চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে-দায়ী কে?

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

মধ্যপ্রাচ্যে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিককালে মধ্যপ্রাচ্যে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা এর কারন। এমনিতেই কয়েক দশক ধরে আমেরিকার সাথে ইরানের বৈরী অবস্থা চলে আসছিল। সাম্প্রতিককালে ইরান পরমানু অস্ত্র তৈরীর পরিকল্পনা হাতে নিলে ইরানের প্রতি চরম নাখোজ হয় আমেরিকাসহ তার মিত্রদেশগুলি। ইরানের ওপর আরোপ করা হয় একটার পর একটা অর্থনৈতিক অবরোধ। তাতে ইরানের রপ্তানি বানিজ্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক পর্যায়ে আমেরিকা ইরানকে একটি চুক্তি করতে বাধ্য করে। চুক্তি করা সত্ত্বেও আমেরিকা কারনে অকারনে ইরানের ওপর নানা ধরনের বানিজ্যিক অবরোধ আরোপ করতে থাকে। ইরানও তা মোকাবেলা করে অগ্রসর হতে থাকে।

কিছুদিন আগে এই পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকা নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিলেও তার মিত্ররা চুক্তির পক্ষে থেকে যায়। অবশেষে ইরানও চুক্তির কিছু শর্ত শিথিল করবে বলে জানিয়ে দেয়। এবং ইতিমধ্যই ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি করন প্রকল্প পুনরায় চালু করে। তাতে বেজায় ক্ষেপে ইরানকে হুশিয়ার করে দেয় আমেরিকা। ট্রাম্প তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন, শুরু হয় প্রতিশোধ নেওয়ার স্পিহা।

ফলশ্রুতিতে উপসাগরে পাঠানো হয় সপ্তম নৌবহর আব্রহাম লিংকন। এতে রয়েছে সুসজ্জিত যুদ্ধের সরঞ্জামাদি যা জলে-স্থলে চলতে পারে। এই রনতরীতে রয়েছে অত্যাধুনিক বোমারু বিমান বি-৫২ যা পারমানবিক বোমা বহনে ও নিক্ষেপে সক্ষম। এর আগে থেকেই আরেকটি মার্কিন রনতরী আরব উপসাগরে মোতায়েন রয়েছে। গত সপ্তাহে হরমুজ প্রনালী দিয়ে চলাচলকারী কয়েকটি তেলবাহী জাহাজের ওপর রকেট হামলা চালানো হলে ৩টি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্য ২টি সৌদি মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ রয়েছে। আমেরিকা ও সৌদি আরব এই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। ইরান এ হামলায় জড়িত না বলে জানিয়েছে। কোন পক্ষ থেকেই এ হামলার দায় স্বীকার করে বক্তব্য আসেনি। ধারনা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে এই হামলা চালিয়ে ইরানের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। অনেকে ধারনা করছেন আমেরিকা ও তার মিত্র ইসরায়েল এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। এরই মধ্যে ইরাকের একটি গ্রীন জোনে রকেট হামলা হয়েছে। আর এই গ্রীন জোনে রয়েছে আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের দূতাবাস। এই হামলার পর আমেরিকা তাদের দেশের কর্মীদের ইরাক থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। অপরদিকে সৌদি আরবে আরামকোর একটি তেলের পাইপ লাইনে ড্রু্ন হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর এই পাইপ লাইনটি বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরব এই ঘটনার জন্য ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে।

আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার অযুহাত খোজছিল।  এই হামলাগুলির পর পরই ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইরানকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্য দ্বিতীয় যুদ্ধ জাহাজ আব্রাহাম লিংকন উপসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ইরান বলছে তারা যুদ্ধ চায়না আর আমেরিকা ইরানের সাথে যুদ্ধে জড়ানোর মত নির্বোধ কাজ করবে না। ইরানের পক্ষ থেকে এরই মধ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইরান যুদ্ধ চায় না। আর আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে তাদের(আমেরিকার) স্থাপনাগুলি ইরানের নিশানার মধ্যই রয়েছে। এদিকে সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৩০শে মে আরব লীগের জরুরী বৈঠক ডেকেছে। কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরো কয়েকটি দেশ আমেরিকাকে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্মতি দিয়েছে কিংবা তা আমেরিকা আদায় করে নিয়েছে। বাহরাইন এরই মধ্য ইরাক ও ইরানে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরে আসতে বলেছে। তবে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত অবস্থা তৈরী করতে অনুঘটকের কাজ করে যাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্য চীন সফর করে এসেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে আতংস্ক বিরাজ করছে।

 

ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কেন এত বিতর্ক?

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

গেল সপ্তাহে ছাত্রলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার সমন্ময়ে গঠিত একটি কমিটি এই পূর্নাঙ্গ কমিটির বিভিন্ন পদবীর সদস্যদের নাম ঘোষনা করে। ছাত্রলীগের কোটি সদস্যের সকলে এই কমিটিতে স্থান পাওয়ার কথা না। আবার অনেকে অনেক যোগ্যতা থাকার পরও কমিটিতে স্থান পাননি কিংবা কাংঙ্খিত পদ পাননি। আবার হয়ত কম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ বড় পদ পেয়েছেন কিংবা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। কমিটি ঘোষনার পর থেকেই নতুন কমিটিতে উপযুক্ত স্থান কিংবা স্থানই পায়নি এমন একটি গ্রুপ নতুন কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে বিব্রত বোধ করছে আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডসহ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোটি কোটি সমর্থক। আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন হওয়ায় তাদের এই কর্মসূচী দেশজুড়ে দলটির ভাবমূতি ক্ষুন্ন করছে।

উদ্ভুত অবস্থার পরিপেক্ষিত ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব বিদ্রোহীদের সাথে দফায় দফায় মিটিং করেছে বিষয়টির যুক্তিক সুরাহার জন্য। এই পরিপেক্ষিতে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী অংশটির পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ আসে। নতুন এই কমিটিতে বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও চাকরীজীবী ও অছাত্ররাও রয়েছে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে কমিটিতে স্থান পাওয়া অযোগ্যদের একটি তালিকা প্রদান করা হয়। এই তালিকা অনুযায়ী ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব ১৭ জনকে চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্য তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষনা দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা থামছে না। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা রকম কর্মসূচী দিয়ে উত্তেজনা তৈরী করছে। যা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তিতে চরম আঘাত আনছে।

ঢাবির সকল ছাত্র ছাত্রলীগ করে না। এখানে ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগ বিরোধী বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকরা রয়েছেন। তারাও আজ ছাত্রলীগ সেজে বিদ্রুহী হয়ে নানা কর্মসূচীতে সরব রয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই যে কোন ভাবেই হউক ছাত্রলীগকে বিতর্কে ফেলা। মিডিয়ার একটি অংশ এই বিদ্রুহে তেল ঢালে নানা কৌশলে। এই অংশের উদ্দেশ্যও আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগকে নানা কৌশলে দুর্বল করা। একজনও যদি সরকার কিংবা আওয়ামীলীগ কিংবা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে তা হলে সেখানে মুহূর্তেই ১০টি টিভি চ্যানেল লাইভ শুরু করে দেয়। আজ সকালেও দেখা যায় ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের পক্ষে একটি গ্রুপের মাত্র ৪/৫ জন টিএসসির সামনে বসে থাকলে কয়েকটি টিভি চ্যানেল লাইভ শুরু করে দেয়। তা দেখে আরো ২/১ জন লাইভের আশায় জমতে থাকে। এমনিভাবেই একেবারে অখ্যত ও অতি কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও টিভি চ্যানেলগুলি লাইভ করতে শুরু করলে তা আলোচনায় চলে আসে। ফলে বলা যায় কতিপয় মিডিয়া খবর সংগ্রহের পরিবর্তে প্রতি নিয়ত খবর পয়দা করে। আর তা ফলাও করে প্রচার করে।

বিগত কয়েক দশক ধরে ছাত্রলীগের কমিটি যেভাবে হয়ে আসছে ঠিক সেভাবেই এবারের কমিটি হয়েছে। এর আগে কমিটি নিয়ে এত বিতর্ক আর দেখা যায়নি। এবার তাহলে এত বিতর্ক কেন? কমিটিতে স্থান পাননি এমন সকল ছাত্রলীগ নেতা কর্মীই কি কমিটিতে স্থান পাওয়ার যোগ্য? সকলকেই কি কমিটিতে স্থান দিতে হবে। আর এই যোগ্যতার সঠিক পরিমাপ কিভাবেই বা করবে। আবার এমনটাও ধারনা করা যাবে না যে যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তারাই সবচেয়ে যোগ্য। তবে কমিটি করার জন্য সঠিক কোন মানদন্ড না থাকায় অনেক সময় যোগ্যরাও বাদ পড়ে যায়। আবার অযোগ্যরাও বড় বড় পদ পেয়ে যায়। এখন দরকার কমিটি গঠনের মানদন্ড ঠিক করা। তা হলে হয়ত কমিটি নিয়ে বিতর্ক কমে আসবে। তবে কমিটিতে স্থান না পেয়ে ছাত্রলীগ নামধারীরা ঢাবিতে যা করে আসছে তা অচিরেই বন্ধ করে ছাত্রলীগে শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।

সংসদে বিএনপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আগে কেনো শপথ নিলেন না জাতি জানতে চায়

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্য ফ্রন্ট থেকে মোট ৮ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এদের সকলেই দীর্ঘদিন শপথ গ্রহন থেকে বিরত ছিলেন। প্রথমে ঐক্য ফ্রন্টের পক্ষ থেকে যৌথভাবে ঘোষনা করা হয়েছিল এই ফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত কেউই শপথ গ্রহন করিবেন না। কারন হিসাবে বলেছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য হয়নি। তাই তারা শপথ গ্রহন করবেন না।

কিন্তু অনেকে মনে করেন এই নির্বাচনে নজিরবিহীন ভরাডুবির কারনে এই ফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত ৮ জন সদস্য সংসদে তেমন কোন ভুমিকা রাখতে পারবেন না বলেই ফ্রন্টের স্ব স্ব দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা শপথ গ্রহন থেকে বিরত থাকেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন ঐক্য ফ্রন্টের নির্বাচিত ৮ জন শপথ নিলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংসদ গ্রহনযোগ্যতা লাভ করবে। তাতে লাভ হবে আওয়ামীলীগের তাই তারা সংসদকে বিতর্কিত ও অগ্রহনযোগ্য রাখতেই শপথ গ্রহন না করার সিদ্ধান্ত নেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন বিএনপিসহ ঐক্য ফ্রন্টের বাঘা বাঘা নেতারা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তাদের নেতিবাচক রাজনীতির কারনে। ঐক্য ফ্রন্টের একমাত্র হেভিওয়েট নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জয় লাভ করেছেন। তা ও আবার ঠাকুর গাওয়ের নিজ আসন থেকে না, খালেদা জিয়ার বগুড়ার আসন থেকে। তাই ঐক্য ফ্রন্টভুক্ত দলগুলির সিনিয়র ও হেভিওয়েট নেতারা সংসদে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহন করতে বাঁধা প্রধান ও নিষেধ করেন।

এরই মাঝে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ নেন অনেকটা আকর্ষিকভাবে। তখন এই শপথ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের মধ্য বিতর্কের ঝড় উঠে। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বার্তা দেন যে ঐক্য ফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত অন্যরাও শপথ গ্রহন করবেন। এরই মাঝে গনফোরাম থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খানও শপথ গ্রহন করেন। এ দুজনের শপথ গ্রহনের পর এদেরকে জাতীয় বৈঈমান হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় ঐক্য ফ্রন্ট থেকে। যদিও এ দুজন তাদের সংসদে যোগদানের কারন ব্যাখ্যা করেছেন তাদের মত করে।

এর পর বাকি থাকলো বিএনপির থেকে নির্বাচিত ৬ জন সংসদ সদস্য। ভিতরে ভিতরে এরাও শপথ গ্রহনের জন্য সংসদ সচিবালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। অপরদিকে বিএনপির হাইকমান্ড থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিএনপির সাংসদরা কেউ শপথ গ্রহন করবে না। যদি কেউ শপথ গ্রহন করে তবে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে বলেও হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির মিটিং থেকেও সিদ্ধান্ত আসে বিএনপির কেউ শপথ গ্রহন করবে না। এরই মাঝে ঠাকুরগাওয়ের বিএনপি দলীয় সাংসদ জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথ গ্রহন করলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। জাহিদ জানিয়েছিলেন বাকিরাও শপথ গ্রহন করবে। আজ অনেকটা নাটকীয়ভাবেই বিএনপির চার সাংসদ শপথ গ্রহন করে সংসদ অধিবেশনে অংশ গ্রহন করেছেন।

কোনভাবেই আটকানো যাচ্ছিল না বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের। আগে থেকেই এদের শপথ গ্রহনের কথা রাজনৈতিক মহলসহ মিডিয়ায় আলোচনা হচ্ছিল। আজ শপথ গ্রহনের পর মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন, তারেক রহমানের নির্দেশেই এরা শপথ গ্রহন করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলামও নাকি মঙ্গলবার শপথ গ্রহন করবেন। জনগন যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলো তারা এতোদিন কেনো শপথ গ্রহন করলেন না এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলেই কি তারেক জিয়ার নির্দেশে নাকি সাংসদ নিজেরাই নিজ ও নিজ এলাকার ভোটারদের চাপে শপথ গ্রহন করে সংসদে অংশ নিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখন রাজনীতি সচেতন প্রায় সকলেই জানেন।

মিডিয়ার পরিচালনায় চমৎকার নাটক হয়ে গেল কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

খবর না থাকলেও খবর পয়দা করা যায়। তা আজ কারওয়ান বাজার ওয়াসা অফিসে প্রমান হয়েছে। তবে এ খবর পয়দা করতে যেয়ে রীতিমত নাটক হয়েছে ওয়াসা অফিসে। আর এই নাটক পরিচালনা করেছে আমাদের মিডিয়ার লোকেরাই। তবে আমরা মিডিয়ার লোকজন সব সময়ই ধোয়া তুলসী পাতা। আমরা কোন অপরাধ করি না। আর আমরা কোন অপরাধ করলেও তার কোন বিচার করা যাবে না। আমরা সংবাদ কর্মীরা তার মুক্তি দাবি করে সরকারের ভীত নাড়িয়ে দিবো। সংবাদ কর্মীকে কোন অভিযোগে পুলিশ আটক করলেই আমরা সাংবাদিকরা একযোগে তার মুক্তি দাবি করবো সরকারের কাছে। কিন্তু তার অপরাধ বিবেচনায় আনবো না। আর ধরে নিবো সে কোন অপরাধ করে না। তার মুক্তি দিতেই হবে, তার ক্ষেত্রে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহন করা যাবে না। আর পুলিশ কিংবা সরকারও আমাদের ভয় পায়। কারন আমরা যা খুশি লেখে দিতে পারি ইলেক্ট্রনিক কিংবা ডিজিটাল মিডিয়ায়।

এবার আসল কথায় আসি। রাজধানীর জুরাইন থেকে মিজানুর রহমান নামের এক ভদ্রলোক এক জগ পানি নিয়ে চলে আসলেন কারওয়ান বাজার ওয়াসা অফিসে। আজ দুপুরের ঘটনা, তার সাথে ওই এলাকার আরো কয়েকজন আছেন। উনারা ওয়াসার এমডির সাথে দেখা করতে অফিসের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা গতি রোধ করে। ফলে মিজানুর রহমানসহ অন্যরা সিড়িতেই বসে পড়েন, তারা ওয়াসার এমডি তাসকিন আহমেদ খানের সাথে দেখা করবেনই। তবে এমডির সাথে সাংবাদিকদের মোবাইলে কথা হয়েছে। এমডি ব্যস্ততা দেখিয়ে অন্য একজনকে তাদের সাথে কথা বলতে দায়িত্ব দেন। ওয়াসার প্রতিনিধি এ কে এম সহিদ উদ্দিনের সাথে মিজানুর রহমানসহ অন্যরা কথা বলেন। এক পর্যায়ে জগের মধ্য রাখা সরবত অফার করলেন সহিদ উদ্দিনকে। তিনি এই সরবত খেতে অপারগতা প্রকাশ করলেন। আর এখানে দেখা গেছে যে কজন সাধারন নাগরিক জুরাইন থেকে এসেছেন তার চেয়ে সাংবাদিকের সংখ্যা বেশী। সাংবাদিকরাই বেশী ভুমিকা পালন করেছেন এইখানে। সব কিছু দেখে মনে হয়েছে এই নাটক সাংবাদিকদেরই করা। মিজানুর রহমান কোন সুপরিচিত ব্যক্তি না যে তিনি ডাকলেই সাংবাদিক ভাইরা চলে আসবেন। অর্থাৎ পুরো ঘটনাই একটি নাটক।

এখন আসি ওয়াসার পানির কথায়। ওয়াসার পানিতে ময়লা থাকে এটা কে না জানে। তবে আগের থেকে সরবরাহ ও সাপ্লাই চেইন অনেক ভাল হয়েছে। অনেক স্থানে আবার ময়লা পানি আসে এটা মিথ্যা নয়। খুড়াখুরির কারনে অনেক স্থানে পাইপ ফেটে ময়লা ঢুকে। অন্য কারনেও হতে পারে। ওয়াসার এমডি কি বললেন না বললেন এটা মুখ্য বিষয় না। এই নিয়ে এরকম নাটক নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন জাগে। তবে কি খবরও বানানো যায়? হা যায় যদি টি আই বির মতো মদদপুষ্ট প্রতিষ্ঠান পিছনে থাকে। এবার ভাবুনতো সাধারন নাগরিক হিসাবে আপনি এমন নাটক করতে পারবেন কি না? সাংবাদিক ভাইরা আপনার ডাকে আসবেন কিনা?

রাজউক কি ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে?

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পর রাজউক নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। ১৫টি টিমে বিভক্ত হয়ে রাজউক এই অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে ঢাকা শহরে। আজ রাজধানীর ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলার সন্নিহিত স্থান সমূহে অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়। তাদের সাথে রয়েছে কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা। তারা বহুতল ভবনের প্রবেশ পথ, সিড়ি, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ভবনের নকশাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ক্ষতিয়ে দেখছে। অভিযানের উদেশ্য ভবন নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা ও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।

দুর্ভাগ্যের বিষয় যাদের কারনে বিল্ডিং নির্মাণে এই অনিয়মগুলি হয়েছে বা হয় তাদেরকেই এই অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী ৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য রাজউক অন্যতম। রাজউকের দুর্নীতি সর্বজন বিদিত। যেখানে প্রায় সকলেই দুর্নীতির সাথে জড়িত। দেশের আপামর জনসাধারনের কাছে রাজউক একটি দুর্নীতির আখড়া। এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের পর রাজউকের এমন ভাব যে এসব দুর্নীতির কিছুই জানে না রাজউক। কিন্তু দেশের মানুষ জানে ও বিশ্বাস করে এসব দুর্নীতির হুতা রাজউকই।

এফ আর টাওয়ার ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে কিভাবে ২৩ তলা হল তার জবাব রাজউকই দিতে পারবে। এই সব অনিয়মের দেখভাল রাজউকেরই করার কথা। আর রাজউককে পাশ কাটিয়ে এই সব অনিয়ম করা একেবারেই অসম্ভব। মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে রাজউক এই সব অনিয়মে সহযোগিতা করে যায়। রাজউকের প্রতি কর্মকর্তারই ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি, গাড়ি, জমি ও ফ্লাট রয়েছে। আর নামে বেনামে রয়েছে মোটা অংকের অর্থ। তাই সর্বাগ্রে রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনিয়ম ও এর মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা অত্যাবশ্যক। তা না হলে রাজধানীতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ হবে না। আর এর ফলে যে দুর্ঘটনা ঘটে তাও কমবে না।

এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর রাজউক অভিযানে নেমেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ভবন মালিককে নোটিশ পাঠাবে অবৈধ অংশ কিংবা পুরা বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলার জন্য। ভবন মালিকরা তাতে চাপে পড়ে আবার রাজউকেরই শরণাপন্ন হবে। এর ফলে রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আরো অধিক পরিমান অবৈধ উপার্জনের সুযোগ পেল। সরকারের উচিৎ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে এসব অনিয়ম তদারকির দায়িত্ব দেওয়া।

ইদানিং ছাত্রদের মাঝে খুব দ্রুত নেতা বনে যাবার প্রবনতা লক্ষ করা যাচ্ছে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই প্রবনতা ব্যপকভাবে লক্ষ করা গেছে। কয়েক মাস পূর্বে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে প্রথমে এর প্রতিবাদে ঢাকায় তীব্র আন্দোলন গড়ে  উঠে। পরে এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যানবাহনে ব্যপক ভাংচুর চালানো হয়। এক পর্যায়ে এই আন্দোলন সহিংস্র রূপ ধারন করে। এই পরিপেক্ষিতে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হলেও থামছিল না এই আন্দোলন। অবশেষে বল প্রয়োগ করে এই আন্দোলন থামানো হয়। তার আগে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক রূপ পরিগ্রহ করে। এই আন্দোলনে ঢুকে পড়ে সরকার বিরোধী দলগুলি যার ফলে এই আন্দোলন সহিংস্র হয়ে উঠেছিল।

কয়েকদিন আগে রাজধানীর নদ্দায় রাস্তা পাড় হওয়ার সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হলে এর প্রতিবাদে আবারও প্রথমে নদ্দায় ঘটনাস্থলে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকে ছাত্ররা। এই খবরে ঘটনার দিন ও তার পরদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে রাখে ছাত্ররা। ফলে ঢাকায় জীবন যাত্রা আবার অচল হয়ে পড়ে। ফেসবুকের মধ্যমে নানা ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়াতে থাকে। ছাত্রদের একটি পক্ষ ঢাকা উত্তরের মেয়রের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে এই আন্দোলন স্থগিত ঘোষনা করে। কিন্তু আরেকটি পক্ষ এই আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষনা দেয়। ঘটনার দিন বিকালে নব নির্বাচিত ঢাকসু ভিপিসহ তার মতাদর্শী ছাত্ররা নদ্দায় এসে আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে। ভিপি নুর এই সময় আন্দোলনরতদের উদেশ্য বলেন, যদি এই আন্দোলনে কেউ হামলা করে তাহলে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। তার এই বক্তব্য ছাত্রদেরকে উস্কানি দেওয়ার সামিল বলেই অভিজ্ঞ জনেরা মনে করেন। যা হউক আল্লাহর অশেষ রহমতে এই আন্দোলন দুইদিনের মাথায় স্থগিত হয়ে যাওয়ায় দেশ ও দেশের মানুষ বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে বেঁচে যায়।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সমস্ত আন্দোলনে কিছু ছাত্রকে অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। অনেকে এই সমস্ত আন্দোলনে সহজে নেতা বনে যাবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে এই আন্দোলনগুলিতে ঝাপিয়ে পড়ে। এই আন্দোলনকে শানিত করার জন্য সরকার বিরোধী মিডিয়াগুলি অনুঘটকের কাজ করতে থাকে। যে কোন ভাবেই কোন মানুষের মৃত্যু কাম্য নয়। যদিও মানুষের মৃত্যু অবধারিত, ঘটনা শুধুমাত্র উছিলা। ছোট্র এই শহরে বাস করে দুই কোটি মানুষ। যেখানে এই বিপুল জনগোষ্টির জন্য পুরা শহরের সমান শুধু রাস্তাই দরকার। এই শহরে প্রতিদিন কিছু দুর্ঘটনা ঘটবেই যত ভাল গাড়ি কিংবা ড্রাইভারই হউক না কেনো। এই সমস্ত ঘটনায় কিছু মানুষের মৃত্যু ঘটবে এমনটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কিছু মানুষ মোটিভেটেড হয়ে এই সমস্ত আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে যায়। অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, সরকারও এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে এই সমস্ত আন্দোলনে সমর্থন দেয়। দেশকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে সরকার এমনটি করে থাকে। পৃথিবীতে এমন কোন দেশ আছে যেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায় না? সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কি এককভাবে গাড়ি কিংবা ড্রাইভারই দায়ী? পথচারী কি ভুল করে না?

প্রতি দিনই নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় সারা দেশে একাধিক মানুষ মৃত্যু বরন করে থাকে। এ সমস্ত ঘটনায় ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, শ্রমিক কিংবা দিন মুজুর, পিতা-মাতা, ছাত্র-শিক্ষক সকলেই তো মারা যাচ্ছে। শুধু ছাত্র মারা গেলেই আন্দোলন হবে কেনো? পিতা-মাতা কিংবা শিক্ষক মারা গেলে আন্দোলন হবে না কেনো? তাহলে কি ছাত্র বাদে অন্যদের জানের কোন মূল্য নাই। নিশ্চয়ই মূল্য আছে, তবে ছাত্রদের উস্কে দিয়ে সহজেই রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা ও সহজে রাতারাতি নেতা বনে যাওয়া যায়। তাই সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সমস্ত আন্দোলন গড়ে উঠে। তবে এই প্রবনতার অবসান হওয়া উচিৎ। অপরদিকে এই দুর্ঘটনার অন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওয়াতায় এনে দ্রুত সময়ে বিচার করা সময়ের দাবি। কেউ মারা গেলে আন্দোলনের নামে রাস্তায় খেলায় মেতে উঠে জনগনের জীবন যাত্রা ব্যহত করাও কাম্য নয়।

আবারও ভুল পথে মির্জা ফখরুল

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

আবারও ভুল পথে বিএনপি, অপ্রত্যাশিত বক্তব্য আসছে বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। যা এই সময়ে মানুষ আশা ও গ্রহন করে না। চকবাজারে ভয়াবহ আগুনে ব্যপক হতাহতের খবরে বিএনপি মহাসচিব এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, সরকারের উদাসীনতায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এমনভাবে তিনি প্রতিক্রিয়া দিলেন যেন এককভাবে সরকারই দায়ী এই দুর্ঘটনার পিছনে।

চকবাজারের আগুন রাজনৈতিক কোন বিষয় নয়। এটা একটি স্থানীয় ও জাতীয় ইস্যু। এই ঘটনায় হতাহতের জন্য নাগরিক হিসাবে আমরা সকলেই দায়ী। কেন আমরা পুরাতন ঢাকার এই সমস্ত অলিগলিকে নিরাপদ থাকার উপযোগী করতে পারলাম না কিংবা রাখলাম না। এই ঘটনায় সেখানে থাকা ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা জনগন সকলেই দায়ী। নিমতলীর ট্রাজেডীর ৯ বছর পরেও কেন শিক্ষা নিলাম না, কেন আমরা সেখানে নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করলাম, আবার কেন ব্যবসায়ীরা সেখানে কেমিকেলের গোডাউন গড়ে তুলেছে। সরকার কেন পুরাতন ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে কার্যকর ভুমিকা রাখতে ব্যর্থ হল-এসবই দায়ী।

যারা রাজনীতি করেন বিশেষ করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এই ব্যপারে কি ভুমিকা রেখেছে, তারা কয়টি মিটিং কিংবা মানব বন্ধন করেছে পুরাতন ঢাকা থেকে কেমিকেল বোম্ব সরাতে? তাই বিএনপির উচিত ছিল সরকারকে দোষারোপ না করে এই সমস্যা সমাধানে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যাতে করে সরকার পুরাতন ঢাকাকে দ্রুত নিরাপদ করতে সমর্থ হয়। মানুষ আসলে এমন বক্তব্যই আশা করে এমন নন পলিটিক্যাল বিষয়ে। তবে সরকারকেই এই ব্যপারে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে।

যে যে কারনে মানুষ নৌকায় ভোট দিবে

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

ভাল খারাপ একটা আপিক্ষিক বিষয়। এটাকে পরিমাপ করা যায় না। শুধু ধারনা করা বা বিবেক খাটিয়ে বুঝা যায়। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কে কতটুকু ভাল/খারাপ তা কে কিভাবে চিন্তা করেন তার ওপর নির্ভর করে। এখানে এবসোলুটলী ভাল/খারাপ বলতে কিছু নাই। মানুষের আচার আচরন, শিক্ষাদিক্ষা, যোগ্যতা, মেধা ও মানবিক গুনাবলী দিয়ে তার একটা ধারনা পাওয়া যায় মাত্র। কারো কারো দৃষ্টিতে আওয়ামীলীগের ইতিহাস, অবদান, কর্মকাণ্ড ও রাষ্ট্র পরিচালনা ভাল লাগে। তাই তারা আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে। বিএনপি কিংবা অন্যান্য দলের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সমস্ত কারনে ভোটাররা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবেন তা নিন্মে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে প্রদান করা হল ……

  • ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে সেদিন মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ৯ মাস যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছিল। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসাবে মানুষ আওয়ামীলীগই ভোট প্রদান করবে।
  • ১৯৯৬-২০০১, ২০০৮-২০১৩ ও ২০১৩-২০১৮ মেয়াদে আওয়ামীলীগ সারাদেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়ন করেছে। যা দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগের শাসনামলে দেশ খাদ্যে স্বনির্ভর হয়েছে। উত্তর ভঙ্গসহ সারাদেশের কোথাও আজ আর আল্লাহর রহমতে মংগা দেখা দেয় না। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অন্য যে কোন দল থেকে আওয়ামীলীগ বেশী ভুমিকা রাখবে বলে দেশবাসী মনে করে। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগের আমলে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ৫০০ ডলার থেকে বেড়ে মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১৭০০ ডলারের ওপরে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগই বাংলাদেশকে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করেছে। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • অনেক বাধা পেড়িয়ে আওয়ামীলীগ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্য পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই সেতু তৈরী শেষ হলে দক্ষিন ও দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যপক পরিবর্তন আসবে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীত আওয়ামীলীগই সরকারই করেছে। ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়ককে ৪ লেনে রুপান্তরও আওয়ামীলীগ সরকারই করেছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগ সরকারকেই ভোট দিবে।
  • গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার, তেজগাও-মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাই ওভার নির্মান করায় রাজধানীতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • সারাদেশে অসংখ্য ব্রিজ, কালভার্টসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতি মানুষের আস্তা ব্যপক হারে বেড়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
  • ৩০০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে আওয়ামীলীগ সরকার ২০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। দেশে আজ আর লোড শেডিং নাই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদ্যুৎ সুবিদা চলে গেছে। দেশে এখন ৯০% মানুষ বিদ্যুৎ সুবিদা পাচ্ছে। তাই তারা আওয়ামীলীগের ওপর ভরসা রেখে আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
  • কৃষকদের সহজ শর্তে কৃষি ঋন, সার ও বিজ দেওয়ায় কৃষকরা ভাল করতে পারছে। তাই তারা এই সরকারকেই ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগ আমলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তাই জনগন আওয়ামীলীগ সরকারকেই ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগ আমলেই শিক্ষার হার ব্যপক হারে বেড়ে এখন ৭০% হয়েছে। তাই ভোটাররা আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবেন।
  • এই আমলেই দারিদ্র হার কমে সর্বনিন্ম হয়েছে, মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে, শিশু মৃত্যুহার আল্লাহর রহমতে কমেছে, মৃত্যু হার কমেছে ও মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৫ বসর হয়েছে। এই সমস্ত অবদানের জন্য মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগ সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের মাসে দশ হাজার টাকা করে ভাতা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের অভাব দূর হয়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগ সরকার দেশের অক্ষম বয়স্ক নাগরিকদের বয়স্ক ভাতা প্রদান করছে। তাই এই শ্রেনীর মানুষ আওয়ামীলীগইকে ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগই বিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের রিলিফ দিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাই মানুষ এবার আওয়ামীলীগকেই বেশী বেশী ভোট প্রদান করবে।
  • আওমীলীগের আমলেই দেশের জিডিপি বেড়ে ৭.৮৬ হয়েছে। যা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যেতে ব্যপক ভুমিকা রাখবে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
  • আওয়ামীলীগই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর করেছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই বেশী পছন্দ করে।
  • আওয়ামীলীগ সরকারই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। তাই মানুষ এই দলটির প্রতিই বেশী আস্তা রাখে।
  • এই আমলেই ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধূলায় দেশ অনেক এগিয়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দেবার কথা।
  • আওয়ামীলীগই দেশ থেকে সন্ত্রাস দূর করেছে। দেশে আজ সন্ত্রাস আর চাদাবাজি ব্যপক হারে কমে গেছে। তাই আওয়ামীলীগকেই আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচন করবে।
  • আওয়ামীলীগই মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পাঠিয়েছে যা এখন দেশের ৭টি বেসরকারী চ্যানেল ব্যবহার করে সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষের আস্তা বেড়ে গেছে।
  • সারাদেশে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগই। স্বল্প মূল্যে মানুষ মোবাইল সহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। সারাদেশই এখন শহরে রূপ নিয়েছে। গ্রামে থেকেই মানুষ শহরের সমস্ত সুবিদা ভোগ করতে পারছে। যা আওয়ামীলীগ সরকারের কারনেই সম্ভব হয়েছে। এই জন্য আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষের আস্তা অনেক বেশী।
  • সারা বিশ্ব অবাক হয় বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নে। বাংলাদেশকে তারা উন্নয়নের রোল মডেল বলে। তাই এদেশের মানুষ আবারো ক্ষমতায় দেখতে চায় এই সরকারকেই।
  • এ সরকারের আমলেই দেশে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়।
  • বিদেশী অনেক বন্ধু রাষ্ট্রই বলে দিয়েছে তারা আওয়ামীলীগকেই আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়।
  • দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্যান্য সরকার দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে গেছে। তাই তারা আওয়ামীলীগকেই পছন্দ করে বেশী বেশী।

প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতায় দেশ অনেক এগিয়েছে। শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব নেত্রী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলি পুরস্কার লাভ করে নিজ ও দেশের মর্যাদা বিশ্ব দরবারে বৃদ্ধি করেছেন। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার আবারো ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন অব্যহত থাকবে। দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনীত হবে। যেখানে থাকবে না সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতি। মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে দেশে। দেশ বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সারাদেশটাই শহরে পরিনীত হবে। তাই ব্যপক সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট ক্ষমতায় আসবে বলেই এদেশের অধিকাংশ ভোটার মনে করে।

নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই!

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই বলে সরকার বিরোধী জোট ও দল থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ঐক্য ফ্রন্ট ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করতে ইসির কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। তবে নরসিংদীর রায়পুরাতেও এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই! আসুন বিষয়টি একটু ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করি……

* আওয়ামীলীগ প্রার্থী রাজি উদ্দিন রাজুর বয়স পচাত্তোরের ওপরে। এখানে বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের বয়স পঞ্চাশের নীচে। বাপ ছেলের মত ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। কাজেই এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই।

করনীয়ঃ এখানে হয় রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর বয়স কমাতে হবে। অথবা আশরাফ উদ্দিনের বয়স বাড়িয়ে রাজুর সমান করতে হবে। তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে।

* রাজি উদ্দিন রাজু পাচ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন রায়পুরা থেকে। অপরদিকে আশরাফ উদ্দিন এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন। কাজেই এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই!

করনীয়ঃ রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর ৫ বারের এমপিত্ব কেড়ে নিতে হবে। অথবা আশরাফকে ৫ বারের এমপি ঘোষনা করতে হবে। তাহলেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে!

* এ দুজনের শিক্ষার ক্ষেত্রেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই।

করনীয়ঃ দুজনকে একই রকমের শিক্ষার সার্টিফিকেট নিতে হবে! তাহলেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে রায়পুরায়!

* নৌকার প্রার্থী রাজুর পোষ্টারে ছেয়ে গেছে রায়পুরা। অপরপক্ষে আশরাফ উদ্দিন বকুলের পোষ্টার খুব কমই চোখে পড়ে। কাজেই এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই!

করনীয়ঃ নৌকার পোষ্টার ছিড়ে ফেলে কমাতে হবে। অথবা ধানের ছড়ার পোষ্টার বাড়িয়ে সমতা আনতে হবে। তাহলেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হবে!

* সারা রায়পুরাতে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ব্যপক প্রচারনা চলছে। ধানের ছড়া এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। কাজেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই!

করনীয়ঃ নৌকার প্রচারনা থামাতে হবে ও ধানের ছড়ার প্রচারনা বাড়াতে হবে। তাহলেই এ ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে।

* নৌকার মিটিং মিছিল গুলিতে ব্যপক লোক সমাগম হচ্ছে। অপরদিকে ধানের ছড়ার মিটিং মিছিলে অপেক্ষাকৃত কম লোক সমাগম হচ্ছে। কাজেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই এখানে!

করনীয়ঃ জনসাধারনকে নৌকার মিছিল মিটিংয়ে আসা কমাতে হবে ও ধানের ছড়ার ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে। তা হলেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে।

* রাজুর বাড়ি নীচু এলাকায়, কিন্তু বকুলের বাড়ি অপেক্ষাকৃত উচু এলাকায়। কাজেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই!

করনীয়ঃ মাটি কেটে অথবা ভরে উভয়ের বাড়ি সমান করতে হবে। তাহলেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে!

বিদ্রঃ এই সমস্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী নির্বাচন কমিশনকেই করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে!

——- বেরসিক

জামাতকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার লবিস্ট হিসাবে কাজ করছেন ডঃ কামাল

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাতকে রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসনের কাজ নিয়েছেন ঐক্য ফ্রন্ট নেতা ডঃ কামাল হোসেন। আর এই কাজে দালাল হিসাবে কাজ করছেন কামাল হোসেনের ইহুদী মেয়ের জামাই। জামাতও নিজেদেরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করতে কামাল হোসেন গংকে মোটা টাকার বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে। আর কামাল হোসেনও ঐক্য ফ্রন্টের আড়ালে সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। ঐক্য ফ্রন্টের মলাটে জামাতকে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় করে তুলার কাজটি সুচারোভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানীকেও জামাতের পক্ষে কাজ করতে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে।

কামাল হোসেন প্রায়শই বলে থাকেন নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের মানুষকে দেশের মালিক বানাবেন। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী এমনিতেই দেশের মালিক জনগন। কাজেই নতুন করে মানুষকে দেশের মালিক বানানোর ভূয়া কথা বলার প্রয়োজন নাই। কামাল হোসেনের এমন সস্তা কথায় বিশ্বাস করার অনৈতিক কাজ করার মানসিকতা এদেশের মানুষের আর নাই। মানুষ এখন অনেক সুচ্চার। তারা উন্নতি ও অগ্রগতি কি জিনিষ তা জানে, কোনটি ভাল কোনটি মন্দ তা জানে। এদেশকে কোন দল ভাল চালাতে পারে ও আগামীতে কে ভাল চালাবে এই সব চিন্তা করেই মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবে।

যে জামাত দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করে এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, যারা এখনো দেশের স্বাধীনতা স্বীকার করেনা, যারা তাদের অতীত কৃতকর্মের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে না কামাল হোসেন তাদেরকে দেশের মালিক বানাবার চেষ্টা করছে। তাদেরকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে এদেশে আবার পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশ প্রেমিক কোটি কোটি জনতা কামাল হোসেনের এই খায়েস কখনো পুরন হতে দিবে না।

বয়সের কারনে কি কামাল হোসেন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন!

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

আওয়ামিলীগ সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নে দেশবাসী এখন আওয়ামীলীগ বন্দনায় ভাসছে। অবকাঠামো, সামাজিক, ব্যবসা বানিজ্য, যোগাযোগ, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রেই আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট সরকার ব্যপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ব্যপক গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নিরষ্কুশ সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে আবারো আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করবে এটা প্রায় নিশ্চিত। দেশের যে কোন সাধারন ভোটারকে জিজ্ঞাসা করলে এর পক্ষে উত্তর পাওয়া যাবে।

এই বিষয়টা যারা শুধু ঢাকায় বসে রাজনীতি আর কূটনীতিকদের সাথে মিটিং করেন তারা বুঝতে পারেন না। তারা তো সাধারন জনতার সাথে মিশেন না, সারা দেশে ভ্রমন করেন না। যারা শুধু প্রেস ক্লাবে ও বিদেশী কূ্টনৈতিক মিশনে নিয়মিত যাতায়ত করেন ও ওদের পরামর্শ শুনেন তাদের পক্ষে দেশের সিংহভাগ মানুষের মতামত জানা বা অনুধাবন করা সম্ভব না। যারা শুধু বিদেশী রাষ্ট্রের সহায়তায় চোরা পথে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা বুঝতে পারেন না আগামী নির্বাচনে ঐক্য ফ্রন্টের সূচনীয় পরাজয় হবে। ওদের ওপর গন ধূলাই সবে শুরু হয়েছে। জনতার রুশানলে পড়ে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। এটা হয়ত কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মান্না ভাইরা ইতিমধ্যই টের পেয়ে গেছেন। ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, জনসমর্থন নাই, নির্বাচনে জামানত হারান- এরা সকলে একত্রিত হয়ে কূটকৌশলে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে একাকার হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, জনগননকে বোকা ভাবেন, আর কদিন পরেই টের পাবেন ক্ষমতায় যেতে কত ভোট লাগে।

যুক্তফ্রন্ট গঠন করলেন ও বললেন জামাতকে ছেড়ে দিলে বিএনপিকেও যুক্তফ্রন্টে নেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপি জামাত কিংবা ২০ দল কোনটাই ছাড়েনি। তথাপি বিএনপিকে ঐক্য ফ্রন্টে নিয়ে নিজের ওয়াদারই বরখেলাপ করেছেন কামাল হোসেন। শুধু বিএনপিকেই ঐক্যফ্রন্টে নেওয়া হয়েছে তা নই, ২০ দল ও জামাতও একাকার হয়ে গেছে ঐক্যফ্রন্টে। একই প্রতীক ধানের ছড়া নিয়ে এরা সকলেই নির্বাচন করছে। গন ফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্যে, জামাত-বিএনপি একই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। জামাতের সাথে একই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন আর বলবেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করবেন এটা সারা জাতির সাথে চরম রশিকতা। যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো তাদেরকে বুকে টেনে নিয়ে আপনি বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যান শ্রদ্ধা জানাতে-এটা সহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি চরম অবমাননা। তাই অনেকে মন্তব্য করছেন কামাল হোসেন সাহেব বয়োভারে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছন। তাই সাবধান হয়ে যান। জনগন আওয়ামীলীগ, উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এক হয়ে গেছে। একাত্তরের মত আবার জেগে উঠেছে জাতি। রাজাকার, দালাল ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর আবারো এই দেশের মানুষ বিজয় ছিনিয়ে এনে উন্নয়ন আর অগ্রগতির ধারাকে অব্যহত রেখে সোনার বাংলা কায়েম করবে।

 

কামাল-মান্নারা কি আওয়ামীলীগের বি টিম হিসাবে কাজ করছে

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ডঃ কামাল হোসেন গংদের তৎপরতা নিয়ে রাজনীতিক বিশ্লেষকরা এর রহস্য ভেদে নানা ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে ঘিরে এই চক্রের তৎপরতা মানুষ সন্দেহের চোখে দেখছে। এই চক্রের কুটকৌশলে আটকা পড়েছে বিএনপি। কামাল-মান্না গংরা সারাদেশ ব্যপী বিএনপির বিশাল অস্তিত্বকে ম্লান করে দিয়ে দাবার চালে বন্ধি করেছে বিএনপিকে।

তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে ১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে থেকেই  আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিল। কিন্তু শেষ অবধি সুপ্রিম কোর্ট ও সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে বিধান ছিল তা বাতিল হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও বিএনপি-জামাতসহ সমমনা দলগুলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃ বহালের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে ও ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বয়কট ও নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষনা দেয়। কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিরোধী দলের অংশ গ্রহন ছাড়াই সেই নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে আওয়ামীলীগ জয়লাভ করে ও সরকার গঠন করে। তবে এই নির্বাচন সাংবিধানিক হলেও এর গ্রহন যোগ্যতা নিয়ে সর্ব মহলে প্রশ্ন ছিল। অপরদিকে নির্বাচন বৈধ ও আইন সম্মত ছিল। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ঐ নির্বাচন নিয়ে খুশি না হলেও স্বীকৃতি দেয়। এর পর থেকে বিএনপি আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃ বহালের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যায়।

অবশেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় চলে আসলে আবারো ত্তত্ববধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন যাবে না বলে ঘোষনা দিয়ে আসছিল বিএনপি। গত দশ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে সর্ব ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন দেশ বিদেশে বেশ প্রসংশা পেয়েছে। দেশের মানুষের উন্নয়নে আওয়ামীলীগের নিরলস প্রচেষ্ঠায় দেশের মানুষও বেশ খুশি। ফলে বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আবার ক্ষমতায় আসবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি বিএনপি নেতৃত্বও জানে। তাই তারা একাদশ জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাবার ঘোষনা দিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাবার পথের সন্ধানে ছিল।

এর মধ্য কামাল হোসেন ও মান্না গংদের মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরন শুরু হয়। এই মেরু করনের অংশ হিসাবে প্রথমে মান্না গঠন করেন নাগরিক ঐক্য নামের রাজনৈতিক সংগঠন। এর পরে কামাল মান্না রবরা মিলে গঠন করেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট। অপরদিকে এর আগেই বি চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠন হয়েছিল যুক্তফ্রন্ট। শুরু হয় নীতিহীন রাজনীতির নানা পর্ব। কামাল মান্নারা এক সময়ে বিএনপি নামক বিশাল দলটিকে গ্রাস করেন ঐক্য ফ্রন্টের সুগন্ধির মাধ্যমে। আর বিএনপিও বিলীন হয়ে যায় আওয়ামীলীগের এই সাবেক নেতাদের কুটচালে। বিএনপি মনে করেছিল তারা একাদশ নির্বাচন বানচালের জন্য যাকে পাবেন তার সাথেই মিশে যাবেন। কিন্তু কামাল হোসেন ও মান্না গংদের উদ্দেশ্য তো অন্য কিছু হতে পারে তা বিএনপি বুঝতে পারেনি।

ফলে কামাল হোসেনের প্রথম চালেই কপোকাত হয়ে যায় বিএনপি। কামাল হোসেনের নব গঠিত জাতীয় ঐক্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয় আলাপ আলোচনার জন্য। প্রধানমন্ত্রীও কামাল হোসেনের আলোচনার প্রস্তাব লুফে নিয়ে সংবিধান সম্মত সকল ধরনের আলোচনায় সম্মত হয় ও আলোচনা পর্বটি শুরু করে। এই আলোচনার মাধ্যমে বিএনপির অজান্তেই নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী হয়। যেখান থেকে বিএনপির আর ফিরে যাবার পথ নাই। নির্বাচনের ট্রেন এখন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। সকল দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দেশে বিদেশে এই নির্বাচন নিয়ে ব্যপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা কামাল হোসেন গংরা অনুঘটকের মতো কাজ করে নির্বাচনে সকল দলের অংশ গ্রহন নিশ্চিত করেছেন। ফলে সরকার অংশ গ্রহনমূলক নির্বাচন নিয়ে বেশ স্বস্তিতেই আছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা মনে করেন কামাল মান্না গং আওয়ামীলীগের বি টিম হিসাবেই কাজ করেছে।

রাজনীতিতে চলছে পরকিয়া প্রেম যার ফলাফল শুভ নয়

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে পরকিয়া প্রেম। যা দেশ এবং রাজনীতির জন্য শুভ লক্ষন নয়। পরকিয়া প্রেম মানেই হল এক ধরনের অবৈধ প্রেম, একজনের স্ত্রীর সাথে অন্য আরেক পুরুষের অবৈধ প্রেম, একজনের স্বামীর সাথে অন্য আরেকজন নারীর অবৈধ প্রেম যা আমাদের ইসলাম ধর্ম, এমন কি অন্যান্য ধর্মও স্বীকৃতি দেয় না। এ ধরনের প্রেমকে আমাদের সমাজ অবৈধ প্রেম হিসাবেই মনে করে আসছে যুগযুগ ধরে।

আমাদের দেশের রাজনীতিতেও চলছে নিলজ্জভাবে পরকিয়া প্রেম। দিনের বেলা তুমি যার ছিলে রাতের বেলা হয়ে গেলে তুমি অন্যের, দীর্ঘদিন যাবৎ তুমি যার সাথে সংসার করলে রাতের বেলা তাকে ছেড়ে তুমি চলে গেলে অন্যের ঘরে। কিন্তু তোমার এহেন কর্মকাণ্ডকে আমাদের সমাজ ঘৃনার চোখেই দেখে। তোমার লজ্জা নাই বিধায় তুমি এতে রোমাঞ্চ খোজে পাও। তোমার বিবেক নাই বলে তুমি তাকে খারাপ কিছু মনে কর না। লোভ লালসায় আর কামনা বাসনায় তুমি সবকিছু ভুলে গেছো।

বিএনপির সাথে পরকিয়া প্রেম করে কামাল হোসেন ও তার দল অবশেষে বিএনপির সাথে জোট গঠন করল। আবার কামাল হোসেনের প্রেমে মুগ্ধ হয়ে রব মান্নারা যোগ দিলেন কামালের সাথে। আবার কামাল হোসেন বিলীন হয়ে গেলেন বিএনপিতে। এ সব কিছুই অবৈধ প্রেমের ফসল। এই সবের ফলাফল হিসাবে যা আসবে তা অবৈধ সন্তানের মতই হবে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে অবৈধ প্রেমের মহা উৎসব। আওয়ামীলীগের গোলাম মাওলা রনি গতকাল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। তিনি এতোদিন আওয়ামীলীগের ঘরে বসবাস করে বিএনপির সাথে  পরকিয়া প্রেম করে আসছিলেন। অবশেষে প্রেমের টানে আওয়ামীলীগকে ছেড়ে বিএনপিতে চলে গেলেন। তবে সুচতর গোলাম মাওলা রনি যৌতুক হিসাবে ধানের শীষের টিকিট ভাগিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের অবৈধ প্রেম জাতির জন্য অশনি সংকেত।

আওয়ামীলীগের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ গনফোরামের সাথে পরকিয়া প্রেম করে গন ফোরামে যোগ দিয়েছেন। এতদিন আওয়ামীলীগের সাথে ঘর সংসার করেও প্রেমের টানে তিনি গন ফোরামে চলে গেলেন, আওয়ামীলীগের কি হবে তা তিনি ভাবলেন না। অধ্যাপক আবু সাইয়িদও বিচক্ষন ব্যক্তি, কম খেলতে জানেন না তিনি। গোলাম মাওলা রনির মত তিনি গন ফোরামের ঘরে যাবার আগে যৌতুক হিসাবে গন ফোরামের টিকিট ভাগিয়ে নিয়েছেন। টিকিট পেয়েই তিনি পাবনায় হানিমুনে চলে গেছেন।

আবার বিএনপি থেকেও অনেকে প্রেমের টানে নিজ ঘর ছেড়ে অন্য দল কিংবা জোটে যোগ দিচ্ছেন কিংবা অবৈধ প্রেমে কিংবা পরকিয়া প্রেমে মত্ত আছেন। এই সমস্ত পরকিয়া প্রেমিকদের যদি জাতি সমাজ থেকে বিচ্যুত না করে তাহলে আগামী দিনে দেশে অশনি সংকেত নেমে আসবে। দেশের প্রধান দুই দল-আওয়ামীলীগ ও বিএনপির উচিত এই সমস্ত অবৈধ কিংবা পরকিয়া প্রেমিকদের নিজেদের দলে আশ্রয় না দেওয়া। বিভিন্ন দল থেকে পরত্যক্ত নীতি নৈতিকা বিবর্জিত এসমস্ত দল ছুট নেতাদের কাছে জাতি কিছু আশা করে না।

 

নরসিংদীর রায়পুরায় কে পাচ্ছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

সারা দেশের মত নরসিংদীর রায়পুরাও নির্বাচনী জ্বরে কাপছে। জটিল আকার ধারন করেছে রায়পুরার মনোনয়ন নিয়ে সমীকরণ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে পাচ্ছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন? গত এক বছর ধরেই চলছে এর চুলছেড়া বিশ্লেষন। আসলে কেউই বলতে পারছে না কে নৌকার মনোনয়ন পাবেন।

বর্তমান এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদের বয়স এবং শারীরিক সক্ষমতার কারনেই এই জটিল অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। অনেকে মনে করতেন হয়ত তিনি আর নির্বাচন করবেন না। ফলে তার স্থান পুরন করতে একাধিক প্রার্থী এবার নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। কিন্তু রাজিউদ্দিন আহমেদ অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচন করবেন। তিনি ৫ বার বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ উপজেলা রায়পুরার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ৯৬-২০০১, ২০০১-২০০৬, ২০০৮-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৮(চলমান) মিয়াদে তিনি রায়পুরার সর্বত্র ব্যপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। রায়পুরার ভৌত অবকাঠামো বিশেষ করে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন রকমের সরকারি স্থাপনাসহ আরো অনেক ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে রায়পুরার চর এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি ব্যপক ভুমিকা রেখেছেন।

আর এই জন্য আওয়ামীলীগের বাইরেও তার ব্যপক জনসমর্থন রয়েছে। রায়পুরার কিছু কিছু ইউনিয়নে তিনি একচেটিয়া ভোট পান। তাই দলের তৃনমূল চাচ্ছে তিনিই মনোনয়ন পান। আর তিনি মনোনয়ন পেলে ব্যপক ভোটে জয়লাভ করবেন বলে তৃনমুল আওয়ামীলীগসহ রায়পুরার অধিকাংশ ভোটাররা মনে করেন। তবে আরো কয়েকজন প্রার্থী আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন। এদের মধ্য কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ অন্যতম। অপরদিকে রাজিউদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই সালাউদ্দিনও এবার প্রার্থী হয়েছেন।

সালাউদ্দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও ভাই রাজিউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে তিনি ব্যপক ভুমিকা রেখেছেন। আওয়ামীলীগের তৃনমূলের সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক। অপর প্রার্থী আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার। আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক। এ ছাড়া আরো একজন প্রার্থী রয়েছেন ব্যারিস্টার তওফিক আহমেদ। তবে তিনি শক্তিশালী প্রার্থী নন। সেনা শাসিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তার বিতর্কিত ভুমিকা রয়েছে।

আসলে আওয়ামীলীগের মুল মনোনয়ন প্রার্থী ৪ জনকে ধরা যায়। এরা হলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ, হারুন অর রশিদ, সালাউদ্দিন আহমেদ ও রিয়াজুল কবির কাওছার। আসুন দেখা যাক কার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী—-

আওয়ামীলীগের তৃনমুল ও সাধারন ভোটাররা মনে করেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। তিনি মনোনয়ন পেলেই রায়পুরার আসনটি নিশ্চিত জিতা যাবে। সারা রায়পুরায় তার প্রস্তুত করা ভোট ক্ষেত্র রয়েছে। অপরদিকে হারুন অর রশিদও শক্তিশালী প্রার্থী। তিনি হয়ত আওয়ামীলীগের সকল ভোট পাবেন। কিন্তু সাধারন মানুষের ভোট হয়ত তিনি খুব বেশী পাবেন না। এ ছাড়া নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করবেন কি না সেটি নির্বাচনের পরে বুঝা যাবে।

আরেক প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ বড় ভাইয়ের নির্বাচনের সুবাধে গত ১৯৯০ সাল থেকে চষে বেড়িয়েছেন রায়পুরার প্রতিটি এলাকায়। ভোটার ও দলীয় তৃনমূলের সাথে তার যোগাযোগ অনেকদিন থেকেই আছে। যদি রাজিউদ্দিন আহমেদ কোন কারনে নমিনেশন না পান কিংবা না নেন তাহলে হয়ত তিনি ভাই সালাউদ্দিনকেই তার বিকল্প মনে করবেন। কারন কেন্দ্র তখন তার মতামত নিয়েই নমিনেশন প্রদান করবে। আর এ ক্ষেত্রে রাজিউদ্দিনও তার ভাইয়ের জন্য আন্তরিকভাবে ভোট চাইবেন। সেই ক্ষেত্রে রাজু নির্বাচন করলে যে ভোট পাবেন সালাউদ্দিনও হয়ত সে রকম ভোটই পাবেন।

আরেক শক্তিশালী প্রার্থী কাওছার। কেন্দ্রে রয়েছে তার ভাল যোগাযোগ। গত দশ বছরে রায়পুরায় আওয়ামীলীগের যে সমস্ত নেতা কর্মীরা আশানুরুপ পদ কিংবা সুবিদা পাননি কিংবা কোন না কোনভাবে রাজিউদ্দিন কর্তৃক তিরস্কিত হয়েছেন তারাই আছেন মুলত কাওছারের মনোনয়নের পক্ষে। তাকে মনোনয়ন দিলে জিতবে কি হারবে তা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত না। ফলে সমস্ত দিক বিবেচনা করলে রাজিউদ্দিন আহমেদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। আর আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডও হয়ত রায়পুরার এই আসনটি হাতছাড়া করতে চাইবে না।

কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট কি নির্বাচন বানচালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক উত্তাপ আর উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলির সফল সংলাপের মাধ্যমে। ঐক্য ফ্রন্টসহ অন্যান্য জোট ও রাজনৈতিক দলের সাথে প্রধানমন্ত্রীর এই সফল সংলাপ দেশব্যপী মানুষ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। ইতিমধ্যই নির্বাচনী ট্রেন সকল দলের যাত্রী নিয়ে চলতে শুরু করেছে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ সকল দল দলীয় মনোনয়ন ফর্ম বিতরন করে যাচ্ছেন অভিরাম। আর সারা দেশে বইছে নির্বাচনী বাতাস।

ফাইল ফটো

কিন্তু নির্বাচনের এই পরিবেশটাকে মাঝে মধ্যই মনে হচ্ছে ব্যহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে কোন কোন মহল থেকে। এরই মধ্য ঐক্য ফ্রন্টসহ কয়েকটি দল নির্বাচন পিছানোর দাবি জানালে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহনের দিন ৭ দিন পিছিয়ে দিয়া ৩০শে ডিসেম্বর নির্ধারণ করে। আজ আবার ঐক্য ফ্রন্ট মতিঝিলে কামাল হোসেনের চেম্বারে এক সভা করে। সেই সভায় কামাল হোসেনসহ ঐক্য ফ্রন্টের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ঐক্য ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান তারা বুধবার নির্বাচন কমিশনে যাবেন আবার ভোট পিছানোর দাবি নিয়ে।

ফাইল ফটো

সকল দলের সাথে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষনা করেছে। দাবির মুখে আবার নির্বাচন ৭দিন পিছিয়েও দিয়েছে। এখন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সরকার ভোট চুরির জন্য ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করিয়েছে। কারন এই সময় বিদেশী পর্যটকরা ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন পালনের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে পারবে না। কাজেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে।

এ কেমন কথা? স্বাধীন দেশের নির্বাচন বিদেশী পর্যবেক্ষকদের জন্য পিছিয়ে দিতে হবে কেন? আমরা কি বিদেশীদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করছি নাকি? এটা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য অত্যান্ত লজ্জাজনক কথা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত সময় নিয়ে বার বার ব্যাখ্যা করেছে। তারপরও একতরফাভাবে নির্বাচন আবারো পিছানোর দাবি ভাল ইঙ্গিত বহন করে না। এর আড়ালে হয়ত অন্য কোন মতলব থাকতে পারে যা জাতিকে পিছনের দিকে ঠেলে নিবে।

বিএনপির সর্বাঙ্গে ব্যথা, সংলাপ গিলতেও পারছে না ফেলতেও পারছেনা

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

অত্যান্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজ বিএনপি সংলাপে হাজির হবে ঐক্য ফ্রন্টের সাথে। ভোটের হিসাবে ঐক্য ফ্রন্টে বিএনপির ৯৫% ভোটার রয়েছে। কিন্তু এই ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামীলীগ থেকে দুই যুগ আগে চলে যাওয়া ডঃ কামাল হোসেন। অথচ ভোটের হিসাবে কামাল হোসেনের গন ফোরামের ১% ভোটও নাই। এই বিষয়টি নিয়ে তৃনমূল বিএনপিতে চাপা ক্ষোভ চলছে। ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফা নিয়ে জোটের ভিতরে নানা গুঞ্জন চলছে।

কামাল হোসেনের লক্ষ্যে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়। অপরদিকে বিএনপির মূল লক্ষ্যে হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যগ। এই নিয়ে ঐক্য ফ্রন্টে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। কামাল হোসেন এক জনসভায় বলে দিয়েছেন, দলের স্বার্থের থেকে দেশের স্বার্থ এখন বড়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মত একটা বড় দলের কামাল হোসেনে বিলীন ঠিক হয়নি। বিএনপি জেনে শুনেই এই বিষ পান করেছে। এই বিষয়গুলিকে বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা ভালভাবে নিচ্ছে না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলার রায়ে বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছর সাজা হয়েছে। তারেক রহমানেরও ১০ বছর সাজা হয়েছে। চলতি বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারী জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষনার কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়া বিধিবহির্ভূতভাবে দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে কারাদন্ডপ্রাপ্তদেরও দলীয় উচ্চ পদে রাখার বিধান করে গেছেন। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে এটি অবৈধ।

১০ই অক্টোবর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। রায়ে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রমানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। তারেক রহমান এখন লন্ডনে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২৯শে অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়েছে।

এরই মাঝে গতকাল জৈনিক মোজাম্মেল হোসেনের হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপেক্ষিত‌ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহন না করতে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমান কেহই আর দলীয় উচ্চ পদে থাকতে পারছেন না। এটি বিএনপির জন্য খুবই একটি জটিল বিষয়। ফলে এই সমস্ত বিষয় বুকে ধারন করেই ভাঙ্গা মন নিয়ে বিএনপিকে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সরকারের সাথে সংলাপে অংশ গ্রহন করতে হচ্ছে। তাদের মন এতই খারাপ যে তারা আজ প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজেও অংশ নিবেন না বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

৭ দফা না মানলে সংবিধান লংগনের দায়ে সরকারের কঠিন বিচার হবে-কামাল হোসেন

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

মানুষের বয়স একটি নিদিষ্ট সীমা পার হয়ে গেলে তার মেধা, মনন, চিন্তাশক্তি সবই নিন্মমুখী হয়। অর্থাৎ পঞ্চেন্দ্রিয়ের সবকটির ক্ষমতা লোভ পেতে থাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভায়ায় এটা মানব জাতির একটা স্বাভাবিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনটাকে দোষ দিচ্ছি না। আবার বুড়া বয়সের ভীমরতি ধরার প্রবাদ বাক্য আমরা অনেকেই শুনেছি।

সাম্প্রতিককালে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে ও ঘটতে যাচ্ছে যা উপরের বক্তব্যের যথার্ততা প্রমান করে। ডঃ কামাল হোসেনকে চিনে না বাংলাদেশে এমন কোন সাবালক পাওয়া যাবে না। আবার সবাই জানে কামাল হোসেন এদেশের একজন মস্ত বড় আইনজীবী। বাংলাদেশের সংবিধান তিনিই রচনা করেছিলেন। তাহার নেতৃত্বেই সংবিধান রচনা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে কারো কোন রকম দ্বিমত নাই।

গতকাল চট্রগ্রামে জাতীয় ঐক্য মঞ্চের জনসভায় কামাল হোসেন সরকারকে তাদের ৭ দফা মেনে নিতে বলেছেন। অন্যথায় সংবিধান লংগনের দ্বায়ে সরকারের কঠিন বিচার করবেন তিনি। ৭ দফা হল নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক করতে সরকারের কাছে ঐক্য মঞ্চের কিছু দাবি। সরকার এই দাবিগুলি বিবেচনায় নিয়ে মানতেও পারেন আবার নাও মানতে পারেন। এখানে দাবি মানা না মানার সাথে সংবিধান লংগনের বিষয়টি কিভাবে আসে সংবিধান প্রনেতার মুখে এটা মোটেও বোদগম্য না। বরং কামাল হোসেন যে বলছেন, ৭ দফা দাবি না মানলে সরকারের বিচার করবেন এটাই হল চরম সংবিধান লংগন।

শেষ বয়সে এসে মইনুল হোসেন নারীর সাথে বৎসায় জড়িয়ে জেল খাটছেন। মইনুল হোসেনের এমন আচরন বয়সের কারনেই হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আবার অনেকে মনে করেন এরা প্রচন্ড জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও জীবন ধরে এদেশ ও মানুষের সাথে বৈমানী করেছেন। তাই তার প্রায়শ্চিত্যের জন্য উনারা এমন এমন ঘটনাই ঘটাবেন যাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় কিংবা জেল খাটতে হয় বুড়া বয়সে। নিজের অজান্তেই তারা এমনটি ঘটিয়ে যাবেন।

ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন মস্ত বড় ডাক্তার। তিনি রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাও বটে। তিনিও শেষ বয়সে এসে এমন সব উদ্ভট খবর আবিস্কার করলেন যে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করলেন তাও আবার প্রকাশ্যে টিভি টকশোতে। পরে আবার তার এই মিথ্যা সংবাদের জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে এই ক্ষমা চাওয়ার মাঝেও ছিল ছল ছাতুরী। অবশেষে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হল। মামলার তদন্ত কাজও এগিয়ে চলেছে, হয়ত তার এই মিথ্যা বক্তব্যের জন্য তাকে জেলও খাটতে হতে পারে। তিনিও হয়ত মহাজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও জাতির সাথে বৈমানী করেছেন ও জাতিকে নানাভাবে ঠকিয়েছেন। আর জীবদশায় তার প্রায়শ্চিত্যের জন্যই হয়ত উনি এমন কথা বলে মামলা খেয়েছেন। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারনে তারও মামলায় সাজা হতে পারে।

ডঃ কামাল হোসেনের বেলায়ও একই বক্তব্য খাটে। সারাজীবন বৈমানী করেছেন, জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, আমিরিকার দালালী করেছেন- এই সবের কারনে বেআইনী কথা বার্তা বলে মামলা খাবেন, জেলে যাবেন নিজের প্রনীত সংবিধান লংগনের দায়ে। অচিরেই হয়ত এমনটি দেখা যেতে পারে বাস্তবে।

নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে জাফরুল্লাহ সাহেবদের গুজব ছড়ানোর প্রবনতা ততই বাড়বে

মতামত ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

নির্বাচনের আর বেশী দিন  বাকি নাই। এ মাসের শেষ কিংবা নভেম্বরের শুরুতে হয়ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হতে পারে। তাই এই নির্বাচনকে নিয়ে নানামুখী তৎপরতা ও অপতৎপরতা ইতিমধ্যই শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে নানামুখী মেরুকরন। আর এই রাজনৈতিক মেরুকরনের মুলে রয়েছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক কিছু দল ও জোট। আর এদের মধ্য তথাকথিত বিএনপি ঘরনার সুশীল সমাজের কিছু মানুষও আছেন।

কতিপয় পরিত্যক্ত নেতার নেতৃত্বে গড়ে উঠছে নানা নামে নানা জোট। যারা নির্বাচনে জামানত হারান তারাও অশুভ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে উঠে পড়ে লেগেছেন। সাবেক এক সামরিক সরকারের মন্ত্রী জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন। উনি কি সামরিক শাসনের গনতন্ত্রের কথা বলছেন? উনিই হয়ত এর ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উনি ও উনার মত আরও কয়েকজন নেতা জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সেদিন সময় টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহম্মেদের নামে অসত্য তথ্য দিয়েছেন।

উনি যেসব তথ্য দিয়েছেন তা সকলই চরম মিথ্যা। তার এই মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য আইএসপিআর থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তিনি কেনো সেনাবাহিনীকে নিয়ে কিংবা এর প্রধানকে নিয়ে অসত্য তথ্য ছড়াতে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন? এটা ভেবে দেখার যথেষ্ট কারন রয়েছে। জনাব জাফরুল্লাহ স্বীকার করেছেন তিনি সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এই জন্য তিনি সেনা প্রধানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এর অর্থ হলো নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে এরকম ভুল তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর কাজটিও ততই বাড়তে থাকবে। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে আমাদের দেশের মানুষ গুজবে কান দেয় অতি বেশী মাত্রায়। যেমন সম্প্রতি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে গুজব কিভাবে ছড়ায়। তবে মিথ্যা তথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে জনগনকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

ধানের শীষ বনাম ধানের ছড়া বিতর্ক

মতামত ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

ধান ক্ষেত ও ধানের শীষ নিয়ে কবি সাহিত্যিকরা অনেক কবিতা ও গল্প লিখেছেন। তারা নানাভাবে কবিতা আর ছন্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন ধানের শীষের সৌন্দর্য ও পরশতাকে। কিন্তু উধুনা ধানের শীষ তার আপন নাম ও বৈশিষ্টকে হারাতে বসেছে ধানের ছড়ার প্রভাবে। আসুন একটু বিস্তারিত ব্যখ্যা করি বিষয়টিকে।

ধানের শীষ

পচাত্তোরের পট পরিবর্তনের পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় থেকে তিনি বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি গঠন করেন। আর দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে বেছে নেন ধানের ছড়াকে। কিন্তু ধানের ছড়াকে তিনি সচেতনভাবে হউক আর অসচেতনভাবেই হউক ধানের শীষ নাম দিয়ে দিলেন। আর সেই থেকে ধানের ছড়া হয়ে গেল ধানের শীষ। আর ধানের শীষ হাইজ্যাক হয়ে গেল।

ধানের ছড়া

ধানের মুকুল থেকে যখন সবে সবুজ ধান বেড় হয় তখন তাকে ধানের শীষ বলে। এই অবস্থায় ধানে কান্ডের মাথায় মুকুল থেকে পাতা পরিবেষ্ঠিত ধানের শীষটি সবেমাত্র বেড় হয়। অপরদিকে ধানের শীষ যখন কিছুদিনের মাথায় পুষ্ট ধানের আকার ধারন করে ও পাকে তখন তাকে ধানের ছড়া বলে। ধানের ছড়াকে ধানের ছড়া বলাই উচিত। বিএনপি তার নির্বাচনী প্রতীকে ধানের ছড়া দিয়ে এটিকে ধানের শীষ বলছে। এই বিভ্রান্তির অবসান হওয়া উচিত।

মির্জা ফখরুলের নিউইয়র্ক মিশন কি ব্যর্থ হয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কুটনৈতিক মিশনে নিউইয়র্ক সফর করে গিয়েছিলেন। তার এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা চলছে। সফর সফল নাকি ব্যর্থ হয়েছে এই নিয়ে সচেতন মহলে নানা রকম হিসাব নিকাশ চলছে।

হঠাৎ করেই বিএনপি মহাসচিব নিউইয়র্ক সফরে যান। সাথে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিদ আওয়াল। যাবার সময় মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রনে তিনি নিউইয়র্ক সফরে যাচ্ছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিবের সাথে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে তিনি বিশদ আলোচনা করবেন। বিএনপি থেকেও বলা হল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে বৈঠক করতে নিউইয়র্ক গেছেন। পরে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, জাতিসংঘ মহাসচিব তাকে আমন্ত্রন জানান নি। তিনি স্বেচ্ছায় জাতিসংঘে গেছেন। জাতিসংঘের কেউ তাকে আমন্ত্রন জানায়নি।জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্ডারে থাকে ১৯ জন আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল। প্রত্যেক আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেলের আন্ডারে থাকে বহুসংখ্যক সহকারী মহাসচিব। মিঃ ফখরুল এমনই একজন সহকারী মহাসচিবের সাথে সাক্ষাৎ করে নানা অভিযোগ করে এসেছেন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের এই সহকারী মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নানা অভিযোগ সচিত্র ও ভিডিওসহ শুনেছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুলকে এই বিষয়ে প্রতিকারের কোন আশ্বাস দেননি। মির্জা ফখরুল সহকারী মহাসচিবকে বাংলাদেশ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও নির্বাচনে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বলেছেন। জবাবে এই সহকারী মহাসচিব জানিয়েছেন, কোন দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করেন না ও নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। আর এই বৈঠকটির ও ব্যবস্থা করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের দুটি লবিস্ট কোম্পানী। অনেক টাকা খরচ করে বিএনপি এই লবিস্ট নিয়োগ করেছে। নির্বাচন পর্যন্ত এই লবিস্ট কোম্পানী দুটি বিএনপির পক্ষে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে লবিং করবেন বিএনপির পক্ষে।

৫ দিনের নিউইয়র্ক ও লন্ডন সফর শেষে মির্জা ফখরুল দেশে ফিরে এসেছেন। দেশে ফিরে তিনি অনেকটা চুপচাপই সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রনেই তিনি জাতিসংঘে গেছেন। কিন্তু এ নিয়ে জনমনে ইতিমধ্যই নানা রকম সন্দেহ দেখা দিয়েছে। যদি তিনি মহাসচিবের আমন্ত্রনেই জাতিসংঘে যেতেন তাহলে তো সেই আমন্ত্রন পত্রটি মিডিয়াকে দেখিয়া বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করছেন না, তাতে আপাতত ধরে নেওয়া যায়, মির্জা ফখরুল সঠিক কথা বলছেন না। এছাড়া ২০১৫ সালে জ্বালাও-পুড়াও চলার সময় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের সাথে খালেদা জিয়ার টেলিফোন আলাপের দাবি করা হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে যা পরে মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে। ৬ জন কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে। তাও জালিয়াতি বলে প্রমানিত হয়েছে। যার ফলে বলা যায়-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতিসংঘ সফর ব্যর্থ হয়েছে ও দল হিসাবে বিএনপির নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

1 2 3 4 5