এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা কমানো ও কম সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা চলছে-দিপুমনি

এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়সংখ্যা কমিয়ে কম সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। করোনা মহামারীর এই মহাসংকটকালে শিক্ষার্থীদের বেতন কমানোর জন্যও চিন্তা ভাবনা করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনুরোধ করেছেন তিনি। আজ শিক্ষা সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ইরাব) এর আয়োজিত ‘করোনাকালে শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করনীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে করোনা মহামারীকালে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী।

মহামারীর মধ্যে নানা উপায়ে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি পরিশোধে তাগিদ দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের টিউশন ফি আদায়ের বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছে। এছাড়া মহামারীর মধ্যে বেতন না দেয়ায় প্লে পেন নামের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীর ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ নানা কৌশলে ছাত্র ও অভিভাবকদের চাপ দিয়ে পূর্ণ বেতন আদায় করছে বলে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করছেন। ইতিমধ্য স্কুলটি নতুন কৌশলে নতুন সেশনে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে। অভিভাবকদের বেতন কমানোর আবেদনে কোন পাত্তাই দিচ্ছে না স্কুলটি। এই মহামারীকালেও স্কুল কর্তৃপক্ষ দানবের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। ক্লাস নিচ্ছে না, অথচ শুধু মাত্র বেতন আদায় করার মানসে অনলাইনে কিছু ক্লাশ নিয়ে পূর্ণ বেতন আদায় করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এই অনলাইন ক্লাস নিয়েও তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক। অনেক অভিভাবক যতদিন স্কুল বন্ধ থাকবে ততদিন অর্ধেক বেতন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।

স্কুল ফি’র ব্যাপারে দিপুমনি বলেন, ‘এই সময়ে স্কুল বন্ধ আছে, প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে সে কারণেও স্কুলের কিছু খরচ কম হবে। সেই খরচটুকু বাদ দেওয়া যায়। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের অধিকাংশই হয়ত এই সময়ে পুরো বেতন পাচ্ছেন না। সারা বিশ্বব্যাপী চিত্রটা একই, বাংলাদেশ শুধু একমাত্র দেশ নয়।’ মন্ত্রী বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আগামী কয়েকমাস চলার সামর্থ্য আছে তাদের উচিত সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া। তারা কিস্তিতে ফি নিতে পারেন আবার না নেওয়ারও চিন্তা করতে পারেন। দীপু মনি বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা খারাপ, তারা অন্যান্য ঋণের জন্য চেষ্টা করতে পারেন, আমরাও সে ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারি।’