরে গেল। পরক্ষনেই আবার একটু শক্তি সঞ্চয় করে কাছে এসে কোথায় যাবে মাল, ভাড়া দিতে হবে এসব বলতে থাকলো। আমি তার মুখের দিকে না তাকিয়েই উচ্চস্বরে বললাম যাবি এখান থেকে। একটু পিছু হটলো। এবার সাথে আরেকটা ছেলে দেখলাম। অপর ছেলেটা মোবাইলে কথা বলছে। ছেলেটা আবার কাছে আসলে বললাম, আমি সাংবাদিক, তুই এখান থেকে সরে যা। একটু সরে যেয়ে অপর ছেলেটাকে বললো উনি সাংবাদিক। আর এই সময়ে আমি ও ভাগিনা মালামাল সমেত মেগালয় কাউন্টারের দিকে চলে গেলাম।

আমি সাংবাদিক পরিচয় না দিলে অথবা সাথে না থাকলে এই টাউট-ভাটপারদের ক্ষপ্পর থেকে ভাগিনার রেহাই পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। সময়টা ছিল বুধবার সকাল সাড়ে এগারটা। এই সময়ে ঢাকার প্রান কেন্দ্র গুলিস্তানে এমন টাউট বাটপারী হচ্ছে। তার আশে পাশে তো পোষাকে কিংবা সাদা পোষাকে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহলে থাকার কথা। প্রশ্ন হল আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কি দেখছে না। নাকি অজ্ঞাত কারনে দেখেও না দেখার ভান করছে। আজ আবার পত্র পত্রিকায় দেখলাম ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। দিনে দুপুরে গুলিস্তানে এমন ভাটপারী হচ্ছে। এটা কেন তারা সামাল দিচ্ছে না।

এই সমস্ত কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারনে এতো সফলতা থাকার পরও সরকারের জনপ্রিয়তা সেই হারে বাড়ছে না। এই সমস্ত ঘটনার কারনে সরকারের সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলিতে সরকারের আরো নজরদারী দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *