মিয়ানমারের জেড খনিতে ভুমিধ্বসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৬২
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যের জেড পাথর সমৃদ্ধ হপাকান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের সময় ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে। ভারী বর্ষণের ফলে পাহার ধসে এই ভুমিধসের সৃষ্টি হয়। পাথর খনিটির পাদদেশে এই সময় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিল। মুহূর্তেই উপর হতে কাদামাটির স্রোত নেমে আসে নীচের দিকে। কোন কিছু বুঝার আগেই শ্রমিকরা কাদামাটিতে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় কাদায় আটকে যাওয়া শ্রমিকরা চিৎকার করতে থাকে প্রান বাঁচাবার আকুতি জানিয়ে। কাদার ভিতর থেকে এ পর্যন্ত ১৬২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক মরদেহ কাদার মধ্য থাকতে পারে বলে ধারনা করছে উদ্ধারকারী দল।
জীবিত উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছে জানিয়ে মিয়ানমারের মন্ত্রী উ তিন সোয়ে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। বিশ্বে সবুজ রংয়ের প্রায়-স্বচ্ছ রত্ন পাথর জেডের সবচেয়ে বড় উৎস মিয়ানমার। সেখানে উত্তোলিত জেড পাথরের বেশিরভাগটাই প্রতিবেশী দেশ চীনে রপ্তানি হয়।
পাথর কিংবা রত্ন সংগ্রহের সময় তার কাদা, মাটি কিংবা অন্যান্য বজ্যগুলি পাশেই স্তুপ করে রাখা হয়। এমনই একটি ময়লার স্তুপ যার উচ্চতা ২৫০ ফুটের মত, ধসে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে সেখানকার এক খনি শ্রমিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।