বিএনপি এ সময়ে ক্ষমতায় থাকলে হয়ত বহু আগেই বাংলাদেশে শ্রীলংকার মত অবস্থা হয়ে যেত!

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যপী নানা ধরনের অবরোধ ও পাল্টা অবরোধের কারনে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সারা বিশ্বেই অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং যা এখনোও বিরাজমান আছে। শুরুতেই এই যুদ্ধের ধাক্কা লাগে শ্রীলংকার অর্থনীতিতে। ডলারের অভাবে দেশটিতে জ্বালানি তেল আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থা সামাল দিতে আইএমএফ থেকে ঋন চেয়েছিল শ্রীলংকা। কিন্তু ঋন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শর্ত পূরন না হওয়ায় এই ঋন মঞ্জুর করেনি আইএমএফ। বাংলাদেশের কাছেও দেশটি আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋন চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এই সহযোগিতা করতে পারেনি। উল্লেখ্য এর কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ২২শ কোটি টাকা ঋন দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। এই সময়ে শ্রীলংকা পড়ে এক মহাবিপদে। দেশব্যপী শুরু হয় সরকার পতনের আন্দোলন। আন্দোলনে সেই সময়ের সরকারের পতন ঘটে।

ফাইল ফটো

শ্রীলংকার এই দুরাবস্থা দেখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০২২ সালের এপ্রিলে বলেছিলেন আর মাত্র ৫ মাস পরেই বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাবে বা শ্রীলংকার মত অবস্থায় পড়বে। যে পরিমান ডলার আছে তা আর মাত্র ৫ মাসের আমদানী ব্যয় মিঠাতে পারবে। বাংলাদেশের এমন অবস্থা হবে তা তিনি বেশ আস্ফালন করেই বলেছিলেন। কেননা তিনি আশা করেছিলেন এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে। সরকারের পতন হবে ও এর মধ্য দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বাস্তবে আমরা দেখলাম ১৬ মাসেও বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলংকার মত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফুরিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে যতেষ্ট পরিমান জিজার্ভ আছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

আর বিএনপি মহাসচিবের কথা থেকেই বুঝা যায় এই সময়ে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে হয়ত বাংলাদেশে শ্রীলংকার মত অবস্থা হত। কিন্তু বর্তমান সরকারের সঠিক নেতৃত্ব দানই দেশকে শ্রীলংকার মত অবস্থা হওয়া থেকে দূরে রেখেছে। আর এই সঠিক নেতৃত্বদান হয়েছে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার মাধ্যমে। এতে বলা যায় শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য অপরিহার্য।