বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্নিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের পছন্দ অনুযায়ী এর নাম দেওয়া হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফনী। এর প্রভাবে দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে এখন উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে এখন চট্রগ্রাম বন্দর থেকে ১৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করছে। দেশের ৪টি সমূদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী সকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্য বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা ধমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও টলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পর রাজউক নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। ১৫টি টিমে বিভক্ত হয়ে রাজউক এই অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে ঢাকা শহরে। আজ রাজধানীর ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলার সন্নিহিত স্থান সমূহে অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়। তাদের সাথে রয়েছে কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা। তারা বহুতল ভবনের প্রবেশ পথ, সিড়ি, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ভবনের নকশাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ক্ষতিয়ে দেখছে। অভিযানের উদেশ্য ভবন নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা ও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।
দুর্ভাগ্যের বিষয় যাদের কারনে বিল্ডিং নির্মাণে এই অনিয়মগুলি হয়েছে বা হয় তাদেরকেই এই অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী ৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য রাজউক অন্যতম। রাজউকের দুর্নীতি সর্বজন বিদিত। যেখানে প্রায় সকলেই দুর্নীতির সাথে জড়িত। দেশের আপামর জনসাধারনের কাছে রাজউক একটি দুর্নীতির আখড়া। এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের পর রাজউকের এমন ভাব যে এসব দুর্নীতির কিছুই জানে না রাজউক। কিন্তু দেশের মানুষ জানে ও বিশ্বাস করে এসব দুর্নীতির হুতা রাজউকই।
এফ আর টাওয়ার ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে কিভাবে ২৩ তলা হল তার জবাব রাজউকই দিতে পারবে। এই সব অনিয়মের দেখভাল রাজউকেরই করার কথা। আর রাজউককে পাশ কাটিয়ে এই সব অনিয়ম করা একেবারেই অসম্ভব। মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে রাজউক এই সব অনিয়মে সহযোগিতা করে যায়। রাজউকের প্রতি কর্মকর্তারই ঢাকা শহরে একাধিক বাড়ি, গাড়ি, জমি ও ফ্লাট রয়েছে। আর নামে বেনামে রয়েছে মোটা অংকের অর্থ। তাই সর্বাগ্রে রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনিয়ম ও এর মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা অত্যাবশ্যক। তা না হলে রাজধানীতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ হবে না। আর এর ফলে যে দুর্ঘটনা ঘটে তাও কমবে না।
এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর রাজউক অভিযানে নেমেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ভবন মালিককে নোটিশ পাঠাবে অবৈধ অংশ কিংবা পুরা বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলার জন্য। ভবন মালিকরা তাতে চাপে পড়ে আবার রাজউকেরই শরণাপন্ন হবে। এর ফলে রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আরো অধিক পরিমান অবৈধ উপার্জনের সুযোগ পেল। সরকারের উচিৎ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে এসব অনিয়ম তদারকির দায়িত্ব দেওয়া।
ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুনামি আর আগ্নেয়গিরির তান্ডব যেন থামছেই না দ্বীপ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায়। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৯টায় ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা আর জাভা দ্বীপের মাঝখানে সমূদ্রের তলদেশে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরনের ফলে সৃষ্ট হয় সমূদ্রের তলদেশে ভয়াবহ ভূমিধ্বস। আর এর ফলে ঐ স্থানের সমূদ্রের তলদেশ আন্দোলিত হলে মারাত্নক ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় সমূদ্রে। আর তা থেকেই সৃষ্টি হয় ভয়াবহ সুনামির। এই সুনামিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৭৩ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছে প্রায় দুই হাজারের ওপরে। আর ১২৮ জনের এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় আরো কয়েকটি সুনামি ও আগ্নেয়গিরির অগ্নোৎপাত হয়েছে। এতে জানমালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে। শত শত মানুষ মৃত্যু বরন ও আহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বহু স্থাপনা। দুর্যোগ আর প্রলয়ের ঘনঘটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে। বিপদ একটা শেষ না হতেই আরেকটা শুরু হয়। এর আগে একই স্থানে ১৮৮৩ সালে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরন ঘটেছিল। এর পর শনিবারের এই বিস্ফোরন ছিল মাত্রার দিক থেকে দ্বিতীয় ভয়াবহ বিস্ফোরন।
এনাক ক্রাকাতোয়া নামের এই আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরনের ফলে লাভা নির্গমন হয় তা থেকে। এই সময় ওই স্থানে সমূদ্রের তলদেশ আন্দোলনের ২৪ মিনিট পর কিছু বুঝে উঠার আগেই সুনামি আঘাত হানে সন্নিহিত তীরে। আর এর ফলেই এই ব্যপক প্রানহানি ঘটেছে সেখানে। তবে সেখানে আবারও সুনামির আশষ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নির্গমন।
আজ ভোর থেকেই রাজধানীতে অবিরাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মাঝে মাঝে এর তীব্রতা বেড়ে হালকা বৃষ্টি ঝড়ছে। আবার কখনো তা মাঝারী বৃষ্টিপাতে পরিনীত হচ্ছে। আজ সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আবহাওয়ার এমনই রুপ ধরা পড়েছে রাজধানীতে। বৃষ্টি এখনো হচ্ছে তবে ক্ষনে ক্ষনে মাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে।
বিঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপের কারনে এই বৃষ্টিপাতের সূত্রপাত হয়েছে। গত দুই দিন আগে সাগরে নিন্ম চাপের সৃষ্টি হয়ে পরে তা ঝড়ো হাওয়ায় রুপ নেয়। তারই প্রভাবে এই সময়ে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে দেশের সমূদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। দেশের অনেক স্থানেই এই নিন্ম চাপের প্রভাবে বৃষ্টি্র খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে আগামী সপ্তাহে একটি মাঝারী ধরনের শৈত্য প্রবাহের আসংস্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে এই নিন্ম চাপের কারনে সৃষ্ট ঘূর্ণি ঝড়টি ভারতের অন্ধপ্রদেশ দিয়ে স্থলভাগে আঘাত এনে দুর্বল হয়ে পড়বে। এই ঝড়ে সাগর উত্তাল থাকার কারনে আন্দামান দ্বীপে আটকা পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক।
ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর আত্ন হত্যাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ভিকারুননিসার ছাত্রী ও অভিভাবকরা স্কুলের গেইটে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা ওই শিক্ষার্থীর আত্ন হত্যার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা রকম শ্লোগান দিচ্ছেন।
অরিত্রী অধিকারী নামের ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর এক ছাত্রী রবিবার পরীক্ষা চলাকালে নকল করায় তার অভিবাবকদের সোমবার ডেকে এনে ছাত্রীসহ অভিবাবকদের অপমান করা হয়। অরিত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার কথাও বলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা। তারপর অরিত্রীসহ অভিবাবকরা শান্তি নগরের বাসায় চলে যান। বাসায় পৌছার কিছুক্ষন পরেই অরিত্রী রুমের দড়জা আটকে দেয়। তার মা দড়জা ধাক্কা ধাক্কি করে সারা না পেয়ে দড়জা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে অরিত্রীকে ফ্যানের সাথে জুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
অরিত্রীর পিতা মাতার দাবি সোমবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা তাদেরকে ডেকে নিয়ে অপমান ও টিসি প্রদানের কথা বলায় সে আত্ন হত্যা করেছে। এর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা ভিকারুননিসা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে ও ২৪ ঘন্টার মধ্য জড়িত শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার কথা বলছে। স্কুলের কয়েকজন অভিবাবক বলেন নানা বিষয়ে অভিবাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ সময় দেন না কিংবা কোন গুরুত্বই দেননা। অভিবাবকদেরকে যথেষ্ট নীচু করে দেখা হয়। এই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ও কমিটিকে ৩ দিনের মধ্য রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য কিছু সন্দেহজক লোকজনকে এর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে দেখা গেছে। তারা নানা ধরনের তৎপরতার মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্ঠা করছে।
ইরাকে আকর্ষিক বন্যায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে বলা বার্তা সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে। গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে কুয়েত ও সৌদি আরবেও বন্যা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই গত ১৫ দিন যাবৎ বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।
নিহতদের মধ্য নারী ও শিশুও রয়েছেন। এদের কেউ পানিতে ডুবে, কেউ বিদ্যৎ পিষ্ট হয়ে আবার কেউবা আকর্ষিক এই বন্যায় ঘরের ভিতর আটকে পড়ে মারা গেছেন। এই বন্যায় ইরাকে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।
মধ্য প্রাচ্যের দেশ কুয়েতে প্রবল বর্ষণে জীবন যাত্রা ব্যহত। এই ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে এ মাসের শুরু থেকেই। বৃষ্টির পানি নিন্মাঞ্চল দিয়ে নামার সময় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সকল ধরনের গাড়ি। সেই সাথে রাস্তার পাশে থাকা অনেক অস্থায়ী স্থাপনাও। ফলে দেশ জুড়ে চলছে চরম বিপর্যয়। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ঘন ঘন ব্জ্রপাতসহ বৃষ্টি হচ্চে কুয়েত জুড়ে।
কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও পানিতে ডুবে যাওয়ায় সকল ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে সেখানে। কুয়েতগামী ফ্লাইটগুলিকে মানামা, দুবাই ও কাতারে ডাইভার্ট করে দেওয়া হচ্ছে। সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী ঘোষনায় বন্ধ রয়েছে। জনসাধারনকে ঘর থেকে বের না হতে সরকার সতর্ক করে দিয়েছে। আর এমনিতেই বৃষ্টি ও ব্জ্রপাতের কারনে মানুষ ঘর থেকে ভয়ে বের হচ্ছে না। জনসাধারনকে বলা হয়েছে কমপক্ষে ১ সপ্তাহের শুকনা খাবার ঘরে রাখার জন্য। দিয়াশলাই ও মোমবাতিও সাথে রাখতে সরকারী ঘোষনায় বলা হয়েছে।গত কয়েকদিনে কুয়েতে ৯৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ৪০ বছরেও কুয়েতে এমন বিপর্যয় দেখা যায়নি। এই ভারী বৃষ্টিপাতে কুয়েতের অবকাঠামো ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা হয়েছে, রাস্তার পিচ উঠে গেছে, আবার কোথাও রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
একেবারেই জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কুয়েতের বর্ডার সংলগ্ন সৌদি শহর হাফার আল বাতিনেও এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই শহর থেকে পানিবন্ধী বহু মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। কুয়েত সীমান্ত সংলগ্ন ইরান সীমান্তেও একই অবস্থা বিরাজমান।
কুয়েতে প্রবল বর্ষনে ভয়াবহ অবস্থা। এটি ১১/১১/২০১৮ এ ধারন করা ভিডিও।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গ রাজ্যে ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ শে দাড়িয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ এই দাবানল লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সেখানকার বন ও সংলগ্ন আবাসিক স্থাপনাগুলি। ভয়াবহ এই তান্ডবের কারনে কয়েক হাজার মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চল শহর প্যারাডাইস প্রায় সম্পূর্ণভাবেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানকার বাড়িঘরগুলি আগুনে পুড়ে গেছে। গত কয়েকদিনে আগুনে পুড়া ১৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু দেহগুলিকে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। পরে আরো ৯টি মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। ভয়াবহ এই দাবানলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্যাম্প ফায়ার’। ক্যাম্প ফায়ারের আগুনে প্যারাডাইসের ৬,৭০০ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে স্থাপনা পুড়ে যাওয়ার এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংস্থাগুলি সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন নিভাতে বিভিন্ন রকমের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানকার স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও আগুনে পুড়ে গেছে।
হারিকেন মাইকেলের পর ধেয়ে আসছে হারিকেন উইলা। মেক্সিকোর মধ্য ও দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলে এই ঝড় আঘাত আনবে সেখানকার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার। ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার এই হারিকেন ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে মেক্সিকো উপকুলের দিকে। স্থানীয় সময় রবিবার দিনশেষে উইলা মেক্সিকো উপকুল থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। এর কেন্দ্র থেকে ৪০ মাইলের মধ্য বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটার।
এই হারিকেন যখন মেক্সিকো উপকুলে আঘাত আনবে তখন প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভুমি ধ্বসের সৃষ্টি হবে। ৫ থেকে ১০ ইঞ্চি পরিমান বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উইলা আরো শক্তি সঞ্চয় করে ক্যাটাগরি ৪ থেকে আরো বেশী বিপদজনক ক্যাটাগরি ৫ এ উন্নিত হতে পারে।
চীনে পাহাড় ধ্বসে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র তীরে বসবাসকারী মানুষ ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন এই নদীর তীরে। ইতি মধ্য নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে অনেক বাসিন্দাকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতের অরুনাচল প্রদেশের এই নদী তীরবর্তী মানুষও বেশ ঝুকিতে আছেন।
ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎপত্তি তিব্বতের মানষ সরোবর থেকে। তিব্বতে এই নদীর নাম ইয়ারলুং সাংপো। এই নদী ভারতের অরুনাচল প্রদেশে এসে নাম ধারন করেছে সিয়াং। আর এই নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে নাম ধারন করে ব্রহ্মপুত্র। তিব্বতে একটি পাহাড়ের বিশাল অংশ ধ্বসে এই নদীর ওপর পড়ে তার গতিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরী হয়েছে বিশাল আকারের হ্রদের। গতি প্রবাহ বন্ধ থাকায় এই নদীর সামনের অংশে ১৩০ উচু পর্যন্ত পানি উঠেছে। অপরদিকে পরের অংশে অর্থাৎ ভারতের দিকে প্রবাহিত পানির উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট কমে গেছে।
চীন ইতিমধ্য নদীর এই অবস্থার ক্ষতিকারক দিকগুলি তুলে ধরে ভারতকে চিঠি দিয়েছে। ফলে ভারতের অরুনাচল প্রদেশের প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। যে কোন সময় নদীর ওপর পাহাড় ধ্বসে মাটি ভরাট হওয়া অংশের মাটি সরে গেলে এই নদীর দুই তীরে তিব্বত ও অরুনাচল অংশে সৃষ্ট হতে পারে অকাল বন্যা। পানির তোরে ভেসে যেতে পারে নদীর তীরের অনেক স্থাপনা। তাই নদী তীরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে তিব্বত ও অরুনাচলের প্রশাসন।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ঘূর্ণিঝড় তিতলির তান্ডবে ৮ জন নিহত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস সূত্রে জানা গেছে। ওড়িশায় ১০২ কিলোমিটার বেগে তিতলি আঘাত এনেছিল। ওড়িশায় আঘাত এনে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল ঝড়টি। ওড়িশায় তিতলির কারনে কোন রকম প্রান হানির ঘটনা ঘটেনি।
কিন্তু ওড়িশা থেকে অন্ধ্র প্রদেশের দিকে যাওয়ার পথে তিতলির গতি বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে এই ঝড় অন্ধ্র প্রদেশে ১২৬ কিলোমিটার বেগে আঘাত আনলে ৮ জন প্রান হারায় ও রাজ্যজুড়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফলে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিসেবা ব্যপকভাবে ব্যহত হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে বিভিন্ন রস্তায় গাছ ভেঙ্গে পড়ার কারনে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভুমিধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেই প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে উপকুলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আজ ও আগামীকাল শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে।
তিতলি বাংলাদেশের সুন্দরবন, খুলনা ও সাতক্ষিরা জেলায়ও আঘত আনবে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে এই ঝড়ের তীব্রতা অনেকটা কমে যাবে। আগামীকাল শুক্রবার দুপুরের পর কোন এক সময় বাংলাদেশের উপকুলীয় জেলাগুলিতে আঘাত আনতে পারে এই ঝড়। এদিকে বাংলাদেশের উপকোলীয় জেলাগুলির সরকারী ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হলে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতের ওড়িশা উপকুলে আঘাত হেনেছে। আজ ভোর ৫টায় তিতলি ওড়িশা উপকুলে আঘাত হানে। উপকুলে আঘাত আনার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১০২ কিলোমিটার। ওড়িশার গোপালপুর এবং কলিঙ্গপট্টনমে তিতলি আছড়ে পড়েছে। এর ফলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও মশুলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেখানে।
অনেক স্থানে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে পড়েছে। এর ফলে ওড়িশার বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। পরে আস্তে আস্তে এর গতি কমতে থাকে। তবে আবার এর গতি বেড়ে যেতে পারে। ঝড়টি আগামীকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করতে পারে। তার পর এর গতিপথ সুন্দরবন, সাতক্ষিরা ও খুলনার ওপর দিয়ে হতে পারে। তবে বাংলাদেশে প্রবেশের আগেই এই ঝড় দুর্বল হয়ে যাবে। ফলে বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম।
এই ঝড়ের প্রভাবে চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারে বুধবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো এই বৃষ্টিপাত অব্যহত আছে। তবে বৃষ্টির মাত্রা অনেকটা কমেছে। অপরদিকে তিতলির প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল আকার ধারন করেছে। এর প্রভাবে সারা দেশে কম বেশী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রাজধানীতে সকাল ১১টার পর থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট নিন্মচাপটি ঘূর্ণিঝড় তিতলিতে রুপান্তর হয়। এটি সকাল ৬টায় চট্রগ্রাম বন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এই জন্য দেশের ৪ সমূদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সমুদ্রযানগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের খবরে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড় তিতলি আরও শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার মধ্যরাতের দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি গোপালপুর ও কলিঙ্গপত্তমের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
স্থলভাগে আঘাত আনার পর ঘূর্ণিঝড় তিতলি দুর্বল হয়ে পশ্চিমবঙ্গেরদিকে অগ্রসর হবে। সেই হিসাবে এটি আগামীকাল দুপুরেরদিকে বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট, সুন্দরবন ও সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। তবে এই সময়ে ঝড়টি বেশ দুর্বল থাকবে। এই ঝড়ের ফলে সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টিপাত হবে। এর পরই শুরু হবে শীত মৌশমের শুরু। আবহাওয়া অফিস সূত্রে এই সমস্ত তথ্য জানা গেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় আবারো ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভুমিকম্পে ৩০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আরো অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার সময় ভুমিকম্পে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ৩টি পরাঘাত হয়। ভুমিকম্প যেন ইন্দোনেশিয়ার পিছু ছাড়ছে না।
ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ সুলাওয়েসে এই ভুমিকম্প আঘাত আনলে উপকুলীয় এই শহরটিতে শুনামী শুরু হয়। ৫ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয় এই দ্বীপ শহরটি। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র সুত্রো পারু জানিয়েছেন, ভুমিকম্পের ফলে ৩০ জন নিহত হয়েছে ও এখনো অনেক নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ভুমিকম্পের ফলে অনেক ভবন ধ্বসে পড়েছে।
ভারতের হিমাচল প্রদেশে নিখোঁজ ইন্ডিয়ান আইআইটির ৩৫ ছাত্রকে উদ্ধার করেছে সেখানকার উদ্ধারকারী দল। গতকাল থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরা উত্তর খন্ডের রুরকি আইআইটি থেকে কয়েকদিন আগে হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলায় ট্রেকিংয়ে যায়। হাম্পা পাসে ট্রেকিংয়ের পর তাদের মানালি যাওয়ার কথা ছিল। গতকাল সোমবার থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে ধারনা করা হচ্ছিল তারা প্রবল তুষাড় ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের সরকারী উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ ছাত্রদের সন্ধানে অভিযানে নামে। অবশেষে তারা নিখোঁজ ৩৫ ছাত্রকেই ঝড়ের কবল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই তুষাড় ঝড়ের সাথে প্রবল বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ইতিমধ্য পানিতে ডুবে অথবা বৃষ্টির পানিতে ৫ জনের ভেসে যেয়ে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সুপার টাইফুন ম্যাংখুত প্রচন্ড গতি নিয়ে উত্তর ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে। শনিবার সকালে এটি ফিলিপাইনের উত্তর উপকুলে আঘাত আনতে পারে। ৯০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে এটি ফিলিপাইনের দিকে আসছে। ইতিমধ্য এই ঝড় গোয়াম অতিক্রম করেছে। ম্যাংখুত নামে পরিচিত এই ঝড়ের গতি ঘন্টায় ২৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই ঝড় কবলিত এলাকা প্রচন্ত মেঘে ঢাকা পড়েছে। প্রায় এক কোটি মানুষের বসবাসের এলাকা এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার ফিলিপাইনে ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরী বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহন করার জন্য অফিস করবে।
উল্লেখ্য এই মৌশমী ঝড় জুলাই-আগস্ট মাসেও ফিলিপাইনে তান্ডব চালিয়েছিল। এই বছর এ পর্যন্ত এই ঝড় ১৫ বার ফিলিপাইনে আঘাত এনেছে। এই ঝড়ের প্রভাবে ভুমি ধ্বসের আসংস্কা করা হচ্ছে। ফিলিপাইনে ম্যাংখুত একটি মৌশমী ঝড়ের নাম। ফিলিপাইনের রেডক্রস এই ঝরের ফলে যে সমস্ত এলাকায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেই সব এলাকায় কড়া সতর্কতা জারি করেছে ও ঝড়ের পরবর্তী অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য ত্রান সহায়তাসহ সকল ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সূত্রঃ আল জাজিরা
শক্তিশালী হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’ এখন থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্য যুক্তরাজ্যের পূর্ব উপকুলে আঘাত আনতে পারে বলে সেখানকার আবহাওয়া অফিস সতর্কতা জারি করেছে। উত্তর আটলান্টিক সাগরে সৃষ্ট এই ঝড় ক্ষিপ্র গতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনার দিকে ধেয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে গত ৩০ বছরের মধ্য এই ঝড় হবে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী।
ইতিমধ্য সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনা থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এই ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য। আরো প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এই ঝড়ের ফলে ভুমিধ্বসসহ নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আসংস্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুনাল্ড ট্রাম্প এই ঝড়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ইতিমধ্যই কেন্দ্রীয়ভাবে অর্থ সাহায্যের ঘোষনা দিয়েছেন।
সারা দেশে আজ বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ ভোর থেকেই সারা দেশে ব্যপক বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হচ্ছে। ঘন ঘন ও প্রচন্ড শব্দ করে বজ্রপাতের কারনে এই সকল মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু আহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে সারা দেশে অবিরাম বর্ষন চলছেই। বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেকস্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার হওয়ায় এবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ও রাস্তায় আগের বছরগুলির তুলনায় জলাবদ্ধতা অনেক কম।
বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নিহতরা হলেন-১। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের সামসুল হক (৫৫) ও তার ছেলে আরমান হোসেন (১৪), ২। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কাদের হোসেন (৩৭), ৩। সিরাজগঞ্জের সাহজাদপুরের ফারুক খানের ছেলে নাবিল (১৭) ও রাশেদুল ইসলামের ছেলে পলিন (১৫), ৪। নওগার সাপাহার উপজেলার সোনাভান (২৪), ৫। নোয়াখালীর মাইজদীতে বজ্রপাতে সোহেল রানার ছেলে পিয়াল (১৩) ও মো. রজন মিয়ার ছেলে শাহীন (২৬), ৬। মাগুরায় নিহত হয়েছে ৩ জন। ৭। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আব্দুর রহিম (৫০), ৮। সুনামগঞ্জের কৃষক লিটন মিয়া (৩০), ৯। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের জাফরুল ইসলাম (২০), ও ১০। রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মনসুরা বেগম (৩৫)। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও হতাহতের খবর আসছে।
নানা রকমের মানুষ আছে পৃথিবী নামক এই গ্রহে। একেকটা মানুষ অন্যজন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন-আচার আচরন, চলাফেরা, শারিরীক গঠন, পছন্দ অপছন্দ সবদিক থেকে। বিচিত্র এ পৃথিবীতে মানুষের কত রকমের সখ রয়েছে। বিচিত্র সখের তেমনই একজন মানুষের সাথে মালিবাগ মোরে দেখা হয়। তিনি একজন সিএনজি চালক। তবে নিজের সিএনজি নিজেই চালান।
আজব হল, তিনি তার সিএনজির ছাদে বাগান করেছেন- জীবন্ত সব ফুলের গাছ দিয়ে। আর সিএনজির ছাদে এই বাগান নিয়েই তিনি শহরময় যাত্রী নিয়ে চলাচল করেন। নিত্য তিনি এই বাগানের পরিচর্যা করেন। জিজ্ঞেস করলে তপন জানান সখের বশে তিনি এই বাগান করেছেন।
উত্তর মেরু অঞ্চলের সাইবেরিয়া থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ইউরোপের তাপমাত্রা নেমে এসেছে মাইনাস ৪০ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেডে। গোটা ইউরোপ জুড়ে চলছে তুষার ঝর। সেখানকার জীবন যাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খুব বেশী প্রয়োজন না হলে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রাস্তা অত্যান্ত পিচ্ছিল থাকার কারনে সড়ক যোগাযোগও ভেঙ্গে পড়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় গাড়ী চালাতে যেয়ে শত শত গাড়ী দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।
তীব্র শীতে এ পর্যন্ত ইউরোপে মারা গেছে ৬০ জনের মতো। শুধু পোল্যান্ডেই শীতে মারা গেছে ২১ জন। তা ছাড়া চেক রিপাবলিকে ৬, লিথুয়ানিয়ায় ৫, ফ্রান্সে ৪, স্পেনে ৩, ইতালি, রোমানিয়া ও স্লোভেনিয়ায় ২ জন করে এবং ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র শীত ও ভয়াবহ তুষার ঝড়ের কারণে সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে ইউরোপের বেশ কিছু বিমানবন্দর। ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে দক্ষিণ–পশ্চিম ইংল্যান্ড, দক্ষিণ ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায়। এই সব জায়গায় তুষারঝড় ও ব্যাপক ঠান্ডার চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
রোমে গত সোমবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল–কলেজ। বন্ধ রাখা হয়েছিল জার্মানির ব্রিমেন ও কোলন–বন বিমানবন্দরও। জানা গেছে, শুধুমাত্র উত্তর জার্মানির লুবেক শহরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাকা পিছলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একশোরও বেশি গাড়ি। এমন কি, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেনের গাড়িটিও উপসালা শহরের কাছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় পড়েছিল। ভাগ্যগুনে তিনি বেঁচে যান। ইউরোপের অধিকাংশ দেশের বিমান উঠা নামা বন্ধ রাখা হয়েছে বৈরী আবহাওয়ার কারনে। ট্রেন লাইনগুলি বরফে ঢেকে পড়েছে। ইউরোপে এখন বসন্তকাল। আর এ সময়ে চলছে অস্বাভাবিক এই তুষার ঝড়। আগামী এক সপ্তাহের আগে আবহাওয়ার কোন উন্নতি হবে না বলে সেখানকার আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।