রাজধানীর দুই সিটির ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষনা

রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের ৪৫টি এলাকাকে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের বিবেচনায় ‘রেড জোন’ ঘোষনা করেছে সরকার। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির শনিবারের সভায় দুই সিটির এই ৪৫টি এলাকাসহ দেশের অনেক থানা ও এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। শীঘ্রই এ সমস্ত এলাকা পর্যায়ক্রমে লকডাউনের আওতায় আসবে। উক্ত সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। যে সব এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেশী সেই এলাকাকে ‘রেড জোন’, যে এলাকায় সংক্রমন আছে তবে মাত্রা কম সেই এলাকাকে ‘ইয়োলো জোন’ ও যে এলাকায় সংক্রমন নাই সেই এলাকাকে’ গ্রীন জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরদিকে কোন একটি এলাকায় নিদৃষ্ট সংখ্যার জনগোষ্টীর মধ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সংখ্যার ভিত্তিতে এই এই রেড, ইয়োলো ও গ্রীন জোন বিবেচনা করা হয়।

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকার মধ্য রয়েছে- ঢাকা উত্তর সিটির ১৭টি এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘রেড জোন’ এলাকাগুলো হলো- গুলশান, বাড্ডা, মহাখালী, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর ও মিরপুর।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকাগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, বাসাবো, জিগাতলা, লালবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান, আজিমপুর, শান্তিনগর, পল্টন, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, কদমতলী, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, সেগুনবাগিচা ও এলিফ্যান্ট রোড।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলো হলো- চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ও খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। এ ছাড়াও নরসিংদী জেলার ৩টি থানা, নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা, আড়াই হাজার থানা, নারয়নগঞ্জ সদর থানা ও সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও কালিগঞ্জের কয়েকটি ওয়ার্ড রেড জোন ঘোষনা করা হয়েছে।