শুদ্ধস্বরের প্রকাশক হত্যাচেষ্টা: আনসারুল্লাহ’র সদস্য গ্রেফতার

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার সিহাব ওরফে সাকিব ওরফে সাইফুল নামের ২০ বছর বয়সী ওই যুবক নিষিদ্ধ জঙ্গি দল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে জড়িত।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে সিহাবকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, “প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের স্বত্ত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুলকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে।”

সিহাবের এই ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল পুলিশের পুরস্কারের ঘোষণায়।

সিহাবের এই ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল পুলিশের পুরস্কারের ঘোষণায়।

গত ১৯ মে এক নোটিসে সিহাবকে ধরিয়ে দিতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।  তবে সিহাবকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের কেউ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে কি না- সে তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, সিহাবের বাড়ি চাঁদপুরে হলেও সে বড় হয়েছে চট্টগ্রামের হালিশহরে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা এই তরুণ আন্দরকিল্লায় একটি মেডিকেল ইকুইপমেন্টের দোকানে সেলসম্যানের কাজ করে আসছিলেন।

“জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, টুটুলকে সে নিজে কোপ দিয়েছিল। ওই ঘটনায় তারা অংশ নিয়েছিল পাঁচজন; ব্যবহার করেছিল চাপাতি। পরে পাশের একটি মসজিদে ঢুকে সেই রক্তাক্ত চাপাতি ধোয়ার কথাও সিহাব বলেছে।”

আহমেদুর রশীদ টুটুল সুস্থ হয়ে চলে গেছেন দেশের বাইরে

আহমেদুর রশীদ টুটুল সুস্থ হয়ে চলে গেছেন দেশের বাইরে

গতবছর ৩১ অক্টোবর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে টুটুল এবং তার সঙ্গে থাকা ব্লগার তারেক রহিম ও রণদীপম বসুকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

একই দিনে হামলা হয় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে। লালমাটিয়ার ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শাহবাগে জাগৃতির কার্যালয়ে এর কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।

এ দুটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে লেখক অভিজিৎ রায়ের কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যিনি নিজেও গতবছর ফেব্রুয়ারিতে একইভাবে খুন হন।

হামলার একদিন পর মোহাম্মদপুর থানায় টুটুলকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে তার পরিবার। সে সময় থেকেই পুলিশের সন্দেহ ছিল আনসারুল্লাহ বাংলাটিমকে ঘিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *