বাংলাদেশ কী পেল চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে
অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে অভূতপূর্ব উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে।প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, দুদেশের সম্পর্ক এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
চীনা প্রেসিডেন্টের কথায়, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্ধু হিসেবে পাশে থাকতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্কের পর্যায় থেকে দুদেশের সম্পর্ক এখন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত হবে।বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দুদেশের মধ্যে ২৬টি নানা ধরণের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট যেরকম বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে এসেছেন এই সফরের সময় সেটা একটা রেকর্ড।দুদেশের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে চীন বাংলাদেশকে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঋণ দেবে । এই ঋনের বেশিরভাগই ব্যয় হবে অবকাঠামো খাতে।গতকাল বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই শেখ হাসিনা এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আনুষ্ঠানিকভাবে ছয়টি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন।এর মধ্যে চট্টগ্রাম এবং খুলনায় দুটি বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে, যার একেকটির ক্ষমতাই হবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
চীন চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল তৈরির প্রকল্পেও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। চীনা অর্থ সাহায্যে ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, একটি সার কারখানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কনফুসিয়াস ইনষ্টিটিউট’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হবে।চীনা ব্যবসায়ীদের একটি বড় প্রতিনিধি দলও চীনা প্রধানমন্ত্রীর সাথে ঢাকায় এসেছেন ।
বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মতলুব আহমেদ বলছেন, চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের ১৩টা চুক্তি হয়েছে।এর মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে অবকাঠামো, রেলওয়ে সহ নানা খাতের বিনিয়োগ ও ব্যবসা রয়েছে। মতলুব আহমেদ জানান, চীনের কাছে কোটা ফ্রি এবং ডিউটি ফ্রি পণ্য রফতানির সুযোগ চেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।