বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে ১২.৯ শতাংশে
অনলাইন ডেস্কঃবিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেশে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে।আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ১৩.৮ শতাংশ।
সোমবার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতির কারণে এ হার কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।তিনি বলেন, গত অর্থবছরে অর্জিত ৭.১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ভিত্তি ধরে তারা অতিদারিদ্র্যের হার হিসাব করেছেন।এই অঞ্চলে ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের চেয়েও বাংলাদেশের এই অর্জন অনেক ভালো।
জাহিদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কোনো দেশের দারিদ্র্যের হার বলতে মূলত হতদরিদ্রদেরই বোঝানো হয়। বিশ্ব ব্যাংক এই হার ঠিক করে প্রত্যেক অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে।
জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচনে ভাল করেছে জীবনযাত্রার মানদণ্ডের বিচারে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং অতি দারিদ্রসীমা নির্ধারণে পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনায় । আর ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) হিসাব অনুযায়ী দরিদ্র মানুষের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে জিডিপি প্রবৃিদ্ধি ৮.৮ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।যদি প্রবৃদ্ধিকে অধিক অন্তর্ভূক্তিমুলক করা যায় তাহলে ৬.১শতাংশ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখে এসডিজি অর্জন সম্ভব ।
শূন্য দারিদ্র বলে হিসাব করা হবে যদি জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের ১২.৯শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় এখন ১.৯০ মার্কিন ডলারের কম।