বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি, অর্জিত হয়েছে আরেকটি বিজয়

সংযোগ স্থাপিত হয়েছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্য। আর এই সংযোগটি স্থাপিত হয়েছে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে। আজ বেলা ১২টার সময় ১২ ও ১৩ নং পিলারের মধ্য এই স্প্যানটি বসানো হয়েছে। ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৩২০০ টন ওজনে্র স্প্যানটি বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করেছে ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। মোট ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হল পদ্মা সেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় প্রথম স্প্যান। আর এই শেষ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের মানুষের মধ্য সংযোগ স্থাপিত হল। দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে এই সেতুর মাধ্যমে। এখন এই ২১টি জেলা নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারবে।

শুরুতে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের কথা ছিল বিশ্ব ব্যাংকের। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দালাল চক্রের চক্রান্তের কারনে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরীর ঘোষনা দেন। শেখ হাসিনার নেওয়া এই সিদ্ধান্তের পর তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্টির অনেকে মন্তব্য করেছিল ‘পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করতে গেলে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিতে হবে। দেশ অচল হয়ে যাবে।’ নানা রকম নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে সেতুর কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। অবশেষে সকল ষড়যন্ত্র চুরমার করে দিয়ে সেতু তৈরীর শেষ প্রান্তে এসে পৌছে গেছে শেখ হাসিনার সরকার। আর এর মধ্য দিয়ে অর্জিত হল আরেকটি বিজয়।