৪/৫ বছর আগের কথা। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর আসে, শ্রীলংকা বাংলাদেশীদের জন্য সেদেশে অন এরাইভেল ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। কোন রকম কারন দর্শনো ছাড়াই দেশটি বাংলাদেশীদের জন্য আগের এই সুবিদা বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টা নিয়ে একটু বুঝার চেষ্টা করলাম। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্য তুলনামূলক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক নিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেল শুধু মাত্র শিক্ষা ছাড়া শ্রীলংকা অন্য কোন দিক থেকেই বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে নেই। তা হলে কেন বাংলাদেশীদের জন্য অন এরাইভেল ভিসা বন্ধ করলো? আসলেই এদের দম্ভ ছাড়া আর কোন কারন খোঁজে পাওয়া যায়নি। এই ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে দেশটি বুঝিয়ে দিল তাদের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বহীন।
একই সময়ে বাংলাদেশেও শ্রীলংকার নাগরিকদের জন্য অন এরাইভেল ভিসা চালু ছিল। অন এরাইভেল ভিসার কারনে শ্রীলংকার নাগরিকরাই বেশী এর সুযোগ নিতো। সে সময়ে এমনকি এখনো প্রচুর সংখ্যক শ্রীলংকার নাগরিক বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে চাকুরিরত আছে। বাংলাদেশ থেকে খুব কম সংখ্যক মানুষ শ্রীলংকা ভ্রমনে যায়। শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের বানিজ্যও খুব বেশী হয় না। মুলত শ্রীলংকানরাই অন এরাইভেল ভিসার সুযোগে বেশী লাভবান হত।
বাংলাদেশ অন এরাইভেল ভিসা নিয়ে শ্রীলংকার সাথে আর কোন আলোচনা না করেই একই সুবিদা বন্ধ করে দিল ২/৩ দিনের মধ্যেই। ফলে বাংলাদেশে কর্মরত শ্রীলংকানরা বিপদে পড়ে গেল। ক্ষতিগ্রস্ত হল শ্রীলংকা। অপরদিকে বাংলাদেশ তাতে লাভবানই হল। সেই দাম্ভিক শ্রীলংকা কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে ২১শ কোটি টাকা ঋন নিয়েছে। তা পরিশোধ না করেই আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋন চাইলো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরমর্শে এইবার আর শ্রীলংকাকে টাকা দেয়নি বাংলাদেশ। সেই দাম্ভিক শ্রীলংকায় আজ খাদ্যের অভাব, জ্বালানির অভাব, কাগজের অভাব, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত। সেই দেশটি সকল দিক থেকে আজ চরম বিপর্যয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে সার্কভুক্ত দেশ শ্রীলংকা ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছে। দেশটিতে জ্বালানী সংকট, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ সংকটসহ আরো অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কাগজের অভাবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম ও পত্রিকা ছাপা বন্ধ রয়েছে। তেলের অভাবে সেদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি ক্ষুদ রাজধানী কলম্বোতে ১০ ঘন্টা লোড সেডিং চলছে। টাকার অভাবে দেশটি জ্বালানি তেলও ক্রয় করতে পারছে না। এমন কি দেশটি বাংলাদেশের কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা লোন চেয়েছে এই অবস্থা মোকাবেলার জন্য। এক বছর আগেও শ্রীলংকা বাংলাদেশে কাছ থেকে ২১শ কোটি টাকা লোন নিয়েছে। সেই লোনের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি। দেশটি বিপুল পরিমান বৈদেশিক ঋনে ভারাক্রান্ত। এই সমস্ত সুযোগে দেশটিতে ব্যপক হারে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার আবাসিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এর মধ্য শ্রীংলকার বিরোধী দল আঁটসাঁট বেধে আন্দোলনে নেমে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে মন্ত্রী সভার সকল সদস্য পদত্যগ করেছে। সংখ্যা গরিষ্টতা হারিয়েছে সরকারী দল। এখন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার পদত্যগ চাচ্ছে বিরধী দল। দেশটিতে লুটতরাজও চলছে অন্যান্য বিশৃঙ্খলার সাথে। শ্রীলংকার সরকার পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যপার মাত্র।
শ্রীলংকার প্রধান অর্থ আয়ের খাত পর্যটন শিল্প। করোনার দুই বছরে এই শিল্প থেকে আয় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। যার ফলে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে চাপে পরেছে। অপরদিকে করোনাকালেও বাংলাদেশ অর্থনীতির সকল চাকা সচল রেখেছে। মহামারীকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বের বড় বড় দেশ ও সংস্থা প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভও বিপুল পরিমানে রয়েছে। শ্রীলংকার মূদ্রামান বাংলাদেশের ১টাকা সমান শ্রীলংকার ৩.৪২ রুপি। বর্তমানে অর্থনীতির সকল সূচকে দেশটি বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১তম বড় অর্থনৈতিক দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তথাপিও এদেশের কিছু সরকার বিরোধী প্রচার মিডিয়া, বিরোধী দল ও ব্যক্তি শ্রীলংকার অবস্থার সাথে বাংলাদেশের অবস্থা মিলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। আশা করছেন বাংলাদেশেও শ্রীলংকার মত অবস্থা সৃষ্টি হবে, আন্দোলন হবে সরকারের বিরুদ্ধে। যার ফলশ্রুতিতে সরকারের পতন হবে। আর নিজেরা ক্ষমতায় আসবেন। যারা এমন আশা করছেন তারা সকলেই পাকিস্তান পন্থী কিংবা আওয়ামীলীগের বিরোধী।
২৪শে ফেব্রুয়ারী রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমন শুরু করে। উভয় পক্ষের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে আজ তা এক মাসে গড়িয়েছে। আক্রমনের শুরুতে রাশিয়ান বাহিনীর যে ক্ষিপ্রতা ছিল তা এখন থেমে গেছে বলে অনেকে মনে করেন। উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিন দিকে দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনকে ঘিরে আক্রমন করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বদিকে রাশিয়া সীমান্তে দুনস্ক ও লিউনস্ক আগে থেকেই দখল করে রেখেছে ওই এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। পুবের শহর খারকিভ ঘিরে এক মাস ধরে আক্রমন চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। দক্ষিনের বন্দর নগরী মারিওপল দখল করে নিয়েছে রাশিয়ান সৈন্যরা। শুরুতেই রুশ সেনারা উত্তরের চেরনিহিভ দখল করে নিয়েছিল। শুরুতেই রুশ সেনারা দখল করে নিয়েছিল দক্ষিনের খেরশন ও জাপুরঝিয়াও। জাপুরজিয়াতে রয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
প্রতিদিনই স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের পশ্চিমের শহর এলভিভেও বেশ কয়েকবার আকাশপথে মিশাইল হামলা করেছে রাশিয়া। এই এলভিভ দিয়েই ইউক্রেনের শরণার্থীরা পোল্যান্ডে পালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে ইউক্রেনের সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেছে। রাশিয়ান হামলায় ইউক্রেন এখন বিপর্যস্ত। ইউক্রেনের সেনারাও রাশিয়ান সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে পাল্টা আক্রমন চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ২৪শে ফেব্রুয়ারী যুদ্ধ শুরুর ২ দিনের মধ্যেই রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভের উপকন্ঠে চলে গিয়েছিল। কিয়েভের কেন্দ্র থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে রাশিয়ান সৈন্যদের অবস্থান জানিয়ে নানা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সংবাদ প্রচার করে আসছিল। এর পর থেকেই কিয়েভ অভিমুখে রাশিয়ান বাহিনীর অগ্রযাত্রা থেমে যায়। এর কারন কি হতে পারে?
এর উত্তরে বলা যায় এইটা হয়ত রাশিয়ার রণকৌশল হতে পারে। কিয়েভে প্রবেশ করলে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনীয় বাহিনীর চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হতে পারে। এতে তাদের জান ও বহরের ব্যপক ক্ষতি সাধন হতে পারে। যার ফলে রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভে মিশাইল হামলা চালিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবকাঠামো ধ্বংস করতে ব্যস্ত রয়েছে। রাশিয়ান বাহিনী কিয়েভের উপকন্ঠ থেকে খানিকটা পিছিয়ে গেছে হয়ত ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কিয়েভ থেকে পশ্চিম-উত্তর উপকন্ঠে আসতে প্রলোপদ্ধ করতে। ফলে সাধারন মানুষের জানমালের ক্ষতি কম করে সাড়াশি আক্রমন চালিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পরাস্ত করতে সহজ হবে। এই সময় রাশিয়ান বাহিনী স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর আক্রমন চালিয়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারবে। ফলে কিয়েভ দখল ও দখল করে রাখা হয়ত রাশিয়ান বাহিনীর জন্য সহজ হবে।
রাশিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের ইউক্রেনে অভিযানের উদ্দেশ্য হল ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা ও লোনস্ক ও দুনস্কের স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসাবে ইউক্রেনের স্বীকৃতি আদায় করা। অপরদিকে উইক্রেনের নেটোতে যোগদানকেও বাধাগ্রস্ত করা। এই যুদ্ধে ইউক্রেনের অবকাঠামোর ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। রাশিয়ান বাহিনীরও জানমালের বিয়োগ হচ্ছে। ইউক্রেনেরও হয়ত এই ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাহির হয়ে আসতে রাশিয়ার সাথে নিঃশর্ত আলোচনায় রাজি কিংবা রাশিয়ার দাবি মেনে নিতেও আপত্তি নাই। এটি করলে ইউক্রেন বেঁচে যাবে, একটি দেশ বেঁচে যাবে, দেশের মানুষ বেঁচে যাবে। কিন্তু ইউক্রেনের পশিমা মুড়লেরা হয়ত চাচ্ছে এই যুদ্ধ যতবেশী দিন লেগে থাকবে ততবেশী ক্ষয়ক্ষতি হবে উভয় দেশেরই। পশ্চিমারা হয়ত চাচ্ছে যুদ্ধ করে রাশিয়ার সামরিক শক্তির আরও অপচয় হউক। ফলে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের হয়ত আসল চিত্র না দিয়ে ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রলোপদ্ধ করে যাচ্ছে। রাশিয়ান বাহিনীর যুদ্ধের রসদ শেষ হয়ে গেছে, গোলাবারুদ শেষ হয়ে গেছে, ইউক্রেন বাহিনীর হামলায় রাশিয়ান বাহিনীর ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে, রাশিয়ান বাহিনী আর যুদ্ধ করতে চাচ্ছে না, এই বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে গেছে-এই সব কথা প্রচার করে ইউক্রেন বাহিনী কিংবা দেশকে চাঙ্গা রেখে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে পশ্চিমারা। এদিকে রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকে বরাবরই বলে আসছে এই যুদ্ধে তারা পরিকল্পনা মোতাবেকই এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য অর্জন হবেই। তারা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর অবকাঠামোগুলি একে একে গুড়িয়ে ক্রমশঃই লক্ষ্য অর্জনের দিকে যাচ্ছে। পশ্চিমারা এই যুদ্ধে রাশিয়ার বিপক্ষে সরাসরি অংশ গ্রহন না করলেও নানা অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে রাশিয়াকে সারা দুনিয়া থেকে আলাদা করে ফেলেছে। ইউক্রেনকে তারা অর্থ, অস্ত্র ও সাহস দিয়ে যাচ্ছে যাতে করে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। এই যুদ্ধের এক পক্ষে রয়েছে রাশিয়া আর তার বিপক্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা। অন্যভাবে বলা যায় একদিকে রাশিয়া আর অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সারা দুনিয়া। সময়ই বলে দিবে এই যুদ্ধে কে জিতবে, কে হারবে।
২০০৬ সালের শেষদিকে আওয়ামীলীগ ও তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলির নানা দাবি ও নানামুখী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। ২০০৭ সালে সরকার নিয়ে চলে নানা নাটকীয়তা। ফলে এই সময়ে দুইবার তত্বাবধায়ক সরকারের আগমন ঘটে। এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনা ও বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে জেলেও যেতে হয়। ২০০৭ সালেই জনমত জরিপে আওয়ামীলীগের জয়ের নিশ্চিত আভাস পাওয়া যায়। সময় যতই এগিয়ে যাচ্ছিল ততই আওয়ামীলীগের জয়ের সম্ভাবনা র্যাপিডলি বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে জনগন নিশ্চিত হয়ে যায় যে আওয়ামীলীগই আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত জয় লাভ করবে। আর ঠিক এই সময় থেকেই আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনে নানা ধরন ও শ্রেনীর সুবিদাবাদী গোষ্টী অনুপ্রবেশ করতে থাকে। অবশ্য যদি বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা থাকতো তা হলে এই গোষ্টী হয়ত বিএনপিতেই অনুপ্রবেশ করতো। এরা হল এই দেশের ধান্ধাবাজ, ফিকিরবাজ, ফন্দিবাজ, চাঁদাবাজ, জোয়ারী, বালু ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী, বিশেষ বাহিনীর দালাল, দখলবাজ ইত্যাদি। নিজেদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য এদের দরকার সরকারি দলের ছত্রছায়া ও নেতা বনে যাওয়া।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে উপরোক্ত সুবিদাবাদীরা আওয়ামীলীগে ব্যপকভাবে অনুপ্রবেশ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিশাল সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। আর এই ধান্ধাবাজরা ক্রমে আওয়ামীলীগে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। এরা নানান সময়ে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নানা ধরনের উপহার কিংবা আর্থিক সহযোগীতা করে নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের ভাগ দিতে থাকে বিশেষ শ্রেনীর নেতাদের। এদের অবৈধ ব্যবসার (মাদক ব্যবসা, জোয়া, অবৈধ বালু ব্যবসা, অটো স্ট্যান্ডের চাঁদা, দালালী, সাধারন মানুষকে বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করা, জমি দখল ইত্যাদি) উপার্জিত টাকা মাসে মাসে বিশেষ বিশেষ নেতা ও স্থানে বন্টন করে এরা নেতাদের ও বিশেষ স্থানের নজরে আসে। এক পর্যায়ে এই সমস্ত ধান্ধাবাজরা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংঠনের সভাপতি কিংবা সেক্রেটারী কিংবা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে যায়। আর এখানে সংগঠনের ত্যগী নেতারা হয় বঞ্চিত। এভাবে টাকার বিনিময়ে পদ বিতরন করে অযোগ্য ও সুবিদাবাদীদের দলে স্থান দেওয়া নিজের পায়ে কুড়াল দেওয়ার সামিল। অবৈধ ব্যবসার টাকার গরম দেখিয়ে এরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকা এলাকায়। এদের মাধ্যমে নানাভাবে সাধারন মানুষ হচ্ছে নাজেহাল।
এই সমস্ত নব্য আওয়ামীলীগারদের কাছে দল ও ত্যগী নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে আছে। এদের অপকর্মের কারনে আওয়ামীলীগ ও সরকারের বদনাম হচ্ছে। বিগত ১২/১৩ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করলেও সবকিছু ম্লান হয়ে যাচ্ছে এই সমস্ত নব্য ও সুবিদাবাদীদের অপকর্মের কারনে। এরাই দলে উপদল সৃষ্টি করছে। দলের ভিতরে পক্ষ-বিপক্ষ সৃষ্টি করছে। এদের কারনেই স্থানে স্থানে আজ আওয়ামীলীগ বিব্রত। নিজের স্বার্থ হাসিলের ব্যঘাত ঘটলেই নেতা পরিবর্তন করে। ভাগাভাগী নিয়ে বাধাগ্রস্ত হলেই নেতার বিরুদ্ধে চলে যায়। অন্য নেতার আশ্রয় নেয়। এভাবেই সারাদেশে এই শ্রেনী দলীয় কুন্দল সৃষ্টি করে চলেছে।
এই শ্রেনী রাজনীতি বলতে বুঝে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, জোয়ার আসর বসিয়ে টাকা কামানো, অটো স্ট্যান্ডের থেকে চাঁদা আদায়, মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, ওয়ারিশ নিয়ে জামেলা পাকানো, জমি বেচা কেনায় বাধা সৃষ্টি করে উভয় পক্ষ থেকে টাকা কামানো, নারীঘটিত ব্যপার নিয়ে জামেলা পাকিয়ে টাকা কামানো, সালিশে টাকা খেয়ে এক পক্ষকে জিতিয়ে দেওয়াসহ আরও নানা ধরনের অপকর্ম। বিশেষ বাহিনীর সাথে সম্পর্ক রেখে সাধারন মানুষকে ধরিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবার ছাড়িয়ে আনাও এদের অবৈধ আয়ের অন্যতম উৎস। আর এই অবৈধ টাকার দাপটে এরা ধরাকে সরা জ্ঞান করে। এলাকায় এরা দাপিয়ে বেড়াই দামি মটর সাইকেল কিংবা প্রাইভেট কার দিয়ে। এদেরকে সবসময়ই ঘিরে থাকে এদের সাঙ্গ পাঙ্গরা। অনেকটা সিনেমার ভিলেনের মত বাস্তবে এদের চাল চলন। এহেন গোষ্টী সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে দলও পরিবর্তন করে আবার নতুন সরকারি দলের হয়ে যায়। মুলতঃ এরাই বর্তমান সরকারের ইমেজ নষ্টের জন্য দায়ী।
এই কুলাঙ্গার অনুপ্রবেশকারীরা অধিক মাত্রায় ঢুকে পড়েছে যুবলীগে। দেশের ৯০ শতাংশ অপকর্ম এই যুবলীগ নামধারীরাই করে থাকে। ফলে যুবলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে যদি এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে যুবলীগকেই গিলে ফেলবে এই দানবেরা। এদেরকে যারা নেতা বানায় তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া অতীব জরুরি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে যুবলীগ নামধারী এই কুলাঙ্গাররা মূর্খ, অনেকে নিজের নাম লেখা দূরে থাক কখনো স্কুলের বারান্দায়ও যায়নি। এদের অনেকে আবার রাস্তায় বড় হয়েছে। অথচ শুধু মাত্র অবৈধ ব্যবসার আয়ের ভাগাভাগির মাধ্যমে কিছু লোভী নেতাদের ম্যানেজ করে এরা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের বড় বড় পদ দখল করে আছে। রাজনীতিকে এরা টাকা কামানোর মেশিন মনে করে। এরা যুবসমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে। নিজ দল ভারি করার জন্য নিরীহদের দলে নিয়ে অবৈধ কাজে লাগাচ্ছে। এদের দ্বারা সমাজ হচ্ছে কলুষিত। এরা দেশের শত্রু,জাতির শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করে দল থেকে বের দিলে যুবলীগ আবার হারানো গৌরব ও ঐতিয্য ফিরে পেতে পারে। এদের বিষদাঁত এখনই ভেঙ্গে দিতে হবে। এই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এখন আওয়ামীলীগের দাবি, সাধারন মানুষের দাবি, সময়ের দাবি। বিঃদ্রঃ একই সময়ে যদি বিএনপি কিংবা অন্য কোন দল ক্ষমতায় থাকতো তাহলে এই কুলাঙ্গাররা নানা কৌশলে এই দলগুলিতে অনুপ্রবেশ করে একই কাজ করতো।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে সৃষ্ট পূর্ব ইউরোপের একটি স্বাধীন দেশ ইউক্রেন। পূর্ব থেকেই জাতিগতভাবে ইউক্রেনের ওপর প্রভাব রয়েছে রাশিয়ার। প্রযুক্তির দিক থেকে ইউক্রেন অনেক শক্তিশালী। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক উন্নয়ন ও উত্থান এই ইউক্রেনকে কেন্দ্র করেই হয়েছে। এখানে রয়েছে চেরনোভিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ইউক্রেনের ৫০% মানুষ রুশ ভাষায় কথা বলে। রাশিয়ার প্রতিও রয়েছে ইউক্রেনের মানুষের টান। দুই দেশের মধ্য সামাজিক সম্পর্কও ভাল রয়েছে।
দুই দশকের বেশী সময় ধরে রাশিয়ার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ভ্লাদিমির পুটিন। পশ্চিমারা রাশিয়াকে বাঙ্গতে ও পুটিনকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করে আসছেন। তারা নানা তুচ্ছ অজুহাতে পুটিন তথা রাশিয়াকে বিব্রত করার অবিরাম চেষ্টা করে আসছেন। পূর্ব ইউরোপের সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলিকে একে একে নেটোতে যোগদান করিয়েছেন নানা কুট কৌশলে। কিন্তু ভেলারুশ ও ইউক্রেনকে এখনো নেটোতে যোগদান করাতে পারেননি। সম্প্রতি ভলোডিমীর জেলোনেস্কীর সরকার পশ্চিমাদের ফাঁদে পা দিয়ে নেটোতে যোগদানে রাজি হয়েছে। আর এইটা নিয়েই রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের জেলোনেস্কীর সরকারের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। নানাভাবে ইউক্রেনকে কনভিন্স করতে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের জেলোনেস্কী সরকারকে উৎখাতের ছক আটে।
ইউক্রেন ভূগৌলিক ও রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমাদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার পাশের এই দেশটিকে নেটোর নিয়ন্ত্রনে নিয়ে রাশিয়াকে আরও চাপে ফেলতে চাইছে পশ্চিমারা। রাশিয়ার শক্তি কমাতে পশ্চিমারা অনেক আগে থেকেই নানা কুটকৌশল অবলম্বন করে আসছে। ইউক্রেনে যাতে নেটো তথা পশ্চিমারা তথা আমেরিকা ঘাটি করতে না পারে সেই জন্যই জেলোনেস্কী সরকারকে উৎখাত করতে যুদ্ধে নেমেছে রাশিয়া। দীর্ঘ দিন ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা পুটিনকে কোনভাবেই দমাতে পারছে না পশ্চিমারা। পশ্চিমারা নানা কুটচালে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরী করেছে। এখন এই পশ্চিমারাই আবার ইউক্রেনের জন্য মায়া কান্না করছে। এই সবই হচ্ছে রাজনীতির অংশ।
মিডিয়ার মাধ্যমে রাশিয়াকে বহুমাত্রিক দিক দিয়ে চাপে রেখেছে আমেরিকাসহ পশ্চিমারা। বিবিসি, সিএনএন ও আরও অনেক শক্তিশালী মিডিয়ার মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অবরোধ দিয়ে রাশিয়াকে সারা দুনিয়া থেকে আলাদা করে ফেলেছে তথাকথিত পশ্চিমারা। রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংশ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অপরদিকে ইউক্রেনের জন্য মায়াকান্না করে যাচ্ছে।
স্বাধীন দেশ ইরাকে হামলা চালিয়ে সাদ্দামকে উৎখাত করতে কত মানুষের প্রান কেড়ে নিয়েছে আমেরিকা। লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে হত্যা করেছে আমেরিকা। আফগানিস্তানে হাজার হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমেরিকা। সিরিয়ায় রক্তের হুলি খেলা খেলছে আমেরিকা ও তার মিত্ররা। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তানসহ আরো অনেক দেশ আজ অশান্ত শুধু পশ্চিমাদের কারনে। কোথায় ছিল তখন মায়া কান্না, কোথায় ছিল তখন মানবতা। অথচ আজ তারা ও তাদের মিডিয়া মায়াকান্না করছে ইউক্রেনের জন্য। এর সবই রাজনীতির অংশ মাত্র।
গত ৫ই আগস্ট শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জুম আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, শেখ কামাল ছিলেন দেশের সর্বশ্রেষ্ট ক্রীড়া সংগঠক। মননে, চিন্তায় আধুনিকতায় এক স্বপ্ন পুরুষ।উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আবুধাবি জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ হাবিবুল হক খন্দকার। তিনি শেখ কামালের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সহপাঠী হিসাবে অনেক অজানা তথ্য সভায় উপস্থাপন করেন।তিনি বলেন মিথ্যাচার ও বানোয়াট অপপ্রচারের মাধ্যমে এক সময় শেখ কামালের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে। শেখ কামাল দেশের জন্য গঠনমূলক চিন্তা করতেন।সংস্কৃতিমনা ও আবহানী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল ছিলেন যুবসমাজের প্রতীক।মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার মানবিক গুনাবলীর অন্যতম বৈশিষ্ট ছিল। বাউবির এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এইসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন বাউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ নাসিম বানু, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মাহবুবা নাসরিন।আরও সংযুক্ত ছিলেন বাউবির রেজিস্টার, বিভিন্ন স্কুলের ডীন, পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
করোনা ভাইরাস সংক্রমনে তাপমাত্রার প্রভাব নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন তাপমাত্রা করোনা ভাইরাস সংক্রমনে প্রভাব ফেলে। আবার অন্যেরা বলছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমনে তাপমাত্রার প্রভাব নাই। নিন্মে বিভিন্ন দেশের তাপমাত্রা, করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা, মৃতের সংখ্যা, সুস্থ্যতার সংখ্যা, ক্রিটিকেল সংখ্যা ও প্রতি ১০ লক্ষে কতজন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে তার সংখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলি সর্বশেষ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আজকের তাপমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
উপরোক্ত ডাটা থেকে দেখা যায় এখন পর্যন্ত যে সমস্ত দেশ করোনা ভাইরাসে বেশী আক্রান্ত সেই সমস্ত দেশগুলির তাপমাত্রা অনেক কম। অপরদিকে যে সমস্ত দেশের তাপমাত্রা বেশী সেই দেশগুলিতে আক্রান্তের হার অনেক কম। কাজেই বলা যেতে পারে তাপমাত্রা করোনা ভাইরাস বিস্তারে প্রভাব বিস্তার করে থাকতে পারে। আর এই বিষয়টিই এখন বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার সাপেবর। আর তার ওপরে আছেন মহান রাব্বুল আলামিন। আর করোনার বিস্তার রোধ ও এর থেকে বাঁচতে নিজেকে ঘরের ভিতরে রাখা ছাড়া কোন উপায় নাই। সকলকে এই বিষয়ে দেওয়া পরামর্শগুলি মেনে চলতে হবে।
(১) একজন লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ছেড়ে দেশে ফিরতে বলেছে কিংবা ইতিমধ্য ফিরে গেছে-এর অর্থ দাড়ায় এই যে বাংলাদেশের অবস্থা সামনের দিনগুলিতে এতই খারাপ হবে যে তা বিদেশীরা আছ করতে পেরে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
আমার বক্তব্যঃ বাংলাদেশের অবস্থা সামনে আরও খারাপ হবে তার গবেষনালব্ধ ও বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নাই। শুধু অনুমানের ওপর ভর করেই এমনটি বলা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত উপরোক্ত দেশগুলিতে ইতিমধ্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মহামারি রূপ ধারন করেছে। এইদেশগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। তাই এই সময়ে বাংলাদেশে থাকা আমেরিকান ও ব্রিটিশসহ অন্যান্য দেশের মানুষ এই মহামারিতে নিজের স্বজনদের পাশে থাকতে হয়ত বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে বা যাচ্ছে। আর এই সময়ে যেহেতু বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বেই লকডাউন চলছে তাই বাংলাদেশে থেকে তেমন কোন কাজও করতে পারবে না। তাই তারা চলে গেছেন কিংবা যাচ্ছেন।
(২) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নামে একটি রিপোর্ট কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। যা নাকি বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী মিশনগুলিতে পাঠানো হয়েছে, এইটা নাকি একটি গোপন নথি। এই গোপন নথিতে নাকি বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারন করবে এবং তাতে নাকি ৫ লক্ষাধিক মানুষ বাংলাদেশে মারা যাবে। বাংলাদেশ নাকি এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না। আমার মন্তব্য ও জিজ্ঞাসাঃ এই নথি শুধু বিদেশী মিশনগুলিতেই আসবে কেন? এটিতো গোপন কোন বিষয় নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তার পাঠানো এই নথি কিংবা পূর্বাভাসেরও বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নাই, শুধু ধারনার ওপরই এটি প্রতিষ্ঠিত। এর আগেও বাংলাদেশে এক বন্যার সময় তারা আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশে ১ কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা কিন্তু হয়নি। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি ইউরোপ কিংবা আমেরিকা্র দেশগুলিকে এই মহামারির পূর্বাভাস দিয়েছিল, দিলে কেন দেশগুলি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হল। আর যদি না দিয়ে থাকে তা হলে বাংলাদেশের ব্যপারে তারা এই পূর্বাভাস কোথা থেকে পেলো।
(৩) দেশে অনেকে বলছেন, করোনা ভাইরাস যদি বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারন না করবে তা হলে সরকার কেনো এতো হাসপাতাল বানাচ্ছে, সরকারের পাশপাশি দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল বানানোর ঘোষনা দিচ্ছে।আবার সারা দেশে কেনো করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার জন্য নতুন নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করছে। আবার মন্ত্রী কেনো এতো পিপিই ও ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করছে।
আমার বক্তব্যঃ যদি কোন কারনে মহামারি আকার ধারনই করে তার জন্য এই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যেহেতু সরকারের হাতে এখনো সময় আছে। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলিতে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা আজ পর্যন্ত ৪০৩৪ জন। আর এই দক্ষিন এশিয়ায় জনসংখ্যা দেড়শ কোটির ওপরে। এই ডাটা থেকেও ধারনা করা যেতে পারে যে বাংলাদেশ কেনো দক্ষিন এশিয়ার কোন দেশেই করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করবে না। করলে ইতিমধ্যই হয়ত করত। এর কারন হতে পারে দক্ষিন এশিয়ার আবহাওয়া। এই দেশগুলির প্রতিটিরই তাপমাত্রা বর্তমানে ৩০ ডিগ্রীর ওপরে। অপরদিকে মহান সৃষ্টিকর্তা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। আসুন করোনা ভাইরাসের আক্রমন থেকে বাঁচতে সকলে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া নিয়ম কানুনগুলি মেনে চলি, নিজ ও পরিবারকে আর কটা দিন ঘরেই আবদ্ধ রাখি এবং এই সময়ে মহান আল্লাহ তাআলাকে বেশী বেশী স্মরন করি।
সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গেছে করোনা ভাইরাস। ১৯৯ দেশ ও অঞ্চল এই ভাইরাসের কবলে মহামারি আকার ধারন করেছে। আর সেই সাথে শুরু হয়েছে মহা মন্দাও। সারাবিশ্ব অচল হয়ে গেছে করোনা ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের কারনে। দেশে দেশে চলছে কারফিউ কিংবা লকডাউন। সরকারী-বেসরকারী ব্যবসা বানিজ্য প্রায় সব দেশেই বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশেও রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, রেমিটেন্স যোদ্ধারাও তেমন কোন ভুমিকা রাখতে পারছে না। সামনেও তারা ভুমিকা রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। ফলে অতীতের মত কৃষির ওপরই আমাদের নির্ভর করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ, তাই খাদ্যে উৎপাদনে কৃষক ভাইদের আরও বেশী মনোনিবেশ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আর কৃষক ভাইদের সাহায্যার্থে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রনোদনা দিতে হবে যত বেশী সম্ভব। দেশের এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না। তবেই দেশের মানুষ আসছে মহা মন্দা থেকে বেঁচে যাবে। আর বাকিটা আল্লাহ তালার ওপর নির্ভর করবে।
আর বিলম্ব না করে কৃষক ভাইদের এখনই ঝাপিয়ে পড়তে হবে কৃষি কাজে। ধান উৎপাদন বাড়াতে হবে ব্যপকভাবে পাশপাশি দেশের চাহিদা অনুযায়ী শাকসবজি, পিয়াজ, রসুন, আদা উৎপাদন করতে হবে। আর তাতে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব পুরন হবে। অন্য দেশের ওপর ভরসা করলে আর চলবে না। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই ফলাতে হবে।
করোনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাল মন্দ দুই ধরনের কথাবার্তাই লেখা হচ্ছে। অনেকে করোনা ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে দিনরাত নানা ধরনের করনীয় লিখে যাচ্ছেন। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। খুবই ভাল উদ্যোগ। আবার অনেকে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারের বিরুদ্ধে যা আসলে রাজনীতিরই অংশ। তবে এই মহামারি নিয়ে রাজনীতি করা মোটেও কাম্য নয়। চীন, ইতালী কিংবা আমেরিকাতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এই সব দেশেও ব্যপক আক্রান্ত ও প্রানহানি ঘটেছে এবং ঘটছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ইতিমধ্য ১ জন মারাও গেছে। আমাদের দেশের অবস্থা ও সামর্থ অনুযায়ী সরকার এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রানহানি কমাতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। এই উদ্যোগগুলি হয়তবা অপ্রতুল। তবে রাতারাতি আমরা আমেরিকা কিংবা কানাডা হয়ে যেতে পারবো না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রান্ত কিংবা মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু অডিও ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। এইসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারকে জনগনের কাছে হেয় করার চেষ্টা করা। আমেরিকাতে এ পর্যন্ত আড়াই শ এর বেশী মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছে। আমেরিকা কিংবা ইতালী কিংবা জার্মানির চিকিৎসা বিজ্ঞানের সক্ষমতা কি কম? সেখানে ব্যপকভাবে আক্রান্ত ও প্রানহানি ঘটছে কেনো? করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এ পর্যন্ত ১৮৩টি দেশ। এটি সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারন করেছে। বাংলাদেশও বিশ্বের বাইরে নয়। বিশ্বের অত্যান্ত ঘন বসতিপূর্ন দেশ হল বাঙ্গালদেশ। প্রতি বর্গমাইলে এখানে লোক সংখ্যা ১৮০০ এর বেশী। দেশ এখন পর্যন্ত আল্লাহর অসীম রহমতে নিয়ন্ত্রনে আছে। মৃত্যু কিংবা আক্রান্তের সংখ্যা কম বা বেশী হলে সরকারের পতন হয়ে যাবে না। করোনা ভাইরাস দেশের সকল মানুষের জন্যই সমস্যা। কাজেই আসুন কোন একজন গুজব রটনাকারীর ওপর বিশ্বাস না করে সরকারের দেওয়া তথ্যের ওপরই বিশ্বাস করি। জনগনকে এই মহা দুর্যোগে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে কি কি করনীয় তা নিয়ে আরো বেশী লেখি, জনগনকে সচেতন করি। নেতি বাচক প্রচারনা থেকে বিরত থাকি।
সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের কারনে। সািশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২১৯৩৪৫ জন, এর মধ্য মৃত্যু বরন করেছে ৮৯৬৯ জন, চিকিৎসাধীন আছেন ১২৪৬৩১ জন। প্রতি ক্ষনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ইতিমধ্য ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বাংলাদেশেও এই পর্যন্ত ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। এর মধ্য গতকাল ১ জন ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মারা গেছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রিয় স্বদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। শুনেছি তার দাফন-কাপন চিরাচরিতভাবে হবে না। ভাবতেই খারাপ লাগছে কেননা তারও স্বজনরা রয়েছেন, এই অবস্থার পরিপেক্ষিতে না জানি তাদের কি অবস্থা হয়েছে। অত্যান্ত ঘন বসতির একটি দেশ বাংলাদেশ, এই ভাইরাসের ছোবলে মহামারি আকার ধারন করতে পারে প্রিয় এই মাতৃভূমি।
এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। তাই যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে তা সন্তুসজনক নয় ও তা কাজেও আসছে না। বিশ্বের বড় বড় মহা উন্নত দেশগুলোও এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে পারছে না। বরং উন্নত দেশ চীনেই এর উৎপত্তি। চীনে প্রায় ৩৫০০ মানুষ মারা গেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। চীনের পর অতি উন্নত দেশ ইতালীতে এখন মহামারি আকার ধারন করেছে এই ভাইরাসের আক্রমনে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারের ওপরে। বড় বড় চিকিৎসকরা অতি উন্নত ও দামি ঔষধ দিয়েও এই ভাইরাসকে পরাস্ত করতে পারছেন না। গোটা ইউরোপে এই ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করেছে। এতো শক্তিশালী ও অতি উন্নত প্রবল পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসের হানায় মারা গেছে ১৫০ জনের বেশী। তারা পারলো না এই ভাইরাসকে পরাস্ত করতে। তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে এই ভাইরাস কোথা থেকে আসলো, কেই বা এর কারিগর। কেনই বা এই ভাইরাস এই সময়ে হানা দিল। আর এই প্রশ্নের মধ্যই এর রহস্য লোকায়িত। আসুন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।
পৃথীবিতে চলছে এখন আদিম যুগের মত অনাচার। দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব নেতারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলিকে নিয়ে রক্তের হুলি খেলছেন। কোন অবস্থায়ই এই হোলি খেলা বন্ধ হচ্ছে না। দুর্বল দেশগুলিকে শাসন ও করায়ত্ত করে রাখার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছেন। কেউ তাদের ক্ষমতাকে ধমিয়ে রাখতে পারছে না। আমেরিকা, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স ও রাশিয়া সারাবিশ্বকে করায়ত্ত্ব করে রেখেছে। এরা মিলে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনসহ অনেক মুসলিম দেশকে ধংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে গেছে। প্রতিদিনই এখানে হোলি খেলা চলছে রক্ত দিয়ে। কিভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা তা প্রত্যক্ষ করেছে সারাবিশ্ব। বৃহৎ শক্তিগুলির ইন্দনেই এই হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে ওই বৃহৎ শক্তিগুলির কুটচালে। সারাবিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা অশান্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন শয়তানের মত বুদ্ধি দিয়ে। সারা বিশ্বের অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলিকে তারা কৌশলে পরাধীন করে রেখেছে। কোন কিছু দিয়েই বিশ্ব নেতাদের ধমানো যাচ্ছিল না। সারা পৃথিবী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে যা মানুষের পক্ষে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অথবা মানুষের সেই ইচ্ছাও নেই। ঘরে বাইরে চলছে নানা অনাচার, পৃথীবির অধিকাংশ মানুষ আজ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু ভাবে না। জীনা, হারাম কাজ, ঘোষ, খুন, রাহাজানি এই সব নিয়েই মানুষ এখন বেশী ব্যস্ত। এমনকি টাকার লোভে কুটচালে পড়ে মানুষ নিজের সন্তানকেও হত্যা করছে। এমনই নানা অনাচারে পৃথিবী যখন তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তখনই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নানা বালামশিবত আসে। এই করোনা ভাইরাসের আক্রমন হয়ত তেমনই কোন ইশারায় হতে পারে যাতে করে মানুষ বুঝতে পারে ও পাপাচার কমিয়ে দেয়, পৃথিবী কিছুটা ভারসাম্য ফিরে পায়। মুসলমানদের ঈমান কোন পর্যায়ে চলে গেছে যে আমরা করোনা ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছি। আবার কোথাও মসজিদের মাইকে আজানের মাধ্যমেই বলা হয় আপনারা বাসায় নামাজ পড়ুন। ঈমান সাহেব থেকে মুসল্লি সকলেই আমরা দুর্বল ঈমান ধারন করি নচেৎ্ ঈমাম সাহেব কেন সাহস যোগাতে পারলেন না, বলতে পারলেন না তোমরা মসজিদে আস, নামাজ কায়েম কর। আর এসব কিছু খেয়াল করলে দেখা যাবে এই অবস্থায় করোনা ভাইরাসের হস্তক্ষেপ হয়ত বা মহান আল্লাহ তাআলার ইশারায়ই হয়েছে। এতে করে মানুষ হয়তবা নিজেকে অতিশক্তিশালী কিংবা প্রবল পরাক্রমশালী ভাবা একটু কমিয়ে দিবে। এতে পৃথিবী হয়ত একটু ভারসাম্য ফিরে পাবে।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন বিশ্ব সম্রাট ট্রাম্প সপ্তাহ ধরে জনসম্মুখে আসছেন না আর গাড় তেরা করে কোন দেশকে শাসাচ্ছেনও না। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন,করোনার ভয়ে বৃটেনের রানী রাজাসহ রাজপ্রাসাদ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বড় বড় দেশের বড় বড় বিশ্ব নেতাদের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন কিংবা এই সমস্ত দেশে যুদ্ধ বিস্তারে আপাতত তারা ক্ষান্ত। এখন পৃথিবীতে কিছুটা ভারসাম্য ফিরে এসেছে বলে মনে হয়। মানুষের মধ্য ভয় ঢুকেছে, পাপাচারও অনেকটা কমে গেছে। পাপে ডুবে আছে পুরা পৃথিবী তাই মনে হয় যথাযত সময়েই করোনা ভাইরাসের আগমন হয়েছে পাপাচারের মহৌষধ হিসাবে। বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সকলদিক বিবেচনা করলে দেখা যায় এখানে ন্যয় নীতির কোন বালাই নাই, চারদিকে মানুষ ব্যস্ত লুটপাটে, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার বেড়েই চলেছে, সমাজ চালায় মন্দ লোকেরা, প্রকাশ্যে চলে মাদকের ব্যবসা, রক্ষকেরা হয়ে গেছে ভক্ষক, ভাল মানুষ সমাজে নিগৃহীত হচ্ছে। এইসবের লাগাম কোন অবস্থাতেই টানা যাচ্ছে না। এই সব নির্বিচারে চলতে পারে না অনিদৃষ্টকাল। তাই মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই হয়ত এই করোনা ভাইরাসের আক্রমন শুরু হয়েছে যাতে করে মানুষ যেন কিছুটা বুঝতে পারে মানুষের অমানুষিক, অমানবিক, অসামাজিক কিংবা সকল অনাচারকে রুখতেই এসেছে করোনা ভাইরাস। একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলাই পারেন এই ভাইরাসের আক্রমন থেকে মানুষকে বাঁচাতে ও এর প্রকোপ ঠেকাতে। তাই আসুন সকলেই এই ভাইরাসের আক্রমন থেকে বাঁচতে মহান রাব্বুল আলামীনের সাহায্য কামনা করি ও আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পথে চলি।
আবারো আসছে শৈত্য প্রবাহ। সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রা কমবে বলে আবহাওয়া সূত্র থেকে জানা গেছে। একটানা প্রায় এক মাস শীত চলার পর শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে শনি ও রবিবার শীতের তীব্রতা কমে আসে। তবে সোমবার থেকে আবার কমে দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রীতে নেমে আসতে পারে এবং যা মঙ্গলবার ১১ ডিগ্রীতে নেমে আসতে পারে। ফলে আরো কিছুদিন দেশে শীতের মোকাবেলা করতে হবে জনসাধারনকে।
ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে একনাগারে শীতের কবলে সারাদেশ। যা আরো কয়েকদিন অব্যহত থাকবে বলে আবহাওয়া সূত্র থেকে জানা গেছে। গত ১০/১৫ বছরের মধ্য দেশে এবারই শীত দীর্ঘ স্থায়ী হল। তেতুলিয়াসহ দেশের কিছু অঞ্চলে এবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গত রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় রাজধানীর কুর্মিটুলা বাসস্ট্যান্ডের নিকটে ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। এই সময় মেয়েটি ঢাবির বাসে করে উক্ত বাসস্ট্যান্ডে নামলে এক ব্যক্তি মেয়েটির মুখ চেপে ধরে টেনে পিছনে একটি ছোট ঝুপড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটিকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই অবস্থায়ও মেয়েটির ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালায় ধর্ষক। রাত দশটায় জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি একটি সিএনজিতে করে ঢাবি হলে ফিরে বান্ধবীদের ঘটনা খুলে বলে। তারা মাঝ রাতে মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। ডাক্তারী পরীক্ষায় মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে মেডিকেল থেকে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার কথা ঢাবিতে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ঘটনার দিন রাত আড়াইটায় ছাত্রলীগ প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল বেড় করে। রাত সাড়ে তিনটায় কোঠা আন্দোলনকারীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ক্যাম্পাসে মিছিল করে। রাত ৪টায় এক ছাত্র রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসে। সোমবার সারাদিনই ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলি মিছিল মিটিং ও প্রতিবাদ চালিয়ে যায় নানাভাবে। বামদের নেতৃত্বে একদল ছাত্র শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করে। ফলে ব্যস্ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনগুলি কয়েক ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকে। এই অবরোধের ফলে সোমবার কমপক্ষে ৫০ লক্ষ মানুষ রাজধানীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
সোমবার শাহবাগে অসুস্থ্য ঢাকসু ভিপিও চলে আসে ও সেখানে বক্তব্য প্রদান করে। অর্থাৎ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব জাহিরের নিয়মিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। গতকাল ঢাবি ক্যাম্পাসে এমন অবস্থা ছিল যে, ‘ ইস্যু পাইছি তোরা কে কোথায় আছত তারাতারি চলে আয়। এইবার সরকার কিংবা ছাত্রলীগকে কাবু করা যাবে’। সারাদিনই এই ঘটনায় ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ কিংবা বিশেষ কোন বাহিনীর হাত আছে কিনা তা বের করার চেষ্টা করা হয়। সরকার বিরোধীরা এই ঘটনাকে রাজনীতি করনের চেষ্টা অব্যহত রাখে।
সরকার, প্রশাসন ও ঢাবির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ঘোষনা দেওয়া হয়। ভিসিসহ প্রশাসনের কর্তারা ইতিমধ্য হাসপাতালে যেয়ে মেয়েটিকে দেখে এসেছেন। তা সত্বেও ঢাবির বিভিন্ন সংগঠন মঙ্গলবারও বাদ-প্রতিবাদ অব্যহত রাখে। একদল আবার নতুন করে অনশনেও বসেছে আজ, আবার কেউবা আলপনা অংকন করছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে। সবই মনে হয় প্রচার পাওয়ার জন্য। আমরা দেশের মানুষ যদি এতো ভাল হতাম তাহলে দেশে এতো খুন, ধর্ষণ, ঘোষ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ কেন এবং কারা এসব করে? প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকার ইয়াবা কারা বিক্রি ও সেবন করে? অপরাধ কিংবা ধর্ষণ হয় না এমন কোন দেশ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া যাবে কি? এই সমস্ত ঘটনার বিচারের দাবি ও প্রত্যাশা করা উচিত। তবে রাজনীতির মোড়কে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা মোটেও কাম্য নয়। প্রতিদিনই সারাদেশে কম বেশী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেগুলি নিয়ে আন্দোলন করা হয় না কেন? শুধু বিশেষ স্থানের কেউ ভিকটিম হলেই আন্দোলন হয় কেন?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এইটা প্রমান করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি’। মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আলোচনাকালে ফখরুল এই কথা বলেন। এর আগে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না। তার এই কথার জবাবে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তা হলে বিএনপি দুই সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে কেন?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের অনেকগুলি তাৎপর্য আছে। তার কথায় মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভের চেয়ে হারাটাই পছন্দ করছে এই সময়ে। জিতে গেলে প্রমান হবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে নিয়ে বিএনপি গতানুগতিক যে বক্তব্য দিয়ে আসছে তা মিথ্যা প্রমান হবে। আর হারলে বলা যাবে ভোট চুরি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিএনপি প্রার্থীকে হারানো হয়েছে। কাজেই এই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যগ চাই।
আওয়ামীলীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও আওয়ামীলীগের পরে বিএনপিই বড় রাজনৈতিক দল। একাদশ নির্বাচনের মত যদি বিএনপি নির্বাচনের দিন প্রতিকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না দেয় ও নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না তা যদি আগেই বলে দেয় তা হলে বিএনপির ভোটারগন কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে ফাকা কেন্দ্রে জাল ভোট কিংবা সিল মারার সুযোগ পেয়ে যাবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। কাজেই মনে হচ্ছে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হবে না।
নারীদেহ প্রদর্শনকারী উত্তেজক পোষাক উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতে হবে। এমনই লেখা সম্বলিত ফেস্টুন দেখা গেছে কলকাতার শ্যামবাজারে। ফেস্টুন্টির নীচে লেখা আছে ‘বাঙ্গালী মহিলা সমাজ’। অর্থাৎ বাঙ্গালী মহিলা সমাজ নামের একটি গোষ্টী এই ফেস্টুনটির প্রচারক। এটি টানানো ও এর বক্তব্য নিয়ে পক্ষ বিপক্ষে চলছে নানা তর্কবিতর্ক।
বাঙ্গালী মহিলা সমাজের বক্তব্য হচ্ছে, খোলামেলা ও উত্তেজক পোষাকের কারনেই আকৃষ্ট হয়ে ধর্ষণে বেশী জুকছে মানুষ। তাই এই পোষাক উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতে হবে। আবার এই পোষ্টার সরিয়ে ফেলতে আরেকটি গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের যুক্তি পোষাকের কারনে ধর্ষণ হয় না। ২ বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধাও ধর্ষণের শিকার হয়। তাই এই গ্রুপটি এই পোষ্টারটি খুলে ফেলতে চাচ্ছে। আর এই নিয়ে শ্যামবাজারসহ সারা কলাকাতায় চলছে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যপক বিতর্ক।
ফেসবুক নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন আছে। এর ভাল ও খারাপ দুটি দিকই আছে। তবে এই ফেসবুককে যে ভাল কাজে ব্যবহার করা যায় তা প্রমান করেছে ‘হৃদয়ে আমার ব্রাহ্মন্দী কে কে এম গভঃ হাইস্কুল’ নামক ফেসবুক গ্রুপটি। অত্র স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একত্র করে নিজেদের মধ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি, সহযোগিতা ও হারিয়ে যাওয়া প্রক্তন ছাত্রছাত্রীদের একত্রে একটি ফ্লাটফর্মে নিয়ে আসার উদেশ্যে এই গ্রুপটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গ্রুপটি হারিয়ে যাওয়া ও যোগাযোগ বিছিন্ন অনেক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীকে গ্রুপে সংযুক্ত করে যোগাযোগ পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রুপটি এখন ব্রাহ্মন্দী স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের মধ্য সেতু বন্ধ তৈরী করে জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়া ও নানাহ সমস্যায় থাকা ছাত্রদেরকে সহযোগিতা করে আসছে। ইতিমধ্য এই গ্রুপটি প্রায় হারিয়ে যাওয়া ও জীবন সংগ্রামে অকালে ক্লান্ত লীল মিয়া নামক ‘৮৩’ ব্যাচের এক প্রাক্তন ছাত্রকে খোজে পায়। এই লীল মিয়া সেই সময়ে নানাহ কারনে স্কুলে অনেক জনপ্রিয় ছিল। ৩৫ বছর যাবৎ হারিয়ে যাওয়া লীল মিয়াকে নতুন করে আবিস্কার করে এই গ্রুপটি আরো জনপ্রিয়তা লাভ করে।
শুধু তা ই নই, গ্রুপটি ইতিমধ্য সদস্যদের অনুদানে বা চাদায় লীল মিয়াকে দুটি অটো রিক্সা কিনে দিলে তার জীবনে সচ্ছ্বলতা ফিরে আসে। লীল মিয়া নতুন করে জীবন সংগ্রাম শুরু করে ও বুঝতে পারে সে একা নই তার আপদে বিপদে ব্রাহ্মন্দী স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী সকলেই আছে। ৩৫ বছর পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে ও নতুন দুটি অটোরিক্সা পেয়ে লীল মিয়া আনন্দ ও আবেগে কেঁদে ফেলে। সম্প্রতি গ্রুপটি ব্রাহ্মন্দী স্কুলের নবম শ্রেনীর আরেক ছাত্র আরাফের চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত আরাফের চিকিৎসার জন্য গ্রুপটি আরাফের বাবার হাতে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। আরাফ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে। অনুদান প্রদানের সময় গ্রুপটির চিফ এডমিন আল-আমিন বিপ্লবের সাথে উপস্থিত ছিলেন এডমিন মিনহাজ আহমেদ, শাহিদা খানম লিলি, মতিমল বিশ্বাস, সোহেল রানা ও মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ। উল্লেখ্য গ্রুপটিকে সচল ও গ্রুপের সেবা আরো বৃদ্ধি ও গতশীল করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চিপ এডমিনসহ অন্যরা। মানব সেবার এমন উদাহরন ফেসবুক ব্যবহার করেই হয়েছে।
অবশেষে রবিবার থেকে দেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। রাজধানীর অনেক বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় ২০০ টাকায় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেকস্থানে তার থেকে কম দামেও পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে অনেকস্থানে পিঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকায় নেমে আসার খবর পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম আরো কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে ভারত হঠাৎ করে পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। চাহিদার তুলনায় পিঁয়াজ আমদানী না হওয়ায় ও পাইকারী বাজারে পর্যাপ্ত পিঁয়াজ না থাকায় তার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
এরই মাঝে সরকার ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশে থেকে পিঁয়াজ আমদানী করতে তৎপরতা চালায়। ফলে তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ইতিমধ্য কিছু পিঁয়াজ আমদানী হয়েছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। আরো বিপুল পরিমান পিঁয়াজ তুরস্ক থেকে এ সপ্তাহেই দেশে এসে পৌছবে। ফলে তার আগে থেকেই দাম কমা শুরু হয়ে গেছে। আবার শনিবার দিন প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে জানিয়েছেন, কার্গো বিমানে করে দ্রুত পিঁয়াজ আনা হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। তিনি জানিয়েছেন পিঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, ২/১ দিনের মধ্যই এসে পৌছাবে। আবার বাজারে পিঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম বেশী থাকায় অসময়ে চাষীরা নতুন পিঁয়াজ বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। তাই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে দেশের অধিকাংশ মানুষ আগের তুলনায় পিঁয়াজের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। তাই পিঁয়াজের চাহিদা কমে যায় ও বাজারে এর প্রভাবে দাম কমতে শুরু হয়েছে।
রান্নার জন্য পিঁয়াজ একটি অত্যাবশ্যক উপকরন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য যে পরিমান পিঁয়াজ দরকার সেই পরিমান দেশে উৎপাদন হয় না। বিধায় বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমান পিঁয়াজ আমদানী করে দেশের চাহিদা মিটাতে হয়। পাশের দেশ ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানী করলে দাম ও সময় দুটিই কম লাগে। আবার এটি একটি দ্রুত পচনশীল দ্রব্য হওয়ায় এর আমদানী স্বল্প সময়ের মধ্য সম্পূর্ণ করে দ্রুত বাজারে বিক্রি করতে হয়। পিঁয়াজ বেশীদিন মজুদ রাখা যায় না। তাই আমদানীকারকরা ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানীতে বেশী আগ্রহী। ভারত নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা রপ্তানী করে থাকে। এতদিন আমদানী করা পিঁয়াজের সিংহভাগই ছিল ভারতের।
কিছুদিন আগে ভারতে ব্যপক বন্যা হলে পিঁয়াজ চাষে তা প্রভাব ফেলে। ফলে ভারতের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পিঁয়াজ রপ্তানী অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে এক পর্যায়ে ভারত পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়। তবে সেপ্টেম্বরের শেষে হঠাৎ করেই ভারত পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পাইকারী বাজারগুলিতে সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় এর দাম হুর হুর করে বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিকল্প বাজার খোঁজতে থাকে। ইতিমধ্য মিশর, তুরস্ক কিংবা অন্য দেশ থেকে কিছু পিঁয়াজ আমদানী করা হয়েছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। মিশর, তুরস্ক ও অন্যান্য দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানীর জন্য আরো অনেকগুলি এলসি খোলা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে তা দেশে এসে পৌছলে পিঁয়াজের এই অস্বাভাবিক দাম কমে যাবে।
দাম বাড়ার পিছনে আরো একটি কারন রয়েছে-তা হল গুজব বা প্রপাকান্ডা। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর দাম নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলা হচ্ছে। যেমন পিঁয়াজ যখন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তা গুজব ছড়িয়ে বলা হচ্ছে পিঁয়াজের দাম ৭০ টাকা কেজি। আবার যখন পিয়াজ ১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে তখন আমরা প্রচার করে আসছি পিঁয়াজ ১৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এভাবে পিঁয়াজের কেজি এখন ২০০ টাকার ওপরে। আমরা ভোক্তারা অসচেতনভাবেই গুজব ছড়িয়ে তার দাম আরো বাড়িয়ে দিচ্ছি।
ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে পিঁয়াজ নিয়ে অনেক রঙ্গ-রসাত্বক কথাবার্তা চলছে। অনেকে পিঁয়াজ নিয়ে কবিতা লিখে যাচ্ছেন অনবরত। এরা পিঁয়াজের উচ্চ দামের বদৌলতে নিজেকে একেবারে কবি বানিয়ে ফেলেছে। এদেরকে পিঁয়াজ কবিও বলা যেতে পারে। আবার অনেকে পিঁয়াজ নিয়ে বিশদ গদ্যও লিখে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। যেন পিঁয়াজের উচ্চ মূল্যের কারনেই তারা লেখক হয়ে গেছেন। আবার পিঁয়াজের উচ্চ মূল্যে অনেককে আনন্দও দিচ্ছে। তাই তারা পিঁয়াজকে মনের মাধুরী মিশিয়ে নানাভাবে উপস্থাপন করছেন। আবার অনেকে গিন্নীর সাথে পিঁয়াজ নিয়ে ঝগড়া বিবাদের কথাও লিখে যাচ্ছেন-এসবই হল রম্য রচনা। তবে আবার দু-একজনকে ইতিবাচক মন্তব্য করতেও দেখা গেছে ফেসবুকে। একজন লিখেছেন, আসুন আমরা ৭ দিন পিঁয়াজ কেনা বন্ধ রাখি। তাহলে দেখবেন সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে এবং এর দামও কমে আসবে। আসলেই আমরা যদি ১৫ দিন পিঁয়াজ কিনা বন্ধ রাখি তা হলে এর দাম অবশ্যই যুক্তিক পর্যায়ে পৌছাবে। পিঁয়াজ নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য একেবারেই কাম্য নয়। জাহাজে করে তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আনতেও ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে। তবে পিঁয়াজের দাম লাগামে রাখতে সরকার তথা প্রশাসন যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।
কয়েক মাস আগে রুপগঞ্জে মসজিদের ভিতর ৯/১০ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে ওই মসজিদেরই ইমাম। আজিমপুর কবর স্থান মসজিদের এক খাদেম আরেক খাদেমকে হত্যা করে লাশ চকির নীচে লুকিয়ে রাখে সম্প্রতি। রাজধানীর ইসলামপুরে এক খাদেম এক মুয়াজ্জিনকে গলা কেটে হত্যা করে মসজিদের ভিতরই। এ রকম অসংখ্য ঘটনার নজির আছে অতীতসহ সাম্প্রতিক সময়ে। এই ঘটনাগুলো ঘটার পর দেশের কোথাও আলেম সমাজ কোন আন্দোলন করেন না বিচারের দাবিতে? পবিত্র মসজিদের ভিতর এহেন ঘৃন্য ও ন্যক্কারজনক কাজের প্রতিবাদ করেন না কেন আলেম সমাজ? সেলুকাস! হেফাজতে ইসলাম তখন কোথায় থাকে?
কয়েকদিন আগে ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক হিন্দু যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যক করে তাতে নবীর নামে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। ফেসবুকের স্কিনস্যুট পরে ফেসবুকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফেসবুক আইডি হ্যক করে দুইজন মুসলিম ছেলে। হ্যকারদ্বয় ফেসবুক আইডির মালিক শুভের কাছে ২০ হাজার টাকা চাদাও দাবি করে, নচেৎ এই পোষ্টটি ব্যপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় শুভকে। এই ঘটনার অপপ্রচার চালিয়ে একটি বিশেষ মহল বোরহানউদ্দিনের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে। এর ধারাবাহিকতায় গত রবিবার সকালে প্ররোচনাকারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে বোরহানউদ্দিনে। সমাবেশ শেষে পুলিশের ওপর আক্রমন করে সংঘবদ্ধ জনতা। এক পর্যায়ে আত্ন রক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে ৪ জন নিহত হয়। প্রতিবাদে চক্রান্তকারীরা সোমবারও সমাবেশ ডাকে বোরহানউদ্দিনে। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তথাকথিত আলেম সমাজ সমাবেশ করতে না পারলেও স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের নামে সমবেত হয়। সেখানেও তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখে।
এ সমস্ত ঘটনার পরমপরায় রাজধানীর বায়তুল মোকারম মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রধান করা হয় বিভিন্ন ইসলামী দলের পক্ষ থেকে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও হেফাজতে ইসলা্মের পৃথক পৃথক বিক্ষোভ থেকে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয় শুভর ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম আবার সাপলা চত্তরে সমাবেশ করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। সরকারকে গদি থেকে সরানোর হুমকি দেওয়া হয়। প্রশ্ন এই ফাঁসির রায় হল কখন? ঘটনা প্রবাহে মামলা হয়। সরকার তদন্ত করে এই চক্রান্তে জড়িত সকল পক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ব্যক্ত করেছে। আজ জনগনের উচিৎ অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিয়ে দেশকে সামনেরদিকে এগিয়ে নিতে সকল চক্রান্ত ভেদ করে সরকারকে সহযোগিতা অব্যহত রাখা।
গত দুই সপ্তাহ ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকার তথা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বাঘা বাঘা দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই অভিযান শুরু হয়। ইতিমধ্য গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকে। এদের মধ্য রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, যুবলীগ নামধারী টেন্ডার মাফিয়া জিকে শামীম, কৃষকলীগের শফিকুল আলম ফিরোজসহ আরো অনেকে। এদের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনোর ব্যবসা, মদ-জুয়ার ব্যবসা, ব্যপক চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। এরা সকলেই দেশের টাকা বিদেশে পাচারে জড়িত। এরা শতশত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে এদের নানা অপকর্মের তথ্য বেড়িয়ে আসছে।
সম্রাটসহ দৃত অন্যরা বেশ প্রভাবশালী। এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মেনেজ করেই তারা তাদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এখন আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় অনেক অপরাধী দেশে বিদেশে পালিয়ে আছে। আরো অনেককেই ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে র্যব। অনেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসছে নানা তথ্য। এই অভিযান নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক অংগন। সুশীল সমাজও নড়ে চড়ে বসেছে। পক্ষে বিপক্ষে চলছে নানা যুক্তিতর্ক। এই অভিযানের ফলে আওয়ামীলীগ কি লাভবান হবে, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন।
সরকার দলীয় লোকজন এই অভিযানে ধরা পড়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যগ চাওয়া হয়েছে। তারা বলতে চাচ্ছে এতে প্রমান হয় সরকার দলীয় লোকজন দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনোর ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করছে। কাজেই সরকারকে এখনই পদত্যগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজ দলের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যদি সরকারকে পদত্যগ করতে হয় তা হলে কেন এই অভিযান অব্যহত রাখবে সরকার? তবে দেশের স্বার্থে এই অভিযান অব্যহত রাখলে সাধারন মানুষ খুশি হবে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরসহ সাধারন মানুষ যদি সরকারের ভাল কাজের প্রশংসা না করে তা হলে সরকার ও সমাজে ভাল কাজ করার প্রবনতা কমে যাবে। এতে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।
বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের দুর্নীতি বিরোধী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়নি। তথাকথিত সুশিল সমাজের পক্ষ থেকেও তেমন কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি। এরা এই অভিযান নিয়েও রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছে। এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে কোথাও একটি মিছিলও হয়নি। তবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দুর্নীতি বিরোধী এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে তা অব্যহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সমাজে ভাল মানুষের বড় অভাব। তাই ভাল কাজের প্রশংসার লোকও কম। কথায় আছে যেমন কুকুর তেমন মুগুর। জনগন যেমন শাসকও তেমনভাবেই দেশ শাসন করার কথা। কিন্তু তেমন করে দেশ শাসন করলে দেশ পিছিয়ে যাবে। সরকার ক্ষমতায় থাকুক আর নাই থাকুক ভাল কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে, সামগ্রিকভাবে দেশের অগ্রগতির জন্যভাল হবে। বর্তমান শুদ্ধি অভিযানের ফলে সরকারী দল তথা আওয়ামীলীগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অভিযান অব্যহত রাখা উচিৎ। আর দেশবাসীর দায়িত্ব হবে সরকারের এই অভিযানে সমর্থন করে দেশ থেকে চাদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মদ-জুয়া, আর ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের অবৈধ সকল ধরনের তৎপরতা বন্ধ করতে সরকারকে সহযোগিতা করা। সম্প্রতি সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এই অভিযান অব্যহত রাখার কথা জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।