ঢাকা মেডিকেলের দুর্নীতির অভিযোগ ‘ভুল ধারনা’-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের এক মাসের খাবার বিল ২০ কোটি টা্কা হয়েছে বলে খবর রটেছে। এর জেরে সোমবার জাতীয় সংসদে বাজেটের সমাপনী আলোচনা পর্বে বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এক মাসে ডাক্তার ও নার্সদের ২০ কোটি টাকা খাবার বিলের প্রসঙ্গ এনে তার সমালোচনা করেন। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী আলোচয়ায় অংশ নিয়ে এই খরচে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন তদন্ত করে দুর্নীতির প্রমান পেলে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবারও জাতীয় সংসদে এই বিষয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন।

সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদকে জানান, ঢাকা মেডিকেলে ২০ কোটি টাকার খাবার বিল ‘টুটালি রং’। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার বিল নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজের থাকা-খাওয়ার বিষয় নিয়ে যে কথা হয়েছে আমি খোঁজ নিয়েছি। কাল রাতে আমি এটা দেখেছি। ৫০টি হোটেল ভাড়া হয়েছে। সেখানে ৩৭০০ ডাক্তার-নার্স ও স্টাফ এক মাস থেকেছে। প্রত্যেকটি রুমের ভাড়া ১১০০ টাকা। খাওয়ার খরচ যেটা বলা হয়েছে তা টোটালি রং। সেখানে দিনের তিনটি মিলের জন্য খরচ ৫০০ টাকা হয়েছে। দুর্নীতি করার সুযোগ নেই।”

প্রতিদিনের হোটেল ভাড়া জনপ্রতি ১১০০ টাকা হলে ৩৭০০ মানুষের প্রতিদিনের হোটেল ভাড়া আসে ৪০৭০০০০ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের হোটেল ভাড়া আসে ১২২১০০০০০ টাকা। অপরদিকে প্রতিদিন প্রতিজনের খাবার খরচ ৫০০ টাকা হলে ৩৭০০ মানুষের এক দিনের খাবার খরচ আসে ১৮৫০০০০ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসে খাবার খরচ আসে ৫৫৫০০০০০ টাকা। এক মাসে হোটেল ভাড়া ও খাবার খরচ বাবৎ আসে ১৭৭৬০০০০০ টাকা।