পাপাচার, অনাচার, অত্যাচারে ভারসাম্যহীন ধরনীতে ভারসাম্য আনতেই করোনা ভাইরাসের আগমন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ


সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের কারনে। সািশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২১৯৩৪৫ জন, এর মধ্য মৃত্যু বরন করেছে ৮৯৬৯ জন, চিকিৎসাধীন আছেন ১২৪৬৩১ জন। প্রতি ক্ষনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ইতিমধ্য ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বাংলাদেশেও এই পর্যন্ত ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। এর মধ্য গতকাল ১ জন ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মারা গেছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রিয় স্বদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। শুনেছি তার দাফন-কাপন চিরাচরিতভাবে হবে না। ভাবতেই খারাপ লাগছে কেননা তারও স্বজনরা রয়েছেন, এই অবস্থার পরিপেক্ষিতে না জানি তাদের কি অবস্থা হয়েছে। অত্যান্ত ঘন বসতির একটি দেশ বাংলাদেশ, এই ভাইরাসের ছোবলে মহামারি আকার ধারন করতে পারে প্রিয় এই মাতৃভূমি।


এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। তাই যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে তা সন্তুসজনক নয় ও তা কাজেও আসছে না। বিশ্বের বড় বড় মহা উন্নত দেশগুলোও এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে পারছে না। বরং উন্নত দেশ চীনেই এর উৎপত্তি। চীনে প্রায় ৩৫০০ মানুষ মারা গেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। চীনের পর অতি উন্নত দেশ ইতালীতে এখন মহামারি আকার ধারন করেছে এই ভাইরাসের আক্রমনে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারের ওপরে। বড় বড় চিকিৎসকরা অতি উন্নত ও দামি ঔষধ দিয়েও এই ভাইরাসকে পরাস্ত করতে পারছেন না। গোটা ইউরোপে এই ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করেছে। এতো শক্তিশালী ও অতি উন্নত প্রবল পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসের হানায় মারা গেছে ১৫০ জনের বেশী। তারা পারলো না এই ভাইরাসকে পরাস্ত করতে। তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে এই ভাইরাস কোথা থেকে আসলো, কেই বা এর কারিগর। কেনই বা এই ভাইরাস এই সময়ে হানা দিল। আর এই প্রশ্নের মধ্যই এর রহস্য লোকায়িত। আসুন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।

পৃথীবিতে চলছে এখন আদিম যুগের মত অনাচার। দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব নেতারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলিকে নিয়ে রক্তের হুলি খেলছেন। কোন অবস্থায়ই এই হোলি খেলা বন্ধ হচ্ছে না। দুর্বল দেশগুলিকে শাসন ও করায়ত্ত করে রাখার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছেন। কেউ তাদের ক্ষমতাকে ধমিয়ে রাখতে পারছে না। আমেরিকা, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স ও রাশিয়া সারাবিশ্বকে করায়ত্ত্ব করে রেখেছে। এরা মিলে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনসহ অনেক মুসলিম দেশকে ধংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে গেছে। প্রতিদিনই এখানে হোলি খেলা চলছে রক্ত দিয়ে। কিভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা তা প্রত্যক্ষ করেছে সারাবিশ্ব। বৃহৎ শক্তিগুলির ইন্দনেই এই হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে ওই বৃহৎ শক্তিগুলির কুটচালে। সারাবিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা অশান্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন শয়তানের মত বুদ্ধি দিয়ে। সারা বিশ্বের অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলিকে তারা কৌশলে পরাধীন করে রেখেছে। কোন কিছু দিয়েই বিশ্ব নেতাদের ধমানো যাচ্ছিল না। সারা পৃথিবী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে যা মানুষের পক্ষে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অথবা মানুষের সেই ইচ্ছাও নেই।
ঘরে বাইরে চলছে নানা অনাচার, পৃথীবির অধিকাংশ মানুষ আজ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু ভাবে না। জীনা, হারাম কাজ, ঘোষ, খুন, রাহাজানি এই সব নিয়েই মানুষ এখন বেশী ব্যস্ত। এমনকি টাকার লোভে কুটচালে পড়ে মানুষ নিজের সন্তানকেও হত্যা করছে। এমনই নানা অনাচারে পৃথিবী যখন তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তখনই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নানা বালামশিবত আসে। এই করোনা ভাইরাসের আক্রমন হয়ত তেমনই কোন ইশারায় হতে পারে যাতে করে মানুষ বুঝতে পারে ও পাপাচার কমিয়ে দেয়, পৃথিবী কিছুটা ভারসাম্য ফিরে পায়।
মুসলমানদের ঈমান কোন পর্যায়ে চলে গেছে যে আমরা করোনা ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছি। আবার কোথাও মসজিদের মাইকে আজানের মাধ্যমেই বলা হয় আপনারা বাসায় নামাজ পড়ুন। ঈমান সাহেব থেকে মুসল্লি সকলেই আমরা দুর্বল ঈমান ধারন করি নচেৎ্‌ ঈমাম সাহেব কেন সাহস যোগাতে পারলেন না, বলতে পারলেন না তোমরা মসজিদে আস, নামাজ কায়েম কর।
আর এসব কিছু খেয়াল করলে দেখা যাবে এই অবস্থায় করোনা ভাইরাসের হস্তক্ষেপ হয়ত বা মহান আল্লাহ তাআলার ইশারায়ই হয়েছে। এতে করে মানুষ হয়তবা নিজেকে অতিশক্তিশালী কিংবা প্রবল পরাক্রমশালী ভাবা একটু কমিয়ে দিবে। এতে পৃথিবী হয়ত একটু ভারসাম্য ফিরে পাবে।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন বিশ্ব সম্রাট ট্রাম্প সপ্তাহ ধরে জনসম্মুখে আসছেন না আর গাড় তেরা করে কোন দেশকে শাসাচ্ছেনও না। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন,করোনার ভয়ে বৃটেনের রানী রাজাসহ রাজপ্রাসাদ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বড় বড় দেশের বড় বড় বিশ্ব নেতাদের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন কিংবা এই সমস্ত দেশে যুদ্ধ বিস্তারে আপাতত তারা ক্ষান্ত। এখন পৃথিবীতে কিছুটা ভারসাম্য ফিরে এসেছে বলে মনে হয়। মানুষের মধ্য ভয় ঢুকেছে, পাপাচারও অনেকটা কমে গেছে। পাপে ডুবে আছে পুরা পৃথিবী তাই মনে হয় যথাযত সময়েই করোনা ভাইরাসের আগমন হয়েছে পাপাচারের মহৌষধ হিসাবে।
বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সকলদিক বিবেচনা করলে দেখা যায় এখানে ন্যয় নীতির কোন বালাই নাই, চারদিকে মানুষ ব্যস্ত লুটপাটে, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার বেড়েই চলেছে, সমাজ চালায় মন্দ লোকেরা, প্রকাশ্যে চলে মাদকের ব্যবসা, রক্ষকেরা হয়ে গেছে ভক্ষক, ভাল মানুষ সমাজে নিগৃহীত হচ্ছে। এইসবের লাগাম কোন অবস্থাতেই টানা যাচ্ছে না। এই সব নির্বিচারে চলতে পারে না অনিদৃষ্টকাল। তাই মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই হয়ত এই করোনা ভাইরাসের আক্রমন শুরু হয়েছে যাতে করে মানুষ যেন কিছুটা বুঝতে পারে মানুষের অমানুষিক, অমানবিক, অসামাজিক কিংবা সকল অনাচারকে রুখতেই এসেছে করোনা ভাইরাস। একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলাই পারেন এই ভাইরাসের আক্রমন থেকে মানুষকে বাঁচাতে ও এর প্রকোপ ঠেকাতে। তাই আসুন সকলেই এই ভাইরাসের আক্রমন থেকে বাঁচতে মহান রাব্বুল আলামীনের সাহায্য কামনা করি ও আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পথে চলি।

আবারও শৈত্য প্রবাহ আসছে, সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রা কমবে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

আবারো আসছে শৈত্য প্রবাহ। সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রা কমবে বলে আবহাওয়া সূত্র থেকে জানা গেছে। একটানা প্রায় এক মাস শীত চলার পর শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে শনি ও রবিবার শীতের তীব্রতা কমে আসে। তবে সোমবার থেকে আবার কমে দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রীতে নেমে আসতে পারে এবং যা মঙ্গলবার ১১ ডিগ্রীতে নেমে আসতে পারে। ফলে আরো কিছুদিন দেশে শীতের মোকাবেলা করতে হবে জনসাধারনকে।

ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে একনাগারে শীতের কবলে সারাদেশ। যা আরো কয়েকদিন অব্যহত থাকবে বলে আবহাওয়া সূত্র থেকে জানা গেছে। গত ১০/১৫ বছরের মধ্য দেশে এবারই শীত দীর্ঘ স্থায়ী হল। তেতুলিয়াসহ দেশের কিছু অঞ্চলে এবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

কুর্মিটুলায় ঢাবির ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা চলছে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

গত রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় রাজধানীর কুর্মিটুলা বাসস্ট্যান্ডের নিকটে ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। এই সময় মেয়েটি ঢাবির বাসে করে উক্ত বাসস্ট্যান্ডে নামলে এক ব্যক্তি মেয়েটির মুখ চেপে ধরে টেনে পিছনে একটি ছোট ঝুপড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটিকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই অবস্থায়ও মেয়েটির ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালায় ধর্ষক। রাত দশটায় জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি একটি সিএনজিতে করে ঢাবি হলে ফিরে বান্ধবীদের ঘটনা খুলে বলে। তারা মাঝ রাতে মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। ডাক্তারী পরীক্ষায় মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে মেডিকেল থেকে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনার কথা ঢাবিতে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ঘটনার দিন রাত আড়াইটায় ছাত্রলীগ প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল বেড় করে। রাত সাড়ে তিনটায় কোঠা আন্দোলনকারীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ক্যাম্পাসে মিছিল করে। রাত ৪টায় এক ছাত্র রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসে। সোমবার সারাদিনই ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলি মিছিল মিটিং ও প্রতিবাদ চালিয়ে যায় নানাভাবে। বামদের নেতৃত্বে একদল ছাত্র শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করে। ফলে ব্যস্ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনগুলি কয়েক ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকে। এই অবরোধের ফলে সোমবার কমপক্ষে ৫০ লক্ষ মানুষ রাজধানীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

সোমবার শাহবাগে অসুস্থ্য ঢাকসু ভিপিও চলে আসে ও সেখানে বক্তব্য প্রদান করে। অর্থাৎ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব জাহিরের নিয়মিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। গতকাল ঢাবি ক্যাম্পাসে এমন অবস্থা ছিল যে, ‘ ইস্যু পাইছি তোরা কে কোথায় আছত তারাতারি চলে আয়। এইবার সরকার কিংবা ছাত্রলীগকে কাবু করা যাবে’। সারাদিনই এই ঘটনায় ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ কিংবা বিশেষ কোন বাহিনীর হাত আছে কিনা তা বের করার চেষ্টা করা হয়। সরকার বিরোধীরা এই ঘটনাকে রাজনীতি করনের চেষ্টা অব্যহত রাখে।

সরকার, প্রশাসন ও ঢাবির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ঘোষনা দেওয়া হয়। ভিসিসহ প্রশাসনের কর্তারা ইতিমধ্য হাসপাতালে যেয়ে মেয়েটিকে দেখে এসেছেন। তা সত্বেও ঢাবির বিভিন্ন সংগঠন মঙ্গলবারও বাদ-প্রতিবাদ অব্যহত রাখে। একদল আবার নতুন করে অনশনেও বসেছে আজ, আবার কেউবা আলপনা অংকন করছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে। সবই মনে হয় প্রচার পাওয়ার জন্য। আমরা দেশের মানুষ যদি এতো ভাল হতাম তাহলে দেশে এতো খুন, ধর্ষণ, ঘোষ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ কেন এবং কারা এসব করে? প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকার ইয়াবা কারা বিক্রি ও সেবন করে? অপরাধ কিংবা ধর্ষণ হয় না এমন কোন দেশ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া যাবে কি? এই সমস্ত ঘটনার বিচারের দাবি ও প্রত্যাশা করা উচিত। তবে রাজনীতির মোড়কে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা মোটেও কাম্য নয়। প্রতিদিনই সারাদেশে কম বেশী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেগুলি নিয়ে আন্দোলন করা হয় না কেন? শুধু বিশেষ স্থানের কেউ ভিকটিম হলেই আন্দোলন হয় কেন?

নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এইটা প্রমান করার জন্যই নির্বাচনে যাওয়া-ফখরুল

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এইটা প্রমান করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি’। মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আলোচনাকালে ফখরুল এই কথা বলেন। এর আগে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না। তার এই কথার জবাবে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তা হলে বিএনপি দুই সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে কেন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের অনেকগুলি তাৎপর্য আছে। তার কথায় মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভের চেয়ে হারাটাই পছন্দ করছে এই সময়ে। জিতে গেলে প্রমান হবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে নিয়ে বিএনপি গতানুগতিক যে বক্তব্য দিয়ে আসছে তা মিথ্যা প্রমান হবে। আর হারলে বলা যাবে ভোট চুরি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিএনপি প্রার্থীকে হারানো হয়েছে। কাজেই এই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যগ চাই।

আওয়ামীলীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও আওয়ামীলীগের পরে বিএনপিই বড় রাজনৈতিক দল। একাদশ নির্বাচনের মত যদি বিএনপি নির্বাচনের দিন প্রতিকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না দেয় ও নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না তা যদি আগেই বলে দেয় তা হলে বিএনপির ভোটারগন কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে ফাকা কেন্দ্রে জাল ভোট কিংবা সিল মারার সুযোগ পেয়ে যাবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। কাজেই মনে হচ্ছে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হবে না।

নারীদেহ প্রদর্শনকারী উত্তেজক পোষাক উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতে হবে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

নারীদেহ প্রদর্শনকারী উত্তেজক পোষাক উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতে হবে। এমনই লেখা সম্বলিত ফেস্টুন দেখা গেছে কলকাতার শ্যামবাজারে। ফেস্টুন্টির নীচে লেখা আছে ‘বাঙ্গালী মহিলা সমাজ’। অর্থাৎ বাঙ্গালী মহিলা সমাজ নামের একটি গোষ্টী এই ফেস্টুনটির প্রচারক। এটি টানানো ও এর বক্তব্য নিয়ে পক্ষ বিপক্ষে চলছে নানা তর্কবিতর্ক।

বাঙ্গালী মহিলা সমাজের  বক্তব্য হচ্ছে, খোলামেলা ও উত্তেজক পোষাকের কারনেই আকৃষ্ট হয়ে ধর্ষণে বেশী জুকছে মানুষ। তাই এই পোষাক উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতে হবে। আবার এই পোষ্টার সরিয়ে ফেলতে আরেকটি গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের যুক্তি পোষাকের কারনে ধর্ষণ হয় না। ২ বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধাও ধর্ষণের শিকার হয়। তাই এই গ্রুপটি এই পোষ্টারটি খুলে ফেলতে চাচ্ছে। আর এই নিয়ে শ্যামবাজারসহ সারা কলাকাতায় চলছে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যপক বিতর্ক।

‘হৃদয়ে আমার ব্রাহ্মন্দী কে কে এম গভঃ হাইস্কুল’ ফেসবুক গ্রুপের ব্যতিক্রমধর্মী সেবা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

ফেসবুক নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন আছে। এর ভাল ও খারাপ দুটি দিকই আছে। তবে এই ফেসবুককে যে ভাল কাজে ব্যবহার করা যায় তা প্রমান করেছে ‘হৃদয়ে আমার ব্রাহ্মন্দী কে কে এম গভঃ হাইস্কুল’ নামক ফেসবুক গ্রুপটি। অত্র স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একত্র করে নিজেদের মধ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি, সহযোগিতা ও হারিয়ে যাওয়া প্রক্তন ছাত্রছাত্রীদের একত্রে একটি ফ্লাটফর্মে নিয়ে আসার উদেশ্যে এই গ্রুপটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গ্রুপটি হারিয়ে যাওয়া ও যোগাযোগ বিছিন্ন অনেক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীকে গ্রুপে সংযুক্ত করে যোগাযোগ পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রুপটি এখন ব্রাহ্মন্দী স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের মধ্য সেতু বন্ধ তৈরী করে জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়া ও নানাহ সমস্যায় থাকা ছাত্রদেরকে সহযোগিতা করে আসছে। ইতিমধ্য এই গ্রুপটি প্রায় হারিয়ে যাওয়া ও জীবন সংগ্রামে অকালে ক্লান্ত লীল মিয়া নামক ‘৮৩’ ব্যাচের এক প্রাক্তন ছাত্রকে খোজে পায়। এই লীল মিয়া সেই সময়ে নানাহ কারনে স্কুলে অনেক জনপ্রিয় ছিল। ৩৫ বছর যাবৎ হারিয়ে যাওয়া লীল মিয়াকে নতুন করে আবিস্কার করে এই গ্রুপটি আরো জনপ্রিয়তা লাভ করে।

শুধু তা ই নই, গ্রুপটি ইতিমধ্য সদস্যদের অনুদানে বা চাদায় লীল মিয়াকে দুটি অটো রিক্সা কিনে দিলে তার জীবনে সচ্ছ্বলতা ফিরে আসে। লীল মিয়া নতুন করে জীবন সংগ্রাম শুরু করে ও বুঝতে পারে সে একা নই তার আপদে বিপদে ব্রাহ্মন্দী স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী সকলেই আছে। ৩৫ বছর পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে ও নতুন দুটি অটোরিক্সা পেয়ে লীল মিয়া আনন্দ ও আবেগে কেঁদে ফেলে। সম্প্রতি গ্রুপটি ব্রাহ্মন্দী স্কুলের নবম শ্রেনীর আরেক ছাত্র আরাফের চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত আরাফের চিকিৎসার জন্য গ্রুপটি আরাফের বাবার হাতে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। আরাফ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে। অনুদান প্রদানের সময় গ্রুপটির চিফ এডমিন আল-আমিন বিপ্লবের সাথে উপস্থিত ছিলেন এডমিন মিনহাজ আহমেদ, শাহিদা খানম লিলি, মতিমল বিশ্বাস, সোহেল রানা ও মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ। উল্লেখ্য গ্রুপটিকে সচল ও গ্রুপের সেবা আরো বৃদ্ধি ও গতশীল করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চিপ এডমিনসহ অন্যরা। মানব সেবার এমন উদাহরন ফেসবুক ব্যবহার করেই হয়েছে।

যে কারনে পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

অবশেষে রবিবার থেকে দেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। রাজধানীর অনেক বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় ২০০ টাকায় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেকস্থানে তার থেকে কম দামেও পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে অনেকস্থানে পিঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকায় নেমে আসার খবর পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম আরো কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে ভারত হঠাৎ করে পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। চাহিদার তুলনায় পিঁয়াজ আমদানী না হওয়ায় ও পাইকারী বাজারে পর্যাপ্ত পিঁয়াজ না থাকায় তার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।

এরই মাঝে সরকার ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশে থেকে পিঁয়াজ আমদানী করতে তৎপরতা চালায়। ফলে তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ইতিমধ্য কিছু পিঁয়াজ আমদানী হয়েছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। আরো বিপুল পরিমান পিঁয়াজ তুরস্ক থেকে এ সপ্তাহেই দেশে এসে পৌছবে। ফলে তার আগে থেকেই দাম কমা শুরু হয়ে গেছে। আবার শনিবার দিন প্রধানমন্ত্রী  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে জানিয়েছেন, কার্গো বিমানে করে দ্রুত পিঁয়াজ আনা হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। তিনি জানিয়েছেন পিঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, ২/১ দিনের মধ্যই এসে পৌছাবে। আবার বাজারে পিঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম বেশী থাকায় অসময়ে চাষীরা নতুন পিঁয়াজ বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। তাই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে দেশের অধিকাংশ মানুষ আগের তুলনায় পিঁয়াজের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। তাই পিঁয়াজের চাহিদা কমে যায় ও বাজারে এর প্রভাবে দাম কমতে শুরু হয়েছে।

পিঁয়াজে সৃষ্টি হয়েছে অনেক কবিসাহিত্যিক ও নব্য বুদ্ধিজীবী

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

রান্নার জন্য পিঁয়াজ একটি অত্যাবশ্যক উপকরন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য যে পরিমান পিঁয়াজ দরকার সেই পরিমান দেশে উৎপাদন হয় না। বিধায় বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমান পিঁয়াজ আমদানী করে দেশের চাহিদা মিটাতে হয়। পাশের দেশ ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানী করলে দাম ও সময় দুটিই কম লাগে। আবার এটি একটি দ্রুত পচনশীল দ্রব্য হওয়ায় এর আমদানী স্বল্প সময়ের মধ্য সম্পূর্ণ করে দ্রুত বাজারে বিক্রি করতে হয়। পিঁয়াজ বেশীদিন মজুদ রাখা যায় না। তাই আমদানীকারকরা ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানীতে বেশী আগ্রহী। ভারত নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রপ্তানী করে থাকে। এতদিন আমদানী করা পিঁয়াজের সিংহভাগই ছিল ভারতের।

কিছুদিন আগে ভারতে ব্যপক বন্যা হলে পিঁয়াজ চাষে তা প্রভাব ফেলে। ফলে ভারতের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পিঁয়াজ রপ্তানী অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে এক পর্যায়ে ভারত পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়। তবে সেপ্টেম্বরের শেষে হঠাৎ করেই ভারত পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পাইকারী বাজারগুলিতে সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় এর দাম হুর হুর করে বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিকল্প বাজার খোঁজতে থাকে। ইতিমধ্য মিশর, তুরস্ক কিংবা অন্য দেশ থেকে কিছু পিঁয়াজ আমদানী করা হয়েছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। মিশর, তুরস্ক ও অন্যান্য দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানীর জন্য আরো অনেকগুলি এলসি খোলা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে তা দেশে এসে পৌছলে পিঁয়াজের এই অস্বাভাবিক দাম কমে যাবে।

দাম বাড়ার পিছনে আরো একটি কারন রয়েছে-তা হল গুজব বা প্রপাকান্ডা। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর দাম নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলা হচ্ছে। যেমন পিঁয়াজ যখন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তা গুজব ছড়িয়ে বলা হচ্ছে পিঁয়াজের দাম ৭০ টাকা কেজি। আবার যখন পিয়াজ ১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে তখন আমরা প্রচার করে আসছি পিঁয়াজ ১৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এভাবে পিঁয়াজের কেজি এখন ২০০ টাকার ওপরে। আমরা ভোক্তারা অসচেতনভাবেই গুজব ছড়িয়ে তার দাম আরো বাড়িয়ে দিচ্ছি।

ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে পিঁয়াজ নিয়ে অনেক রঙ্গ-রসাত্বক কথাবার্তা চলছে। অনেকে পিঁয়াজ নিয়ে কবিতা লিখে যাচ্ছেন অনবরত। এরা পিঁয়াজের উচ্চ দামের বদৌলতে নিজেকে একেবারে কবি বানিয়ে ফেলেছে। এদেরকে পিঁয়াজ কবিও বলা যেতে পারে। আবার অনেকে পিঁয়াজ নিয়ে বিশদ গদ্যও লিখে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। যেন পিঁয়াজের উচ্চ মূল্যের কারনেই তারা লেখক হয়ে গেছেন। আবার পিঁয়াজের উচ্চ মূল্যে অনেককে আনন্দও দিচ্ছে। তাই তারা পিঁয়াজকে মনের মাধুরী মিশিয়ে নানাভাবে উপস্থাপন করছেন। আবার অনেকে গিন্নীর সাথে পিঁয়াজ নিয়ে ঝগড়া বিবাদের কথাও লিখে যাচ্ছেন-এসবই হল রম্য রচনা। তবে আবার দু-একজনকে ইতিবাচক মন্তব্য করতেও দেখা গেছে ফেসবুকে। একজন লিখেছেন, আসুন আমরা ৭ দিন পিঁয়াজ কেনা বন্ধ রাখি। তাহলে দেখবেন সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে এবং এর দামও কমে আসবে। আসলেই আমরা যদি ১৫ দিন পিঁয়াজ কিনা বন্ধ রাখি তা হলে এর দাম অবশ্যই যুক্তিক পর্যায়ে পৌছাবে। পিঁয়াজ নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য একেবারেই কাম্য নয়। জাহাজে করে তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আনতেও ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে। তবে পিঁয়াজের দাম লাগামে রাখতে সরকার তথা প্রশাসন যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।

 

 

 

মসজিদে যখন ইমাম সাহেব ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তখন হুজুররা আন্দোলন করেন না কেন?

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

কয়েক মাস আগে রুপগঞ্জে মসজিদের ভিতর ৯/১০ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে ওই মসজিদেরই ইমাম। আজিমপুর কবর স্থান মসজিদের এক খাদেম আরেক খাদেমকে হত্যা করে লাশ চকির নীচে লুকিয়ে রাখে সম্প্রতি। রাজধানীর ইসলামপুরে এক খাদেম এক মুয়াজ্জিনকে গলা কেটে হত্যা করে মসজিদের ভিতরই। এ রকম অসংখ্য ঘটনার নজির আছে অতীতসহ সাম্প্রতিক সময়ে। এই ঘটনাগুলো ঘটার পর দেশের কোথাও আলেম সমাজ কোন আন্দোলন করেন না বিচারের দাবিতে? পবিত্র মসজিদের ভিতর এহেন ঘৃন্য ও ন্যক্কারজনক কাজের প্রতিবাদ করেন না কেন আলেম সমাজ? সেলুকাস! হেফাজতে ইসলাম তখন কোথায় থাকে?

কয়েকদিন আগে ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক হিন্দু যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যক করে তাতে নবীর নামে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। ফেসবুকের স্কিনস্যুট পরে ফেসবুকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফেসবুক আইডি হ্যক করে দুইজন মুসলিম ছেলে। হ্যকারদ্বয় ফেসবুক আইডির মালিক শুভের কাছে ২০ হাজার টাকা চাদাও দাবি করে, নচেৎ এই পোষ্টটি ব্যপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় শুভকে। এই ঘটনার অপপ্রচার চালিয়ে একটি বিশেষ মহল বোরহানউদ্দিনের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে। এর ধারাবাহিকতায় গত রবিবার সকালে প্ররোচনাকারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে বোরহানউদ্দিনে। সমাবেশ শেষে পুলিশের ওপর আক্রমন করে সংঘবদ্ধ জনতা। এক পর্যায়ে আত্ন রক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে ৪ জন নিহত হয়। প্রতিবাদে চক্রান্তকারীরা সোমবারও সমাবেশ ডাকে বোরহানউদ্দিনে। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তথাকথিত আলেম সমাজ সমাবেশ করতে না পারলেও স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের নামে সমবেত হয়। সেখানেও তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখে।

এ সমস্ত ঘটনার পরমপরায় রাজধানীর বায়তুল মোকারম মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রধান করা হয় বিভিন্ন ইসলামী দলের পক্ষ থেকে।  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও হেফাজতে ইসলা্মের পৃথক পৃথক বিক্ষোভ থেকে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয় শুভর ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম আবার সাপলা চত্তরে সমাবেশ করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। সরকারকে গদি থেকে সরানোর হুমকি দেওয়া হয়। প্রশ্ন এই ফাঁসির রায় হল কখন? ঘটনা প্রবাহে মামলা হয়। সরকার তদন্ত করে এই চক্রান্তে জড়িত সকল পক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ব্যক্ত করেছে। আজ জনগনের উচিৎ অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিয়ে দেশকে সামনেরদিকে এগিয়ে নিতে সকল চক্রান্ত ভেদ করে সরকারকে সহযোগিতা অব্যহত রাখা।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানের ফলে আওয়ামীলীগ সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়বে কি?

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

গত দুই সপ্তাহ ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকার তথা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বাঘা বাঘা দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই অভিযান শুরু হয়। ইতিমধ্য গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকে। এদের মধ্য রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, যুবলীগ নামধারী টেন্ডার মাফিয়া জিকে শামীম,  কৃষকলীগের শফিকুল আলম ফিরোজসহ আরো অনেকে। এদের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনোর ব্যবসা, মদ-জুয়ার ব্যবসা, ব্যপক চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। এরা সকলেই দেশের টাকা বিদেশে পাচারে জড়িত। এরা শতশত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে এদের নানা অপকর্মের তথ্য বেড়িয়ে আসছে।

সম্রাটসহ দৃত অন্যরা বেশ প্রভাবশালী। এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মেনেজ করেই তারা তাদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এখন আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় অনেক অপরাধী দেশে বিদেশে পালিয়ে আছে। আরো অনেককেই ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে র‍্যব। অনেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসছে নানা তথ্য। এই অভিযান নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক অংগন। সুশীল সমাজও নড়ে চড়ে বসেছে। পক্ষে বিপক্ষে চলছে নানা যুক্তিতর্ক। এই অভিযানের ফলে আওয়ামীলীগ কি লাভবান হবে, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন।

সরকার দলীয় লোকজন এই অভিযানে ধরা পড়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যগ চাওয়া হয়েছে। তারা বলতে চাচ্ছে এতে প্রমান হয় সরকার দলীয় লোকজন দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনোর ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করছে। কাজেই সরকারকে এখনই পদত্যগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজ দলের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যদি সরকারকে পদত্যগ করতে হয় তা হলে কেন এই অভিযান অব্যহত রাখবে সরকার? তবে দেশের স্বার্থে এই অভিযান অব্যহত রাখলে সাধারন মানুষ খুশি হবে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরসহ সাধারন মানুষ যদি সরকারের ভাল কাজের প্রশংসা না করে তা হলে সরকার ও সমাজে ভাল কাজ করার প্রবনতা কমে যাবে। এতে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।

বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের দুর্নীতি বিরোধী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়নি। তথাকথিত সুশিল সমাজের পক্ষ থেকেও তেমন কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি। এরা এই অভিযান নিয়েও রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছে। এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে কোথাও একটি মিছিলও হয়নি। তবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দুর্নীতি বিরোধী এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে তা অব্যহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সমাজে ভাল মানুষের বড় অভাব। তাই ভাল কাজের প্রশংসার লোকও কম। কথায় আছে যেমন কুকুর তেমন মুগুর। জনগন যেমন শাসকও তেমনভাবেই দেশ শাসন করার কথা। কিন্তু তেমন করে দেশ শাসন করলে দেশ পিছিয়ে যাবে। সরকার ক্ষমতায় থাকুক আর নাই থাকুক ভাল কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে, সামগ্রিকভাবে দেশের অগ্রগতির জন্যভাল হবে। বর্তমান শুদ্ধি অভিযানের ফলে সরকারী দল তথা আওয়ামীলীগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অভিযান অব্যহত রাখা উচিৎ। আর দেশবাসীর দায়িত্ব হবে সরকারের এই অভিযানে সমর্থন করে দেশ থেকে চাদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মদ-জুয়া, আর ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের অবৈধ সকল ধরনের তৎপরতা বন্ধ করতে সরকারকে সহযোগিতা করা। সম্প্রতি সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এই অভিযান অব্যহত রাখার কথা জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।

 

বুয়েটের আন্দোলনে সাধারন ছাত্রদের নামে হাল ধরেছে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ
পাইছি ইস্যু! এইবার সরকারের পতন ঘটানো যাবে! আওয়ামীলীগ সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরে যাব না!
কয়েক দিন আগে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকান্ড নিয়ে বুয়েটে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। হত্যাকান্ডের পরপরই আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রায় সকলকেই ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। হত্যাকারীরা সকলেই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে বুয়েটের ছাত্রদের সূত্র থেকে জানা গেছে কিংবা ছাত্ররা দাবি করে আসছে।
এই হত্যাকান্ডটি নিঃসন্দেহে একটি জঘন্যতম হত্যাকান্ড। এর পরিপেক্ষিতে বুয়েটের ছাত্ররা প্রথমে ৮ দফা দাবি ও পরে তা বাড়িয়ে ১০ দফায় উন্নিত করে বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়। বুয়েট ভিসি ছাত্রদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে ইতিমধ্যই অনেকগুলি দাবি বাস্তবায়ন করেছেন। বাকি দাবিগুলিও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
 
ইতিমধ্য এই ঘটনায় জড়িত ১৯ জন ছাত্রকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে আদালতে দোষী প্রমানিত হলে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে ভিসি জানিয়েছেন। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রদের দাবির পরিপেক্ষিতে। পাশাপাশি শিক্ষক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বুয়েটে।
 
বুয়েট ছাত্রদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার পরও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছে নতুন করে। আবার কিসের আন্দোলন? এইটা হলো সরকার বিরোধী আন্দোলন। এখন বুয়েটের ছাত্রদের আন্দোলনের নেতৃত্ব পিছন থেকে দিচ্ছে শিবির, ছাত্রদল ও মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলেও উক্ত সংগঠনগুলো প্রকারন্তরে রাজনীতিই করছে এখনো। তবে বেশ ধরেছে সাধারন ছাত্রদের।
 
আবরার একজন মেধাবী ছাত্র। আবার যারা তাকে হত্যা করেছে তারাও তো মেধাবী। বুয়েটের সকল ছাত্রই মেধাবী। হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন তারাও মেধাবী। আমরা তা হলে কাকে বিশ্বাস করবো। কার কথা শুনবো? কার ওপর ভরসা করবো?
 
আবরার হত্যাকন্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজনকে হত্যা করতে এতো লোকের প্রয়োজন হয় না। আবার বারান্দা দিয়ে হেটে গেলেই সকলেই হত্যাকারী তা প্রমান হয় না। কাজেই ভিডিও ফুটেজ দেখে ১৯ জনকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার সঠিক হয় নাই বলেই মনে হয়। আবরারকে পিটানো হয়েছে রুমের ভিতরে। রুমের ভিতরে কোন সিসি ক্যামেরা ছিল না। কাজেই আসলে কয়জন কিংবা কারা মেরেছে তা ভিডিতে নেই। এটা সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রমান সাপেক্ষ ব্যপার।
 
এর আগেও তো বুয়েটে সাবিকুন নাহার সনি খুন হয়েছিল। সেই সময় কি সাধারন ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল? সেই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়জন গ্রেপ্তার হয়েছিল? কয়জনেরই বা ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছিল? জানা আছে কারো? সেই সময়কার ভিসি বা সরকারের কি ভুমিকা নিয়েছিল-জানা থাকলে বলেন।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি খুন হয় নাই কেউ? ডজন ডজন খুন হয়েছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন তো কেউ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করেনি। এখন কেন? এসবই রাজনীতি! বুয়েটের সাধারন ছাত্র নামধারীরা তো এখনো রাজনীতিই করে যাচ্ছে। আবার তারাই রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছেন।সেলুকাস! আপনি বাক স্বাধীনতা চাচ্ছেন আবার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছেন। এইটা স্ববিরোধীতা নয়কি?
বরং বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নাই বা সীমিত বলেই এমন জঘন্যভাবে খুন হতে হয়েছে মেধাবী ছাত্র আবরারকে। মাথা ব্যথা হলে মাথা না কেটে চিকিৎসা করাই উত্তম।

সরকারের ভাল কাজের প্রশংসা না করলে ভাল কাজ করার প্রবনতা কমে যাবে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

মন্দ কাজের নিন্দা ও ভাল কাজের প্রশংসা করার কথা পন্ডিতজনেরা বলে থাকেন। তবে সমাজ ও রাষ্ট্রে এর প্রতিফলন খুবই কম। সম্প্রতি আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির কতিপয় নেতা দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে ব্যপক চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজিসহ আরো অনেক অপকর্মে লিপ্ত হয়ে আওয়ামীলীগের নীতি আদর্শের ওপর কালিমা লেপন করছে। বিগত দশ বছরে সর্ব ক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়ন হলেও কতিপয় নেতার অপকর্মে মানুষের কাছে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ব্যপকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। আওয়ামীলীগ ও সরকার কতিপয় নেতার অপকর্মের দায় নিতে চাচ্ছে না। ফলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান শুরু করেছে। দলীয় নেতাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে এই অভিযানকে সাধারন মানুষ স্বাগত জানাচ্ছে। সাধারন মানুষের কাছে এই অভিযানের মধ্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। আওয়ামীলীগ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নিজ দলের মধ্য থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে দলমত নির্বিশেষে সকল চাদাবাজ, দখলবাজ, ক্যাসিনো ব্যবসায়ীসহ সকল অপরাধীকেই আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে সরকার তথা আওয়ামীলীগ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

কিন্তু শুধু বিরোধীতার খাতিরে কিছু দায়িত্বশীল বিরোধী দলীয় নেতা সরকারের এই ভাল উদ্যোগকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে। অভিযানে যারা ধরা পড়েছে তারা অতীতে অন্য দল করলেও হালে সরকারী দলের নেতা বনে গেছে। ইতিমধ্যই ধরা পড়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ  মাহমুদ ভূইয়া, কৃষকলীগ নেতা ফিরোজ আলম, যুবলীগের নেতা পরিচয় দানকারী টেন্ডার মাফিয়া জিকে শামীম।। অভিযান চালিয়ে এদের হেফাজত থেকে র‍্যব বিপুল পরিমান নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে। এরা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবে ক্যাসিনোর ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এসমস্ত অবৈধ ব্যবসা ও চাদাবাজির টাকা বিদেশে পাচার করে আসছিল। এরা অবৈধ পন্থায় শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় এরা অপরাধী।

এই অভিযনে যারা ধরা পড়েছে তারা সকলেই হালে সরকার দলীয় লোক। কেবল মহামেডানের পরিচালক লোকমান হোসেন ও সেলিম প্রধান বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযনে যারা ধরা পড়েছে তারা সরকার দলীয় লোক হওয়ায় সরকার প্রধানের পদত্যগ দাবি করেছেন। অথচ তার দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা এমন অপকর্মকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। যদি এমন ভাল কাজ করে সরকারের পদত্যগ করতে হয় তাহলে দেশে ভাল কাজের প্রবনতা কমে যাবে। তাই সকলের উচিৎ ভালকাজের সমর্থন করা।

মিন্নির বিরুদ্ধে বানানো সব তথ্য দিয়ে ভরপুর ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডের কথা সকলেরইর জানা থাকার কথা। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ড নিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। এখনো এর রেশ কাটেনি। এই হত্যাকান্ডের বিচার আদালতে চলছে। নয়ন বন্ড নামের রিফাতেরই আরেক বন্ধু তার দলবল নিয়ে দিনে দুপুরে বরগুনা সরকারী কলেজের সামনে দা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে আহত করে। পরে রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়া হলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশের নিন্দার ঝড় উঠে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি উঠে এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা নয়ন বন্ডকে ক্রস ফায়ারে দেওয়ার জন্য। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাসময়ে যথাযথ কাজটি সম্পাদন করে। কিন্তু যারা নয়নের ক্রস ফায়ার দাবি করেছিল তারাই আবার বলতে শুরু করলো নয়ন বন্ডকে ক্রস ফায়ারে দেওয়া হল থলের বিড়াল যাতে বেড়িয়ে না যায় সেই জন্য। ঘটনার সময় রিফাতকে রক্ষায় মিন্নির প্রানপন ভুমিকার জন্য যারা মিন্নির প্রশংসা করেছিল দুদিন বাদে তারাই আবার বলতে শুরু করলো রিফাত হত্যাকান্ডে মিন্নি জড়িত। মিন্নিই নয়ন বন্ডকে দিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই মাধ্যমে শুরু হয় মিন্নিকে নিয়ে কড়া সমালোচনা। রিফাত হত্যায় মিন্নির বিচার দাবি করা হয়। কদিন বাদে যারা মিন্নির বিচার দাবি করেছিল তারাই আবার মিন্নিকে ফাসানো হয়েছে বলে প্রচার করে-এ সবই হচ্ছে সেলুকাস।

আসল কথায় আসা যাক, সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যায় মিন্নি ঘটনাস্থল থেকে আহত রিফাতকে নিয়ে রিক্সায় করে হাসপাতালে যাচ্ছে। হাসপাতালের সামনেও মিন্নি ও রিফাতকে রিক্সায় দেখা যায়। অথচ এতদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছিল, আহত রিফাত একাই রিক্সা দিয়ে হাসপাতালে যায়। মিন্নি রিফাতের সাথে হাসপাতালে যায়নি। কাজেই রিফাত হত্যায় মিন্নি জড়িত এমনটাই মানুষের মাঝে ধারনা ছিল। আর এসবই ছিল ভ্রান্ত ধারনা। এতে প্রমান হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা অধিকাংশ খবর কিংবা ঘটনা কিংবা আলোচনা ভিত খুবই দুর্বল। সকল ক্ষেত্রে এই মাধ্যমের ওপর নির্ভর করা যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো কোন ঘটনা সম্পর্কে অথবা কোন ছবি কিংবা ভিডিওর সত্যতা না জেনে তা শেয়ার, লাইক বা কমেন্ট করা বাঞ্চনীয় নয়।

রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলো মিন্নি নিজেই। অথচ প্রচার করা হয়েছিলো আহত স্বামীকে রেখে ব্যাগ জুতো নিয়ে বাসায় চলে গিয়েছিলো সে।আবার নতুন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ হলো।মিন্নী রিফাতকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন।

Posted by নীলপরী নীলাঞ্জনা on Monday, September 16, 2019

সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় আরেকটি গুজবের অপমৃত্যু ঘটেছে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

পদ্মাসেতুতে মাথা লাগবে, ছেলেধরা গুজব ও ডেঙ্গুতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে- এই গুজবের মধ্যই আরেকটি নতুন গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে। শুক্রবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়- খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ্য, তিনি হাঁটতে পারছেন না, তার মুখে আলসার হয়েছে, এক সপ্তাহে তার ওজন ৪ কেজি কমে গেছে, অন্যান্য জটিলতাগুলিও আরো বেড়ে গেছে। তাই দেশে কিংবা বিদেশে তার পছন্দসই হাসপাতালে তাকে অবিলম্বে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। স্বাস্থ্য অবনতি সম্পর্কে আরো অনেক কিছু বলা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। জনগন মনে করেছিল আসলেই মনে খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ। দ্রুত গতিতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ডালাবিস্তার শুরু হয়ে যায়।

(ছবিঃ সংগৃহীত)

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লক থেকে একই হাসপাতালের দন্ত বিভাগে দাঁতের চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে নেওয়া হয়েছে শনিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। তার দাঁতের কিছু সমস্যা রয়েছে, এখানে তার চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। খালেদা জিয়াকে একটি মাইক্রোতে উঠিয়ে একশ গজ দূরে দন্ত বিভাগে নেওয়া হয়। এই সময় খালেদা জিয়া হুইল চেয়ারে বসে ছিল। সাংবাদিকসহ সাধারন মানুষও এই সময় বেগম জিয়াকে দেখেছে ও ছবি তুলেছে। এই সময় খালেদা জিয়াকে অনেকটা স্বাভাবিকই দেখাচ্ছিল। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে গতকাল যেমনটি দাবি করা হয়েছিল আসলে তার অবস্থা তত খারাপ না। আর অনেকগুলি সমস্যা আছে যেগুলি বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাবার আগেই ছিল। অপরদিকে তার বয়স হয়েছে বিধায় এমনিতেই তার বার্ধক্য জনিত অনেক সমস্যা রয়েছে।

(ছবিঃ সংগৃহীত)

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ মুলত খালেদা জিয়ার অবস্থা যে তত খারাপ না যেমনটি বিএনপির পক্ষ থেকে গতকাল বলা হয়েছিল তা প্রমান করতে ও জনগনকে দেখাতেই তাকে দন্ত চিকিৎসার জন্য দন্ত বিভাগে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এমনটিই ধারনা করছেন সাধারন মানুষ। মানুষ মনে করছেন সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজবকে থামানোর জন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজবের অপমৃত্যু ঘটেছে।

যে যে কারনে ছেলেধরা গুজব বিস্তার লাভ করে থাকতে পারে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ। এই সেতু ও সংশ্লিষ্ট কাজের ৭০ ভাগই এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব রূপ লাভ করতে চলেছে। এই সেতুর নির্মান কাজ শেষ হলে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈল্ববিক পরিবর্তন আসবে। তবে এই সেতু নির্মাণের শুরুতেই এটি যাতে না হতে পারে সেই জন্য দেশী-বিদেশী চক্রান্ত কাজ করেছে।

দলগত ও রাজনৈতিকভাবে এই সেতু নির্মান হউক এটি বিএনপি-জামাত ও আওয়ামীলীগের বিরোধীরা চায়নি। সেই জন্য এই সেতুকে ঘিরে তারা নানা রকম ষড়যন্ত্র করেছে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। বছর দেড়েক আগেও কোন একটি দলের প্রধান জনগনের উদ্দেশ্য বলেছিলেন ‘পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে, আমি এই সেতু দিয়ে যাব না, আপনারাও যাইয়েন না।’ এই সেতু নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই সরকার তথা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ‘ পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হউক এটা যারা চায় না তারাই পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে এই গুজব ছড়াচ্ছে। এখানেই শেষ নয় কিছু বিকৃত মানুষকে মোটা অংকের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মাধ্যমে মাথা সংগ্রহ করে সারাদেশে আতংস্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সারা দেশে আজ ছেলে ধরার আতংস্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্য নেত্রকোনায় এক মদ্যপ যুবকের ব্যাগে একটি মাথা পাওয়া গেলে জনতা উত্তম মধ্যম দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এর পিছনে গবীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।

ছেলেধরা সন্দেহ ইতিমধ্য সারাদেশে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজধানীর বাড্ডায় নিজের বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তির খোজ খবর নিতে গেলে ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। এই হত্যাকান্ডটি সারাদেশে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অনেক স্থানে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে নিরাপরাধ মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে এমনি কিছু ঘটনা ধরা পড়েছে। সরকার সারাদেশে এই গুজব রুধে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। ইতিমধ্য এই গুজব ও হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের বেশ কিছুজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ আমল থেকেই হিন্দু-মুসলিম দেশান্তর শুরু

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

ব্রিটিশ আমলে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ অবিভক্ত ছিল। আর ৩ দেশ মিলেই ছিল পাক-ভারত উপমহাদেশ।। ব্রিটিশরা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারত বর্ষ শাসন করেছে। পরে তারা ১৯৪৭ সালে এই উপমহাদেশকে স্বাধীনতা দান করে। অবশ্য এই স্বাধীনতার জন্য অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। একই সময়ে তারা পাক-ভারত উপমহাদেশ থেকে পাকিস্তানকে স্বাধীনতা দেয়। আর এই পাকিস্তানে ছিল তখন পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান। আর এই সময়টাকেই বলা হয় দেশ বিভাগ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। পূর্ব পাকিস্তানের নতুন নাম হয় বাংলাদেশ।

ব্রিটিশ আমল থেকেই অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের আগে থেকে পাক-ভারত উপমহাদেশ থেকে হিন্দু-মুসলিম দেশান্তর শুরু হয়। সেই সময়ে বর্তমান ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়। তখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দুরা ভারতে গমন করে সেখানে স্থায়ী বসবাস শুরু করে। ভারতে তখন হিন্দুর সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় হিন্দুরা নিরাপদ ভেবে ভারতে চলে যায়। অপরদিকে বর্তমান বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক মুসলমান দেশান্তর হয়ে স্থায়ীভেবে বসবাস শুরু করে। দেশ বিভাগের পরও বেশ কয়েকবার ভারত, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান জুড়ে বেশ কয়েকবার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধে। এই দাঙ্গার সময় প্রচুর হিন্দু পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যায়। অপরদিকে ভারত থেকে প্রচুর মুসলমান পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসে। ফলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সংখ্যা কমতে থাকে। অপরদিকে ভারতেও মুসলিম জনসংখ্যা ব্যপকভাবে কমতে থাকে। এ ছাড়াও জীবন জিবিকার তাগিদে উন্নত জীবন যাপনের জন্য অনেক হিন্দু আমেরিকা-ইউরোপে চলে যায়। ফলে এভাবেও দুই পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা কমতে থাকে। অপরদিকে ভারত থেকেও অনেক মুসলমান আমেরিকা-ইউরোপে যেয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। ফলে ভারতে মুসলমানের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কমতে থাকে। অপরদিকে দুই পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা কমতে থাকে।

১৯৫১ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় সেই সময়ে পাকিস্তানে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হার ছিল যথাক্রমে ২২% ও ৭৬.৯%। ২০১১ সালে যা দাঁড়ায় ৮.৫% ও ৯০.৪%। নিন্মে পরিসংখ্যান দেওয়া হল।১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় প্রচুর হিন্দু বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে ভারতের কলকাতা, আসাম, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য প্রদেশে যেয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজনৈতিক কারনে হিন্দুদের ব্যপকভাবে নির্যাতন করত। তাই এই সময়ে বিপুল সংখ্যক হিন্দু ভারতে আশ্রয় গ্রহন করে। বাংলাদেশ থেকে এখনো অনেক হিন্দু ব্যবসা-বানিজ্য কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতে চলে যায়। আবার অনেকের আত্নীয় স্বজন ভারতে থাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য তারা ভারতকেই তাদের উত্তম আশ্রয়স্থল হিসাবে বেছে নিয়েছ। এটা কোন অপরাধ নয় এবং এই প্রক্রিয়াটাকে কোন অবস্থাতেই নির্যাতনের কারনে ভারতে চলে যাচ্ছে বলা যাবে না। ভারত থেকেও বিপুল সংখ্যক মুসলমান বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহন করেছে। এর মধ্য বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সাতক্ষীরায় ভারত থেকে আসা বিপুল সংখ্যক মুসলমান রয়েছে। এমনকি সদ্য প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদও ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে ১৯৪৮ সালে রংপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এরশাদ সাহেবের গোটা পরিবারই রংপুরে চলে আসে সেই সময়ে। রাজনৈতিক ও সামাজিক পট পরিবর্তনের কারনেই এমনটি ঘটেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুসহ মাইনরিটি সমাজ পূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে বসবাস করছে। বিগত ১০ বছর সময়ে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে হিন্দুদের ওপর আক্রমনের চেষ্টা করা হলেও সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করছে। সকল শ্রেনীর মানুষ সমভাবে সরকারী ও নাগরিক সুযোগ সুবিদা ভোগ করছে। বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আর এই সময়ে মহল কিংবা ব্যক্তি বিশেষের বিদেশী কোন সরকার প্রধানের কাছে মাইনরিটি সমাজের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ডাহা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়।

বাংলাদেশ থেকে এখনো প্রচুর পরিমানে সকল ধর্মের মানুষ উন্নত জীবন ও জিবিকার জন্য আমেরিকা-ইউরোপ পাড়ি দিচ্ছে। এটাকে নিখোজ কিংবা গুম হয়ে গেছে তা কোন ক্রমেই বলা সমেচীন হবে না। আর এদেশে হানাহানি কিংবা জবরদস্তি যা হচ্ছে তা কোন একটি নিদৃষ্ট ধর্মের মানুষকে টার্গেট করে নয়। মুসলমান-মুসলমানে সামাজিক সমস্যা হচ্ছে। আবার মুসলমান-মাইনরিটিতেও সমস্যা হচ্ছে। অতীতে কোন কোন সরকারের সময় হয়ত মানরিটি বিশেষ করে হিন্দু সমাজের ওপর কিছুটা জবরদস্তি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি একেবারেই অনুপস্থিত।

বরগুনার রিফাত হত্যা ও মিন্নিকে নিয়ে অপরাজনীতি এখন তুঙ্গে

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

গত ২৬শে জুন বরগুনা সরকারী কলেজের গেইটের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই সময় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও ঘটনাস্থলে ছিলেন। এক পর্যায়ে মিন্নি তার স্বামীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাচানোর জন্য প্রানপন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ঘটনার সময় আশেপাশে থাকা লোকজন এই ঘটনা দেখছিলেন। কিন্তু কেহই রিফাতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। এই লোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে জনমনে ব্যপক তুলপাড় সৃষ্টি হয়।

এই ঘটনার মূল নায়ক সন্ত্রাসী সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ওরফে বন্ড-০০৭সহ জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন পোষ্টে দেখা যায় অনেকে নয়ন বন্ডসহ জড়িত সকলকে প্রকাশ্যে ফাসি কিংবা গুলি করে হত্যা করার দাবি জানায়। এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর মহল থেকেও চাপ আসে। ঘটনার ২/৩ দিনের মধ্যই নয়ন বন্ড ক্রস ফায়ারে নিহত হন। সারাদেশের মানুষ নয়নের ক্রস ফায়ারে নিহতের খবরে জারপরনাই খুশী হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে নয়ন বন্ড ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।

তবে এই ঘটনাকে যারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তারা আগে দাবি করলেও নয়ন বন্ডের নিহতের খবরে খুশী হতে পারেননি। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে যারা আগে নয়ন বন্ডের ক্রস ফায়ার দাবি করেছিল তারাই আবার ক্রস ফায়ারের বিরোধীতা শুরু করে। স্থানীয় সরকার বিরোধী রাজনীতিকরা হত্যাকান্ডটিকে কেন্দ্র করে রাজনীতি শুরু করে এবং সারাদেশে সরকার বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে এটি একটি মুক্ষম অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে।

মূলত রিফাত শরীফের হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয় সামাজিক কারনে। এতে প্রেম-ভালবাসা, বিয়ে, পরকিয়া ইত্যাদি জড়িত। কোন অবস্থাতেই এটি কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নয়। কিন্তু দুঃখের বিয়য় অপরাজনীতিবিদরা এটিকে সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। আর অনেকে জেনে আবার অনেকে না জেনে বিবেকের বিরুদ্ধে এটি নিয়ে রাজনীতি করছে ও নেতিবাচক বক্তব্য দিচ্ছে। যা এই হত্যাকান্ডের সুষ্ট বিচারের অন্তরায়। এই সমস্ত বক্তব্য থেকে এই হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। তাই এই হত্যাকান্ডটি নিয়ে রাজনীতি কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।

নয়ন বন্ড ছাত্রলীগ, যুবলীগ কিংবা আওয়ামীলীগের কোন পদ-পদবীতে নাই। কেউ কেউ জানিয়েছেন নয়ন বন্ড আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে সমর্থন করে। কিন্তু কেউ কেউ আবার নয়ন বন্ডকে এমনভাবে উপস্থাপন করছে যেন সে যুবলীগ কিংবা আওয়ামীলীগের বড় নেতা। নয়ন বন্ড একেবারেই নিন্ম মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ছেলে। তার লেখাপড়াও তেমন জানা নাই। তবে সে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে অনেকগুলি মামলা আছে। কিন্তু নয়ন বন্ডকে পত্র পত্রপত্রিকায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন সে দাউদ ইব্রাহিম কিংবা এরশাদ সিকদার কিংবা নুর হোসেন। এই সবের পিছনে রাজনৈতিক অভিলাস জড়িত। এরকম নয়ন বন্ড পাড়া মহল্লায় কিংবা গ্রামেগঞ্জে ভুরিভুরি আছে। আর এমন হত্যাকান্ড নিয়ে রাজনীতি পরিহার করা উচিত। নয়ন বন্ড নিহত হবার পর শুরু হয় নতুন রাজনীতি। একটি গোষ্টী মিন্নিকেও এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িয়ে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানায়। এই দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। মূলত এটিও একটি রাজনীতি। যারা রিফাত হত্যাকান্ডে রিফাতকে বাঁচাতে মিন্নির প্রানপন চেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছে তারাই আবার পল্টি মেরে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছে, রিফাত হত্যাকান্ডের সাথে মিন্নি জড়িত তা প্রচার করছে। সত্যিই বিচিত্র এই দেশ ও দেশের মানুষ। অবশেষে মিন্নিকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত জানিয়ে পুলিশ মিন্নিকে গ্রেপ্তার করেছে। একই শ্রেনী আবার মিন্নির গ্রেপ্তারের বিরোধীতা করছে! সেলুকাস! নয়ন বন্ড, রিফাত শরীফ কিংবা মিন্নি কেউই সমাজে প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদের সন্তান না। তথাপিও এদের নিয়ে বরগুনাসহ সারাদেশে রাজনীতি চলছে। আর যারা বিষয়টিকে নিয়ে রাজনীতি করছে তারা সকলেই সরকার বিরোধী। এই হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে বগুনার এমপি ধীরেন্দ্র দেব নাথ সম্ভু ও তার ছেলেকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এর মূল উদ্দেশ্য আওয়ামীলীগের স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিকে দুর্বল করা।

সম্প্রতি কুমিল্লার এক আদালতে এক যুবক আরেক যুবককে তাড়া করে বিচারকের খাস কামরায় ছুড়ি দিয়ে হত্যা করে। এটিও কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। মূলত সামাজিক অবক্ষয়ের কারনেই এমনসব হত্যাকান্ডগুলি ঘটে থাকে। এইসব হত্যাকান্ডের মধ্য রাজনীতিকে টেনে আনা কোন অবস্থাতেই শুভ নয়। অপরাধ অপরাধই, হত্যাকান্ড হত্যাকান্ডই তা সে যে ই করে থাকুক। এই সবের সুষ্ট বিচারই সকলের অরাজনৈতিক দাবি হওয়া উচিত।

প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা ও রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনকে নিয়ে রেলে নিয়োগের নামে ঘুষ কেলেংকারীর কথা সকলেরই মনে থাকার কথা। এই খবর প্রচার হবার পর বিএনপি মহাসসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ২৪ ঘন্টার মধ্য তার বহিস্কার দাবি করেছিলেন। ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যই প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিস্কার করেছিলেন। এই বহিস্কারের খবর শুনে মির্জা ফখরুল ইসলামই মন্তব্য করেছিলেন “সুরঞ্জিত বলির পাঠা হয়েছে”। রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হয়ে যখন বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে   জমায়েত হচ্ছিল বর্তমান সরকার প্রথমে বাধা দিয়েছিল। বিএনপি মহাসচিব তখন এই বাধা দেওয়ার কারনে সরকারকে জালিম বলেছিল ও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। সরকার ঠিকই রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করতে দিল মানবিক কারনে। তখন এই ফখরুল ইসলামই রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দাবি জানাল। সবই রাজনীতি। সেলুকাস!

তাই সব কিছু নিয়ে আমাদের অপরাজনীতি করা উচিৎ নয়। তাতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের স্বার্থে এসব পরিহার করা একান্ত কাম্য। বরগুনার রিফাত হত্যা মামলা তার নিজস্ব গতিতেই চলছে। আমরা সুষ্ট ও দ্রুত বিচার দাবি করতে পারি। কিন্তু এই বিচার নিয়ে রাজনীতি করে বিচার ব্যবস্থাসহ দেশের ক্ষতি করা সুনাগরিকের কাজ নয়।

 

যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই হাত দিয়েছে সেখানেই আগুন জ্বলছে-প্রধানমন্ত্রী

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই হাত দিয়েছে সেখানেই আগুন জ্বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি চীন সফর শেষে দেশে ফিরে সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই সাংবাদিক সম্মেলনে চীন সফর নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেকে বাংলাদেশের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার মার্কিন কংগ্রেসম্যান ব্রাডলি শেরম্যানের এক প্রস্তাবের পরিপেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই আগুন জ্বলছে। মায়ানমার একটি স্বাধীন দেশ এবং রাখাইন রাজ্যে তাদেরই। আমরা কেনো রাখাইনকে আমাদের দেশের সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে যাব। প্রতিবেশি দেশ হিসাবে আমরা মিয়ানমারের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমরা চাই মায়ানমার তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দ্রুত বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাক। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দমন পীড়নের শিকার হয়ে গত কয়েক বছরে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আর বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারনে তাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে এখন নিজেরাই সমস্যায় পড়েছে।

কোন অপরাধে ক্ষমতাসীন দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিচার খুব দ্রুত হয়

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

অপরাধ অপরাধই, আর অপরাধী অপরাধীই সে যে দলেরই হউক না কেন। অপরাধীকে তার অপরাধ দিয়েই বিচার করা উচিত, তার দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়। বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেখা যাচ্ছে আপরাধীকে সামাজিকভাবে দলীয় দৃষ্টি কোন থেকে দেখা হয়। সরকার দলীয় কোন ব্যাক্তি কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক সমালোচনা হয়। পত্র-পত্রিকা তথা মিডিয়া তখন দলীয় বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসে। আর সরকার বিরোধীরা তখন সুশিল সমাজের লোক সেজে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যপক প্রচারনা চালায়। অপরাধীর ছবিসহ অন্যান্য তথ্য তখন মিডিয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচার হতে থাকে। বিষয়টিকে নিয়ে সরকার বিরোধী দল কিংবা ছাত্রসমাজ রাস্তায় নামে। আর সুশীলরা প্রেসক্লাব কিংবা অন্যান্য মিডিয়া সংশ্লিষ্ট স্থানে একেরপর এক আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকে। সরকার কিংবা সরকারী দলকে ঘটনার সাথে সুকৌশলে জড়ানোর চেষ্টা করা হয় এই সমস্ত অনুষ্টানগুলিতে। কিন্তু সরকার বিরোধী দলের লোকেরা এমন ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তা হালে প্রচার পায়না।

আওয়ামীলীগ সমর্থন করেন গ্রামের এমন কোন মেব্বার যদি দ্বিতীয় বিয়ে করেন বৈধ কিংবা অবৈধভাবে তখন এই সামাজিক বিষয়টিকে সুকৌশলে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয় প্রতিপক্ষ দল থেকে। এই মেম্বার সাহেবকে তখন এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন তিনি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি। আর এই অপপ্রচারের প্রচেষ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে আরো কুৎশিতভাবে। প্রেমের টানে পালিয়ে বিয়ে করে, এই ঘটনা আমাদের সমাজে নতুন কিছু নয়। এইটা আমাদের সমাজের সামাজিক একটা বিষয়। ছাত্রলীগ, যুবলীগ কিংবা আওয়ামীলীগের কোন সদস্য যদি এমন কিছু করেন তা হলে এই সামাজিক বিষয়টিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। যদিও বিষয়টি একেবারেই রাজনৈতিক নয়। এমন ঘটনার সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ কিংবা আওয়ামীলীগের কোন এক গ্রামের সাধারন সদস্যও যদি জড়িত থাকে তাহলে তাকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ কিংবা আওয়ামীলীগের নেতা হিসাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।

আমাদের মিডিয়ার লোকেরা কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে আগে খুঁজে তাতে আওয়ামীলীগের কোন লোক জড়িত কিনা। তাহলে এই খবরের মজা ও বিশেষনই আলাদা হয়ে যায়। সুকৌশলে চেষ্টা চলে অপরাধীর দলীয় পরিচয়টিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য। ফলে অপরাধ রাজনৈতিক রুপ পরিগ্রহ করে। অপরাধীকে তখন সরকার দলীয় ওমোক নেতার শিষ্য কিংবা কেডার ইত্যাদি বলার চেষ্টা বা বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি বরগুনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে বহু মানুষের সামনে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় রিফাত শরীফকে। এই ঘটনায় সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। আর এই ঘটনাটিতেও ক্ষমতাশীন দলকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে। কোন কোন মিডিয়ায় বলা হয়েছে খুনীরা আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় আছে। রিফাতের খুনী নয়ন বন্ড( ২৪) সমন্ধে কোন কোন মিডিয়া লিখেছে সে ছাত্রলীগের সমর্থক। কিন্তু তার কোন পদ পদবী নেই। তথাপিও তাকে ছাত্রলীগের নেতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে অনেক নিউজ মিডিয়ায়। ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্টতার তেমন কোন প্রমান না পাওয়ায় এই হত্যাকান্ডটিকে চেষ্টা সত্ত্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার কিংবা আওয়ামীলীগ কিংবা ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সরকার বিরোধী ব্লগার কিংবা তথাকথিত সুশিলরা।

আর উপরোক্ত ঘটনাবলী যদি ছাত্রদল, যুবদল কিংবা বিএনপি-জামাতের কোন সদস্য করে থাকেন তা হলে মিডিয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় পরিচয় আসেনা। ফলে দেখা যায় কোন অপরাধের সাথে ক্ষমতাসীন দলের কোন সদস্যের সম্পৃক্ততা থাকলে তার দ্রুত বিচার হয় সামাজিক চাপে। অপরদিকে সরকার বিরোধীরা জড়িত থাকলে তা তেমন প্রচারেও আসে না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিচারের দাবিও উঠে না। ফলে বিচার তুলনামুলকভাবে বিলম্বিত হয়। দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ আছে, প্রতিদিন এখানে সড়ক দুর্ঘটনায় কিছু মানুষ মারা যাবে, কিছু আত্নহত্যার ঘটনা ঘটবে, কিছু খুনখারাবি, চুরি-ডাকাতি হবে,  ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে -এইটা খুবই স্বাভাবিক। যদিও আমারা একটি মৃত্যু কিংবা অপরাধও আশা করিনা এই ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে দেখা উচিত না। তবে এই বিষয়গুলিকে রাজনৈতিকভাবে দেখলে সমাজে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশন মোটেও কাম্য নয়।

বরগুনার রিফাত হত্যাকান্ড নিয়ে চলছে রাজনীতি

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে দিবালোকে দা দিয়ে কুপিয়ে নিজ স্ত্রীর সামনে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সরকারী কলেজের সামনে। এই লোম হর্ষক ঘটনার মূল খলনায়ক নয়ন বন্ড নামের এক খুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।  রিফাত তার কলেজ পড়ুয়া স্ত্রী মিন্নিকে কলেজ থেকে নিয়ে বাসায় রওনা হয়েছিলেন। এই সময় সন্ত্রাসী নয়ন বন্ডসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা রিফাত শরীফের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা দা দিয়ে রিফাতকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। মিন্নি চেষ্টা করেও তার স্বামীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাচাতে পারেনি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপে প্রচুর রক্তক্ষরন হয় তার। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া ‌হলে কর্তব্যরত ডাঃ রিফাতকে মৃত ঘোষনা করেন।

এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সারাদেশে চলছে নিন্দার ঝড়। বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুদ্ধ মানুষ মানব বন্ধন করে এই হত্যাকান্ডের প্র্তিবাদ ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। ইতিমধ্য এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু হত্যাকান্ডের মূল নায়ক নয়ন বন্ডকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকারীরা সকলেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই হত্যাকান্ডটি যখন ঘটে তখন অনেকেই কাছাকাছি দুরত্ব থেকে তা দেখছিল ও কেউ কেউ ভিডিও ধারনে ব্যস্ত ছিল।

এই হত্যাকান্ডের পরপরই পুলিশ প্রশাসন হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে জোড় তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ঘটনার পরপরই খুনিরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। খুন করার পর খুনিরা পালিয়ে যাবে, পালিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কোন কোন মহল থেকে এই ঘটনাটিতে রাজনৈতিক মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ বলে বেড়াচ্ছেন খুনিরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আছেন। প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে আছেন খুনিরা। আর এই কারনে পুলিশ তাদেরকে ধরছে না। বাস্তবে খুনিরা কেহই তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন না। এরা সমাজের কোন প্রভাবশালীর ছেলেও না। অতি সাধারন ঘরের ছেলে খুনিরা। তাহলে পুলিশ কেন এদেরকে ছাড় দিবে? আসলে কোন কোন মহল হত্যাকান্ডটিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে দেশের পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করছে মাত্র। এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার হউক-এইটা দলমত নির্বিশেষে সকলেই চায়। আর এই বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।

1 2 3 4 5