সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাড়াতেই পারেনি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের বিধ্বংসী বোলিয়ে ওসেস্ট ইন্ডিজের বোলাররা অসহায় হয়ে পড়ে। শেষ মেষ ৩৫ ওভার মোকাবেলা করে মাত্র ১০৮ রানে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর সেই সাথে ১০৯ রানের জয়ের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন নাসুম আহমেদ।

ব্যাট হাতে নেমেই দৃঢ়তার সাথে এগুতে থাকে ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ২০ রানে ও দলীয় ৪৮ রানের মাথায় আউট হন শান্ত। এর পর বাকি কাজটা সুন্দরভাবে শেষ করেন তামিম ও লিটন। তামিম শেষ বলে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরী করে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে ২৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। ততক্ষনে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১১২/১। আর সেই সাথে ১৭৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। আর এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। স্কোর ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ১০৮/১০( ৩৫ ওভার), বাংলাদেশঃ ১১২/১(২০.৪ ওভার)।

ঈদের ছুটির পর অফিস খোললেও উপস্থিতি খুবই কম

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে সরকারী-বেসরকারি অফিস খোললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। বেসরকারি অধিকাংশ অফিসই আজ বন্ধ ছিল। মতিঝিলের রাজউক অফিস ঘুরে দেখা যায় অফিস খোললেও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্ট তালাবদ্ধ রয়েছে। যে ডিপার্টমেন্ট গুলি খোলা রয়েছে সে গুলিতেও কোন কাজ হচ্ছে না। ব্যাংক যথারীতি খোলা আছে কিন্তু উপস্থিতি ও লেনদেন অনেক কম হয়েছে। মতিঝিল অফিস পাড়ার রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে আছে। লোক সমাগম নাই বললেই চলে। হোটেল রেস্তুরাও বন্ধ রয়েছে, রাস্তার পাশের প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

আজও রাজধানীতে ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। খুব কম সংখ্যক বাস রাজধানীতে চলাচল করেছে। যে পরিবহনগুলি চলাচল করেছে সেগুলিতে যাত্রী ছিল হাতে গোনা। রাজধানীর প্রায় সব মল ও সুপারমল বন্ধ রয়েছে। ঈদের ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনো গ্রামেই ছুটি কাটাচ্ছে। রাজধানীজুড়ে এখনো শূন্যতা বিরাজ করছে।

রাজধানীর কোরবানির হাটগুলিতে গরু আসা শুরু হয়েছে

আর কদিন বাদেই কোরবানীর ঈদ। সেই উপলক্ষে রাজধানীর কোরবানির হাটগুলি সাজানো হয়েছে। এই হাটগুলিতে দেশের নানা অঞ্চল থেকে গরু আসে। রাজধানীর বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু আসছে। তবে কেনা বেচা খুব একটা হচ্ছে না। পাইকাররা ২/৩ গুন বেশী দাম চাচ্ছে। রাজধানীর সাহজাহানপুর হাটে দেখা যায় অল্প সংখ্যক গরু এসেছে। এই গরুগুলির অধিকাংশই এসেছে কুষ্টিয়া থেকে। বরাবরই এই হাটের অধিকাংশ গরু কুষ্টিয়া থেকেই আসে।

এই গরুটির দাম চাওয়া হয় ৩ লক্ষ টাকা

এই হাটে ৫০/৫৫ হাজার টাকা দাম হতে পারে এমন একটি গরুর দাম চাওয়া হয় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তবে পাইকাররা বাজারের গতিবিধি বুঝার চেষ্টা করছে। পুরোদমে বাজার শুরু হতে হয়ত আরও ২/১ দিন সময় লাগবে।রাজধানীতে অনেকে কোরবানির ২/১ দিন আগে গরু কিনে। বেশী দিন আগে কিনলে লালন পালনের ঝামেলা হয়। হয়ত ২/১ দিনের মধ্য হাটগুলিতে কোরবানির গরু-ছাগলে ভরে উঠবে। সেই সাথে বেচা কেনাও বেড়ে যাবে।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু, সনাক্ত ২১০১ জন

অনেকে ভুলেই গেছেন যে দেশে করোনা ছিল এবং এখনো আছে। অধিকাংশ মানুষ দেশের করোনা পরিস্থিতিকে কোন গুরুত্বই দিচ্ছেন না। বাস্তবে দেশে করোনা ছিল এবং আছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সনাক্ত হয়েছে আরও ২১০১ জন। একই সময়ে মৃত্যুও হয়েছে আরও ২ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

Can we use the Coronavirus crisis as a catalyst for change? | IOT Solutions  World Congress | 31 JANUARY- 2 FEBRUARY 2023 BARCELONA
————————-ফাইল ফটো————-

সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৬৭২৭৪ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২৯১৪২ জন। সর্বত্রই যেন করোনা বিধিনিষেধ না মানার একটা প্রতিযোগিতা চলছে। এই অবহেলা থেকে বেড়িয়ে এসে করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের ও বাঙ্গালীর বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে দুপুর ১২টায় এবং জাজিরা প্রান্তে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষনা করেন তিনি। উদ্বোধন ঘোষনার আগে দুই প্রান্তেই মোনাজাত করা হয়। মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধন ঘোষনার পর প্রধানমন্ত্রী সেতু দিয়ে মাওয়া প্রান্তের দিকে রওনা দেন। সেতুর মাঝ খানে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু সময় সেতু ও পদ্মার নয়নাবিরাম দৃশ্য অবলোকন করেন। এই সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কিছু বিমান পদ্মা সেতুর সন্নিহিত আকাশে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এর মধ্য জাতীয় পতাকাবাহী ৫টি হেলিকপ্টার ও মিগ-২৯ ও ছিল। এই সময় পদ্মা নদী, পদ্মা সেতু ও আকাশে এক নয়নাবিরাম দৃশ্যের অবতারনা হয়। কিছু সময় সেতুর মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে পরে আবার জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেন। এই সময় শেখ হাসিনার সাথে মেয়ে পুতুল, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ছিলেন। সেতু উদ্বোধনের সময় আকাশে বর্ণিল রঙ ছিটানো হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পৌছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষন দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনগনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন জনগনের শক্তিতেই আজ পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে, জনগণ পাশে ছিল বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু শুধু মাত্র একটি ইট-পাথরের সেতু নয়, এটি বাঙ্গালীর গর্ব, আত্নমর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের ফলে বাঙ্গালীর আত্ন বিশ্বাস বেড়ে গেছে। সেখ হাসিনা বলেন জনগণ সাথে ছিল বলেই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে, তাই জনগনকে সেলুট জানাই। তিনি বলেন এই সেতু নিয়ে যারা বিরোধীতা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। আমি আশা করি এই সেতু নির্মাণের ফলে তাদেরও আত্নবিশ্বাস বেড়ে যাবে। তিনি বলেন পদ্মা সেতু নিয়ে যারা আমাদেরকে অপমান করেছিল সেতু নির্মাণের মধ্য তার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী ১০০ টাকা মূল্য মানের নোট, স্মারক ডাক টিকেট ও খাম উম্মোচন করেন। দেশী বিদেশী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অতিথি উদ্বোধনী উনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে দুই ফেরির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌ রুটে পদ্মা নদীর শরীয়তপুর টার্নিং পয়েন্টে ফেরি বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামালের মধ্য সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। অবশেষে ফেরি দুটি ঘাটে ভিরতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বহু মানুষ হতাহতের থেকে রক্ষা পেয়েছে।

—————–ফাইল ফটো——————————

নিহত একজনের পরিচয় জানা গেছে। নিহত পিকআপ চালকের নাম মো. খোকন (৪০), বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তার গাড়ি ছিল ফেরি সুফিয়া কামালে। এ ছাড়া আরও এক পিকআপ চালক নদীতে ঝাপ দিয়েছিল। সে নিখোঁজ রয়েছে। এই ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার সময় ফেরি দুটির মধ্য এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বন্যার কারনে এসএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা স্থগিত

সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারনে দেশের সকল বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তর থেকে দুপুরে এই তথ্য জানা গেছে। সারাদেশে এই পরীক্ষা ১৯শে জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষার নতুন তারিখ জানানো হবে। এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ষ্কর আকার ধারন করেছে। দুই জেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা ও অভিবাবকদের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই দুই জেলাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও নদনদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভয়াবহ বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ

এ বছরে ৩য় দফায় আবার ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে হাওর জেলা সুনামগঞ্জ। তীব্র স্রোতে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় সড়কপথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। জেলার অধিকাংশ এলাকাই পানিতে ডুবে আছে। ঘরের ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় বসবাসে জটিল সমস্যা হচ্ছে। অনেক স্থানে ঘরের খাট কিংবা চকি ইট কিংবা কাঠ দিয়ে উচু করেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের ভিতর সাপ ও পোকামাকরের উপদ্রবও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষনা করে সেখানে উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি উঠেছে।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলই মুলত বন্যার কারন। সেই সাথে বইছে ঝড়ো বাতাস। সব মিলিয়ে বন্যায় সুনামগঞ্জে এখন ভয়ংষ্কর অবস্থা ভিরাজ করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে অন্ধকারে আরও ভীতিকর অবস্থা চলছে। বৃষ্টি ও ঢলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল রুপ ধারন করেছে। বাসা থেকে বের হয়ে অত্যাবশ্যক কাজও করতে পারছেন না অনেকে। বুক সমান পানি পাড় হয়ে ঝুকি নিয়ে অনেকে বের হয়েছেন অতি জরুরী প্রয়োজনে। সুনামগঞ্জ শহরের উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, মধ্যবাজার, কাজির পয়েন্ট, হাসন নগর, জগন্নাথবাড়ি রোড, নতুনপাড়া, উকিল পাড়া, ষোলঘর, নবীনগর এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে আগেই। এই অবস্থায় এলাকাবাসী দাবি জানাচ্ছেন, সুনামগঞ্জকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে যেন সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়। সেই সাথে এসএসসি পরীক্ষা পেছানোরও দাবি উঠেছে।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রিফাত কুসিক মেয়র নির্বাচিত

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অবশেষে বিজয়ের হাসি হাসলেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। তিনি ৩৪৩ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। মোট ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্য সবকটির ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগের আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘড়ি প্রতীক নিয়ে মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯৯৬৭ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা রাত সড়ে ৯টায় এই ফলাফল ঘোষনা করেন।

AL's Rifat wins Cumilla city election by 343 votes

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে। কুসিক নির্বাচনে সকল কেন্দ্রেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহন চলে। ভোট গ্রহন শেষে শাস্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন সম্পর্ণ হয়েছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিবৃতি দেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে বিএনপির গাত্রদাহ প্রকাশ্যে রুপ পাচ্ছে

২৫শে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। এই উদ্বোধনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিএনপির গাত্রদাহ যেন প্রকাশ্যে রূপ পাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিককালে দেওয়া নানা বক্তব্যে তার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। ২ দিন আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আর হাসিনা পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসবে মেতে আছেন। আবার গতকাল (১৪ই জুন) বিএনপির নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের নীচ তলায় জিয়া পরিষদের এক সভায় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নিয়ে সার্কাস করছেন।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল (১৪ই জুন) ঠাকুরগাঁয়ে এক দলীয় কর্মসূচীতে বলেন, আমরা পদ্মা সেতু বানাতে যে টাকা খরচ হয়েছে তার হিসাব চাই। এই সেতু নির্মাণে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আবার বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছেন পদ্মা সেতু শেখ হাসিনা তার বাপের টাকা দিয়ে তৈরী করে নাই। যদিও শেখ হাসিনা কখনো দাবি করেননি যে তিনি বাপের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু বানিয়েছেন। বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে পদ্মা সেতু নিয়ে তাদের গাত্রদাহেরই প্রমান মিলে। সারা জাতি আজ পদ্মা সেতু নিয়ে মেতে উঠেছে। কিন্তু বিএনপি এবং এর মিত্ররা এই সেতু নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা বলে যাচ্ছেন। এমনটা মোটেও কাম্য নয় এবং জাতি তা প্রত্যক্ষ করছে।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। আমি এই সেতুতে উঠবো না। আপনারাও উঠবেন না। রিস্ক আছে কিন্তু।’

দেশে এখন পদ্মা সেতুর সার্কাস চলছে: রিজভী
———ফটো সংগৃহীত———-

পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর আগেই এই সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। যার ফলে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। কোন টাকা বরাদ্ধ না দিয়েই সেদিন বিশ্ব ব্যাংক এই সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। এই ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ছিল ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি হিলারি ক্লিন্টনের মাধ্যমে অর্থায়ন বন্ধে প্রভাব খাটিয়েছেন। তার পিছনে ছিল সুজনের ডঃ বদিউল আলাম মজুমদার, সিডিপির ডঃ দেব প্রিয় ভট্রাচার্য, ডঃ আসিফ নজরুল, প্রথম আলোর মতিউর রহমান, টি আই বির ডঃ ইফতেখার আহমেদ প্রমুখ। আর বিএনপি-জামাত সেদিন রাজনৈতিকভাবে পদ্মা সেতুর বিরোধীতা করেছিল। আর তা এখনো অব্যহত আছে। কানাডার আদালতে প্রমান হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয় নাই। আদালতের রায়েই একথা বলা আছে। তারপরেও এদেশে পদ্মা সেতুর বিরোধীরা নানা অলিক মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন এই সেতু নিয়ে।

অন্যদিকে সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষনার পরই সারাদেশে নানা ধরনের আগুনের ঘটনা ঘটছে। সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার টার্মিনালে আগুন, ফেরিতে আগুন, পারাবাত ট্রেনে আগুন আরও নানা ঘটনায় গোয়েন্দারা নাশকতার আলামত পাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগে পরে নাশকতা হতে পারে বলেও আসংস্কা করা হচ্ছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তিন বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়-জাহিদ হোসেন

বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়। শনিবার বিকালে তার হার্টের ৩টি ব্লকের মধ্য একটিতে রিং বসানো হয়। তারপর আজ বিকালে ৪৮ ঘন্টা শেষ হয়। এর মধ্যেও বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল নয় বলে দাবি করেছেন ডাঃ জাহিদ হোসেন। ৭২ ঘন্টা পর বাকি দুটি ব্লক নিয়ে কাজ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

ফাইল ফটো

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার সময় হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে গেলে বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

মৌলভী বাজারে পারাবত ট্রেনে আগুন, ঢাকা-সিলেট ট্রেন চলাচল বন্ধ

পারাবত ট্রেনটি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পৌঁছালে জেনারেটর বগিতে আগুন লাগে। পরে পাশের যাত্রীবাহী বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। শমসেরনগর স্টেশনের সহকারী মাস্টার উত্তম কুমার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো জানা যায়নি।

মৌলভীবাজারে পারাবাত এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন
ফটো-সংগৃহীত

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এভারকেয়ারের সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ১২ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান-২ এর বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।তাকে তখনই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। সেই সময় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপি চেয়ার পারসনের প্রেস উইনিং থেকে এই তথ্য জানা যায়।

(ফাইল ফটো)

এর আগে ২০২১ সালে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্ষক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য বেগম খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে। সেই বোর্ডই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে যে সব জিনিষের দাম বাড়বে

সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব পেস করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। দেশী-বিদেশী ব্যাংক ঋন ও সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে এই ঘাটতি পুরন করা হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে যে সমস্ত জিনিষের দাম বাড়বে—–

বিদেশি পনির ও দইয়ের দাম বাড়তে পারে। নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।বিদেশি পোশাকের ওপর কর বাড়ায় দাম বাড়বে। দাম বাড়বে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপরিশোধিত আলকাতরা, বিদেশি পাখি, প্রিন্টিং প্লেট, ক্যাশ রেজিস্টার, ফ্যান, মোটর, লাইটার, টু স্ট্রোক ও ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের সিএনজি, কম্পিউটার প্রিন্টার ও টোনার, আমদানি করা মোবাইল চার্জার, কার্বনডাই-অক্সাইড, আমদানি করা পেপার কাপ, পেপার প্লেট ইত্যাদির। রিকন্ডিশন্ড ও হাইব্রিড গাড়িতে ২০০০ সিসি থেকে ৪০০০ সিসিতে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এ সবের দাম বাড়বে।

বাজেটে আমদানি করা লিফটের ওপর আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাড়বে বিদেশি লিফটের দাম। আমদানি করা মটর সাইকেলের দাম বাড়বে। বিদেশ থেকে আমদানি করা ল্যাপটপের দাম বাড়বে। আমদানিকৃত পানির ফিল্টারের দাম বাড়বে। ট্রেনের প্রথম শ্রেনী ও এসি টিকেটের দাম বাড়বে। আমদানি করা মোবাইলের দাম বাড়বে।

মাষ্কিপক্স সন্দেহে এক তুর্কি নাগরিক হাসপাতালে ভর্তি

মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। আকসি আলতে(৩২) নামক ওই ব্যক্তির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা নীরিক্ষার পর জানা যাবে ওই ব্যক্তি মাষ্কিপক্স আক্রান্ত কিনা। ২৪ ঘন্টার মধ্য এই ব্যক্তির রিপোর্ট পাওয়া যাবে। হাসপাতালের আইসলেশন সেন্টারে তাকে রাখা হয়েছে।

এর আগে দুপুরে আকসি আলতে টার্কিশ এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে হজরত সাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছায়। ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার সময় তাকে মাষ্কিপক্স আক্রান্ত সন্দেহে বিমান বন্দর মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে মহাখালী সংক্রামক ব্যধি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য মাষ্কিপক্স আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত ১৬

শনিবার রাত ১০টায় সিতাকুন্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১টায় ডিপোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরন ঘটে। এই বিস্ফোরনের শব্দে আশপাশের এলাকা কেপে উঠে। চারদিক থেকে আত্নচিতৎকার শুনা যায়। পাশের বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। এই বিস্ফোরণে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কেপে উঠে। প্রথমে ওই এলাকার মানুষ মনে করেছিল ভুমিকম্প হয়েছে। এই বিস্ফোরনে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা অগনিত। ডিপোতে থাকা একটি কন্টেইনার থেকে এই বিস্ফোরন ও আগুনের সূত্রপাত বলে ডিপোর এক পরিচালক জানিয়েছেন। ওই কন্টেইনারে রাসায়নিক পদার্থ ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। এই কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আহতদের উদ্ধার ও আগুন নিভানোর কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে আহত ২ জনকে পাঠানো হয়েছে। হতাহতদের মধ্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এক পুলিশ সদস্যর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পদ্মা সেতুর উদ্ভোধনের দিন সব জেলায় অনুষ্ঠান হবে

২৫শে জুন স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান হবে। আর শিবচরে হবে আওয়ামীলীগের জনসভা। এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ভাষন দিবেন। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর ও মাদারীপুরসহ আরও কয়েকটি জেলায় ২৫শে জুন থেকে ৫ দিন ব্যপী উৎসব পালন করা হবে। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলায় এ উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা হবে। রাজধানীর হাতিরঝিলে এই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হবে এবং লেজার সো হবে। পদ্মাসেতুর উদ্ভোধনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এখন উৎসবের আয়োজন চলছে।

৩রা জুন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে ডিসিদের সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহিত হয়। এই বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যে পরিমান রিজার্ভ আছে তাতে ৫ মাস চলবে-মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন দেশে যে পরিমান বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ আছে তাতে ৫ মাসের আমদানী ব্যয় চলবে। কিন্তু এই ৫ মাসে যে পরিমান রেমিটেন্স আসবে ও রপ্তানি থেকে যে বৈদেশিক মূদ্রা আসবে তা তিনি বলেননি। সচেতনভাবেই তা তিনি এড়িয়ে গেছেন। কারন ওনার ও ওনার দলের উদ্দেশ্য হল দেশকে অস্থিতিশীল করা। দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ অব্যহত আছে এবং এই মহামারীকালেও দেশের রপ্তানি বেড়েই চলেছে। আমদানী, রপ্তানি এবং রেমিটেন্স প্রবাহে ভারসাম্যও আছে। গত ১২/১৩ বছরে দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কয়েক গুন বেড়েছে। তাহলে ফখরুল সাহেবরা কি করে বলেন ৫ মাসে রিজার্ভ শেষ হয়ে যাবে।আর দেশে শ্রীলংকার মত অবস্থা হবে আর ওনারা জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে ক্ষমতায় যাবেন। এই স্বপ্ন ওনাদের স্বপ্ন হিসাবেই থাকবে।মহামারীকালেও বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির হার অব্যহত আছে।আগামীতেও তা অব্যহত থাকবে বলে মানুষ আশা করে।

একটা উদাহরন দিয়ে বিষয়টা পরিস্কার করি। আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা রিজার্ভ আছে। আমি একটা চাকরি করি এবং প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন পাই। মাসে আমার খরচও ২৫ হাজার টাকা। আমার বেতন যতদিন অব্যহত থাকবে ততদিন আমার রিজার্ভ ২ লক্ষ টাকাই থাকবে। কিংবা মাসে যদি ২৫ হাজার টাকার একটু কম বেশী খরচ হয় তা হলে আমার রিজার্ভ কখনো ২ লক্ষের বেশী হবে আবার কখনো ২ লক্ষের একটু কম হবে। গড়ে আমার রিজার্ভ ২ লক্ষ টাকাই থাকবে। আবার যদি আমার খরচ কমে যায় রিজার্ভ বাড়বে। আমার আয় বেড়ে গেলেও রিজার্ভ বাড়বে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকার মত বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। এটি নানা অবস্থার সাথে কম বেশী হতেই পারে। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করছেন। ওনারা তা ১২/১৩ বছর যাবৎ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কখনো সফল হতে পারেননি। ইনসাল্লাহ এবারও ওনারা সফল হবেন না। দেশপ্রেমিক জনতা ওনাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।বাংলাদেশের ১টাকা সমান শ্রীলংকার ৪.১১ রুপি। বাংলাদেশে শ্রীলংকার মত অবস্থা হবে না তা বুঝার জন্য এই তথ্যইে যতেষ্ঠ। আরও একটা তথ্য দিতে চাই আগাম৮/৯ মাসের মধ্য বাংলাদেশের মূদ্রার মান ভারতের মূদ্রার মানের সমান হয়ে যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১ টাকা সমান ভারতের ০.৮৯ রুপি।

আমেরিকা বনাম রাশিয়ার যুদ্ধ কখন শেষ হবে?

২৪শে ফেব্রুয়ারী রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। রাশিয়া দাবি করছে ইউক্রেনে রুশভাষী ও রুশ সমর্থক নাগরিকরা অত্যাচারিত হচ্ছে। অপরদিকে ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের অত্যাচারের কারনে স্বাধীনতা চাচ্ছে। এই এলাকায় স্বাধীনতাকামীরা দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের সরকারী বাহিনীর সাথে লড়াই করে আসছে। এমতাবস্থায় রুশভাষী ইউক্রেনীয়দের রক্ষা করতে রাশিয়া ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযান চালানোর যুক্তি দেখাচ্ছে। এর আগে ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে দনবাসের লোহনস্ক ও দোনস্ক এলাকাকে স্বাধীন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া।

২৪শে ফব্রুয়ারী থেকেই ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনারা ঢুকে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্য শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। ফলে উভয় পক্ষেরই ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে। আপাতঃভাবে এই যুদ্ধ রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্য হলেও আসলে এই যুদ্ধ চলছে মুলত রাশিয়া ও নেটোর মধ্য। নেটোর কিছু দেশ হয়ত এই যুদ্ধ চাচ্ছে না। কিন্তু এই অংশটা খুব একটা শক্তিশালী নয়। আর এই নেটোর নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইউক্রেনে মুলত যুদ্ধ চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্য। এই যুদ্ধ ক্ষেত্রটা শুধু ইউক্রেনে।

যুক্তরাষ্ট্রকে যে কোন দিক থেকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে বিশ্বে রাশিয়া বাদে আর দ্বিতীয় কোন দেশ নাই। এই দুটি দেশেরই রয়েছে বিশ্বের যে কোন দিক থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। একমাত্র রাশিয়াকে মোকাবেলা করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৭০ বছর আগে গঠিত হয় নেটো। শুরুতে সদস্য সংখ্যা ছিল ১২ এবং বর্তমানে ৩০। অল্প কয়েকটা দেশ বাদে ইউরোপের প্রায় সকল দেশই নেটোর সদস্য। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে যে সাম্রাজ্যবাদ চালাচ্ছে তা নেটোকে সাথে নিয়েই করছে। অর্থাৎ নেটো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদীদের জোট। ইউরোপের দেশগুলিকে নিয়ে ইইউ নামে আরেকটি জোট রয়েছে। এটিও ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যপক প্রভাব খাটাচ্ছে। এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে শত শত বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। সর্বাধুনিক যত অস্ত্র আছে তা ইউক্রেনে সরবরাহ করছে। এমনকি পর্দার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাথে মিশে যুদ্ধ করছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। নানা ধরনের অবরোধ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেটো ও ইইউ রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তাতে সকল দিক দিয়েই ব্যপক ক্ষতির মুখে পরেছে রাশিয়া। অপরদিকে এই দেশগুলিও নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভংগ করছে। নিজেরাও ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর ইউক্রেনের জানমালের ব্যপক ক্ষতি সাধন করছে।

এই যুদ্ধের প্রভাব সারাবিশ্বেই পরেছে। বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের সংকট তৈরী হয়েছে। নিত্যপন্যের দাম সারা বিশ্বেই বেড়ে গেছে। বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বে খাদ্যের অভাব দেখা দিবে বলে আভাস দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে দরিদ্র দেশগুলি। এমনকি এখনই বিশ্বের দেশে দেশে এখনই অভাব/সমস্যা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে এই যুদ্ধকে একটা টেস্ট বলে মনে করছে পশ্চিমারা। রাশিয়াকে তারা একটু বাজিয়ে দেখছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনেস্কিকে এরা তাদের এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের এজেন্ট হিসাবে কাজ করাচ্ছে। পাটাপুতার ঘষাঘষিতে ইউক্রেনের এখন বারোটা বেজে গেছে। তবে রাশিয়ারও ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এই যুদ্ধ পশ্চিমারা যেদিন চাইবে সেদিন হয়ত শেষ হবে।

ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে উপচেপড়া ভিড়

ঈদের ছুটিতে রাজধানী প্রায় ফাঁকা। এর মধ্যেও যারা ঢাকায় ঈদ করেছেন কিংবা ঢাকায় আছেন তাদের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। ঢাকার যারা স্থায়ী বাসিন্দা তাদের বেশীর ভাগই ঢাকাতেই ঈদ করেন। ঈদের ছুটিতে রাজধানী ও একে কেন্দ্র করে বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে মূলত এরাই ভ্রমনে যান। রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দর্শনার্থীদের ব্যপক ভিড় দেখা যায়।

শিশুদের পাশাপাশি সব ধরনের নারী পুরুষই এই কেন্দ্রগুলিতে ভিড় করেছে। এর মধ্য রাজধানীর বিমান যাদুঘরে ঘুরে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা যায়। রাজধানীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রেই একই রকমের ভিড়। এদের মধ্য অনেকে আবার ঢাকার সন্নিহিত জেলা সমূহ থেকে এসেছে। অনেকে স্বপরিবারে বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে এসেছেন। কোন কোন পরিবারে ১২/১৫ জন সদস্যও দেখা গেছে।

1 2 3 4 90