মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করল পরিবার
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে জামায়াতের এ নেতার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের নয় সদস্য দেখা করেন বলে জানান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. নাশির আহমেদ।
মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন, ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান, পুত্রবধূ সায়েদা তাহমিদা আক্তার ও তাহমিনা আক্তার, মেয়ে তাহেরা তাসনিন, ভাগ্নে রুমান পারভেজ ও আব্দুল্লাহ আল মাহাদী, ভাতিজা কেএম রশিদ উদ্দিন ও শুভ মজুমদার দেখা করতে যান।
“তারা কারাগারের একটি কক্ষে বসে মামলার রিভিউ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন,” বলেন কারা কর্মকর্তা নাশির।
এদিকে আগামী ২১ জুনের মধ্যে মীর কাসেম আলী আপিলের রায়ের রিভিউ চাইবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো. মতিউর রহমান আকন্দ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিভিউর ড্রাফ্ট লেখার কাজ প্রায় চূড়ান্ত। চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে মীর কাসেম আলীকে তা দেখানো হবে।”
যুদ্ধাপরাধ মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসার পর রিভিউ আবেদনই বিচারিক প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ।
নিয়ম অনুযায়ী, আসামিপক্ষ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবে। রিভিউ নিষ্পত্তির আগে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না।
রিভিউ না টিকলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন একাত্তরের বদর নেতা মীর কাসেম। সে আর্জি নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে।
২০১২ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকেই মীর কাসেম কাশিমপুর কারাগারে বন্দি। ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পর তাকে কারাগারের ফাঁসির সেলে নেওয়া হয় বলে জেলার নাশির জানান।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ বছরের ৮ মার্চ আপিলের রায়েও বহাল থাকে সেই সাজা।
বিচারকরা সই করার পর গত ৬ জুন রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর মীর কাসেমের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।