মিয়ানমারে ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক শাসক

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী এক নীরব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে সেদেশে বিক্ষোভ দানা বেধে উঠতে থাকে। এই বিক্ষোভ দমাতে সামরিক বাহিনী প্রথমে ফেইসবুক সেবা বন্ধ করে দেয় সেদেশে। বিক্ষোভ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় পরে ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার সেবাও বন্ধ রাখে সেনাবাহিনী। আজ আবার দেশটির ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচীকে আটক করে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছে সেনাবাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুচীকে ১৫ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আটক রাখার কথা জানিয়েছে দেশটির সেনা কর্মকর্তারা। সুচীর দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের অধিকাংশকেই ইতিমধ্য গ্রেপ্তার করেছে সামরিক সরকার। সেনাবাহিনীর এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারন করেছে বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘ সেনাবাহিনীর এই হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে।

১৯৬২ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে প্রায় ৫০ বছর যাবৎ মিয়ানমার শাসন করে আসছে। কয়েক বছর আগে মিয়ানমারে আংশিক গণতন্ত্র ফিরে আসেলেও তা পূর্ণতা লাভের আগেই সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে।

আরও এক মামলায় তারেক জিয়ার ২ বছরের সাজা

মানহানির এক মামলায় তারেক রহমানকে ২ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার নড়াইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-২ আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এ রায় ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে একই বছরের ২৪শে আগস্ট নড়াইলের হাকিম আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলাটি করেছিলেন কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার শাহাজাহান বিশ্বাস।

রায়ে তারেক রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রায়ে। ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করেন উক্ত আদালতের বিচারক। এই নিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪ টি মামলার রায়ে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের জেল, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় ৭ বছর জেল ও একুশে আগস্ট বোমা হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। উল্লেখ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা তারেক রহমান লন্ডনে পলাতক রয়েছেন।

সুচীকে আটক, মিয়ানমারে আবার সামরিক শাসন জারি

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সূচীসহ বেসামরিক নেতাদের আটক করে সেদেশে ১ বছরের জন্য জরুরী অবস্থা জারি করে সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে। সোমবার ভোরে সূচীসহ অধিকাংশ বেসামরিক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সুচীসহ গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত নভেম্বরে অনুষ্টিত নির্বাচনে সুচীর দল কারচুপি করেছে। সেই নির্বাচনে সূচীর দল একক সংখ্যা গরিষ্টতা পেয়েছিল।

সামরিক শাসন জারি করে দেশটির ক্ষমতা গ্রহন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়। সুচীকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেওয়া হয় বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়। গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অং সান সুচীর দলের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।

এদিকে সুচীকে গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব। মিয়ানমারে গনতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে তিনি সকল পক্ষকে আহবান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক শাসককে সতর্ক করে সুচীর মুক্তি দাবি করেছে।

দিল্লিতে অবস্থিত ইসরায়িলের দূতাবাসের অদুরে বোমা হামলা

শুক্রবার বিকালে এ পি জে আব্দুল কালাম রোডে অবস্থিত ইসরায়িলের দূতাবাসের অদুরে এই বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। যে স্থানে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখান থেকে ইসরায়িলের দূতাবাস ১৫০ মিটার দুরে অবস্থিত। এই বিস্ফোরনে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ার সূত্র থেকে জানা গেছে। বিস্ফোরনের পরপরই সেখানে দমকল বাহিনীর কর্মীরা উপস্থিত হয়। সেই সাথে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর করীরাও সেখানে এসেছেন।

ফুটপাতে একটি ফুলের টবে আগে থেকেই রাখা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেড জাতীয় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দুরে বিজয়চকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দিল্লির পুলিশ এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

মহামারীকালে পদত্যগ করলেন ইটালীর প্রধানমন্ত্রী

পদত্যগ করেছেন ইতালীর প্রধানমন্ত্রী গিওসেপ্পে কন্তে। মঙ্গলবার তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যগপত্র জমা দেন। গত সপ্তাহে তিনি আস্তাভোটে কোনক্রমে উতরে গেলেও সেদেশের সিনেটে সংখ্যাগরিষ্টতা হারিয়েছেন। করোনা মহামারীর কারনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শিল্পোন্নত এই দেশতিতে। ভেঙ্গে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি, বিপর্যস্ত সারাদেশ। করোনায় দেশটিতে এখনো প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছেন ৪০০ মানুষ। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৮৬ হাজারের ওপরে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লক্ষ পেড়িয়ে গেছে। মহামারী ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারার কারনেই তিনি পদত্যগ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

তার জোট থেকে সরে গেছেন ইতালীর আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দল। আর এ কারনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে সেদেশের প্রেসিডেন্ট আবারও তাকে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে পারে। এই অবস্থায় কন্তে হয়ত তার জোটের পরিধি বাড়িয়ে আরও শক্তিশালীভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসতে পারেন। এই অবস্থায় দেশটিতে পুনঃনির্বাচনও হতে পারে। তবে সব মিলেয়ে দেশটিতে তালমাতাল অবস্থা চলছে। ইতালীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশীও কাজ করছে। মহামারী ও অর্থনৈতিক মন্দার কারনে তারাও ভাল নেই।

বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষনা দিয়েছে ইউনেস্কো

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রবিবার তার কার্যালয়ে এ তথ্য জানান। জনাব মোমেন বলেন, ‘মুজিববর্ষে একটি সুখবর আছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।’

সারা বিশ্বে সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর কার্যনির্বাহী বোর্ড ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে। আর পুরস্কারটির নাম হবে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’। জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন ২১০তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং এটাই প্রথম জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ সংস্থা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল। এটি মুজিব বর্ষে ও বিজয়ের মাসে দেশের জন্য আরেকটি উপহার।

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী বোমা হামলায় নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার তেহরান প্রদেশের দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ শহরে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মোহসেন ফাখরিজাহের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এই সময় হামলাকারীদের সাথে মোহসেনের দেহরক্ষীদের গুলি বিনিময় হয়। হামলায় গুরুতর আহত মোহসেন ফাখরিজাদেহকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে আর বাঁচানো যায়নি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মোহসেন ফাখরিজাদেহকে ইরানী বোমার জনক বলে ধারনা করা হয়। এই হত্যার পিছনে ইসরায়িলের হাত রয়েছে বলে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য আসেনি। ইরান সম্প্রতি ইউরিনিয়াম সমৃদ্ধকরন আরও বৃদ্ধি করেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দাবি করে আসছে। আর এই সময়েই ইরানের শীর্ষ এই বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে।

নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে অপসারন

নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম হিরু (এমপি) এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ আব্দুল মতিন ভূইয়াকে অপসারন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্বব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে জিএম তালেব হোসেনকে। অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীকে।

বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরু পরপর তিন বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে যারা জীবন বাজি রেখে নরসিংদী সদর আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন তাদেরকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামীলীগে যারা হাইব্রিড তাদেরকে বেশী মূল্যায়নের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মূলধারার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের তিনি কোনঠাসা করে রেখেছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে ঠিক কি কারনে তাকে অপসারন করা হয়েছে কেন্দ্র থেকে তা জানানো হয়নি।

অপরদিকে অপসারিত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূইয়া নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি মূলধারার আওয়ামীলীগের নেতা হলেও ইদানিং স্থানীয় রাজনীতিতে নানা কারনে বিতর্কিত। তিনি প্রয়াত এমপি মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়ার ছোট ভাই ও একজন মুক্তিযোদ্ধা।

কারাফটকে শেষবারের মত মায়ের মুখ দেখলেন নরসিংদীর বহুল আলোচিত পাপিয়া

কাশিমপুর কারাগারের ফটকে পাপিয়া তার মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মত দেখলেন। সোমবার রাত ১০টায় পাপিয়ার বোন ও বোন জামাই লাশবাহী অ্যাম্বোলেন্সে করে কারাগার ফটকে লাশ নিয়ে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ পাপিয়াকে লাশ দেখান। এই সময় পাপিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কারাফটকে লাশ প্রায় ২০ মিনিটের মত ছিল।

পাপিয়ার বাড়ি নরসিংদী শহরে এবং তিনি নরসিংদী জেলা যুবমহিলালীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তার স্বামীর নাম সুমন চৌধুরী। অবৈধ অস্ত্র, মাদক, অবৈধ সম্পদ, যৌন ব্যবসাসহ বিভিন্ন মামলায় পাপিয়া দম্পতি এখন জেলে আছেন। এর মধ্য অবৈধ অস্ত্রের একটি মামলার রায় ১২ই অক্টোবর দেওয়ার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট স্যুট ভাড়া নিয়ে পাপিয়া দম্পতি দীর্ঘদিন যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।

লেবাননে বিস্ফোরনে হতাহতদের মধ্য ৭৮ জন বাংলাদেশী রয়েছে

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি কেমিকেল গোডাউনে বিস্ফোরনে হতাহতদের মধ্য ৭৮ জন বাংলাদেশী রয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ মিশন। এ পর্যন্ত এ বিস্ফোরনে ৩ জন বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে বাংলাদেশ মিশন। এদের মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১ জন, মাদারীপুরের ১ জন ও অন্য ১ জন অজ্ঞাত রয়েছেন। এরা সেখানে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও লেবাননে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত ২১ জন নৌবাহিনীর সদস্যও আহত হয়েছেন বলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্য ১ জন গুরুতর আহত রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে (ইউনিফিল) মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে লেবাননে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস ‘বিজয়’ তখন বৈরুত বন্দরেই নোঙর করা ছিল। বিস্ফোরণের ধাক্কায় জাহাজেরও ক্ষতি হয়েছে। লেবাননের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, আহত বাংলাদেশীদের মধ্য অধিকাংশই হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনো ১০/১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের কাছে একটি কেমিকেল গোডাউনে রাখা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরনে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২৮ জনে দাড়িয়েছে। গোডাউনটিতে প্রায় ৩ হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল। বিস্ফোরনে বেশ কয়েকটি ভবন উড়ে যায়, সাড়ি সাড়ি যানবাহন ধবংস হয়। একটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব এই বিস্ফোরনে নিহত হয়। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার উপযুক্ত বিচারের ঘোষনা দিয়েছেন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান ও ইসরাইল উদ্ধারকাজে সহযোগিতার ঘোষনা দিয়েছে। ফ্রান্সের একটি উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্য লেবাননের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মন্তব্য করেছেন।

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ওনকে নিয়ে নানা গুজব চলছে বিশ্বজুড়ে

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ওনকে নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বজুড়ে। তাকে সর্বশেষ ১১ই এপ্রিল একটি রাজনৈতিক মিটিয়ে দেখা গিয়েছিল। এর পর থেকে তার আর কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মাঝে একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও তাকে দেখা যায়নি। ১৫ই এপ্রিল কিমের পিতামহের জন্মদিন ছিল। এটি উত্তর কোরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসাবে গুরুত্বের সাথেই এতদিন পালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু এখানেও কিমকে দেখা যায় নি। ফলে তাকে নিয়ে গুজবের ডালাপালা বিস্তার লাভ করতে থাকে। অনেকে বলছেন, কিম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্য মৃত্যুবরন করেছেন। কিন্তু এর পক্ষে বিপক্ষে কোন সত্যতা খুজে পাওয়া যায়নি।

তীব্র ধূমপায়ী ৩৬ বছর বয়সী কিমের হার্টের সমস্যার কথাও শুনা যাচ্ছে। ধূমপানের কারনে নাকি তার হার্টের মারাত্নক ক্ষতি হয়েছে। সেই জন্য তিনি হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় শায়িত আছেন বলে তার খবর রাখেন সিউল ভিত্তিক এমন একটি সূত্র দাবি করছে। আবার উত্তর কোরিয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন হাওয়াইয়ের এক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর চেংওন হেরিসন কিম বলেন, কিমের স্বাস্থ্য সবসময়ই একটু নাজুক থাকায় তার অসুস্থ্যতা নিয়ে জল্পনা কল্পনা বেশী হচ্ছে। সম্ভবত কিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তাকে কোন মিটিয়ে দেখা যায়নি বলে তাকে নিয়ে নিউজ করেন এমন অনেকেই জানিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি নিয়ে গবেষনা করেন ও কলাম লিখেন এমন একজন পিটার ওয়ার্ড। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অসুস্থ্যতা হয়ত অতটা সিরিয়াস না। খুব বেশী সিরিয়াস হলে বিমান কিংবা সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট সেটেলাইটে দেখা যেত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি দেখা যাচ্ছে না। চায়না থেকে একদল চিকিৎসক উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছেন বলে রয়টার’স জানিয়েছে। যদি কিম জং ওন ইতিমধ্য মারা যেতেন তাহলে হয়ত রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করা হত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি হয়নি বলে কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে যে প্রপাকান্ডা ছড়িয়েছে তা অতটা সত্য নাও হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে কিম মারা গেলে উত্তর কোরিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরী হতে পারে বলে আল জাজিরার বিশ্লেষনে বলা হয়েছে। ৩২ বছর বয়সে কিম তার বাবার মৃত্যুর পর দেশটির প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হন।

নরসিংদীর রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

সোমবার রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে দরিদ্রদের মধ্য খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে ১০০ জন দরিদ্র জনগোষ্টীর মধ্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো জামিল খান ও রায়পুরা থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক খান মিঠু।

বিতরনকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্য রয়েছে প্রতি জনের জন্য ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলো ও ১ কেজি ডাল। উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশ লকডাউনে থাকায় খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবি জনগোষ্টী কর্মহীন হয়ে পরে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশেই বিনা মূল্যে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন শুরু হয়েছে এবং তা অব্যহত থাকবে।

ঢাকা-১০ ও গাইবান্ধা- ৩ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা জয়ী

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন পেয়েছেন ১৫৯৫৫ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শেখ রবিউল আলম পেয়েছেন ৮১৭ ভোট। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান পেয়েছেন ৯৭ ভোট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপির কাজী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম পেয়েছেন ৬৩ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের  নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী পেয়েছেন ১৫ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ১৮ ভোট। নির্বাচনে ৫.২৮% ভোট কাস্ট হয়।

অপরদিকে গাইবান্ধা ৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। স্মৃতি পেয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক পেয়েছেন ৪১ হাজার ৪০৮ ভোট। স্মৃতি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক। অপরদিকে ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল পাচটা পর্যন্ত ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাটের একটি আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়।

মক্ষীরানীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত আছে

র‍্যাবের সদস্যরা ৩ মাস লেগে থেকে তথ্য অনুসন্ধান করে সম্প্রতি শামীমা নুর পাপিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তার স্বামী সুমন চৌধুরী ও আরো দুই সহযোগীকে ভারতে গমনের প্রাক্কালে গ্রেপ্তার করে। পাপিয়া গ্রেপ্তারের পর থেকেই পাপিয়ার পাপের সম্রাজ্যের নানা অজানা তথ্য বের হয়ে আসে। নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসা করে পাপিয়া দম্পতি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে যায়। কিভাবে পাপিয়া এত অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে তা র‍্যাবের অনুসন্ধানে বেড়িয় এসেছে।

পাপিয়া দম্পতি অবৈধ পন্থায় এই অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। অসামাজিক ব্যবসা থেকেই পাপিয়ার আয়ের সিংহভাগ আসে। প্রথমদিকে পাপিয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মেয়েদের চাকুরীসহ নানা প্রলোবন দেখিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করত। তার এই অবৈধ ব্যবসাকে বাধাহীন করতে পাপিয়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। পরে তার এই অবৈধ ও অসামাজিক ব্যবসা আরো বিস্তার লাভ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সুপারিশে পাপিয়া হয়ে যায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা। নারী ও অর্থ ব্যবহার করে পাপিয়া এই পদ ভাগিয়ে নিয়েছে। পরে পাপিয়া আরো শক্তিধর হয়ে ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে দেহ ব্যবসার সম্প্রসারন করে। ইতিমধ্য পাপিয়া নানা কৌশলে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাকে অসামাজিক সার্ভিস প্রদান করে তাদের সাথে আরো সখ্যতা গরে তুলে। এক পর্যায়ে পাপিয়া এই সমস্ত নেতাদের তুষ্ট করে নানা কাজ ভাগিয়ে নিতে গুলশানের ৫ তারকা ওয়েস্টিন হোটেলের বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট স্যুট ভাড়া নিয়ে সেখানে রমরমা মদ ও দেহ ব্যবসা চালায়। আর এর আড়ালে পাপিয়া প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের অসামাজিক কাজে সহায়তা করে নানা তদবির বানিজ্য করে বিপুল অর্থের মালিক হয়। পাপিয়াদের সাথে পুলিশসহ সরকারী আমলাদেরও সখ্যতা আছে। যার ফলে পাপিয়ারা ধরা ছুয়ার বাইরে থেকে যায়।

নরসিংদীতে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরীর একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। এই বাহিনীর নাম কিউ সি। এই বাহিনীর মাধ্যমে পাপিয়া মুক্তিপন, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অবৈধ কাজ চালিয়ে আসছিল। নরসিংদীতে পাপিয়ার একটি টর্চার সেলও রয়েছে। এই সেলে বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ ধরে এনে নির্যাতন করে মুক্তিপন আদায় করা হত। পাপিয়ার জন্ম ১৯৯১ সালের ২৭শে অক্টোবর। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স ২৯ এর নীচে। পাপিয়ার পাপের কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সারাদেশে তুলপাড় শুরু হয়েছে।

এই রকম মক্ষীরানী পাপিয়ারা বড় বড় সকল রাজনৈতিক দলেই রয়েছে। অবৈধ ব্যবসাকে কন্টকমুক্ত করতে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সেজে দলের অফিসগুলিতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। সিনেমার নায়িকাদের মত সেজেগুজে তারা পার্টি অফিসে যায়। ক্ষমতাধর নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। নারী সরবরাহের মাধ্যমে নেতাদের তুষ্ট করে নানা তদবির শুরু করে। আস্তে আস্তে এই অসামাজিক কাজের পরিধি আরো বাড়াতে থাকে। এমনি করে পাপিয়ারা ক্ষমতাধর হয়ে উঠে।

ক্ষমতাসীন দলের পাপিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। পাপিয়াদের অনেকেই গাঁ ঢাকা দিয়ে আছে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য। পাপিয়াদের যারা নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে। পাপিয়াদের সহযোগিতা করে আসা রাঘব বোয়ালরা শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আশা করছে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এরা অতি ক্ষমতাধর হওয়ায় সাবধানে এগুচ্ছে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সব লীগের মধ্যে থাকা পাপিয়াদের বিরুদ্ধে একশন শুরু হয়ে গেছে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

পাপিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়ে গেছে। শনিবার দুপুরে র‍্যাব-১ এর সদস্যরা শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে সুমন মতি ও তাদের আরো দুই সহযোগীসহ হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাবার সময় আটক করে। র‍্যাপ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার করে। পরে পাপিয়া দম্পতির ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান টাকা, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। র‍্যাব তাদের অধীনে থাকা ইন্দিরা রোডে বিলাসবহুল দুটি ফ্লাট, রাজধানীর এফডিসি গেটের পাশে যৌথ মালিকানায় গাড়ির সো রুম, নরসিংদীতে দুটি ফ্লাট, একটি গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টার ও বাসাইল এলাকায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্লটের সন্ধান পায়। বিলাসবহুল বেশ কয়েকটি গাড়িও রয়েছে পাপিয়া দম্পতির। অতি অল্প সময়ে তারা বিপুল জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছে। তাদের বৈধ আয়ের তেমন কোন ব্যবসা ছিল না।

র‍্যাব-১ জানিয়েছে পাপিয়া ও তার স্বামী নারী পাচার, অসামাজিক কার্যকলাপ, দেহ ব্যবসা, জাল মুদ্রা, চোরা চালান, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এ ছাড়াও তারা নিজস্ব বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপন আদায়ের সাথে জড়িত ছিল। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তারা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকাও নিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে র‍্যাব। নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা প্রলোবন দেখিয়ে যুবতিদের এনে রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে দেহ ব্যবসাও চালিয়ে আসছিল কুখ্যাত এই পাপিয়া ও তার স্বামী। গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট সারা বছরই পাপিয়ার নামে বরাদ্ধ থাকতো। এই স্যুটে পাপিয়া জোরপূর্বক মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালাতেন বলে তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। এই হোটেলে প্রতিদিন আড়াই লক্ষ টাকা করে বারের বিল পরিশোধ করতেন পাপিয়া। সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে তদবির বানিজ্যও চালিয়ে আসছিলেন পাপিয়া।

শামীমা নুর পাপিয়া নরসিংদী সরকারী কলেজে পড়াশুনা করেছেন বলে তার ফেসবুক পাতা থেকে জানা যায়। তার জন্ম ২৭ শে অক্টোবর ১৯৯১ সালে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকায়। সে হিসাবে তার বয়স মাত্র ২৯ বছর। তার অবৈধ আয়ের সিংহভাগ আসে দেহ ব্যবসা থেকে। অতি অল্প সময়ে পাপিয়া দম্পতির অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়। অল্প বয়স থেকে পাপিয়া বেসামালভাবে চলাফেরায় অব্যস্ত ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

এত অল্প বয়সে পাপিয়া কিভাবে যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলার সভাপতি হয়েছে তা নিয়ে নরসিংদীসহ সারাদেশে নানা গুঞ্জন চলমান আছে। মদ, অর্থ আর নারী দিয়েই পাপিয়া যুব মহিলা লীগের এই পদ লাভ করেছেন বলে আলোচনা হচ্ছে। কারা পাপিয়াকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে সহযোগিতা করেছে তা নিয়ে গোয়েন্দারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। যুব মহিলা লীগের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে পাপিয়া তার পাপের সম্রাজ্য আরো বড় করেছেন। এটি ক্ষমতাসীন দলের ভিতরে শুদ্ধি অভিযানের অংশ বলেই জানা গেছে। সকল লীগের ভিতরে থাকা পাপিয়াদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আওয়ামীলীগের ওপর মহল থেকে জানা গেছে। ইতিমধ্য আদালত পাপিয়া দম্পতির ৩ মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। শনিবার গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পরই যুব মহিলা লীগ থেকে পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে কি না তা জানাতে ‌নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

রবিবার দুপুরে হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে ইতিপূর্বে আপিল বিভাগের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিয়ে থাকলে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না, শুরু হয়ে থাকলে সর্বশেষ কী অবস্থা- তা আগামী বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের সন্ময়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

ফটোঃ সংগৃহীত

এর আগে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে ও জামিনের জন্য হাইকোর্টের উক্ত বেঞ্চে দুটি আবেদন করা হয়। আজ শুনানী শেষে বিচারকদ্বয় উপরোক্ত আদেশ দেন। আগামী বৃহস্পতিবার দুটি আবেদনের আদেশের দিন ধার্য করেছে উক্ত আদালত।

যে কারনে শুক্রবার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তার স্বজনরা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

দুই বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হল খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তার কারাগারে যাওয়ার পর থেকে অধ্যবদি বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় প্রধানের মুক্তি নিয়ে জোড়ালো কোন ভুমিকা দেখা যায়নি। দল ও পরিবার খালেদা জিয়া জেলে যাবার পর থেকেই বলে আসছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য। যদিও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সরকারী ডাক্তাররা বলে আসছেন খালেদা জিয়া ভালই আছেন। তিনি যতটুকু অসুস্থ্য তা অনেক আগে থেকেই বহন করে আসছেন এবং বাকিটা তার বার্ধক্যজনিত কারনে। বয়োবৃদ্ধ হলে মানুষের যে সমস্ত সমস্যা হয়ে থাকে বেগম জিয়ার মধ্যেও সে সমস্ত সমস্যা বিদ্যমান।

ফাইল ফটো

কিন্তু বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে জেলে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে খালেদা জিয়া দিন দিন আরোও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না করে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। এমন আরো অনেক অভিযোগ দলও পরিবারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। বিএনপি মনে করেছিল খালেদা জিয়া জেলে গেলে তার মুক্তির জন্য বিএনপি সারাদেশে তীব্র গন আন্দোলন শুরু করবে। আর সরকার আন্দোলনের চাপে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। কিন্তু বাস্তবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তেমন কোন কর্মসূচীই দিতে পারেনি বিএনপি। আর জনগন তাতে অংশ গ্রহন তো অনেক দুরের কথা। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।

সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যপার। আদালতের মাধ্যমেই বেগম জিয়ার সাজার রায় হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে বেগম জিয়ার সাজা হয়েছে। তাই খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে সাংবাদিকদের বলা হচ্ছে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য। বিদেশে নিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার দরকার। কিন্তু কোন ভাবেই খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে পারছেন না তারা। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে যে কোনভাবেই মুক্ত করতে চাচ্ছেন। এমনকি তারা প্যারোলে হলেও খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করতে চাচ্ছেন। আর প্যারোল হল নিজ দোষ স্বীকার করে মুক্তি চাওয়া। সরকারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাইলে সরকার তা বিবেচনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তির ইংগিত পেয়েই অন্য কোন উপায় না থাকায় তারা প্যারোলে মুক্তির চেষ্টা করছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর এই ব্যপারে আগে খালেদা জিয়ার সায় না থাকলেও শুক্রবার স্বজনদের সাথে প্যারোলে মুক্তির ব্যপারে সম্মতি দিয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই স্বজনরা শুক্রবার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি। কারন ইতিপূর্বে যতবারই স্বজনরা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ততবারই তারা সাংবাদিকদের বলেছেন খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাননি এবং চাবেনও না।

বাগদাদের গ্রীনজোনে আমেরিকার দূতাবাস লক্ষ করে আবারো রকেট হামলা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আবারও রকেট হামলা হয়েছে। রোববার সকালে বাগদাদে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাসের কাছে রকেট এসে পড়ে। কে বা কারা এই রকেট হামলা চালিয়েছে তা স্বীকার করে কোন পক্ষ থেকে বক্তব্য আসেনি। তবে আমেরিকার সন্দেহ তারা ইরানের সমর্থন পুষ্ট হাসেদ আল সাবি গোষ্ঠী হতে পারে। এই হামলায় হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ছবিঃ সংগৃহীত

সংবাদমাধ্যমে সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে বাগদাদের গ্রিন জোনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এলাকাতেই এই হামলা হয়েছে। পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। গত অক্টোবর থেকে এটি ১৯তম হামলা। বাগদাদে ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে প্রায় ৫২০০ আমেরিকার সৈন্যও রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে এমনই এক হামলার জবাব দিয়েছিল আমেরিকা। ড্রোন হামলায় তখন নিহত হয়েছিল ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সুলেমানি। কাসেম সুলেমানির মৃত্যুর পর প্রতিশোধ হিসাবে ইরান ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এই হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল বলে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। তবে সেই সময় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়টি অস্বীকার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডুনাল্ড ট্রাম্প। পরে অবশ্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে বক্তব্য দেয় ট্রাম্প প্রসাশন।

সিটি ভোটে কম ভোট কাষ্ট হওয়ার আসল কারন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

রাজধানীর দুই সিটির ভোট অনুষ্টিত হয়ে গেল ১লা জানুয়ারী। এই ভোটে ঢাকা দক্ষিনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। অপরদিকে ঢাকা উত্তরে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিনে ভোট পড়েছে প্রায় ২৯% আর ঢাকা উত্তরে ভোট পড়েছে প্রায় ২৫%।

নির্বাচনে প্রদত্ত এই ভোট নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে এই কম ভোট কাস্টিংকে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ওপর অনাস্থা বলে মনে করছেন। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন। তবে অনেকে এই বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। আসলে সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন ভোট কম কাস্ট হবার পিছনে দায়ী নয়।

প্রকৃত অর্থে দুই সিটির নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৫% ওপরে। দুই সিটির মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ। প্রথম এনআইডি ভিত্তিক ভোটার লিস্ট তৈরী হয় ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই সময়ে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় সকলেই ঢাকার ভোটার হয়েছে। ওই সময়ে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ভোটার লিস্টে নাম উঠানো সকলের পক্ষ সম্ভব না হওয়ায় ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন জেলার অধিকাংশরা ঢাকার ভোটার হয়েছে। গত ১২ বছরে এই ভাসমান ভোটারদের অনেকে নিজ জেলায় ফিরে গিয়েছে কিংবা অন্যত্র সেটেল হয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ঢাকার মোট ভোটারের ২৫% হবে। আবার ঢাকায় ভোটার ছিল এদের অনেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ৫% হবে। আবার অনেকে ঢাকা ছেড়ে চাকরী কিংবা অন্য পেশার শুবাদে ঢাকা ছেড়ে দেশের অন্যত্র চলে গেছে। এদের সংখ্যাও প্রায় ৫% হবে। আবার দেখা যায় ভোটার হয়েছিল যাত্রা বাড়িতে। পরে বাসা বদল করে চলে গেছে মিরপুরে। কিংবা ভোটার লিস্ট যখন করা হয়েছিল তখন ধানমন্ডি্তে থাকার কারনে সেখানের ভোটার হয়েছিল। পরে বাসা বদল করে বাড্ডায় চলে গেছে। এই ভোটারগুলি মিরপুরে থেকে যাত্রাবাড়ি কিংবা বাড্ডা থেকে ধানমন্ডিতে এসে ভোট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব। কেননা নির্বাচনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এদের সংখ্যাও ১০% এর কম হবে না। এমনিভাবে হিসাব করলে দেখা যায় মাত্র ৬০% ভোটারের মধ্য থেকে ভোট প্রদান সম্ভব হয়েছে দুই সিটির ভোটে। সেই হিসাবে ভোটের হার একেবারে কম নয়। এটি প্রায় ৪৫% এর ওপরে।

খালেদার জন্ম বাংলাদেশে নই-হাসিনা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়ার জন্ম বাংলাদেশে হয় নাই। তার জন্ম হয়েছে ভারতের শিলিগুড়িতে। অপরদিকে বিএনপির প্রতিষ্টাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম বিহারে ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের জন্ম ভারতের কোচ বিহারে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার পিতা শেখ মজিবুর রহমান ও আমার জন্ম বাংলাদেশে। তাই আমি দেশকে ভালবাসি ও দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। অন্যরা যেহেতু বাংলাদেশে জন্ম নই তাই দেশের প্রতি তাদের তেমন দরদও নাই। ইটালিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

1 2 3 4 5 27