যমুনা গ্রুপের মালিক বাবুল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন
দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও যমুনা গ্রুপের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নুরুল ইসলাম বাবুল ১৪ই জুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এতে তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই সোমবার বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ( সাবেক এপোলো হাসপাতাল) মৃত্যুবরণ করেন। মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর যমুনা ফিউচার পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে নুরুল ইসলাম বাবুলকে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। স্ত্রী সালমা ইসলাম মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টির ( এরশাদ ) সংসদ সদস্য ও সুপরিচিত মহিলা আইনজীবী। তাদের ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিন মেয়ে- শারিয়াত তাসরিন সোনিয়া, মনিকা নাজনীন ইসলাম এবং সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক। তিনি অত্যান্ত প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। যমুনা গ্রুপ, যমুনা ফিউচার পার্ক, যমুনা টিভি, যুগান্তর পত্রিকাসহ ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। বাংলাদেশের অন্যতম ধনী এ ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময়ে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। ভূমি দখল, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে বাবুলের বিরুদ্ধে, কয়েকবার গ্রেপ্তারও হতে হয়েছে তাকে। ।
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে বাবুলকে একটি হত্যার অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর গ্রেপ্তার করেছিল। ২০০৫ সালে, তার বিরুদ্ধে অ্যালকোহল সম্পর্কিত অভিযোগে মামলাও করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মামলার বিচার হয়। ২০১৩ সালে পুলিশ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের বাসা থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিল।