ইতালী, ফ্রান্স ও স্পেন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার চিন্তা করছে, কুয়েত-সৌদি বের করে দিচ্ছে
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশ ইতালী, ফ্রান্স ও স্পেন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। এই কঠিন সময়ে ওই সমস্ত দেশে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের তারা তাড়িয়ে দিচ্ছে না। ট্রাম্পের আমরা সমালোচনা করি, আমেরিকা কিংবা ইতালীর সমালোচনা করি। তারাই এই কঠিন সময়ে অবৈধ অভিবাসীদের সে সমস্ত দেশ থেকে বের করে না দিয়ে বরং বৈধ করে নেওয়ার চিন্তা করছে। এই কঠিন সময়েও ইইউরোপে অভিবাসন লাভের আশায় তিউনিশিয়া থেকে ১২৮ জন বংলাদেশীসহ প্রায় ২ হাজারের অধিক মানুষ ইতালীতে ঢুকে পড়েছে নৌপথে। যুক্তরাজ্যেও প্রায় লক্ষাধিক বাংলাদেশী অবৈধভাবে বসবাস করছে। কিন্তু দেশটি অবৈধ বাংলাদেশীদের সে দেশ থেকে বাহির করে দেওয়ার চিন্তা করছে না। মনে হয় তারা বুঝে গেছে কেন করোনা ভাইরাসের আভির্বাব হয়েছে। আর তাই তারা মানুষকে মানুষ হিসাবে গন্য করে এই কঠিন সময়ে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
আর আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ কুয়েত ও সৌদি আরব সে সমস্ত দেশে থাকা অবৈধ শ্রমিকদের জোড় করে সেদেশ থেকে বাহির করে দিচ্ছে। শুধু তাই নই তারা বাংলাদেশ সরকারকে এই সমস্ত শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চাপ ও হুমকিও দিয়ে আসছে। কুয়েতে থাকা ৪ হাজারের অধিক বাংলাদেশী অবৈধ শ্রমিক ফিরিয়ে না আনলে দেশটি বাংলাদেশকে ব্লেকলিস্টে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে আর জনশক্তি নিবে না ও যারা ইতিমধ্য কুয়েতে বৈধভাবে কর্মরত আছে তাদের ভিসা আর নবায়ন না করারও হুমকি দিয়েছে দেশটি। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বনীতি হল যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। কিন্তু দেশ দুটি নানা কারনে অবৈধ হয়ে যাওয়া শ্রমিদের দেশে চলে যেতে বাধ্য করছে। মাত্র কয়েক হাজার শ্রমিকের বরনপোষনের ব্যবস্থা করতেও তারা অনিহা প্রকাশ করে যাচ্ছে। এই সমস্ত শ্রমিকরা খালি হাতে দেশে ফিরে আসলে দেখা দিবে নানা পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যা। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলি এখনো বুঝতে পারে নাই কেন করোনার আগমন ঘটেছে।
২৭ ও ২৮শে এপ্রিল ২৪৬ জন কুয়েতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। অবৈধ হয়ে যাওয়ায় কুয়েত থেকে বুধবার ২৯৯ জন দেশে ফিরে এসেছেন সাধারন ক্ষমার আওতায়। ১৬, ১৭ , ২১ ও ২২ মে আরও এক হাজার ৮০০ প্রবাসীকে দেশে পাঠানো হবে বলে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।