ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনার প্রধান আসামী আসাদুল হককে আটক করেছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দল। হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে শুক্রবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে আসাদুল হককে (৩৫) আটক করা হয়। সে ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এবং র‌্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হককে আটক করে। এ ঘটনার প্রধান আসামি আসাদুলই ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে। আটকের পর তাকে রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে হামলায় ওয়াহিদার বাবা ওমর আলীও গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা ওয়াহিদা ও তার বাবাকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ওহাহিদা খানমের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে পরে তাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় এনে শ্যামলীর নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় ওয়াহিদার জ্ঞান ফিরে আসলে রাত ৯টায় তার মাথায় অপারেশন শুরু হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যপী অপারেশন শেষে ডাক্তার তাকে সংস্কামুক্ত বলে ঘোষনা দেন। অপরদিকে ওয়াহিদা খানমের বাবাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে।

এক বা দুই জন বুধবার রাত আড়াইটায় ওয়াহিদার সরকারী বাসভবনের দুতলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করে ওহাহিদাকে হাতুরী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এই সময় ওয়াহিদার বাবা টের পেয়ে এগিয়ে আসলে তার মাথায়ও হাতুরী দিয়ে আঘাত করলে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। এই সময় পাশে থাকা ওয়াহিদার ৩ বছরের শিশু পুত্রের চিৎকারে আশপাশের বাসার লোকজন এগিয়ে এসে ওয়াহিদা ও তার বাবাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।