ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে জার্মানির তৈরী লেপার্ড ট্যাংক নিয়ে চলছে ব্যপক আলোচনা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনেস্কি জার্মানির কাছে এই ট্যাংক চেয়েছেন। অনেকে বলে আসছেন এই ট্যাংক ইউক্রেনের সেনারা পেলে যুদ্ধের গতি প্রকৃতির মোড় ঘুরে যাবে। কিন্তু জার্মানি ইউক্রেনকে এই ট্যাংক দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এটি একটি অতি শক্তিশালী ও আধুনিক ট্যাংক।
লেপার্ড-২ ট্যাংক
লেপার্ড-২ জার্মানির তৈরী একটি তৃতীয় প্রজন্মের ট্যাংক। ক্রাউস মাফেই ১৯৭০ সালে পশ্চিম জার্মানির সেনাবাহিনীর জন্য লেপার্ড-২ ট্যাংক তৈরী করেন। এটি ১৯৭৯ সালে পশ্চিম জার্মানির সেনাবাহিনী প্রথম ব্যবহার শুরু করে।এই সময় থেকে এটি লেপার্ড-১ ট্যাংকের উন্নত সংস্করণ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি রাইন মেটাল দিয়ে তৈরী ও ১২০ মিমি স্মুথবোর কামান দিয়ে সজ্জিত। এই ট্যাংকটি এমটিউ ফ্রেডরিকশাফন দ্বারা তৈরী একটি বি-১২ টুইন-টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে চালিত।
জার্মানি ও ১৩টি ইউরোপীয় দেশসহ কানাডা, চিলি, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরও এই ট্যাংক ব্যবহার করে। এই ট্যাংক কসোভো ও আফগানিস্তানে ব্যবহার হয়েছে।তুরস্ক সিরিয়ায় এই ট্যাংক ব্যবহার করেছে। এর দুটি মডেল রয়েছে লেপার্ড ২এ৪ ও লেপার্ড ২এ৫। অরিজিনাল মডেল ২এ৪ এ উলম্বভাবে মুখোমুখি বুরুজ বর্ম রয়েছে। লেপার্ড ২এ৫ এ তীর আকৃতির বুরুজ এপ্লিক আর্মার রয়েছে।এ ছাড়াও এ মডেলটিতে লেজার রেঞ্জফাইন্ডার, ডিজিটাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, একটি স্থিতিশীল প্রধান বন্দুক, কোএক্সিয়াল মেশিনগান, নাইট ভিশন ও দেখার জন্য উন্নত সরঞ্জাম রয়েছে। এটি আঁকাবাঁকা ও উচুনিচু দিয়ে চলার সময়ও লক্ষ ভেদ করতে সক্ষম।
মধ্যযুগের রোম সাম্রাজ্যের সাবেক রাজধানী কনস্টান্টিনোপলের (বর্তমান ইস্তাম্বুল) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ যেটি আদিতে গির্জা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হায়া সোফিয়ার অর্থ (গ্রিক: Ἁγία Σοφία, “পবিত্র জ্ঞান”; লাতিন: Sancta Sophia বা Sancta Sapientia; তুর্কী: Ayasofya) । সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান) মুহামেত কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর খ্রিস্টানদের কাছ থেকে আয়া সোফিয়া কিনে নিয়ে স্থাপনাটি মসজিদে রূপান্তর করেন। ১৪৫৩ সালের ১ জুনে মসজিদে রূপান্তরিত আয়া সোফিয়ায় প্রথমবারের মত জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ইমামতি করেন ফাতিহ-এর শিক্ষক শায়খ আক শামসুদ্দিন।
জাস্টিনিয়ান প্রথমের আদেশে ৫৩২ সাল এবং ৫৩৭ সালের মধ্যে কনস্টান্টিনোপলের খ্রিস্টান ক্যাথেড্রাল হিসাবে এটি নির্মিত হয়। ব্যাসিলিকাটি মাইলাতাসের গ্রীক জিওমিটার ইসিডোর এবং ট্রেলসের অ্যান্থিমিয়াস ডিজাইন করেছিলেন। বর্তমান জাস্টিনিয়ান ইমারতটি একই স্থানে অধিষ্ঠিত তৃতীয় গির্জা। এর আগে এটি নিকা দাঙ্গায় ধ্বংস হয়েছিল। কনস্টান্টিনোপলের একিউম্যানিকাল মহাবিশপ এপিসোপাল সী অনুসারে এটি প্রায় এক হাজার বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম ক্যাথেড্রাল হিসাবে রয়ে গিয়েছিল, ১৫১৫ সালে সেভিল ক্যাথেড্রাল সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত। ১২০৪ সালে এটি চতুর্থ ক্রুসেডারদের দ্বারা লাতিন সাম্রাজ্যের অধীনে রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ১২৬১ সালে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ফিরে আসার পরে পূর্ব অর্থোডক্স চার্চে পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। ১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপল এর পতনের পর অটোমান সাম্রাজ্যের তৎকালীন মুসলিম শাসক ফতেহ সুলতান মুহাম্মদ নিজ অর্থায়নে এটি খ্রীষ্টানদের থেকে ক্রয় করে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করেন। ১৯৩৫ সালে, যেহেতু তারা বিক্রির পর পূণরায় এটিকে গীর্জা স্থাপন করতে পারছে না তাই ধর্মনিরপেক্ষ করতে এটিকে একটি যাদুঘরে পরিবর্তন করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জুলাইয়ের গোড়ার দিকে কাউন্সিল অফ স্টেট ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভার জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির একটি আদেশের পরে হায়া সোফিয়াকে পূণরায় একটি মসজিদ হিসাবে পুনর্নির্মাণের আদেশ দেয়। এই পদক্ষেপের নিন্দা জানায় ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অফ গীর্জা এবং অনেক আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ। যদিও তারাই এটি বিক্রি করেছিল।
চার্চটি প্রজ্ঞার ঈশ্বর লোগোসকে উৎসর্গ করা হয়েছিল, যিনি ত্রিতত্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি, খ্রিস্টের লোগোস অবতারের জন্মের স্মরণে ২৫ ডিসেম্বর (ক্রিসমাস) এর পৃষ্ঠপোষক ভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গ্রীক শব্দ জ্ঞানের জন্য লাতিন ভাষায় সোফিয়া হলো ফোনেটিক বানান এবং যদিও এটি কখনও কখনও সান্টা সোফিয়া, ‘সেন্ট সোফিয়া’ হিসাবে অভিহিত হয়। তবে এটি শহীদ সোফিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। গ্রীক ভাষায় এর পুরো নাম ‘নাৎস তিস হাগাস টু থিও সোফিয়াস, লিট. যার আক্ষরিক অর্থ ‘ঈশ্বরের পবিত্র জ্ঞানের মন্দির’। চার্চটি বেশ কয়েকটি ধ্বংসাবশেষ রেখেছিল এবং একটি ১৫ মিটার (৪৯ ফুট) রৌপ্য আইকনোস্টেসিসের বৈশিষ্ট্যযুক্ত ছিল। প্রায় এক হাজার বছর ধরে পূর্ব অর্থোডক্স চার্চের কেন্দ্রস্থলে ভবনটি সরকারীভাবে মাইকেল আই সেরুলারিয়াসের বহনকারীকে বহিষ্কারের সাক্ষ্য দিয়েছিল। ১০৫৪ সালে পোপ লিও চতুর্থর রাষ্ট্রদূত হ্যাম্বার্ট অফ সিলভা ক্যান্ডিডা দ্বারা এটি এমন একটি কাজ যা সাধারণত পূর্ব-পশ্চিম ধর্মবাদের সূচনা হিসাবে বিবেচিত হয়। চতুর্থ ক্রুসেডের নেতৃত্বাধীন ভেনিসের ডেজ এবং ১২০৪ স্যাক কনস্ট্যান্টিনোপল এনরিকো দানডোলোকে গির্জার মধ্যে সমাহিত করা হয়েছিল।
১৪৫৩ সালে, ফতেহ সুলতান মুহাম্মদ ক্যাথেড্রালকে মসজিদে রূপান্তরের আদেশ দেন। মহাবিশপদেরকে চার্চ অফ দ্য হোলিত অ্যাপোস্টলে স্থানান্তরিত করেন, যা এই শহরের ক্যাথেড্রাল হয়ে উঠেছিল। যদিও শহরের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছিল, তবুও এই উদ্দেশ্যটির জন্য আলাদা তহবিল রেখে ক্যাথেড্রাল রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। চার্চবেল বা ঘন্টা, বেদী, আইকনোস্টেসিস, অম্বো এবং ব্যাপটিস্ট্রি সরানো হয়েছিল এবং ধ্বংসাবশেষগুলোও ধ্বংস করা হয়েছিল। যীশু, তাঁর মা মেরি, খ্রিস্টান সাধু এবং স্বর্গদূতদের চিত্রিত মোজাইকগুলি শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বা এর উপরে প্লাস্টার করা হয়েছিল। এর পরিবর্তে ইসলামী স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছিল, যেমন একটি মিনবার (মিম্বার), চারটি মিনার এবং একটি মিহরাব – একটি কুলুঙ্গি যা প্রার্থনার দিক নির্দেশ করে(কিবলা)। এটির প্রাথমিক রূপান্তর থেকে ১৬১৬ সালে নিকটবর্তী সুলতান আহমেদ মসজিদ নির্মাণ সমাপ্তির আগ পর্যন্ত ও নীল মসজিদের আগে এটি ইস্তাম্বুলের প্রধান জামে মসজিদ ছিল। হায়া সোফিয়ার বাইজেন্টাইন আর্কিটেকচার নীল মসজিদ, ইহজাদে মসজিদ, সলেমনিয়ে মসজিদ, রিস্টেম পাশা মসজিদ এবং কালী আলী পাশা কমপ্লেক্স সহ আরও অনেক উসমানীয় মসজিদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছিল।
কমপ্লেক্সটি চার বছর ধরে জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকাকালীন ১৯৩১ সাল পর্যন্ত মসজিদ হিসাবে থেকে যায়। এরপর এই স্থাপনাটি ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি “মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক” যাদুঘরে রূপান্তর করেন। এটি ১৯৩৫ সালে তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের যাদুঘর হিসাবে পুনরায় খোলা হয়েছিল। হায়া সোফিয়া ছিল ২০১৪ সালে, তুরস্কের দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিদর্শন করা যাদুঘর। বার্ষিক প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন দর্শনার্থী এতে আকৃষ্ট হতো। সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, হায়া সোফিয়া ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে তুরস্কের সবচেয়ে বেশি পর্যটন-আকর্ষণীয় স্থান ছিল।
মসজিদে রূপান্তরের পর এর দেয়ালে মার্বেল পাথরে অঙ্কিত যীশু খ্রিস্টের অনেক গুলো ছবি সিমেন্ট দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। ছবিগুলো প্রায় ৫০০ বছরের জন্য সিমেন্টের নিচে চাপা পড়ে। কিন্তু এই স্থাপনাটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের পর ছবিগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়। ফলে যীশুখ্রিস্টের ছবিগুলো অনেকটা অস্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে অঙ্কিত “আল্লাহু ও মুহাম্মদ” এর আরবিতে অঙ্কিত মার্বেল পাথরও এর পাশাপাশি সংরক্ষিত হয়। তাই এই নামগুলোর পাথর অনেক বেশি উজ্জ্বল থাকে। এরপর থেকে এই স্থাপনায় নতুন নিয়ম প্রবর্তন হয়। প্রধান নিয়মটি হল, “এই স্থাপনার মূল অংশ বা হলরুম ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেটি মুসলিম অথবা খ্রিস্টান ধর্ম উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এই স্থাপনার উভয় ধর্মের জন্য আলাদা সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে। অর্থাৎ এই কমপ্লেক্ষটিতে একটি মসজিদ ও একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। যা শুধুমাত্র যাদুঘরের কর্মচারী কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত।”
৩১ মার্চ ২০১৮ সালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান কুরআন তিলাওয়াত করে ফতেহ সুলতান মুহাম্মদসহ হায়া সোফিয়ার জন্য কাজ করা সকলের রহুের মাগফেরাতে মোনাজাত করেন। ১০ জুলাই ২০২০ সালের রোজ শুক্রবার তুরস্কের শীর্ষআদালত এটাকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের রায় ঘোষণা করে। আদালতের রায়ের পর এটিকে পুনরায় মসজিদে রুপান্তরের কার্যক্রম গ্ৰহণ করা হয় এবং রায়ের পর মসজিদে আজান দেওয়া হয়েছে যা প্রায় ৮৬ বছর পর। আজ শুক্রবার (২৪/০৭/২০২০ ইং) এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের কথা রয়েছে।
ইসরায়েলের একটি মহাকাশযান চাঁদে অবতরনের সময় বৃহস্পতিবার ভেঙ্গে পড়েছে। ব্যক্তিগত খরচে এই মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল গবেষনা কাজের জন্য। চাঁদে অবতরনের প্রাককালে মহাকাশটি ভেঙ্গে পড়ে। তবে ধ্বংস হবার আগে এটি কিছু চবি পাটিয়েছে। এই মহাকাশটি তৈরীসহ মিশনে সর্বমোট খরচ হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। ইসরায়েলের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এই খরচের যোগান দিয়েছে।
মহাকাশযানটি চন্দ্র পিষ্ট থেকে ২০ কিলোমিটার ওপরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চন্দ্রে সফল অভিযানে ৪র্থ দেশ হিসাবে ইসরায়েল সফল হল না। এর ফলে ইসরায়েলে হতাশা দেখা দিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন চাঁদে তাদের মহাকাশযানের সফল অবতরন ও পরিচালনা করেছে।
নাসা থেকে জানানো হয়েছে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি গ্রহানু। যেটি আগামী ২০শে মার্চ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসতে পারে বলে নাসার গবেষকরা জানিয়েছে। এই গ্রহানুটির ব্যাস ৭৫০ ফুট ও এর নাম দেওয়া হয়েছে ২০১৯ ডিএন সিডি ৫। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি আসলেও এই গ্রহানুটির পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের কোন সম্ভাবনা নাই।
এদিকে শুক্রবারই আরেকটি গ্রহানু পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে ঘন্টায় ১৬ হাজার মাইল বেগে চলে গেছে। তবে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকলেও কোন রকমের বিপদ ঘটেনি তাতে। এই গ্রহানুটির নাম ২০১৯ ডিএন।
ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুনামি আর আগ্নেয়গিরির তান্ডব যেন থামছেই না দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায়। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৯টায় ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা আর জাভা দ্বীপের মাঝখানে সমূদ্রের তলদেশে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরনের ফলে সৃষ্ট হয় সমূদ্রের তলদেশে ভয়াবহ ভূমিধ্বস। আর এর ফলে ঐ স্থানের সমূদ্রের তলদেশ আন্দোলিত হলে মারাত্নক ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় সমূদ্রে। আর তা থেকেই সৃষ্টি হয় ভয়াবহ সুনামির। এই সুনামিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৭৩ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছে প্রায় দুই হাজারের ওপরে। আর ১২৮ জনের এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় আরো কয়েকটি সুনামি ও আগ্নেয়গিরির অগ্নোৎপাত হয়েছে। এতে জানমালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে। শত শত মানুষ মৃত্যু বরন ও আহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বহু স্থাপনা। দুর্যোগ আর প্রলয়ের ঘনঘটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে। বিপদ একটা শেষ না হতেই আরেকটা শুরু হয়। এর আগে একই স্থানে ১৮৮৩ সালে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরন ঘটেছিল। এর পর শনিবারের এই বিস্ফোরন ছিল মাত্রার দিক থেকে দ্বিতীয় ভয়াবহ বিস্ফোরন।
এনাক ক্রাকাতোয়া নামের এই আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরনের ফলে লাভা নির্গমন হয় তা থেকে। এই সময় ওই স্থানে সমূদ্রের তলদেশ আন্দোলনের ২৪ মিনিট পর কিছু বুঝে উঠার আগেই সুনামি আঘাত হানে সন্নিহিত তীরে। আর এর ফলেই এই ব্যপক প্রানহানি ঘটেছে সেখানে। তবে সেখানে আবারও সুনামির আশষ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নির্গমন।
আজ থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রন পেল বাংলাদেশ। এখন থেকে এই স্যাটেলাইটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন, পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব বাংলাদেশের। এই স্যাটেলাইট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রাঞ্চের থেলাস অ্যালেমিয়া স্পেস আজ বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ বুঝিয়ে দেয়।
থেলাস অ্যালেমিয়া স্পেসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জিল অবাদিয়া বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে ‘ট্রান্সফার অব টাইটেল’ হস্তান্তর করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আজকের দিন দেশের মানুষের জন্য স্মরণীয় দিন। বাংলাদেশের জন্য এই স্যাটেলাইট স্থাপন একটি গর্ভের বিষয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসাবে আবির্ভূত হল।এই স্যাটেলাইটের প্রধান গ্রাউন্ড স্টেশন গাজীপুর জেলার তেলিপাড়ায় অবস্থিত। আর এর সহায়ক স্টেশনটি রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় অবস্থিত। এতে ৪০টি ট্রান্সস্পন্ডার রয়েছে। এর মধ্য ২০টি দেশের চাহিদা মিটাতে ব্যবহার হবে। আর বাকী ২০টি বিদেশে বাড়া দেওয়া হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গত মে মাসে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
কৃত্রিম চাঁদ বানানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে চায়ন। ২০২০ সালের মধ্য এই চাঁদ মহাকাশে স্থাপন করা হবে। তাতে রাতের বেলা শহরের রাস্তাগুলি আলোকিত হবে। অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও করা যাবে এই কৃত্রিম চাঁদ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। এটা কিভাবে সম্ভব? হয়ত ভাবছেন আসলেই কি সম্ভব।
প্রথমে তারা মহাকাশে কৃত্রিম চাঁদ প্রেরন করবে। অর্থাৎ এটি একটি মহাকাশ স্টেশনের মত কাজ করবে। সূর্যের আলো এই কৃত্রিম চাদে পড়ে ভূপৃষ্টের নিদিষ্ট অঞ্চলে এর আলোর প্রতিফলন ঘটানো হবে। আর তাতেই ওই নিদিষ্ট অঞ্চল রাতের বেলায় আলোকিত হবে। তাতে ওই শহরের রাস্তাগুলি বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়াই আলোকিত হবে। এর ফলে রাতের বেলা এই সমস্ত রাস্তা আলোকিত করতে যে পরিমান বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে তা সাশ্রয় হবে। ২০২২ সালের মধ্য এমন ৩টি চাঁদ বানাবে চায়না। তার প্রথমটি পরীক্ষামূলকভাবে ২০২০ সালে মহাকাশে প্রেরন করা হবে।
প্রথম কৃত্রিম চাদটি চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংদং শহরের রাস্তাগুলিকে আলোকিত করবে। এর পরিধি হবে ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। কৃত্রিম চাদের মাধ্যমে তৈরী কৃত্রিম আলোর তীক্ষ্ণতা হবে বাস্তব চাদের আলোর ৮ গুন বেশী।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হবে আজ থেকে। সাফ ফুটবলের খেলা সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে এর সম্প্রচার যাত্রা শুরু হবে। আর এ উপলক্ষে বিএস-১-এর তদারককারী সংস্থা বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।
বিসিএসসিএল’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ সোমবার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা সম্প্রচারের জন্য প্রস্তুত আছে। আগামী ১৫ দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চালানো হবে। তবে স্যাটেলাইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেলাসমিয়া স্পেস দুটি গ্রুন্ড স্টেশন এখনো বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি। এর একটি গাজিপুরে ও অপরটি রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত।
আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্র গ্রহন দেখা যাবে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের সময় এই চন্দ্র গ্রহন শুরু হবে। আর শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। আজকের পূর্ণগ্রাস চন্দ্র গ্রহনের সময় চন্দ্রকে লালচে কমলা রঙ্গের দেখা যাবে। চন্দ্র গ্রহনের এই অবস্থাটিকে বলা হয় ব্লাড মুন।
গ্রহনের সময় সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরল রেখায় থাকে। চন্দ্র গ্রহনের সময় পৃথিবী সূর্য ও চাদের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করায় চাদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ে চন্দ্র গ্রহন হয়। এবারের চন্দ্রগ্রহণের সময় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলো-আঁধারিতে ঢাকা থাকবে চাঁদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎসবের আমেজে এই ব্লাড মুন দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও ঢাকা বিজ্ঞান যাদুঘরে এই ব্লাড মুন দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত সাড়ে ১০টা থেকে বিজ্ঞান যাদুঘর খুলা থাকবে।
এই মাসেই আরেকটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্র গ্রহন আসছে। এটিই হবে এই শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্র গ্রহন। এদিন চাদের রং থাকবে লালচে, যাকে ব্লাড মুন বলা হয়। এদিন এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। ২৭শে জুলাই রাত ১২টা ২৪ মিনিটে আংশিক চন্দ্রগ্রহন শুরু হবে। ক্রমশঃ এটি পূর্ণগ্রাসে পরিনীত হবে রাত ১টা ৩০ মিনিটে। তারপর ১ ঘন্টা ৪৩ মিনিট স্থায়ী হবে এই পূর্ণগ্রহন। এর পরে আরো ১ ঘন্টা স্থায়ী হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহন। অর্থাৎ এই চন্দ্রগ্রহন শেষ হবে ভোর ৪টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত।
এইদিনে পৃথিবী থেকে চাদের দুরত্ব হবে সর্বাধিক। ফলে চাঁদকে পৃথিবী থেকে খুবই ছোট দেখাবে ও পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর দীর্ঘ সময় থাকবে। আর এর ফলেই এই চন্দ্রগ্রহন দীর্ঘ সময় ধরে হবে।
উত্তর কোরিয়া ঘোষনা দিয়েছে, এমাসের মধ্যই তারা একটি পারমানণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ভেঙ্গে দিবে। আর এ ঘোষনা আসলো কিম ও ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠকের আগেই। উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত পাহাড়ি এলাকায় ‘পুঙ্গে-রি’ পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রটি ভাঙার জন্য নির্দিষ্ট কোন দিন ঠিক করা হয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, এ মাসের ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্য কেন্দ্রটি ভাঙ্গা হবে। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে কেন্দ্রটি ঠিক কোনদিন ভাঙ্গা হবে। ভাঙ্গার আগে দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানানো হবে ভাঙ্গন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করার জন্য।
এটি ভাঙ্গার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রটিতে মোট ৬টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই কেন্দ্রটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।
বজ্রপাতে মৃত্যুর মিছিল থামছেনা। বুধবার সারাদেশে বজ্রপাতে ২৫ জনের প্রানহানি ঘটেছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ও ভারতে এই মৃত্যুর হার ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিন আগে ভারতে একদিনে ৩৭ হাজার বজ্রপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই প্রানহানি থামাতে তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশে বজ্রপাত মহামারী আকার ধারন করেছে। অপরিকল্পিত মোবাইল টাওয়ার এই বজ্রপাতে মৃত্যুর অন্যতম কারন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বজ্রপাতে মৃত্যুবরনকারীদের অধিকাংশই কৃষক। মাঠে কর্মরত অবস্থায় এদের মৃত্যু হচ্ছে বেশী। বজ্রপাতে মৃত্যুর কারন বের করে প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ আমলে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য জ্যমিতিক নিয়মে সুপরিকল্পিতভাবে ধাতব খুটি বসানো হয়েছিল সারা দেশে। এই খুটিগুলিকে মৌজা পিলারও বলা হয়ে থাকে। বজ্রপাতে উৎপন্ন বিদ্যুৎ এই খুটির ভিতর দিয়ে মাটির ভিতরে চলে যেত। ফলে ক্ষয়ক্ষতি কম হতো। কিন্ত কিছু অসাধু চক্র বিগত কয়েক দশক ধরে এই ধাতব খুটিগুলি তুলে নিয়ে যাচ্চে উচ্চ লাভের আশায়। তাই এখন আর এই ধাতব খুটিগুলি চোখে পড়ে না। তবে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক সচেনতা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশী বজ্রপাতে উৎপন্ন বিদ্যুৎ যাতে মানুষের গায়ে না আসতে পারে সেই প্রযুক্তিও আবিস্কার করা একান্ত প্রয়োজন।
অবশেষে আগামী ১০ই মে বহুল প্রতিক্ষিত দেশের একমাত্র কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে। এই দিন সবকিছু ঠিক থাকলে নিউ ইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ও বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে।
তবে বৃহস্পতিবার সকালে চূড়ান্ত সময় জানা যাবে বলে বিটিআরসি থেকে জানানো হয়েছে। সাধারনত যে দিন কোন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় সেদিনই কয়েক ঘন্টা আগে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানানো হয় উতক্ষেপনকারী সংস্থা থেকে। উৎক্ষেপণ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ত্রিশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ সোমবার বিকালে ফ্লোরিডার উদেশ্য রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিবেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সজীব ওয়াজেদ জয়ও নিউ ইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডায় যাবেন উক্ত উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।
এ যাবৎকালের মধ্য সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কম্পিউটার আবিস্কার করেছে আইবিএম। এর আকার শুধুমাত্র লবনের একটি দানা বা স্ফটিকের মতো। আর অবাক ব্যপার হল এই কম্পিউটার তৈরী করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১০ সেন্ট বা ৮ টাকা। আইবিএমের গবেষণামূলক ওয়ার্কশপ ‘৫ ইন ৫’-এ এটি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। গভেষনাপত্রে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, এই কপমিউটার আর সকল কম্পিউটারের মতোই কাজ করবে। এর আয়তন মাত্র ১×১ মিমি।
প্রতিনিয়তই কম্পিউটারের আকার কিভাবে ছোট করা যায় তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি এর কর্ম ক্ষমতাও কিভাবে আরো বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়েও কাজ চলছে। আর এ সমস্ত গভেষনার ফল হিসাবে আমরা পাচ্ছি নতুন নতুন আবিস্কার।
আগামী ৪ঠা মে উৎক্ষেপণ করা হবে বহুল প্রতিক্ষিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নবযুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন। এটি উৎক্ষেপণ করা হলে বাংলাদেশ হবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হলে দেশের টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈল্ববিক পরিবর্তন আসবে। কমে আসবে বিদেশী স্যাটেলাইটের ওপর নির্বরশীলতা।
এই স্যাটেলাইট তৈরী করছে বিশ্বের খ্যতনামা স্যাটেলাইট কোম্পানী ফ্রান্সের থেলেস এলেনিয়া স্পেস। ২০১৫ সালের ১১ই নভেম্বর এই কোম্পানীর সাথে বিটিআরসির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্যাটেলাইট নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল হতে খরচ হচ্ছে ১৫৪৪ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ১৩৫৮ কোটি টাকা বিডার্স ফাইনান্সিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ভ্রমনের কথা ভাবছেন? কোথায় যাবেন ভাবছেন? পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য স্থান ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি তো আগেই দেখা হয়ে গেছে। অনেক টাকা আছে, কি করা যায়। সহজলভ্য বিনোদন কেন্দ্রগুলি আর ভাল লাগছে না। নতুন বৈচিত্রময় কিছু চাই। আপনার এসব চিন্তাকে মাথায় রেখেই মহাকাশে আপনার জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করছে আমেরিকার মহাকাশ প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্টার্টআপ সংস্থা ‘অরিয়ন স্প্যান’।
তবে তার জন্য আপনাকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ২০২২ সালে আসছে ‘অরোরা স্টেশন’ নামের এই বিলাসবহুল হোটেল। এই হোটেলের দৈর্ঘ ও প্রস্ত যথাক্রমে ৩৫ ফুট ও ১৪ ফুট। আর মহাকাশের এই হোটেলে থাকতে গেলে প্রতিদিন খরচ হবে বাংলাদেশী টাকায় ৭ কোট টাকা। আপাতত এই হোটেলের কর্তৃপক্ষ ১২ দিনের প্যাকেজ টুরের কথা ভাবছে। ১২ দিনে খরচ হবে ৮৪ কোটি টাকা।
মহাকাশের এই হোটেলে বসে রোজ ১৬ বার সূর্যের উঠানামা দেখা যাবে। মাঝে মাঝে আমাদের এই পৃথিবীকেও উকি মেরে দেখা যাবে। এই মহাকাশ হোটেলে থাকবে অত্যান্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট। যার মাধ্যমে আপনার পরিবারের সাথে আপনি ভিডিও কল করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসের এক সম্মেলনে অরিয়ন স্প্যান জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে গেছে সেই হোটেলের। ৮০ হাজার ডলার দিয়ে আপনিও বুকিং দিতে পারেন। আপাতত ১২ দিনের সফরে একেকবারে ৪ জন করে লোক নেওয়া যাবে। আর এই হোটেলে ২ জন করে নভোচারী থাকবেন। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফ্র্যাঙ্ক বাংগারের দাবি, বিশ্ববাসীকে যথাসম্ভব কম খরচে মহাকাশ ভ্রমণ করানোটাই তার লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই আরো কয়েকটি সংস্থা মহাকাশে হোটেল ব্যবসা করার কথা চিন্তা করছে বলে জানা যাচ্ছে।
অবশেষে মহাশূন্যে বিকল হওয়া চীনের মহাকাশযানটি প্রশান্ত মহাসাগরে ভেঙ্গে পড়লো। স্থলভাগের বসতিপূর্ন এলাকায় এটি ভেঙ্গে পড়লে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। ঘন্টায় ২৬ হাজার মেইল বেগে এটি পৃথিবীর বায়ু মন্ডলেরদিকে ধেয়ে আসছিল। আগেই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সাথে সাথেই এটি জ্বলে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা ধারনা দিয়েছিল। চীনের এই স্পেস স্টেশনটি মহাশূন্যে বিকল হয়ে পড়লে এটি পৃথিবীতে আছ্রে পড়বে বলে বিভিন্ন স্পেস সংস্থা ধারনা দিয়ে আসছিল। বাস্তবে এমনটিই হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকেই কক্ষপথে অকেজো হয়ে পড়েছিল চিনা স্পেস ল্যাবটি। তার উপর পৃথিবীর কোনও গ্রাউন্ড স্টেশনেরই কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আজ বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৪টার সময় ৮ টন ওজনের এই মহাকাশযানটির খন্ড খন্ড টুকরা প্রসান্তমহাসাগরে ভেঙ্গে পড়েছে। এখন পর্যন্ত এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বৃহস্পতিবার পৃথিবীর কক্ষপথে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল। পাঠানোর ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই উপগ্রহটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নিয়ন্ত্রন কক্ষের। পাঠানোর পর মাত্র ৪ মিনিট ডাটা প্রেরন করতে পেরেছিল ‘জি স্যাট ৬’ নামের এই কৃত্রিম উপগ্রহটির। ফলে ভারতীয় মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসরো হতাশা প্রকাশ করেছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে ব্যপক উন্নতি সাধনের লক্ষে এটি তৈরী করা হয়েছিলে। বিশেষ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টেলিযোগাযোগের ব্যপক উন্নতি সাধনের জন্য। কিন্তু শুরতেই এটি হোচট খেলো।
স্মার্ট ফোনের আকার বড় হতে থাকলেও ছোট হতে শুরু করেছে পারসনাল কম্পিউটারের আকার। তাইওয়ানের এলিটগ্রুপ কম্পিউটার সিস্টেম এ যাবৎ কালের মধ্য সবচেয়ে ছোট কম্পিউটার তৈরী করেছে। যা হাতের মুঠোর মধ্য রাখা যায়। কিন্তু আধুনিক কম্পিউটারের সকল সুবিদাই আছে এর মধ্য। এর আকার দৈর্ঘ, প্রস্ত ও উচ্চতায় যথাক্রমে ৩ ইঞ্চি, ৩ ইঞ্চি ও ১.২৫ ইঞ্চি। এর নাম দেওয়া হয়েছে লিভা কিউ।
এতে রয়েছে ৪ জিবি রেম, ৩২ জিবি এম এম সি স্টোরেজ। এতে মিলবে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৪.১, কিউ গিগাবিট ল্যান, ১ এইচডিএমআই ২.০ পোর্ট, ১ ইউএসবি ৩.১ পোর্ট, ১ ইউএসবি ২.০ পোর্ট। ভারতের বাজারে ইতিমধ্যই লিভা কিউ লঞ্চ করা হয়েছে। এটি ১৩ হাজার টাকায় অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কিনা যাবে। আর উইন্ডুজ ১০.০ সহ এর দাম পড়বে ১৫ হাজার টাকা। এলিটগ্রুপের ওয়েব সাইট থেকেও লিভা কিউ কিনা যাবে।