মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে তথাকথিত এক গনকবর আবিস্কার করার দাবী করছে। তারা বলছে এই গনকবরটিতে ২৭টি লাশ রয়েছে। মিয়ানমার সেনাদের ভাষায় এরা সবাই হিন্দু, রোহিঙ্গা মুসলিমরা এদেরকে হত্যা করে গনকবর দিয়েছে। তবে এলাকাটিতে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় খবরটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে মিয়ানমারে যে গনহত্যা চালানো হয়েছে তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই মিয়ানমার সেনাবাহিনী এই নাটক সাজিয়েছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ বলছে, রাখাইনে জাতিগত নিধন চলছে। মিয়ানমার বাহিনী ও বুদ্ধ সন্ত্রাসীদের হত্যা, ধর্ষন ও নির্যাতনে প্রান বাঁচাতে ২৫শে আগষ্টের পর থেকে এ পর্যন্ত চার লক্ষ ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী একটি সমাবেশ হয়েছে। এই সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আর বেশী দিন থাকতে পারছেন না।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উ. কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রি ইয়ং হো ভাষণে বলেন, ‘মি. শয়তান প্রেসিডেন্ট’ কিম জং উনকে ‘আত্মঘাতী মিশনে থাকা রকেটম্যান’ বলার পরে মার্কিন ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অনিবার্য হয়ে গেছে। এর জবাবে ট্রাম্প টুইটারে এক পোষ্টে বলেন, এই মাত্র শুনলাম উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ভাষণে ছোট রকেট মানবের এর কথার প্রতিধ্বনি। তারা আর বেশি দিন টিকতে পারবে না। উল্লেখ্য উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসূচী নিয়ে ট্রাম্প – কিম বিতর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন কি তারা একে অপরকে পাগল বলেও সম্ভোধন করছেন। এই বাকযুদ্ধ দুইদেশের মধ্য যুদ্ধের পরিবেশ তৈরী করছে।
সম্প্রতি ইরান একটি মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যার পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার। এটি সরাসরি ইসরাইলে আঘাত হানতে পারবে বলে ইসরাইলের মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। তিনি তার টুইটে এ তথ্য তুলে ধরেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে খোররমশাহ। ইরানের টিভিতে এর উৎক্ষেপণের দৃশ্য দেখানো হয়। তবে পরীক্ষাটি ঠিক কবে বা কখন চালানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
এই তথ্য টুইট করার আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণেও ট্রাম্প ইরানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন ইরান উত্তর কোরিয়াকে সহযোগিতা করছে। আর এর মধ্য দিয়ে ইরানও জানিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার মত ইরানও কোন চাপের কাছে মাথা নত করবে না। ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করার জন্য ইরানকে কারো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নাই। এই ক্ষেপনাস্ত্রটি এমন যে এর মাথায় একাধিক বোমা বসান সম্ভব।
অগাস্টের শেষ সপ্তাহের শুরুতে রাখাইনে কে বা কারা ৭ জন বুদ্ধ ভিক্ষুকে জবাই করে হত্যা করে। তার কয়েকদিন বাদে রাখাইনে অনেকগুলো পুলিশ চেক পোষ্টে এক যুগে হামলা করে ১ জন সেনা ও ৮ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হামলাকারীও নিহত হয়। তারপরই মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বুদ্ধ সন্ত্রাসীরা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলা চালিয়ে শতশত রোহিঙ্গাকে হত্যা করে। তারা রোহিঙ্গা নারীদেরকে ধর্ষন করে অত্যান্ত পৈচাশিকভাবে হত্যা করে। রোহিঙ্গা অধ্যুর্ষিত গ্রামগুলিকে জালিয়ে দেয়। নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে। তারপর থেকে প্রান ভয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। এ সংখ্যা জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী চার লক্ষের ওপরে।
এখন প্রশ্ন হল এ হামলার পিছনে কারন কি? পত্র-পত্রিকা, টিভি ও অন্যান্য মিডিয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা কিংবা দেশ এ হামলার পিছনে নানা কারন তুলে ধরেন। ওইসব বক্তব্য বিশ্লেষন করে নিন্ম লিখিত কারনগুলো পাওয়া যায়। …………………
১. মায়ানমার সরকার ও বুদ্ধ সন্ত্রাসীরা রাখাইনে বুদ্ধ-মুসলিম সহবস্থান কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলনা। মায়ানমার সরকার যুগযুগ ধরে রোহিঙ্গাদের সব রকমের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। ফলে মায়ানমার সরকার ও বুদ্ধ সন্ত্রাসীরা নিজেরাই পুলিশ চৌকিতে হামলা করে রোহিঙ্গা বিতারনের একটি ক্ষেত্র তৈরী করে। আর এই ঘটনাকে অজুহাত হিসাবে দাড় করিয়ে মায়ানমার সরকার সেনাবাহিনীকে দিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালিয়ে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে এক নারকিয় অবস্থা তৈরী করে। সেনা সদস্য ও বুদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় টিকতে না পেরে প্রান বাঁচাতে দলেদলে রোহিঙ্গা জীবনের ঝুকি নিয়ে সীমান্ত পাড় হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
২. সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ানমার সফরের সিডিউল ছিল আগে থেকেই। আর পাকিস্তান চাচ্ছিলনা মোদী মিয়ানমার সফর করুক। তাই মোদীর সফর বানচাল করার জন্য পাকিস্তান তাদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে মিয়ানমারের পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়ে সহিংস অবস্থা তৈরী করে। পাকিস্তান নেতৃত্ব মনে করে ছিল রাখাইনে সহিংস অবস্থা থাকলে নরেন্দ্র মোদী মায়ানমার সফরে যাবেন না। তবে নরেন্দ্র মোদী যথা সময়ে মিয়ানমার সফর করেছেন।
৩. বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অনেকদিন যাবৎ লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে কোন অবস্থাতে আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরী করতে পারছিলেন না। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরী করার জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে রাখাইনে পুলিশ চেকপোষ্টে হামলা চালায়। কারন বিএনপি ভেবেছিল মায়ানমার পুলিশের ওপর হামলা করে তাদের হতাহত করলে মায়ানমার সেনাবাহিনী ও বুদ্ধ সন্ত্রাসীরা ক্রুদ্ধ হয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলা চালাবে। এই হামলার মুখে প্রান বাঁচাতে রোহিঙ্গা মুসলমানরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসবে। বিএনপি নেতৃত্ব মনে করেছিল আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব হয়ত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিবে না। আর এটাকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী গোষ্টীগুলিকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। কিন্ত সরকার মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়। শেখ হাসিনার এ সিদ্ধান্ত দেশ বিদেশে প্রশংশিত হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেই বিভিন্ন দেশে যেতে হবে। সরকারকে দ্রুততার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও চীন মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে বলে বারবার বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে ভারত ও চীন যেতে হবে । তাদেরকে বোঝাতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যা এ অঞ্চলে কি ভয়াবহ পরিনীতি আনতে পারে। কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি আজ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সস্টিটিশনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলছিলেন। সংগঠনের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলাদল।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমন্ধে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর মত আর নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্বাচন কমিশনকেও নিরপেক্ষ হতে হবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার সেখানে ব্যপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে সেখানে সরকারী বাহিনীর সাথে রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৮৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী ও দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি।
প্রায় এক হাজারের মত বিদ্রুহী সদস্য এ হামলায় অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এর নেতা আতা উল্ল্যা। তারা ত্রিশটি পুলিশ চেক পোষ্ট ও একটি সেনা ঘাটিতে একযুগে হামলা চালিয়ে ১০ জন পুলিশ সদস্য ও একজন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে্ন বলে জানিয়েছেন। প্রায় দেড়শ রোহিঙ্গা বিদ্রুহী একটি সেনা ক্যাম্পে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিদ্রুহীরা জানিয়েছেন এ হামলা তারা অব্যহত রাখবেন। মিয়ানমারের সরকারী সুত্র থেকে জানানো হয়েছে সরকারী বাহিনীর পাল্টা হামলায় ৭৭ জন বিদ্রুহী নিহত হয়েছে।
এদিকে এ হামলার পর রাখাইন রাজ্য থেকে শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নাফ নদী পাড়ি দিয়ে টেকনাফে আসার জন্য জড়ো হয়েছে। ইতিমধ্য ১৪৬ রোহিঙ্গা টেকনাফে ঢোকার চেষ্টাকালে বিজিবি তাদের ফেরত পাঠিয়েছে। তারা ছোট ছোট নৌকা দিয়ে টেকনাফে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশীরা জানাচ্ছেন তারা রাখাইন রাজ্য ব্যপক গুলি বর্ষনের আওয়াজ শুনেছেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল বাতিল নিয়ে সারাদেশে সকল স্তরের মানুষের মাঝে চলছে চুলছেরা বিশ্লেষন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ সম্প্রতি এটি বাতিল করে। আর এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলছে তর্ক-বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের রায় হওয়ায় এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করাতে সীমাবদ্ধতা আছে।
বিএনপি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে স্বাগত জনিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। তারা বলছেন এই রায়ের ফলে আইনের শাসন প্রতিষ্টিত হয়েছে। অপরদিকে আওয়ামীলীগ বলছে, প্রধান বিচারপতির হাত এত লম্বা নয় যে, তা সংসদ পর্যন্ত পৌছাবে। তারা এ রায়ে অসন্তুষ্ট। এই ষোড়শ সংশোধনী কি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল? এখন প্রশ্ন হল প্রজাতন্ত্রে সুপ্রিম কোর্ট কি সবার উপরে? সংসদ কি তাহলে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আছে? যদি তা না হয় তাহলে সংসদ কর্তৃক পাস হওয়া আইন সুপ্রিমকোর্ট কিভাবে বাতিল করলো? তাহলে কি সংসদ সার্বভৌম নয়? সুপ্রিমকোর্ট বা সংসদ কে কার কাছে দায়বদ্ধ?
অপরদিকে বিচারপতি খাইরুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংশোধনী বাতিল করেছিলেন। কারন হিসাবে তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বিদায় এটি বাতিল করা হয়েছে। আর এটি ছিল একটি স্বল্প মেয়াদী ব্যবস্থা। আর পাশাপাশি সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সংখ্যা গরিষ্টতার মাধ্যমে এটি সংসদে বাতিল হয়। এটি বাতিল হলে পরে বিএনপি তখন নানা ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিল আদালত এবং সংসদের বিরুদ্ধে এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছে। তাহলেতো এসবও আদালত অবমাননার সামিল। তাহলে কি বিএনপির যারা আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকেও আদালত অবমাননার জন্য গ্রেপতার করে শাস্তি দিতে হবে?
কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল কেন সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করলো না? কেন আওয়ামীলীগ ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্টতা দিয়ে এটি বাতিল করতে হল? সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্টতা দিয়ে তৈরী করা একটি আইন। এটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক না হওয়া সত্ত্বেও কেন সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করলো? সুপ্রিমকোর্ট কি তাহলে সংসদকে তুচ্ছ জ্ঞান করছে? তাহলে কি সুপ্রিমকোর্ট প্রমান করতে চাচ্ছে রাষ্ট্রে তারাই স্রেষ্ট? প্রধান বিচারপতির অবস্থান কি তাহলে প্রধানমন্ত্রীরও ওপরে? এখানেও কি তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে?
উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে মূত্র পরীক্ষা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায়। আজকাল অনেক নেতারাই ড্রাগ আসক্ত হওয়ায় মাদকাশক্তমুক্ত নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে আসতে ইচ্ছুক জানিয়ে দরখাস্ত করেছিলেন যেসব ছাত্র নেতৃবৃন্দ, তাদের মধ্য থেকে আটজনের মূত্র পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে। আর শুক্রবার ঢাকার একটি ক্লিনিকে এ পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা মূত্র পরীক্ষা করতে দিয়েছেন। সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন আগামী দিনে যারা ছাত্রদলকে নেতৃত্ব দিবে তারা যেন মাদকাশক্ত মুক্ত হয়। সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির একজন সদস্যের পরামর্শে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক হারুনার রশীদ খান মুন্নু আজ ভোরে মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহে ……)। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্য জনিত নানারোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে মানিকগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিএনপির সর্বশেষ কমিটিতে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। মুন্নুর কন্যা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আফরোজা খান রিতা লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে আসার পর দাফনের সময় ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন।
হারুনার রশীদ খান মুন্নু একজন রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি একসঙ্গে মানিকগঞ্জ-২ আসন ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জয়লাভ করেন।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামে তার শৈশব-কৈশর কাটে। ১৯৫২ সালে ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য শাখায় প্রথম বিভাগ পেয়ে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকার জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন ও সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাস করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় চার সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ এ সংক্রান্ত এক আবেদন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। ফলে বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা ওই চারজন সাক্ষীকে জেরা করতে পারবেন। আজ এই আদেশটি প্রদান করেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গত ২১ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার সাক্ষীকে নতুন করে জেরার অনুমতি চেয়ে রিভিশন মামলা দায়ের করেন।
আফগানিস্তানের তালেবানকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে রাশিয়া-এ অভিযো করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তালেবানরাও তা স্বীকার করে নিয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্য রয়েছে, ‘স্নাইপার’ এবং ভারী মেশিনগানের মতো মারাত্মক অস্ত্র। এর আগে আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র একসাথে অভিযোগ করেছিল রাশিয়া তালেবানদের অস্ত্র ও অর্থ দিচ্ছে বলে। আর এখন তালেবানরা তা স্বীকার করে নেওয়ায় এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিককালে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায় তালেবানদের হাতে রাশিয়ান অস্ত্র রয়েছে।
দু’টি ভিডিওর একটিতে দেখা যায় জঙ্গিরা বলছে, আমরা অন্য একটি জঙ্গি দলকে হারিয়ে এই অস্ত্র লুঠ করেছি। অন্য ভিডিওতে জঙ্গিদের বক্তব্য হল, আমরা এইসব অস্ত্র তাজাকিস্তানের সীমান্ত থেকে বিনামূল্যে পেয়েছি। এগুলো রুশরা দিয়েছে। তবে রাশিয়া বলছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র টিকতে না পেরে এসব বলছে।
বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে করা মওদুদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন নতুন আদালতে এই মামলা চলতে আর কোন বাধা নাই।
আজ এই আদেশ প্রদান করেন, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। মওদুদ আহমেদ নিজেই তার পক্ষে শুনানী করেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানী করেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতেও বলে দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় জ্ঞাত আয় বর্হিভূতভাবে ৭৩৮৪৮২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪৪০৩৭৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি করে।
মুসলিম ও ইহুদী উভয় ধর্মের মানুষের জন্য প্রবিত্র জেরুজালেম আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবারে জেরুজালেমে হামলায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হওয়ার জেরে গত কাল শুক্রবার জেরুজালেমের মসজিতে আল আকসায় প্রবেশে মুসলিমদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপের কারনে আবারও সংঘর্ষ বাধে।
যে সমস্ত ফিলিস্তিনি পুরুষের বয়স পঞ্চাশের কম তাদেরকে মসজিতে আল আকসায় প্রবেশে বাধা দেয় ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তবে ফিলিস্তিনী নারীদের প্রবেশে কোন বাধা ছিল না। প্রতিবাদে ফিলিস্তিনী মুসলমানরা ডিল-পাটকেল ছুড়লে ইসরাইলী সৈন্যরা কাদানে গ্যাস ছুড়ে তার জবাব দেয়। গতকালের সংঘর্ষে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয় ইসরায়িলী পুলিশের গুলিতে। আজ এক ফিলিস্তিনি রামাল্লায় ইসরায়িলী বসতিতে ঢোকে ৩ জন বেসামরিক ইসরায়িলীকে ছুড়িকাঘাতে হত্যা করে। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
ভারতের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হলেন দলিত নেতা রাম নাথ কোভিন্দ। তিনি ১৯৪৫ সালের পহেলা অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি ছোট্ট গ্রাম দেহাতে জন্ম গ্রহন করেন। আইন নিয়ে কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএভি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। তার বাবা পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
দিল্লি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে কোবিন্দ প্রথম তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ১৬ বছর একজন দক্ষ আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন। কোবিন্দের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৯১ সাল থেকে। তিনি বিজেপি দলিত মোর্চার সভাপতি ছিলেন বহু বছর। এরপর তিনি যোগ দেন আরএসএসে। ১৯৯৪ সালে কোবিন্দ রাজ্যসভার সাংসদ হন। ১২ বছর তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদে ছিলেন। ২০১৫ সালের ৮ অগাস্ট বিহারের রাজ্যপাল হিসাবে কাজ শুরু করেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্সের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভারতের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
মাত্র দু’মাস আগেই তাঁকে শিমলার সামার হলিডে রিসর্টে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই সময় রামনাথ কোবিন্দ বিহারের রাজ্যপাল ছিলেন। পরিবারকে নিয়ে গিয়েছিলেন শিমলাতে রাষ্ট্রপতি এলে যেখানে থাকেন সেই রিসর্ট দেখানোর জন্য। কিন্তু বিশেষ নিরাপত্তার কারণে তাঁকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। কোবিন্দ কোনও বিতর্কে না গিয়ে পরিবারকে নিয়ে ফিরে আসেন। আর আজ সেই রাজনাথ কোবিন্দই সসম্মানে প্রবেশ করবেন রাইসিনা হিলে্র সেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে। এটা সত্যিই মিরাকেল।
মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের কথা বলছি। নাগরিক ঐক্যের মান্না ভাই-যেখানে ওনার ভুমিকা ছিল ওনার মত সুশিল লোকদের ফুসলিয়ে অথবা পাম্প দিয়ে নামী-দামী বুদ্ধিজীবি বানিয়ে ওনার খায়েশ পুরন করা। এই ভাইয়ের ভাবখানা এমন যে তার থেকে বড় রাজনীতিক, মহাজ্ঞানী, মহাপন্ডিত, সব জান্তা এদেশে আর কেউ নেই। উনিই ওয়ানলী ওয়ান পিছ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে রাজনীতি গরম করে আওয়ামীলীগকে বেকায়দায় ফেলে ওনার মনোভাসনা পূর্ন করার যে কামনা ছিল সে কারনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেল খেটে কয়েক মাস পূর্বে মুক্তি পেয়েছেন।
ইদানিং মহাপন্ডিত এই ভাই আমার নতুন পথের সন্ধানে আছেন। তবে চোরা পথের সন্ধানে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওনারই পরিচালনায় আবার নতুন একটি নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছিল আ স ম আব্দুর রবের উত্তরার বাসায়। বেরশিক পুলিশের কারনে শেষ পর্যন্ত নাটকটি হতে পারে নি। পরে ওনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে নাকি ওনাদের দাওয়াত ছিল। আমার মান্না ভাই দুঃখ করে বলেছিলেন পুলিশ নাকি দাওয়াত খেতেও বাধা দিচ্ছে। কাজেই দেশে গনতন্ত্র নাই। আমার মান্না ভাই দেশবাসীকে বোকা মনে করেন। আ স ম রবের বাড়িতে সেদিন যারা গিয়েছিল তাদের মধ্য ছিলেন মান্না ভাই, সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ আরও কিছু বাম দলের নেতা। সেখানে উপস্থিত ছিল না আওয়ামীলীগ, বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির কোন প্রতিনিধি। আওয়ামীলীগ, বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টিতে কি রব সাহেবের কোন বন্ধু নাই? তাহলে এটা কেমন দাওয়াত! আসলে এটা দাওয়াত ছিলনা। কোন একটা ষড়যন্ত্র করার জন্য মান্না ভাইসহ অন্যরা সেদিন রবের বাসায় উপস্থিত হয়েছিলেন। অথচ মান্না ভাই এটাকে দাওয়াত বলছেন। দেশবাসী জানে এটা আসলে কি ছিল। মান্না ভাই যেখানে, ষড়যন্ত্র আছে সেখানে।
সেদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মিটিং মান্না ভাই দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বললেন, বিএনপি-জামাত ও সুশিলসমাজ ফরহাদ মজহারকে নিয়ে কিছু করতে পারলোনা। ভাই আশা করেছিলেন বিএনপি-জামাত কিংবা ওনার সুশিল সমাজ দেশে আবার হরতাল-জালাওপোড়াও আন্দোলন গড়ে তুলবে। আর এর মধ্য দিয়ে ওনারও সুসময় চলে আসবে। সত্যিই মান্না ভাই একজন জিনিয়াস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আামাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে সবদিক থেকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর হাল ধরেছি। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
আজ সকাল ১১টার সময় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৯৮ সালে এত বড় বন্যার পর বিশ্বের অনেকদেশ বলেছিল বাংলাদেশে ২ কোটি মানুষ মারা যাবে খাদ্যাভাবে। তিনি বলেন, আমাদের কৃষকরা সে সময় অসাধ্য সাধন করেছিল বলে তা হয় নাই। আমরা সে সময় হেলিকপ্টারে করে বীজ পৌঁছে দিয়েছিলাম কৃষকদের হাতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে খাদ্যের অভাবে না পড়ে তার ব্যবস্থা করেছি। কৃষক আর কৃষি আর পিছিয়ে নাই।
আওয়ামীলীগ নেতা মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য চিকিৎসার নামে লন্ডন যায়। শনিবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ শিশুপার্কে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সম্প্রতি কান্না করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কান্না মাত্র শুরু হয়েছে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছেন। সে সময় কোথায় ছিল মায়াকান্না, বিচার যখন শুরু হয়েছে আরো বেশি কাঁদতে প্রস্তুত থাকুন।’
হানিফ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণকে জানাতে পারলে অন্য কোন দলকে মানুষ ভোট দেবেনা। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সামনে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ ৩১০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট, বৈদেশিক মুদ্রা চার হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করেছে ৩২ হাজার কোটি টাকা, মাথা পিছু আয় ৫৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ মার্কিন ডলার করে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে। আর এ সমস্ত সাফল্যের কারনে শেখ হাসিনা ২৯টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পুলিশ ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী সোহেল মাহফুজসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে গতরাতে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় গ্রেপ একটি বৈঠক করছিল।
এদের মধ্যে সোহেল মাহফুজ নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান। পুলিশ বাকীদের মধ্যে হাফিজুরকে একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, জুয়েলকে একজন অস্ত্র সরবরাহকারী আর জামালকে একজন সমন্বয়কারী হিসেবে চিহ্নিত করছে। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদেরকে ধরার জন্য কয়েকদিন ধরেই চেষ্টা করে আসছিল। সকালেই পুলিশ প্রহরায় মাহফুজকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। আর বাকী তিন জনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে হাজির করবার প্রস্তুতি চলছিল। এদের প্রত্যেকের নামেই দেশের বিভিন্নস্থানে একাধিক মামলা রয়েছে।
বিএনপি নেতারা বিভিন্ন মিটিং ও আলোচনা সভায় বলেছিলেন ঈদের পরে তারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে যাবেন। তারা তাদের কথা রেখেছেন। আর এ আন্দোলনের শুরু হল প্রাবন্ধিক ও কবি ফরহাদ মজহার অপহরন নাটক দিয়ে। এ নাটকের শুরুতেই বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ বলেছিলেন ফরহাদ মজহারকে সরকারের লোকেরা উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছিলেন তাকে সরকারের কোন এজেন্সী তুলে নিয়ে গেছে।
প্রশ্ন হল নিখোঁজের পরপরই তিনি কি করে জানলেন ফরহাদ মজহারকে সরকারের লোকজন তুলে নিয়ে গেছে? এটা একটা পরিকল্পিত নাটক বলেই রিজভী বলতে পেরেছেন। হয়ত সরকারকে চাপে ফেলার জন্য রিজভীরা এ নাটক সাজিয়েছিলেন। স্বেচ্ছায় আত্নগোপনে থেকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই হয়ত এর উদেশ্য ছিল। কিন্ত সরকারের আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই খো্ঁজে বের করতে পেরেছে ফরহাদ মজহারকে। ফলে এ নাটকের যবনিকা ঘটলো এখানেই। দেশবাশীও বেচেঁ গেলেন এই জন্য যে তাকে খোজেঁ পাওয়া না গেলে হয়ত অযাচিত কোন কর্মসূচীর কবলে পড়তে হত দেশবাশীকে।
ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের পর রাত একটার দিকে খুলনায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বলেন “উদ্ধারের সময় মি. মজহারের কাছে একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে যাতে দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র ছিল।” অর্থৎ সে ব্যাগে ট্রাভেল করার সময় যে সমস্ত জিনিস সচারাচর ব্যবহার করা হয় ঠিক সে ধরনের জিনিসই রয়েছে। তাতে তারা ধারনা করছেন ফরহাদ মজহার স্বেচ্ছায়ই বের হয়েছেন। তাকে কেউ উঠিয়ে নিয়ে যায়নি বা অপহরন করেনি। আর অপহরন করলে তিনি নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যাগে করে নিয়ে যেতেন না।
গতরাতে কবি, কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে যশোর জেলার নোয়াপাড়ায় ঢাকাগামী একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয়। তারপর তাকে প্রথমে ঢাকার আদাবর থানায় নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে মিন্টু রোডে ডিবির কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে মি: মজহারকে ঢাকার আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয়।
আদাবর থানায় কিছু সময় স্বামীর পাশে বসে থাকলেও কোনো ধরনের কথা হয়নি বলে জানান তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার। ফরিদা আক্তার জানান, তার স্বামী ফরহাদ মজহার অনেক অসুস্থ। কোনো কথা বলতে পারছেন না। আদাব থানায় ঘন্টাখানেক রাখার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি অফিসে আনা হয়েছে। ফরহাদ মজহারের স্বজনরা ডিবি অফিসেই অপেক্ষা করছেন।
ফরহাদ মজহারকে সোমবার ভোর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিল তার পরিবার। ঢাকার শ্যামলীর নিজের বাসা থেকে ভোর পাঁচটার দিকে একটা ফোন পেয়ে বের হয়ে যান ফরহাদ মজহার। এরপর তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একাধিকবার মুক্তিপণও দাবী করা হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে সহসাই এই রহস্যের জট খুলবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।