নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে অপসারন

নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম হিরু (এমপি) এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ আব্দুল মতিন ভূইয়াকে অপসারন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্বব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে জিএম তালেব হোসেনকে। অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীকে।

বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরু পরপর তিন বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে যারা জীবন বাজি রেখে নরসিংদী সদর আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন তাদেরকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামীলীগে যারা হাইব্রিড তাদেরকে বেশী মূল্যায়নের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মূলধারার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের তিনি কোনঠাসা করে রেখেছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে ঠিক কি কারনে তাকে অপসারন করা হয়েছে কেন্দ্র থেকে তা জানানো হয়নি।

অপরদিকে অপসারিত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূইয়া নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি মূলধারার আওয়ামীলীগের নেতা হলেও ইদানিং স্থানীয় রাজনীতিতে নানা কারনে বিতর্কিত। তিনি প্রয়াত এমপি মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়ার ছোট ভাই ও একজন মুক্তিযোদ্ধা।

কারাফটকে শেষবারের মত মায়ের মুখ দেখলেন নরসিংদীর বহুল আলোচিত পাপিয়া

কাশিমপুর কারাগারের ফটকে পাপিয়া তার মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মত দেখলেন। সোমবার রাত ১০টায় পাপিয়ার বোন ও বোন জামাই লাশবাহী অ্যাম্বোলেন্সে করে কারাগার ফটকে লাশ নিয়ে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ পাপিয়াকে লাশ দেখান। এই সময় পাপিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কারাফটকে লাশ প্রায় ২০ মিনিটের মত ছিল।

পাপিয়ার বাড়ি নরসিংদী শহরে এবং তিনি নরসিংদী জেলা যুবমহিলালীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তার স্বামীর নাম সুমন চৌধুরী। অবৈধ অস্ত্র, মাদক, অবৈধ সম্পদ, যৌন ব্যবসাসহ বিভিন্ন মামলায় পাপিয়া দম্পতি এখন জেলে আছেন। এর মধ্য অবৈধ অস্ত্রের একটি মামলার রায় ১২ই অক্টোবর দেওয়ার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট স্যুট ভাড়া নিয়ে পাপিয়া দম্পতি দীর্ঘদিন যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।

লেবাননে বিস্ফোরনে হতাহতদের মধ্য ৭৮ জন বাংলাদেশী রয়েছে

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি কেমিকেল গোডাউনে বিস্ফোরনে হতাহতদের মধ্য ৭৮ জন বাংলাদেশী রয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ মিশন। এ পর্যন্ত এ বিস্ফোরনে ৩ জন বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে বাংলাদেশ মিশন। এদের মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১ জন, মাদারীপুরের ১ জন ও অন্য ১ জন অজ্ঞাত রয়েছেন। এরা সেখানে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও লেবাননে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত ২১ জন নৌবাহিনীর সদস্যও আহত হয়েছেন বলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্য ১ জন গুরুতর আহত রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে (ইউনিফিল) মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে লেবাননে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস ‘বিজয়’ তখন বৈরুত বন্দরেই নোঙর করা ছিল। বিস্ফোরণের ধাক্কায় জাহাজেরও ক্ষতি হয়েছে। লেবাননের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, আহত বাংলাদেশীদের মধ্য অধিকাংশই হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনো ১০/১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের কাছে একটি কেমিকেল গোডাউনে রাখা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরনে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২৮ জনে দাড়িয়েছে। গোডাউনটিতে প্রায় ৩ হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল। বিস্ফোরনে বেশ কয়েকটি ভবন উড়ে যায়, সাড়ি সাড়ি যানবাহন ধবংস হয়। একটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব এই বিস্ফোরনে নিহত হয়। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার উপযুক্ত বিচারের ঘোষনা দিয়েছেন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান ও ইসরাইল উদ্ধারকাজে সহযোগিতার ঘোষনা দিয়েছে। ফ্রান্সের একটি উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্য লেবাননের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মন্তব্য করেছেন।

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ওনকে নিয়ে নানা গুজব চলছে বিশ্বজুড়ে

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ওনকে নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বজুড়ে। তাকে সর্বশেষ ১১ই এপ্রিল একটি রাজনৈতিক মিটিয়ে দেখা গিয়েছিল। এর পর থেকে তার আর কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মাঝে একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও তাকে দেখা যায়নি। ১৫ই এপ্রিল কিমের পিতামহের জন্মদিন ছিল। এটি উত্তর কোরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসাবে গুরুত্বের সাথেই এতদিন পালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু এখানেও কিমকে দেখা যায় নি। ফলে তাকে নিয়ে গুজবের ডালাপালা বিস্তার লাভ করতে থাকে। অনেকে বলছেন, কিম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্য মৃত্যুবরন করেছেন। কিন্তু এর পক্ষে বিপক্ষে কোন সত্যতা খুজে পাওয়া যায়নি।

তীব্র ধূমপায়ী ৩৬ বছর বয়সী কিমের হার্টের সমস্যার কথাও শুনা যাচ্ছে। ধূমপানের কারনে নাকি তার হার্টের মারাত্নক ক্ষতি হয়েছে। সেই জন্য তিনি হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় শায়িত আছেন বলে তার খবর রাখেন সিউল ভিত্তিক এমন একটি সূত্র দাবি করছে। আবার উত্তর কোরিয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন হাওয়াইয়ের এক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর চেংওন হেরিসন কিম বলেন, কিমের স্বাস্থ্য সবসময়ই একটু নাজুক থাকায় তার অসুস্থ্যতা নিয়ে জল্পনা কল্পনা বেশী হচ্ছে। সম্ভবত কিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তাকে কোন মিটিয়ে দেখা যায়নি বলে তাকে নিয়ে নিউজ করেন এমন অনেকেই জানিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি নিয়ে গবেষনা করেন ও কলাম লিখেন এমন একজন পিটার ওয়ার্ড। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অসুস্থ্যতা হয়ত অতটা সিরিয়াস না। খুব বেশী সিরিয়াস হলে বিমান কিংবা সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট সেটেলাইটে দেখা যেত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি দেখা যাচ্ছে না। চায়না থেকে একদল চিকিৎসক উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছেন বলে রয়টার’স জানিয়েছে। যদি কিম জং ওন ইতিমধ্য মারা যেতেন তাহলে হয়ত রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করা হত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি হয়নি বলে কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে যে প্রপাকান্ডা ছড়িয়েছে তা অতটা সত্য নাও হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে কিম মারা গেলে উত্তর কোরিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরী হতে পারে বলে আল জাজিরার বিশ্লেষনে বলা হয়েছে। ৩২ বছর বয়সে কিম তার বাবার মৃত্যুর পর দেশটির প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হন।

নরসিংদীর রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

সোমবার রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে দরিদ্রদের মধ্য খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে ১০০ জন দরিদ্র জনগোষ্টীর মধ্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো জামিল খান ও রায়পুরা থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক খান মিঠু।

বিতরনকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্য রয়েছে প্রতি জনের জন্য ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলো ও ১ কেজি ডাল। উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশ লকডাউনে থাকায় খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবি জনগোষ্টী কর্মহীন হয়ে পরে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশেই বিনা মূল্যে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন শুরু হয়েছে এবং তা অব্যহত থাকবে।

ঢাকা-১০ ও গাইবান্ধা- ৩ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা জয়ী

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন পেয়েছেন ১৫৯৫৫ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শেখ রবিউল আলম পেয়েছেন ৮১৭ ভোট। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান পেয়েছেন ৯৭ ভোট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপির কাজী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম পেয়েছেন ৬৩ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের  নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী পেয়েছেন ১৫ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ১৮ ভোট। নির্বাচনে ৫.২৮% ভোট কাস্ট হয়।

অপরদিকে গাইবান্ধা ৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। স্মৃতি পেয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক পেয়েছেন ৪১ হাজার ৪০৮ ভোট। স্মৃতি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক। অপরদিকে ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল পাচটা পর্যন্ত ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাটের একটি আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়।

মক্ষীরানীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত আছে

র‍্যাবের সদস্যরা ৩ মাস লেগে থেকে তথ্য অনুসন্ধান করে সম্প্রতি শামীমা নুর পাপিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তার স্বামী সুমন চৌধুরী ও আরো দুই সহযোগীকে ভারতে গমনের প্রাক্কালে গ্রেপ্তার করে। পাপিয়া গ্রেপ্তারের পর থেকেই পাপিয়ার পাপের সম্রাজ্যের নানা অজানা তথ্য বের হয়ে আসে। নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসা করে পাপিয়া দম্পতি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে যায়। কিভাবে পাপিয়া এত অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে তা র‍্যাবের অনুসন্ধানে বেড়িয় এসেছে।

পাপিয়া দম্পতি অবৈধ পন্থায় এই অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। অসামাজিক ব্যবসা থেকেই পাপিয়ার আয়ের সিংহভাগ আসে। প্রথমদিকে পাপিয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মেয়েদের চাকুরীসহ নানা প্রলোবন দেখিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করত। তার এই অবৈধ ব্যবসাকে বাধাহীন করতে পাপিয়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। পরে তার এই অবৈধ ও অসামাজিক ব্যবসা আরো বিস্তার লাভ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সুপারিশে পাপিয়া হয়ে যায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা। নারী ও অর্থ ব্যবহার করে পাপিয়া এই পদ ভাগিয়ে নিয়েছে। পরে পাপিয়া আরো শক্তিধর হয়ে ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে দেহ ব্যবসার সম্প্রসারন করে। ইতিমধ্য পাপিয়া নানা কৌশলে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাকে অসামাজিক সার্ভিস প্রদান করে তাদের সাথে আরো সখ্যতা গরে তুলে। এক পর্যায়ে পাপিয়া এই সমস্ত নেতাদের তুষ্ট করে নানা কাজ ভাগিয়ে নিতে গুলশানের ৫ তারকা ওয়েস্টিন হোটেলের বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট স্যুট ভাড়া নিয়ে সেখানে রমরমা মদ ও দেহ ব্যবসা চালায়। আর এর আড়ালে পাপিয়া প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের অসামাজিক কাজে সহায়তা করে নানা তদবির বানিজ্য করে বিপুল অর্থের মালিক হয়। পাপিয়াদের সাথে পুলিশসহ সরকারী আমলাদেরও সখ্যতা আছে। যার ফলে পাপিয়ারা ধরা ছুয়ার বাইরে থেকে যায়।

নরসিংদীতে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরীর একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। এই বাহিনীর নাম কিউ সি। এই বাহিনীর মাধ্যমে পাপিয়া মুক্তিপন, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অবৈধ কাজ চালিয়ে আসছিল। নরসিংদীতে পাপিয়ার একটি টর্চার সেলও রয়েছে। এই সেলে বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ ধরে এনে নির্যাতন করে মুক্তিপন আদায় করা হত। পাপিয়ার জন্ম ১৯৯১ সালের ২৭শে অক্টোবর। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স ২৯ এর নীচে। পাপিয়ার পাপের কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সারাদেশে তুলপাড় শুরু হয়েছে।

এই রকম মক্ষীরানী পাপিয়ারা বড় বড় সকল রাজনৈতিক দলেই রয়েছে। অবৈধ ব্যবসাকে কন্টকমুক্ত করতে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সেজে দলের অফিসগুলিতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। সিনেমার নায়িকাদের মত সেজেগুজে তারা পার্টি অফিসে যায়। ক্ষমতাধর নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। নারী সরবরাহের মাধ্যমে নেতাদের তুষ্ট করে নানা তদবির শুরু করে। আস্তে আস্তে এই অসামাজিক কাজের পরিধি আরো বাড়াতে থাকে। এমনি করে পাপিয়ারা ক্ষমতাধর হয়ে উঠে।

ক্ষমতাসীন দলের পাপিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। পাপিয়াদের অনেকেই গাঁ ঢাকা দিয়ে আছে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য। পাপিয়াদের যারা নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে। পাপিয়াদের সহযোগিতা করে আসা রাঘব বোয়ালরা শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আশা করছে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এরা অতি ক্ষমতাধর হওয়ায় সাবধানে এগুচ্ছে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সব লীগের মধ্যে থাকা পাপিয়াদের বিরুদ্ধে একশন শুরু হয়ে গেছে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

পাপিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়ে গেছে। শনিবার দুপুরে র‍্যাব-১ এর সদস্যরা শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে সুমন মতি ও তাদের আরো দুই সহযোগীসহ হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাবার সময় আটক করে। র‍্যাপ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করে। পরে পাপিয়া দম্পতির ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান টাকা, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। র‍্যাব তাদের অধীনে থাকা ইন্দিরা রোডে বিলাসবহুল দুটি ফ্লাট, রাজধানীর এফডিসি গেটের পাশে যৌথ মালিকানায় গাড়ির সো রুম, নরসিংদীতে দুটি ফ্লাট, একটি গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টার ও বাসাইল এলাকায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্লটের সন্ধান পায়। বিলাসবহুল বেশ কয়েকটি গাড়িও রয়েছে পাপিয়া দম্পতির। অতি অল্প সময়ে তারা বিপুল জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছে। তাদের বৈধ আয়ের তেমন কোন ব্যবসা ছিল না।

র‍্যাব-১ জানিয়েছে পাপিয়া ও তার স্বামী নারী পাচার, অসামাজিক কার্যকলাপ, দেহ ব্যবসা, জাল মুদ্রা, চোরা চালান, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এ ছাড়াও তারা নিজস্ব বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপন আদায়ের সাথে জড়িত ছিল। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তারা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকাও নিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে র‍্যাব। নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা প্রলোবন দেখিয়ে যুবতিদের এনে রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে দেহ ব্যবসাও চালিয়ে আসছিল কুখ্যাত এই পাপিয়া ও তার স্বামী। গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট সারা বছরই পাপিয়ার নামে বরাদ্ধ থাকতো। এই স্যুটে পাপিয়া জোরপূর্বক মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালাতেন বলে তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। এই হোটেলে প্রতিদিন আড়াই লক্ষ টাকা করে বারের বিল পরিশোধ করতেন পাপিয়া। সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে তদবির বানিজ্যও চালিয়ে আসছিলেন পাপিয়া।

শামীমা নুর পাপিয়া নরসিংদী সরকারী কলেজে পড়াশুনা করেছেন বলে তার ফেসবুক পাতা থেকে জানা যায়। তার জন্ম ২৭ শে অক্টোবর ১৯৯১ সালে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকায়। সে হিসাবে তার বয়স মাত্র ২৯ বছর। তার অবৈধ আয়ের সিংহভাগ আসে দেহ ব্যবসা থেকে। অতি অল্প সময়ে পাপিয়া দম্পতির অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়। অল্প বয়স থেকে পাপিয়া বেসামালভাবে চলাফেরায় অব্যস্ত ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

এত অল্প বয়সে পাপিয়া কিভাবে যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলার সভাপতি হয়েছে তা নিয়ে নরসিংদীসহ সারাদেশে নানা গুঞ্জন চলমান আছে। মদ, অর্থ আর নারী দিয়েই পাপিয়া যুব মহিলা লীগের এই পদ লাভ করেছেন বলে আলোচনা হচ্ছে। কারা পাপিয়াকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে সহযোগিতা করেছে তা নিয়ে গোয়েন্দারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। যুব মহিলা লীগের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে পাপিয়া তার পাপের সম্রাজ্য আরো বড় করেছেন। এটি ক্ষমতাসীন দলের ভিতরে শুদ্ধি অভিযানের অংশ বলেই জানা গেছে। সকল লীগের ভিতরে থাকা পাপিয়াদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আওয়ামীলীগের ওপর মহল থেকে জানা গেছে। ইতিমধ্য আদালত পাপিয়া দম্পতির ৩ মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। শনিবার গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পরই যুব মহিলা লীগ থেকে পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে কি না তা জানাতে ‌নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

রবিবার দুপুরে হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে ইতিপূর্বে আপিল বিভাগের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিয়ে থাকলে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না, শুরু হয়ে থাকলে সর্বশেষ কী অবস্থা- তা আগামী বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের সন্ময়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

ফটোঃ সংগৃহীত

এর আগে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে ও জামিনের জন্য হাইকোর্টের উক্ত বেঞ্চে দুটি আবেদন করা হয়। আজ শুনানী শেষে বিচারকদ্বয় উপরোক্ত আদেশ দেন। আগামী বৃহস্পতিবার দুটি আবেদনের আদেশের দিন ধার্য করেছে উক্ত আদালত।

যে কারনে শুক্রবার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তার স্বজনরা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

দুই বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হল খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তার কারাগারে যাওয়ার পর থেকে অধ্যবদি বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় প্রধানের মুক্তি নিয়ে জোড়ালো কোন ভুমিকা দেখা যায়নি। দল ও পরিবার খালেদা জিয়া জেলে যাবার পর থেকেই বলে আসছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য। যদিও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সরকারী ডাক্তাররা বলে আসছেন খালেদা জিয়া ভালই আছেন। তিনি যতটুকু অসুস্থ্য তা অনেক আগে থেকেই বহন করে আসছেন এবং বাকিটা তার বার্ধক্যজনিত কারনে। বয়োবৃদ্ধ হলে মানুষের যে সমস্ত সমস্যা হয়ে থাকে বেগম জিয়ার মধ্যেও সে সমস্ত সমস্যা বিদ্যমান।

ফাইল ফটো

কিন্তু বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে জেলে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে খালেদা জিয়া দিন দিন আরোও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না করে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। এমন আরো অনেক অভিযোগ দলও পরিবারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। বিএনপি মনে করেছিল খালেদা জিয়া জেলে গেলে তার মুক্তির জন্য বিএনপি সারাদেশে তীব্র গন আন্দোলন শুরু করবে। আর সরকার আন্দোলনের চাপে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। কিন্তু বাস্তবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তেমন কোন কর্মসূচীই দিতে পারেনি বিএনপি। আর জনগন তাতে অংশ গ্রহন তো অনেক দুরের কথা। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।

সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যপার। আদালতের মাধ্যমেই বেগম জিয়ার সাজার রায় হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে বেগম জিয়ার সাজা হয়েছে। তাই খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে সাংবাদিকদের বলা হচ্ছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য। বিদেশে নিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার দরকার। কিন্তু কোন ভাবেই খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে পারছেন না তারা। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে যে কোনভাবেই মুক্ত করতে চাচ্ছেন। এমনকি তারা প্যারোলে হলেও খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করতে চাচ্ছেন। আর প্যারোল হল নিজ দোষ স্বীকার করে মুক্তি চাওয়া। সরকারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাইলে সরকার তা বিবেচনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তির ইংগিত পেয়েই অন্য কোন উপায় না থাকায় তারা প্যারোলে মুক্তির চেষ্টা করছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর এই ব্যপারে আগে খালেদা জিয়ার সায় না থাকলেও শুক্রবার স্বজনদের সাথে প্যারোলে মুক্তির ব্যপারে সম্মতি দিয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই স্বজনরা শুক্রবার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি। কারন ইতিপূর্বে যতবারই স্বজনরা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ততবারই তারা সাংবাদিকদের বলেছেন খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাননি এবং চাবেনও না।

বাগদাদের গ্রীনজোনে আমেরিকার দূতাবাস লক্ষ করে আবারো রকেট হামলা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আবারও রকেট হামলা হয়েছে। রোববার সকালে বাগদাদে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাসের কাছে রকেট এসে পড়ে। কে বা কারা এই রকেট হামলা চালিয়েছে তা স্বীকার করে কোন পক্ষ থেকে বক্তব্য আসেনি। তবে আমেরিকার সন্দেহ তারা ইরানের সমর্থন পুষ্ট হাসেদ আল সাবি গোষ্ঠী হতে পারে। এই হামলায় হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ছবিঃ সংগৃহীত

সংবাদমাধ্যমে সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে বাগদাদের গ্রিন জোনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এলাকাতেই এই হামলা হয়েছে। পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। গত অক্টোবর থেকে এটি ১৯তম হামলা। বাগদাদে ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে প্রায় ৫২০০ আমেরিকার সৈন্যও রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে এমনই এক হামলার জবাব দিয়েছিল আমেরিকা। ড্রোন হামলায় তখন নিহত হয়েছিল ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সুলেমানি। কাসেম সুলেমানির মৃত্যুর পর প্রতিশোধ হিসাবে ইরান ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এই হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল বলে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। তবে সেই সময় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়টি অস্বীকার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডুনাল্ড ট্রাম্প। পরে অবশ্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে বক্তব্য দেয় ট্রাম্প প্রসাশন।

সিটি ভোটে কম ভোট কাষ্ট হওয়ার আসল কারন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

রাজধানীর দুই সিটির ভোট অনুষ্টিত হয়ে গেল ১লা জানুয়ারী। এই ভোটে ঢাকা দক্ষিনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। অপরদিকে ঢাকা উত্তরে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিনে ভোট পড়েছে প্রায় ২৯% আর ঢাকা উত্তরে ভোট পড়েছে প্রায় ২৫%।

নির্বাচনে প্রদত্ত এই ভোট নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে এই কম ভোট কাস্টিংকে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ওপর অনাস্থা বলে মনে করছেন। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন। তবে অনেকে এই বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। আসলে সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন ভোট কম কাস্ট হবার পিছনে দায়ী নয়।

প্রকৃত অর্থে দুই সিটির নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৫% ওপরে। দুই সিটির মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ। প্রথম এনআইডি ভিত্তিক ভোটার লিস্ট তৈরী হয় ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই সময়ে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় সকলেই ঢাকার ভোটার হয়েছে। ওই সময়ে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ভোটার লিস্টে নাম উঠানো সকলের পক্ষ সম্ভব না হওয়ায় ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন জেলার অধিকাংশরা ঢাকার ভোটার হয়েছে। গত ১২ বছরে এই ভাসমান ভোটারদের অনেকে নিজ জেলায় ফিরে গিয়েছে কিংবা অন্যত্র সেটেল হয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ঢাকার মোট ভোটারের ২৫% হবে। আবার ঢাকায় ভোটার ছিল এদের অনেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ৫% হবে। আবার অনেকে ঢাকা ছেড়ে চাকরী কিংবা অন্য পেশার শুবাদে ঢাকা ছেড়ে দেশের অন্যত্র চলে গেছে। এদের সংখ্যাও প্রায় ৫% হবে। আবার দেখা যায় ভোটার হয়েছিল যাত্রা বাড়িতে। পরে বাসা বদল করে চলে গেছে মিরপুরে। কিংবা ভোটার লিস্ট যখন করা হয়েছিল তখন ধানমন্ডি্তে থাকার কারনে সেখানের ভোটার হয়েছিল। পরে বাসা বদল করে বাড্ডায় চলে গেছে। এই ভোটারগুলি মিরপুরে থেকে যাত্রাবাড়ি কিংবা বাড্ডা থেকে ধানমন্ডিতে এসে ভোট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব। কেননা নির্বাচনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এদের সংখ্যাও ১০% এর কম হবে না। এমনিভাবে হিসাব করলে দেখা যায় মাত্র ৬০% ভোটারের মধ্য থেকে ভোট প্রদান সম্ভব হয়েছে দুই সিটির ভোটে। সেই হিসাবে ভোটের হার একেবারে কম নয়। এটি প্রায় ৪৫% এর ওপরে।

খালেদার জন্ম বাংলাদেশে নই-হাসিনা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়ার জন্ম বাংলাদেশে হয় নাই। তার জন্ম হয়েছে ভারতের শিলিগুড়িতে। অপরদিকে বিএনপির প্রতিষ্টাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম বিহারে ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের জন্ম ভারতের কোচ বিহারে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার পিতা শেখ মজিবুর রহমান ও আমার জন্ম বাংলাদেশে। তাই আমি দেশকে ভালবাসি ও দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। অন্যরা যেহেতু বাংলাদেশে জন্ম নই তাই দেশের প্রতি তাদের তেমন দরদও নাই। ইটালিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কুর্মিটুলায় ঢাবির ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা চলছে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

গত রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় রাজধানীর কুর্মিটুলা বাসস্ট্যান্ডের নিকটে ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। এই সময় মেয়েটি ঢাবির বাসে করে উক্ত বাসস্ট্যান্ডে নামলে এক ব্যক্তি মেয়েটির মুখ চেপে ধরে টেনে পিছনে একটি ছোট ঝুপড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটিকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই অবস্থায়ও মেয়েটির ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালায় ধর্ষক। রাত দশটায় জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি একটি সিএনজিতে করে ঢাবি হলে ফিরে বান্ধবীদের ঘটনা খুলে বলে। তারা মাঝ রাতে মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। ডাক্তারী পরীক্ষায় মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে মেডিকেল থেকে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনার কথা ঢাবিতে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ঘটনার দিন রাত আড়াইটায় ছাত্রলীগ প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল বেড় করে। রাত সাড়ে তিনটায় কোঠা আন্দোলনকারীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ক্যাম্পাসে মিছিল করে। রাত ৪টায় এক ছাত্র রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসে। সোমবার সারাদিনই ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলি মিছিল মিটিং ও প্রতিবাদ চালিয়ে যায় নানাভাবে। বামদের নেতৃত্বে একদল ছাত্র শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করে। ফলে ব্যস্ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনগুলি কয়েক ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকে। এই অবরোধের ফলে সোমবার কমপক্ষে ৫০ লক্ষ মানুষ রাজধানীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

সোমবার শাহবাগে অসুস্থ্য ঢাকসু ভিপিও চলে আসে ও সেখানে বক্তব্য প্রদান করে। অর্থাৎ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব জাহিরের নিয়মিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। গতকাল ঢাবি ক্যাম্পাসে এমন অবস্থা ছিল যে, ‘ ইস্যু পাইছি তোরা কে কোথায় আছত তারাতারি চলে আয়। এইবার সরকার কিংবা ছাত্রলীগকে কাবু করা যাবে’। সারাদিনই এই ঘটনায় ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ কিংবা বিশেষ কোন বাহিনীর হাত আছে কিনা তা বের করার চেষ্টা করা হয়। সরকার বিরোধীরা এই ঘটনাকে রাজনীতি করনের চেষ্টা অব্যহত রাখে।

সরকার, প্রশাসন ও ঢাবির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ঘোষনা দেওয়া হয়। ভিসিসহ প্রশাসনের কর্তারা ইতিমধ্য হাসপাতালে যেয়ে মেয়েটিকে দেখে এসেছেন। তা সত্বেও ঢাবির বিভিন্ন সংগঠন মঙ্গলবারও বাদ-প্রতিবাদ অব্যহত রাখে। একদল আবার নতুন করে অনশনেও বসেছে আজ, আবার কেউবা আলপনা অংকন করছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে। সবই মনে হয় প্রচার পাওয়ার জন্য। আমরা দেশের মানুষ যদি এতো ভাল হতাম তাহলে দেশে এতো খুন, ধর্ষণ, ঘোষ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ কেন এবং কারা এসব করে? প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকার ইয়াবা কারা বিক্রি ও সেবন করে? অপরাধ কিংবা ধর্ষণ হয় না এমন কোন দেশ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া যাবে কি? এই সমস্ত ঘটনার বিচারের দাবি ও প্রত্যাশা করা উচিত। তবে রাজনীতির মোড়কে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা মোটেও কাম্য নয়। প্রতিদিনই সারাদেশে কম বেশী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেগুলি নিয়ে আন্দোলন করা হয় না কেন? শুধু বিশেষ স্থানের কেউ ভিকটিম হলেই আন্দোলন হয় কেন?

নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এইটা প্রমান করার জন্যই নির্বাচনে যাওয়া-ফখরুল

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এইটা প্রমান করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি’। মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আলোচনাকালে ফখরুল এই কথা বলেন। এর আগে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না। তার এই কথার জবাবে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তা হলে বিএনপি দুই সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে কেন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের অনেকগুলি তাৎপর্য আছে। তার কথায় মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভের চেয়ে হারাটাই পছন্দ করছে এই সময়ে। জিতে গেলে প্রমান হবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে নিয়ে বিএনপি গতানুগতিক যে বক্তব্য দিয়ে আসছে তা মিথ্যা প্রমান হবে। আর হারলে বলা যাবে ভোট চুরি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিএনপি প্রার্থীকে হারানো হয়েছে। কাজেই এই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যগ চাই।

আওয়ামীলীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও আওয়ামীলীগের পরে বিএনপিই বড় রাজনৈতিক দল। একাদশ নির্বাচনের মত যদি বিএনপি নির্বাচনের দিন প্রতিকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না দেয় ও নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না তা যদি আগেই বলে দেয় তা হলে বিএনপির ভোটারগন কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে ফাকা কেন্দ্রে জাল ভোট কিংবা সিল মারার সুযোগ পেয়ে যাবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। কাজেই মনে হচ্ছে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হবে না।

যে কারনে ঢাকসু ভিপি নুর বার বার আক্রান্ত হচ্ছেন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

দীর্ঘ দিন পর অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শুভনকে হারিয়ে ভিপি নির্বাচিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। এই নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক বাদে বাকি সব কটি পদে জয় লাভ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মনোনীত প্যানেল। নির্বাচনের পর সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদের নেতা নুর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন। কিন্তু পরে তিনি শপথ গ্রহন করে এখন ভিপির চেয়ারে বসেন। তবে ঢাবিতে ছাত্রলীগের বিপক্ষ শক্তি ছাত্রদল ও শিবিরের ভোটেই তিনি নির্বাচিত হন বলে অনেকে মনে করেন।

নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতাকে তিনি সন্ত্রাসী হিসাবে অভিযুক্ত করেন। শুধু তা ই নই গোটা ছাত্রলীগকেই তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে অভিযুক্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। সেখানে দেখা যায় সামান্য কথা কাটাকাটির ঘটনাকেও সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে প্রচার করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন তিনি ও তার অনুসারীরা। তিনি ও তার অনুসারীদের ভাবভঙ্গি এমন যেন এক মাত্র তারাই যোগ্য নেতা আর ছাত্রলীগের সব সন্ত্রাসী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকারের বিরুদ্ধে নিয়ে যেতে তার রয়েছে ব্যপক ভুমিকা। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও এখন অনেকেই মনে করেন।

দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার কারনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের প্রভাবও ছাত্ররাজনীতিতে বেশী। তাই সুবিদাবাদী ছাত্ররা নানা ধরনের সুবিদা পেতে ছাত্রলীগেই বেশী যোগ দেয়। কারন ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম করা যাবে। কেউ হলে সিট পাওয়ার জন্য, কেউ মাস্তানী করার জন্য আবার কেউবা চাঁদাবাজি করার জন্য ছাত্রলীগে যোগ দেয়। অর্থাৎ সব মোনাফিকরাই সরকারী দল কিংবা কিংবা তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলিতে যোগ দেয়।

ভিপি নুরুল হক নুরও ঢাবির এক হল শাখার ছাত্রলীগের সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তার আসল রূপ প্রকাশ পায়। অর্থাৎ তিনি সুবিদা নেওয়ার জন্যই ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। নুরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকবার ঢাবি ভিসিকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তখন এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে। আর এই সময় কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয় উভয় পক্ষের মধ্য। নুর, নুরের অনুসারী ও কিছু নাম সর্বস্ব ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের এই কাজকে সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী হামলা বলা হল। এইটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার বিরোধী কিছু মিডিয়া উঠে পড়ে লাগলো যেন ছাত্রলীগ বাদে বাকি সব সংগঠনের নেতারা ফিরিস্তা। এই মিডিয়াগুলির হলুদ সাংবাদিকতা এখনো অব্যহত আছে।

ভিপি নির্বাচিত হবার আগে পরে নুর ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বারংবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। এবং এখনো তা অব্যহত আছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ছাত্রদের সাথে ইতিমধ্য বেশ কয়েকবার নুরের হাতাহাতি হয়েছে। কয়েকদিন আগে টিএসসিতে নুরসহ নুরের অনুসারীরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বেশ কয়েকজনকে পিটিয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা কর্মীরা ঢাকসু ভবনে ঢুকে নুরসহ নুরের অনুসারীদের পিটিয়ে আহত করে। সম্ভাব্য আক্রমন প্রতিহত করতে নুরসহ তার অনুসারীরা ঢাকসু ভবনের সামনে বহিরাগত নিয়ে লাঠিসোটাসহ অপেক্ষা করছিল। পরে তারা পিছু হটে ঢাকসু ভবনে ঢুকে ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এই হামলায় আহত হয়ে নুরসহ ২০/২৫ জন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়। ইতিমধ্য সুস্থ্য হয়ে নুরসহ অধিকাংশ হাসপাতাল ছেড়েছেন।

নুর বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ও ঢাকসু জিএস গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। তিনি জিএস পদ থেকে গোলাম রব্বানীকে পদত্যগ করতেও বলে আসছেন। ভিপি নির্বাচিত হয়ে নুর ছাত্রদের কল্যান কাজে সময় ব্যয় না করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিব্রতকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তিনি নিজেই তাকে হামলার ক্ষেত্র তৈরী করে দেন। আর এ জন্য নুরের ওপর বার বার হামলা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দুটি পথ

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় ২২ মাস ধরে জেল খাটছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া জেলে যাবার পর বিএনপি তার মুক্তির জন্য সরকারের ওপর তেমন কোন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। এমনকি বড় ধরনের কোন সমাবেশ কিংবা মিছিল কিংবা চোখে পড়ার মত তেমন কোন কূটনৈতিক চাপও প্রয়োগ করতে পারেনি দলটি। তবে তারা শুধু বলে আসছে রাজনৈতিক মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সুনিদৃষ্ট দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘদিন আদালতে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সাজা সাবস্ত হয়েছে। এতে সরকারের কোন হাত নেই।

প্রথমদিকে মনে হয়েছিল খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হলে তাকে মুক্ত করার জন্য বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু বাস্তবে তা চোখে পড়েনি। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয়টি সামনে এনে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রচারনা চালায় বিএনপি। কিন্তু তাতেও সফল হয়নি তারা। পরে আইনগত বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসে খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ খুজতে থাকে দলটি। তারা খালেদা জিয়ার জামিন ও মুক্তির ব্যপারে একাধিক আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহন করে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধানবিচারপতির নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বেঞ্চেও খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যত হয়। এর ফলে খালেদা জিয়ার মুক্তি বা জামিনের সব পথ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

 

খালেদা জিয়ার বর্তমান বয়স প্রায় ৭৪। এই বয়সে এমনিতেই মানুষ নানা শারীরিক সমস্যায় থাকে। ১৯৯০ ও ২০০২ সালে দুইবার খালেদা জিয়ার হাটু প্রতিস্থাপন হয়েছে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে এরূপ প্রতিস্থাপন দীর্ঘদিন হওয়ায় এমনিতেই তাতে নানা সমস্যা থাকার কথা। এ ছাড়াও খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনীতেও সমস্যা রয়েছে। বাতের সমস্যায়ও দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তিনি। তিনি এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে উচ্চ শক্তি সম্পূর্ণ মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা করাচ্ছেন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। ইতিমধ্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য।

তবে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে আইনগতভাবে না দেখে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করায় জটিলতা আরো বেড়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে নিয়ে দলের ভিতরও রাজনীতি চলছে। খালেদা জিয়া জেলে থাকলে হাইকমান্ডের কারো কারো সুবিদা হয়। এই জন্য একটি পক্ষ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাচ্ছেন না বলেও অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। দলের ভিতরে এনিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব। সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির ব্যপারে। কিন্তু বিএনপি এটিতে সম্মত হচ্ছে না। বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তি পেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে পারবেন। কিন্তু রাজনৈতিক কারনে বিএনপি তাতে সায় দিচ্ছে না। তবে খালেদা জিয়া যে গুরুতর অসুস্থ্য তা ইতিমধ্য মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থ্যতার বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে চায় বিএনপি। এ থেকে জনগনের সহানুভুতি লাভের আশা করছে দলটি। কিন্তু বাস্তবে তাতে কোন ফায়দা হচ্ছে বলে মনে হয় না।

সব কিছু বিবেচনা করলে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দুটি পথই খোলা আছে- একটি প্যারোলে। আর অপরটি সরকারের পতন ঘটিয়ে। কিন্তু সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মত সামর্থ বিএনপির আছে বলে মনে হয় না। খালেদা জিয়ার জীবন থেকে রাজনীতি বড় নয়। এই বিষয়টি তারেক জিয়াকে বুঝতে হবে।  রাজনীতিতে শেষ বলতে কিছু নাই। কি হয় তা দেখতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।

 

খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানীকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার কি ঘটতে পারে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানী হবে বৃহস্পতিবার। খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হবে নাকি জামিন না মঞ্জুর করা হবে- এই নিয়ে অভিজ্ঞ মহলে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন। আর এই বিষয়টি নিয়ে সারাদেশেই চলছে আলোচনা। তবে সাধারন মানুষের মধ্য নামিন মঞ্জুর কিংবা না মঞ্জুর নিয়ে ভিন্নধর্মী আলোচনা চললেও বিষয়টি আইনগত হওয়ায় আইনীভাবেই এর নিস্পত্তি করবে আদালত।

হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করা হলে নভেম্বরে আপিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ জামিন আবেদন শুনানীকালে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়ে ৫ই ডিসেম্বর জামিন শুনানীর পরবর্তী দিন ধার্য করে। এদিন শুনানীর শুরুতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আদালতকে জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা হয়েছে এবং কিছু পরীক্ষা বাকি আছে। তাই বিএসএমএমইউ রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারে নাই। ফলশ্রুতিতে তিনি সময়ের আবেদন করেন। এই সময় খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা এর তীব্র বিরোধীতা করে ও হট্রগোল শুরু করে। এই পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ শুনানীর পরবর্তী তারিখ ১২ই ডিসেম্বর ঘোষনা করলে এজলাস কক্ষে তীব্র হট্রগোল শুরু হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শ্লোগান দিতে থাকে খালেদা জিয়ার জামিনের দাবিতে। এজলাস কক্ষের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে বাহির থেকে ভিতরে ও ভিতর থেকে বাহিরে কেউ আসা যাওয়া করতে পারছিলা না। এক পর্যায়ে হট্রগোল থামাতে ব্যর্থ হয়ে বিচারক গন এজলাস ত্যগ করেন। এভাবে প্রায় ঐদিন দুপুর পর্যন্ত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষ অবরুদ্ধ করে রাখে। এই সময় অন্যান্য মামলার শুনানীও বন্ধ থাকে।

খালেদা জিয়ার জামিনকে কেন্দ্র করে বিএনপি থেকে নানা ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন গৃহীত না হলে এক দফার আন্দোলনে যাবেন বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের হাইকমান্ডের অন্যান্য নেতারা বলে আসছেন। সরকারের পক্ষে থেকেও বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া না পাওয়া আদালতের ব্যপার। এই বিষয়টি রাজপথে নিয়ে এসে কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখলে রাজনৈতিকভাবে তা মোকাবেলা করা হবে। অথাৎ হার্ড লাইনে যাবার ইঙ্গিত প্রদান করছেন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা।

গত ফেব্রুয়ারী থেকে জেলে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তেমন কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। কার্যত বিএনপির রাজনৈতিক গন্ডি অনেক ছোট হয়ে গেছে। তাই আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া জামিন না পেলেও বিএনপি তেমন কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না। তবে শেষ বলতে কিছু নাই, তার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানী নিয়ে আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্রগোল

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানী নিয়ে ব্যপক হট্রগোল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের এজলাস কক্ষে হট্রগোল করলে বিচারকাজ বিঘ্নিত হয়। এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি মাহমুদ হোসেন বলেন, সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। এজলাসের ভিতরে হট্রগোল না থামলে প্রধান বিচারপতিসহ ৬ বিচারক এজলাস ত্যগ করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের ওপর মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানির শুরুতে প্রধান অ্যাটর্নি মাহবুবে আলম আদালতকে জানান, খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টের কয়েকটি এখনো বাকি আছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা চলমান আছে, তাই সময়ের আবেদন করেন। আদালত তখন আগামী ১২ই ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন। এই সময় আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে হৈচৈ শুরু করেন ও জামিন শুনানী আরো আগে নিয়ে আসতে চিৎকার করতে থাকেন। তারা এজলাস কক্ষের প্রধান দরজা বন্ধ করে ভিতর/বাহিরে আসা যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেন। এই সময় আদালত কক্ষে অচল অবস্থা সৃষ্টি হলে প্রধান বিচারপতিসহ ৬ বিচারক এজলাস ত্যগ করেন।

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানীকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, নিতাই রায় চৌধুরী ও আরো অনেকে। সরকারের পক্ষে ছিলেন, প্রধান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন।

বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন গ্রেপ্তার

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

হাইকোর্টের সামনে থেকে বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব ও ঢাকসুর সাবেক জিএস খাইরুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানী প্রত্যক্ষ করতে সকাল ১০টায় হাইকোর্টের সামনে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সম্ভবত তাকে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা থেকে একটি মিছিল পুলিশের বেরিকেড ভেঙ্গে হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে হাইকোর্ট ও তার সন্নিহীত রাস্তাগুলিতে আটকা পড়ে শত শত গাড়ী। যানবাহন ও জনসাধারনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ সেখানে অবস্থানকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে উভয় পক্ষে ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। এই সময় প্রজন্ম দলের নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে। পরে ১৫ থেকে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামী করে সাহবাগ থানায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গত মঙ্গলবার রাতে আমেরিকা যাবার প্রাককালে শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য এই মামলায় খোকনের নাম নাই। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এই মামলা্য় আসামী করা হয়েছে।

1 2 3 4 5 26