স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন স্বর্ন ক্যান্সার সারাতে সাহায্য করবে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে তারা দাবী করছেন, ফুসফুসের ক্যান্সার চিকিৎসায় স্বর্ণের ছোট কণা ব্যবহার করা হলে তা ক্যান্সারবিরোধী ওষুধের কার্যকারিতা আরো বেশি বাড়িয়ে তুলবে। এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে জার্মান বিজ্ঞানভিত্তিক একটি জার্নাল ‘অ্যাঙওয়ান্তে কেমি’ তে।
জেব্রাফিশের মস্তিষ্কের মধ্যে স্বর্ণের টুকরা বসিয়ে তারা দেখেছেন সেটি ওষুধের কার্যকারিতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই ছোট ছোট স্বর্ণের টুকরাগুলো ‘গোল্ড ন্যানোপার্টিকেল’ নামে পরিচিত। গোল্ড ন্যানোপার্টিকেলগুলো শরীরের সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। কেমোথেরাপির সময় শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে, স্বর্ণের ছোট কণিকার মাধ্যমে এক্ষেত্রে ‘ক্যান্সার কোষ’ বা ‘টিউমার’ সারাতে বেশ সাহায্য করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীরা কোনো মানবদেহে এটি এখনো পরীক্ষা করে দেখেননি। তারা আশা করছেন স্বর্ণের কণা কেমোথেরাপির পাশ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রবল বিক্ষোভের মুখে তসলিমা নাসরিন ভারতের ঔরঙ্গাবাদ থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন। মুম্বাই থেকে তসলিমা নাসরিন তিন দিনের ছুটি কাটাতে বিমানযোগে ঔরঙ্গাবাদ বিমান বন্দরে পৌছেছিলেন। তার সেখানে যাবার খবর পাওয়ার পর এআইএমআইএম নামের একটি মুসলিম সংগঠন বিক্ষোভ করলে তিনি ফিরে আসতে বাধ্য হন। তিনি অবশ্য ঔরঙ্গাবাদ যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রনের বাইরে না চলে যায়, সে কারণে বিমানবন্দর থেকেই লেখিকাকে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো মুম্বইতে ফিরে যান লেখিকা।
তিন দিনের ছুটি কাটাতে ঔরঙ্গাবাদ আসার কথা ছিল তসলিমার। অজন্তা, ইলোরা-সহ শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোরার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু সে খবর পাওয়া মাত্র তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মুসলিম সংগঠন এআইএমআইএম। সেখানে বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের নেতা ইমতিয়াজ জলিল। তার দাবি, তসলিমার লেখা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে লেখিকা তাদের শহর ঔরঙ্গাবাদে পা রাখুন এটা চায় না এই সংগঠন। সে কারণেই বিমানবন্দরের বাইরে প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়। যে হোটেলে তসলিমার থাকার কথা ছিল সেখানো বিক্ষোভ দেখানো হয়।
ক্রিস গেইল শুধু যে ক্রিকেট খেলায় নাম কামিয়েছেন তা কিন্তু নয়। তার রয়েছে হরেক রকমের প্রতিভা। আইপিএল-এর সৌজন্যে ক্রিস গেইলের নানা ধরনের প্রতিভার সাক্ষী থেকেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাইশ গজে ব্যাট হাতে যেমন ঝড় তোলেন, তেমনই মাঠের বাইরে তাঁর নাচের স্টাইলও সুপারহিট। কোনও পার্টিতে গেইল থাকবেন, অথচ গানের তালে পা মেলাবেন না, এমনটা হতেই পারে না।
ফরহাদ মজহার অপহরন নাটকের রহস্য বেড়িয়ে এসেছে। তার বান্ধবী অর্চনা রানীকে সাহায্য করার জন্যই এই অপহরন নাটক করেছেন। অর্চনা রানী ২০০৬ সালে ফরহাদ মজারের এনজিওতে চাকরী নেন। কিছু দিনের মধ্যই অর্চনা রানীর সাথে ফরহাদ মজহারের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। পরে প্রেম হয়। প্রেম থেকে সে সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত গড়ায়। এক সময়ে অর্চনা রানী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে ফরহাদ মজহার তার এবরশন করান ২০০৭ সালে। তাতে অর্চনা রানী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকেন।
এ ঘটনা ফরহাদ মজহারের পরিবারে জানাজানি হলে অর্চনা রানী চাকরী হারান। তবে অর্চনা রানীর সাথে ফরহাদ মজারের সম্পর্ক অটুট থাকে। ফরহাদ মজহার অর্চনা রানীর বাসা ভাড়াসহ জাবতীয় খরচ দিতে থাকে। এর মাঝে অর্চনা রানী আবার ৪ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। ফরহাদ মজহার এবার তাকে আরও ভালভাবে এবরশন করাবেন বলে কথা দেন। অপরদিকে অর্চনা রানীর বাবা অসুস্থ্য থাকায় তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা দরকার হয়ে পড়ে। আর সেই টাকা পরিবারের খাছ থেকে ম্যানেজ করে দেওয়ার জন্যই তিনি অপহরন নাটক সাজিয়েছেন বলে পুলিশের তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে।
আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নিজের লাইসেন্সকৃত রিভলবার দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে তিনি রামপুরার উলুন রোডের নিজ বাড়ীর নিচতলায় একটি রুমে দরজা বন্ধ করে রিভলবার নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। তার বয়স ৮০ বছর। এখন পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ তাকে উদ্ধারে প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, তাকে উদ্ধার করতে গেলেই নিজের লাইসেন্সকৃত রিভলবার দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।
আব্দুর রহমান পাকিস্তান আমলে বিমানবাহিনী থেকে অবসর নেন। পরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে স্টোর কিপারের চাকরী নেন। রামপুরার উলন রোডের ওই বাড়ির মালিক তিনি নিজেই। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে বিদেশে থাকে। তিনি তার স্ত্রী, এক ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-নাতনি নিয়ে ওই বাড়ির নিচ তলায় থাকেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বেডরুমে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে চিৎকার শুরু করলে তার স্ত্রী, ছেলের বউ, নাতি-নাতনি ছুটে গেলে তিনি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ঘটনার কথা শুনে পুলিশ সেখানে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায় ওই বৃদ্ধ কখনও বিছানায় শুয়ে পড়েন আবার উঠে রিভলবার নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। তাকে দরজা খোলতে বললে তিনি মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করে আত্নহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ওই বৃদ্ধকে উদ্ধারের জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাতের খাবার পরিবেশন করতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে এক মদ্যপ স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দিল্লীতে। গত শনিবার রাতে অশোক কুমার (৬০) মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী সুনাইনার সাথে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে অশোক কুমার ৫৫ বছর বয়সী স্ত্রীকে মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার ডাক্তাররা সুনাইনাকে মৃত ঘোষণা করে।
অশোক কুমার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এখন তিনি সেজন্য অনুতপ্ত। জানা যায়, অশোক কুমার প্রায় প্রতিরাতে মদ্য পান করে বাড়ী ফিরত। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। শনিবার সে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। স্বামীর মদ্যপান নিয়ে স্ত্রী বেশ হতাশায় ভুগছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি তার স্বামীর সাথে কথা বলতে চান। কিন্তু তার স্বামী দ্রুত খাবার চেয়েছেন। খাবার দিতে দেরি হওয়ায় অশোক কুমার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীকে গুলি করেন।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর অববাহিকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেখানে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত আসামে বন্যায় ৩০ জন প্রান হারিয়েছে। গত চার দিন ধরে ভারী বর্ষণের ফলে আসামের ১৫টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আসামের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ১১০০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সেখানে পানির চাপে ভেসেঁ গেছে বাধঁ। বহু সেতু ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহাসড়কের অনেক স্থান পানিতে ডুবে গেছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ১৮০০০ মানুষ।
এদিকে বাংলাদেশেও অনেকদিন যাবৎ প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সিলেট, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জসহ অনেক স্থানেই ইতিমধ্য বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই সাথে ভারতের আসামে পাহাড়ী ঢলের ফলে সৃষ্ট বন্যার পানি ভাটিতে নামতে শুরু হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংশ্কা দেখা দিয়েছে। আসামের বন্যার পানি সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে নেমে এসে নরসিংদী, ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সিলেট জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলির পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকার জেলাগুলির বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশংশ্কা রয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রণভূমিতে পরিনীত হওয়া একটি স্থানে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে আমেরিকা, রাশিয়া এবং জর্ডান। মার্কিন পররাষ্ট সচিব রেক্স টিলারসন একথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট সচিব সের্গেই ল্যাভরভ জনিয়েছেন যুদ্ধবিরতি রবিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
সিরিয়ার রণাঙ্গণের খুবই জটিলতা থাকা একটি জায়গায় এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকাটির নিরাপত্তার দায়িত্বে কে নিশ্চিত করবে তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের মধ্য দিয়েই চুক্তিটি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন টিলারসন।
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীরা বাবা-মাকে পিটিয়ে অস্ত্রের মুখে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনা ঘটে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার আবিরনগরে। অপহৃতার পিতা আহত আবুল কাশেমকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে মা কুলসুম বেগমকে। জানা যায়, অপহৃত কলেজছাত্রী এ বছর ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন।
পুলিশ আজ সকালে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৫জনকে আটক করেছে। জানা যায়, আবিরনগর গ্রামের বাসিন্দা লেংড়া খোকনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে ওই কলেজছাত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর মা-বাবা তাদের রান্না ঘরে খাবার খেতে গেলে তাদের ওই ঘরে আটকে রেখে স্থানীয় বখাটে হেলাল দলবল নিয়ে নিয়ে তাদের থাকার ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়ের চিৎকার শুনে মা-বাবা রান্না ঘরের বেড়া ভেঙ্গে বের হয়ে এসে অপহরণকারীদের বাধা দিলে তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অপহৃতাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে।
মৃত্যুদন্ড নিয়ে নানাজনের নানা মত আছে নানা দেশে। অনেকের কাছে মৃত্যুদণ্ড রাষ্ট্রের মদতে খুনেরই নামান্তর মাত্র। তাই মানবাধিকার কর্মীরা মৃত্যুদণ্ডের বিলোপের দাবিতে সারা বিশ্বে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের ১০১টি দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত হয়েছে। তবে বহু দেশে এখনও মৃত্যুদণ্ড বিধান চালু আছে। চিন, সৌদি আরব, ইরাক বা ইরানের মতো দেশে তো সামান্য অপরাধেও অপরাধীকে ফাঁসি কাষ্ঠে ঝোলানোর অনেক নজির আছে। আর পাকিস্তান এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রযেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষনায় দেখে গেছে, গত আড়াই বছরে পাকিস্তানে ৪৬৫ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানেও ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে জঙ্গিরা পেশোয়ারে একটি স্কুলে হামলা চালালে ১৩২ জন শিশু-সহ ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই পাকিস্তান সরকার জঙ্গি ও অপরাধীদের চরম শাস্তি দিতে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। ফলশ্রুতিতে দেখা যায়, ২০১৪-র ডিসেম্বর থেকে ২০১৭-র মে, এই সময়কালে পাকিস্তানে ৪৬৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হয়েছে। তা বেড়িয়ে এসেছে জাস্টিস প্রজেক্ট পাকিস্তান নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চালানো এক সমীক্ষায়। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গেছে, গত আড়াই বছরে পাকিস্তানে ৪৬৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানে এখন মৃত্যদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা প্রায় আট হাজার বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিনেত্রী প্রেমিকাকে জন্মদিনের কথা বলে ফ্লাটে ডেকে এনে ধর্ষন মামলার আসামী ধর্ষক বাহাউদ্দিন ইভানকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল গত মঙ্গলবার রাতে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ীর এক বিলাশ বহুল ফ্লাটে। ওই ফ্লাটের দুতলায় ইভানরা পরিবারসহ ভাড়া থাকেন। পাশেই ইভানদের ১০ কাঠার আধা পাকা একটি বাড়ি রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ওই অভিনেত্রী তরুনীর সাথে প্রথমে পরিচয় ও পরে প্রেম হয় ইভানের। ইভান বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। সন্তানসহ তার ২য় স্ত্রী লালবাগে বাবার বাসায় থাকেন। ১৯ বসর বয়সে তিনি প্রথম বিয়ে করেন ও পরে তাকে তালাক দেন। ইভান মাদকাসক্ত ও তিনি দুইবার মাদকাসক্তি নিরাময় কেদ্রে ছিলেন। উশৃঙ্খল হওয়ায় তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পাড় হতে পারেননি। কিন্তু তিনি নিজেকে আরজে বলে পরিচয় দিতেন। কখনো ঢাকা ইউনিভার্সিটি আবার কখনো নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন বলে তরুনীদের সাথে প্রতারনা করতেন।
তরুনীর ভাষ্য অনুযায়ী সেদিন বিকালে ইভান তাকে ফোন করে বলে আজ তার জন্মদিন। ইভানের মা তার(প্রেমিকা) সাথে কথা বলতে চাচ্ছে। ইভানের মার পরিচয়ে এক মহিলা ফোনে তার সাথে কথা বলে। তরুনী সন্ধ্যার পর ইভানের বাসায় এসে দেখেন বাসায় ইভান ছাড়া আর কেউ নেই। ইভান তরুনীকে জানায় তার মা-বাপ পাশের রুমে ঘুমিয়ে আছে। বাসায় জন্মদিনের কোন পরিবেশও দেখছেন না। বিপদ আচ করতে পেরে তরুনী বাসা থেকে বেড় হয়ে যেতে চাইলে ইভান তাকে ভেড় হতে দেয়নি। পরে তাকে ধর্ষন করে রাত তিনটার পরে বেড় করে দিলে তরুনী বনানী থানায় এসে অভিযোগ করে। পরে বুধবার পুলিশ সে বাসায় অভিযান চালিয়ে ইভানসহ কাউকে পায়নি।
পরে ইভান র্যাবের হাতে নারায়নগঞ্জের মাসদাইর থেকে গ্রেপ্তার হন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তরুনীকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে। এই মামলায় পুলিশ তাকে চারদিনের রিমান্ডে নিয়েছে। তরুনীর অভিযোগের পর পুলিশ ইভানের বাসায় তাকেসহ কাউকে পায়নি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ইভান জানায় সে ওই বাসার ছাদে আত্নগোপন করে ছিল। পরে সে চেয়ারম্যানবাড়ীর এক বাসায় কিছু সময় থেকে সেখান থেকে প্রথমে কাওলা যায়। সেখান থেকে দক্ষিনখানে গিয়ে এক আত্নীয়ের বাসায় রাত্রী যাপন করে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়নগঞ্জের মাসদাইরে খালার বাসায় আত্নগোপন করে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিয়ে করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা কোটি মানুষের স্বপ্ন পুরুষ লিউনেস মেসি। পাত্রী দুই সন্তানের জননী তারই শিশুকাল থেকে বান্ধবী আন্তেনেল্লাকে। বিয়েতে পাত্রীর জন্য চাটার্ড বিমানে করে স্পেন থেকে পোষাক আনা হয়।
জাকজমকপূর্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রোজারিওর তারকা খচিত এক হোটেলে বিয়ে সম্পূ্র্ণ হয়। বিয়েতে আমন্ত্রিত অথিতিদের তিন সেট করে পোষাক আনতে বলা হয়। যাতে করে একজনের পোষাকের সাথে আরেকজনের পোষাক না মিলে যায়। দুনিয়ার সব বিখ্যাত মডেলসহ বিশিষ্ট তারকারা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।
এই বিয়ের আয়োজন ছিল দুনিয়ার সব জাকজমকপূর্ন বিয়ে অনুষ্ঠানের মধ্য অন্যতম।
বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: ক্যানসারের অন্যতম স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি কেমোথেরাপি নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর মূলে রয়েছে কেমো নিয়ে বরাবরের সেই ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ বিতর্ক। এবার কয়েক কাঠি উপরে গিয়ে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স এবং ফিজিওলজির এক প্রাক্তন নামজাদা অধ্যাপক দাবি করেছেন, ক্যানসার নয়, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর কারণ আসলে কেমোথেরাপি।
ডাঃ হার্ডিন বি জোনস নামে এই মার্কিন ক্যানসার পরিসংখ্যানবিদ বলেন, যেসব ক্যানসার বিশেষজ্ঞ কেমোথেরাপি নেননি, তাঁরা বরং কেমোথেরাপি চিকিৎসা চলা রোগীদের তুলনায় গড়পড়তা সাড়ে ১২ বছর বেশি বেঁচেছেন। প্রায় ২৫ বছর ধরে আমেরিকার ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের আয়ু নিয়ে এক সমীক্ষার পর ডাঃ জোনস এই সিদ্ধান্তে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, আসলে ওষুধ কোম্পানিগুলির বেশি লাভের উদ্দেশ্যে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার এত রমরমা। ডাঃ জোনসের এই গবেষণা নিউইয়র্ক আকাদেমি অব সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে। তারপর থেকেই তোলপাড় পড়েছে বিশ্বজুড়ে। যদিও রাজ্যের প্রথম সারির ক্যানসার চিকিৎসক এই ধরনের দাবিকে সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘বিজ্ঞানসম্মত নয়’ বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই কিছু বিজ্ঞানী ও গবেষকের একটি দল দাবি করে যাচ্ছেন, প্রচলিত ক্যানসার চিকিৎসায় লাভের থেকে ক্ষতি বেশি। কিন্তু তার পক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারছেন না তাঁরা।
কী দাবি করছেন জোনস? তিনি জানিয়েছেন, দেখা গিয়েছে, প্রচলিত ক্যানসার চিকিৎসা না করানো ব্রেস্ট ক্যানসার আক্রান্তরা প্রচলিত চিকিৎসার অধীনে থাকা রোগীদের চারগুণ বেশি সময় বাঁচেন। তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর দাবি হল, কেমোথেরাপি নেওয়া ক্যানসার রোগীদের একটা বড় অংশই তিন বছরের মধ্যে মারা যান। বাকিরা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মারা যান।
এ প্রসঙ্গে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি’র প্রধান ডাঃ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কেমোথেরাপি একটি স্বীকৃত ক্যানসার চিকিৎসা পদ্ধতি। যে কেউ যা খুশি দাবি করলেই হল? উনি (ডাঃ জোনস) বসবাস করেন আমেরিকায়, সবথেকে বেশি ক্যানসার চিকিৎসা ও কেমোথেরাপিতে খরচ হয় সেখানেই। সেটা বন্ধ করতে পেরেছেন? ওঁর এই দাবির পিছনে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কী? এ ধরনের দাবি করতে হলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা জরুরি। সেটা কি করেছেন? আমার মনে হয় না, এ ধরনের দাবির পিছনে কোনও বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি আছে।
আর এক বিশিষ্ট ক্যানসার চিকিৎসক ডাঃ গৌতম মুখোপাধ্যায়ও বলেন, এ ধরনের দাবি মানতে আমি নারাজ। কেমোথেরাপি একটি বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি। একে নস্যাৎ করতে হলেও বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি দিতে হবে।
আর এক বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, এই দাবি আংশিক সত্যি। আমেরিকার মতো দেশে এখন ক্যানসারের জিনটাকেই আটকে দেওয়ার নতুন থেরাপি চালু হয়েছে। তার নাম বায়োলজিক্যাল থেরাপি বা টার্গেট থেরাপি। আর চালু কেমোথেরাপিতে বেশ কিছু রাসায়নিক আছে, যেগুলি শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতিকর কোষগুলি ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু পাশাপাশি তারা অনেক ভালো কোষও নষ্ট করে। সেজন্যই কেমোথেরাপি নিয়ে এই সমালোচনা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই স্বীকৃত থেরাপিই বন্ধ করে দিতে হবে। সূত্রঃ বর্তমান পত্রিকা থেকে নেয়া।
৫০০ কেজি ওজনের মিশরীয় ইমন আহমেদ ভারতে এসেছেন চিকিৎসা নিতে। আগে তিনি শুধু বিছানায় শুয়ে থাকতেন। হাত নাড়তে পারতেন না। ভারতে এসেছেন ওজন কমিয়ে সুস্থ জীবন পাওয়ার আশায়। ভারতে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
৫ দিনের চিকিৎসা শেষে তার ওজন কমেছে ৩০ কেজি। তিনি এখন হাত নাড়ছেন, চুমু ছুঁড়ে দিচ্ছেন ফটোগ্রাফারদের দিকে। চিকিৎসকরা আশা করছেন আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে ১০০ কেজিতে চলে আসবে তার ওজন। তারপরেই চূড়ান্ত পর্যায়ের অস্ত্রোপচার শুরু করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মুফি লাকদাওয়ালা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের উদ্যোগে বিশেষ কার্গো বিমানে করে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। ইমনের চিকিৎসার জন্য ২ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ড। ৫০০ কোজি ওজন রাখতে পারে এমন অপারেশন থিযেটার, বেড তৈরি হয়েছে।
শেষ যে মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করা হযেছে, তাতে বলা হয়েছে, ইমন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এছাড়াও ডায়েবেটিস, কিডনির সমস্যা, থাইরয়েড, ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তাঁর। আর এসবের কারন অত্যাধিক ওজন। তাই ওজন না কমিয়ে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয় নয় বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ইমনকে আহমেদকে আপাতত ১২০০ ক্যালোরির কঠোর ডায়েটে রাখা হয়েছে। আগে দিনে এক ঘণ্টার বেশি ঘুমোতে পারতেন না ইমন। এখন তার ঘুম একটু একটু করে বাড়ছে। হাসপাতালের বেশিরভাগ সময়টা শুয়েই কাটাচ্ছেন তিনি। আর তিনি সারাক্ষণ টিভি দেখছেন।
ফেসবুকে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের নানাদিক সবার সামনে প্রকাশ করে দেওয়ার কারনে স্ত্রীকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন ভারতের পুণে শহরের বাসিন্দা এক যুবক ।
পুণে শহরের পুলিশ বলছে তারা একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে ওই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ বলছে ৩৪ বছরের রাকেশ গাঙগুর্দে ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী সোনালীকে হত্যা করে নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃতদেহের সাথে পাওয়া সুইসাইড নোটে রাকেশ লিখেছেন যে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের অতি ব্যক্তিগত তথ্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দিতেন তাঁর স্ত্রী। এ নিয়ে অনেকবার সতর্ক করলেও কথা শোনেন নি সোনালী, সে জন্যই এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল।
ভার্চুয়াল জগতে নিজের জীবনের সব তথ্যই প্রকাশ করে দেওয়া হচ্ছে, কেউ আর ব্যক্তিগত – অপ্রকাশিতব্য কিছু রাখছে না । মানুষ যাতে নিজেরাই চিন্তাভাবনা করে, সেন্সর করে পোস্ট বা কমেন্ট দেন – সে ব্যাপারে পুলিশ নিয়মিত প্রচারও চালাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও এমন ঘটনা হয়ে গেল।
মি. গাঙগুর্দে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার আগে সুইসাইড নোটে যা লিখে গেছেন, সেটাই স্ত্রীকে হত্যার মূল কারণ না কি এর পেছনে অন্য কিছু আছে, তা পুলিশ এখনও তদন্ত করে দেখছে। তবে পুলিশ এটা জানতে পেরেছে যে সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হত।
সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার একটা সীমা থাকা উচিত। আমাদের বন্ধু নির্বাচন থেকে শুরু করে ছবি পোস্ট করা – সব বিষয়েই সচেতন থাকা উচিত । কতটা আমি প্রকাশ করব, কোন ছবি কোন বন্ধুদের জন্য দেব, সেটা একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু ঠিক করে ফেলা যায়। আসলে নিজে একটু সচেতন থাকলেই যতটা পরিসরের মধ্যে আমি থাকতে চাই, তার মধ্যেই কিন্তু থাকা যায়। আমরা তো অনেক সময়ে হুজুগে অনেক কিছু করে ফেলি, খেয়াল রাখি না কী করছি। এ কথাগুলি বলেছেন একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী।
দাম্পত্য জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য বা যেখানেই যাচ্ছেন, যা করছেন, যা খাচ্ছেন – এ সব ফেসবুকে সবার সামনে প্রকাশ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এটাকে নার্সিসিজম বলা হয়। এটা এমন এক মানসিকতা, যেখানে নিজেকে জাহির করা, নিজের সব কিছু ভাল বলে মনে করা, আর সেগুলো সবাইকে দেখিয়ে বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করে মানুষ। সেই মানসিকতা থেকেই যেমন ঝুঁকি নিয়ে মানুষ সেলফি তুলে পোস্ট করে, তেমনই সব ব্যক্তিগত কথাও প্রকাশ করে দেয় ভার্চুয়াল বন্ধুদের কাছ থেকে লাইকের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা পাওয়ার আশায়। এ কথাগুলি বলেছেন একজন মনোবিজ্ঞানী।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত সত্যিকারের আত্মীয়-বন্ধুদের বদলে সামাজিক মাধ্যমের বন্ধুদের কাছ থেকে লাইকের ওপরে ভরসাতেই বেঁচে থাকার এই নতুন নেশার কবলে পড়ছেন বহু মানুষ। খবরঃবিবিসি
তেত্রিশ বছর বয়সের ৮ম শ্রেনী পাস সুজয় বিশ্বাস এখন কোটিপতি! কোন জাদুতে? যৌন ব্যবসার জন্য ভিন্ রাজ্যে নারী পাচার করে সুজয় নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা জমিয়েছে। তা জানতে পেরে রাজস্থানের জোধপুরের উদয় মন্দির থানার পুলিশ তাজ্জব বনে গিয়েছে । দিন কয়েক আগে সেখানকার একটি তালাবন্ধ ঘর থেকে এক বাংলাদেশি কিশোরী ও এক তরুণীকে উদ্ধারের পরে পুলিশ সুজয়ের নাম জানতে পারে এবং তাকে গ্রেফতার করে।
উদয় মন্দির থানার তদন্তকারী অফিসার মদন বেনিওয়ালের দাবি, সুজয়ের আগে জোধপুর থেকে তার বাংলাদেশি সঙ্গিনী নন্দিনী ওরফে রুবিনাকে ধরা হয়। এরা দু’জনেই আন্তর্জাতিক নারী ও শিশু পাচার চক্রে জড়িত বলে জানা যায়। জেরায় দু’জনেই অপরাধ স্বীকার করেছে।সুজয় জানিয়েছে শুধু মেয়ে পাচার করেই সে কোটিপতি হয়েছে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে গত ছ’মাসে।তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে সুজয়ের পরিবারের দাবি করছে।
সুজয়ের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রামে । ভারতের মূল জনপদ থেকে গ্রামটি বিচ্ছিন্ন। অনেকটা দ্বীপের মতো। তিন দিকে সঙ্কীর্ণ কপোতাক্ষ নদী, এক দিকে গদাধরপুর বাওড়। নদীর এ-পারে বাংলাদেশের চৌগাছা থানার শাহাজাদপুর গ্রাম। দু’দেশের মানুষ কথা বলেন নদীর দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে। কাঁটাতারের বেড়া নেই। তবে, গ্রামে ঢোকার মুখে বিএসএফ ক্যাম্প আছে। গ্রামে ৬৫টি পরিবারের বাস। গ্রামবাসীরা বেশির ভাগই ঠিকা শ্রমিক। যে দু’তিনটি একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে, তার একটি সুজয়দের। এটি কোটিপতির বাড়ি মনে হওয়া কঠিন।
বাগদা ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রামে সুজয়ের বাড়ি
তিন ভাইয়ের মধ্যে সুজয় ছোট। বড়দা বাস-চালক। গ্রামের বাইরে বয়রা বাজারে বিশ্বাস পরিবারের একটি প্রসাধনী সামগ্রীর ছোট দোকান রয়েছে। মেজদার সঙ্গে সেই দোকান চালাত সুজয়। বছর তিনেক আগে সে বিয়ে করে। দু’বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। এহেন ‘নিরীহ’ এক যুবক যে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রে জড়িত, তা কী ভাবে টের পেল পুলিশ?
উদয় মন্দির থানা সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে স্থানীয় এক জায়গা থেকে থানায় ফোন আসে। বলা হয়, একটি তালাবন্ধ ঘর থেকে মেয়েদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ১৪ বছরের এক কিশোরী ও ১৮ বছরের এক তরুণীকে উদ্ধারের পরে জানতে পারে তাঁরা বাংলাদেশি। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের চোরাপথে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে, ও পরে রাজস্থানে নিয়ে আসে নন্দিনী। ওই ঘর থেকে পুলিশ একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পায়। যার মালিক সুজয়।কয়েক মাস আগে তিন বছরের একটি মেয়েকে অপহরণের মামলার সূত্রে উদয় মন্দির থানার পুলিশ ‘নন্দিনী’ নামটা আগেই জানত। তখন তাকে ধরা যায়নি। এ বার অবশ্য নন্দিনী ধরা পড়েছে।সুজয়ের বাড়ির খোঁজ মিলেছে তাকে জেরা করেই ।
দিন কয়েক আগে বাগদায় এসে উদয় মন্দির থানার পুলিশ যখন সুজয়কে ধরে নিয়ে যায়, তখনও প্রতিবেশীরা অনেকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে সুজয় নারী-পাচারে অভিযুক্ত! সুজয়ের স্ত্রী এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।সূ্ত্রঃআনন্দ বাজার পত্রিকা
প্রথমবারের মত সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাসে এক নারী লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হবার জন্য আবেদন করেছেন। সম্প্রতি লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচারকে অনুমোদন দিয়ে উপসাগরীয় এই দেশটিতে একটি নতুন আইন করা হয়েছে। তার আইনজীবী জানিয়েছেন এ আইনের অধীনেই মহিলাটি আবেদন করেছেন।
আইনজীবী আলি আল-মানসুরি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মহিলাটি সব সময়ই অনুভব করতেন যে তিনি আসলে পুরুষ। এ ব্যাপারে গত চার বছর ধরে শারীরিক এবং মানসিক চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ওই মহিলার লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করার সুপারিশ করেছে একটি মেডিক্যাল কমিশন।
এ মাসেই আমিরাতে মেডিক্যাল লায়াবিলিটি ল নামে একটি আইন কার্যকর হয়েছে।এতে লিঙ্গ পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হয়েছে মেডিক্যাল বা চিকিৎসা সম্পর্কিত কারণে ।জানা গেছে আবুধাবির একটি আদালত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখে এ আবেদনটি বিবেচনার জন্য হাতে নেবে।
গ্রীষ্ণ হোক বা বর্ষা, একটা জিনিস কিন্তু পিছু ছাড়ে না। সর্দিকাশি। শীতকালে আবার তা একটু বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। কতবার আর অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন! বেশি খাওয়াও তো ভাল নয়। সর্দিকাশি সারান বরং ঘরোয়া উপায়ে।
❏ গোলমরিচ চা— চা করার সময় কয়েকটা গোলমরিচ ফেলে দিন। ভালো অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করবে। তাছাড়া গোল মরিচে জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। আর রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি।
❏ হলুদ আর আদা দেওয়া দুধ— দুধ ফোটানোর সময় সামান্য আদা আর আধ চামচ হলুদ দিন। খেতে খারাপ লাগলেও ফেলবেন না। উপকার পাবেন। গলা ব্যথা হলে গরম জলে হলুদ ফেলে গার্গলও করতে পারবেন। হলুদে কারকুমিন থাকে। এটি জীবাণু, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। গরম দুধ বুকের কফ পরিষ্কার করে।
❏ মধু, আদা, তুলসি— এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটে আদা বাটা আর ২টো তুলসি পাতা মিশিয়ে খান। শ্বাসকষ্ট থাকবে না।
❏ ইউক্যালিপ্টাস তেল— নাকে, কপালে ইউক্যালিপ্টাসের তেল লাগান। শ্বাসের কষ্ট কমবে। ফুটন্ত জলে কয়েক ফোটা ইউক্যালিপ্টাস তেল ফেলে ভেপর নিন।
❏ ব্যাসন— ব্যাসনের লাড্ডু বা অন্য কোনও খাবার খান। ব্যাসনে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন বি১। এই ভিটামিন খাবারকে দ্রুত শক্তিতে পরিণত করে।খবরঃআজকাল
বিয়ে জীবনের এক অতিগুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। স্বামী হোক বা স্ত্রী— বিয়ের পরে পাল্টে যায় রোজকার জীবনের অনেকটাই। কী করে মানিয়ে নেবেন এই বদলের সঙ্গে? কী করে আরও মজবুত করে তুলবেন একে অপরের সম্পর্ক? নববিবাহিতদের জন্য রইল কিছু টিপ্স।
❏ বিয়ে করলাম আর দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল এমনটা ভাববেন না। একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন। নিজেদের মধ্যে প্রেম করুন। একে অপরকে ভাল রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন আরও ভাল স্বামী বা স্ত্রী, আরও ভাল বন্ধু হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। ঠিক ভুল নয়, সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠা করুন সম্পর্ক। ভাল বক্তা হয়ে মনোযোগ আকর্ষণ নয়, শ্রোতা হয়ে উঠুন।
❏ নতুন বিয়ে উত্তেজনায় মুখে খই ফুটছে। তাতে পরষ্পরের মতপার্থক্য বেরিয়ে আসছে। আর প্রত্যেকে যুক্তি দিয়ে নিজের মত জাহির করছেন। না এমনটা করবেন না, তর্ক হয়ে যাচ্ছে বুঝলেই প্রসঙ্গ পালটান।
❏ কথায় কথায় হাসুন। জোর করে হাসুন। একজনের হাসি মুখ অপরজনকে সহজ হতে সাহায্য করে। সম্পর্ক গাঢ় হয়।
❏ কারও সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের তুলনা করবেন না। শুধু তাই নয়, কোনও কিছুর সঙ্গে নিজের প্রাপ্তির তুলনা টানবেন না।
❏ সব সময় অপরজনকে অগ্রাধিকার দিন। বিয়ের আগে হয়ত বই পড়ে বা অন্য কাজে অবসর সময় কাটত। বিয়ের পর সব ছেড়ে একে অপরের পিছনে সময় দিন। জেনে নিন অপরজনের আগ্রহের জায়গা।খবরঃআজকাল