সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মার্কেট ও দোকানপাট খুলেছে

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মার্কেট ও দোকানপাট খুলেছে। এর আগে সরকার কিছু শর্ত দিয়ে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট খুলার অনুমতি দেয়। রাজধানীতেও কিছু মার্কেট ও দোকানপাট আজ খুলেছে। তবে অধিকাংশ মার্কেটেই শর্ত ভঙ্গ হয়েছে। রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের দুই হাজার দোকান রয়েছে এবং এ সমস্ত দোকানে সাড়ে পাঁচ হাজার সেলসম্যান রয়েছে। সকালে এখানে দেখা যায়, দোকান মালিক ও কর্মচারীরা বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে মার্কেটে প্রবেশ করছে। প্রায় গায়ে গায়ে লেগেই তারা লাইনে দাঁড়িয়েছে। এতে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকেনি।

খুলনা ও যশোহরেও কিছু মার্কেট খুলেছে। এই সমস্ত মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। ক্রেতারা সামাজিক দুরত্ব মোটেও অনুসরন করেনি। এই মহামারীতেও তারা অনেকটা ভাবলেশহীনভাবে মার্কেটিং করেছে। এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আসংস্কা করা হচ্ছে। এতদিন মানুষ বলেছে জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। আজ যারা মার্কেটে এসেছে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য তারা কিন্তু জীবন জীবিকার তাগিদে মার্কেটে আসেনি, এসেছে খাছিলতের কারনে। তেমনিভাবে এতদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ শুধু শুধুই রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে অকারনে।

এদিকে আগেই রাজধানীসহ সারাদেশের কিছু নামিদামি ও বিলাসবহুল মার্কেট খুলা না রাখার ঘোষনা দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর যে মার্কেটসমূহ না খুলার ঘোষনা দিয়েছে সেগুলি হল-যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা শপিংমল, নিউ মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, টুকিও স্কয়ারসহ আরও কিছু মার্কেট ও মল রয়েছে। আগেই চট্রগ্রাম ও সিলেট শহরের মার্কেটসমূহ বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা।