করোনা মহামারী কালে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

করোনা মহামারীকালে রাজধানীর ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ শিশুদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কেন শিশুদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ঢাকার সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মালিবাগ শাখার কাছে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হামিদা আলীকে রবিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এই কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্য বোর্ডের বিদ্যালয় পরদির্শক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁর কাছে নোটিসের সুস্পষ্ট জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়, “সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মালিবাগ শাখায় ২৭ জুন শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্দেশ্যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। অপরপক্ষে কোভিড-১৯ এর কারণে ১৮ মার্চ হতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং ২৬ মার্চ হতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। “এমতাবস্থায় দেশের এই দুর্যোগকালীন সময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ সরকারের আদেশ-নির্দেশ অমান্য করার শামিল। ফলে কেন আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- মর্মে ব্যাখ্যা তলব করা হলো।”

উল্লেখ্য শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্কুলটির মালিবাগ শাখায় ইংরেজি মাধ্যমের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। অধ্যাক্ষ হামিদা আলী ভর্তি পরিক্ষার বিষয়ে জানেন না বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন। এই মহামারীকালে স্কুল বন্ধ থাকার পরও সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ নানা কৌশলে ছাত্র ও অভিভাবকদের চাপ দিয়ে পূর্ণ বেতন আদায় করছে বলে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করছেন। ইতিমধ্য স্কুলটি নতুন কৌশলে নতুন সেশনে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে। এসএমএসে উল্লেখ করা হয়েছে ২৫শে জুনের মধ্য ভর্তি না হলে মেরিট লিস্ট অনুযায়ী নতুন ক্লাসের রোল নাম্বার হবে না। অর্থাৎ যে ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে সে যদি ২৫শে জুনের মধ্য ভর্তি না হয়ে থাকে তাহলে তার রোল নাম্বার যারা তার আগে ভর্তি হয়েছে তার পরে চলে যাবে। তাই অনেক অভিভাবক সন্তানদের মন রক্ষা করতে যেয়ে অনেক অসুবিদার মধ্য ভর্তি করিয়েছেন। অভিভাবকদের বেতন কমানোর আবেদনে কোন পাত্তাই দিচ্ছে না স্কুলটি। এই মহামারীকালেও স্কুল কর্তৃপক্ষ দানবের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। ক্লাস নিচ্ছে না, অথচ শুধু মাত্র বেতন আদায় করার মানসে অনলাইনে কিছু ক্লাশ নিয়ে পূর্ণ বেতন আদায় করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এই অনলাইন ক্লাস নিয়েও তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক। অনেক অভিভাবক যতদিন স্কুল বন্ধ থাকবে ততদিন অর্ধেক বেতন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।