উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ওনকে নিয়ে নানা গুজব চলছে বিশ্বজুড়ে

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ওনকে নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বজুড়ে। তাকে সর্বশেষ ১১ই এপ্রিল একটি রাজনৈতিক মিটিয়ে দেখা গিয়েছিল। এর পর থেকে তার আর কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মাঝে একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও তাকে দেখা যায়নি। ১৫ই এপ্রিল কিমের পিতামহের জন্মদিন ছিল। এটি উত্তর কোরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসাবে গুরুত্বের সাথেই এতদিন পালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু এখানেও কিমকে দেখা যায় নি। ফলে তাকে নিয়ে গুজবের ডালাপালা বিস্তার লাভ করতে থাকে। অনেকে বলছেন, কিম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্য মৃত্যুবরন করেছেন। কিন্তু এর পক্ষে বিপক্ষে কোন সত্যতা খুজে পাওয়া যায়নি।

তীব্র ধূমপায়ী ৩৬ বছর বয়সী কিমের হার্টের সমস্যার কথাও শুনা যাচ্ছে। ধূমপানের কারনে নাকি তার হার্টের মারাত্নক ক্ষতি হয়েছে। সেই জন্য তিনি হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় শায়িত আছেন বলে তার খবর রাখেন সিউল ভিত্তিক এমন একটি সূত্র দাবি করছে। আবার উত্তর কোরিয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন হাওয়াইয়ের এক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর চেংওন হেরিসন কিম বলেন, কিমের স্বাস্থ্য সবসময়ই একটু নাজুক থাকায় তার অসুস্থ্যতা নিয়ে জল্পনা কল্পনা বেশী হচ্ছে। সম্ভবত কিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তাকে কোন মিটিয়ে দেখা যায়নি বলে তাকে নিয়ে নিউজ করেন এমন অনেকেই জানিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি নিয়ে গবেষনা করেন ও কলাম লিখেন এমন একজন পিটার ওয়ার্ড। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অসুস্থ্যতা হয়ত অতটা সিরিয়াস না। খুব বেশী সিরিয়াস হলে বিমান কিংবা সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট সেটেলাইটে দেখা যেত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি দেখা যাচ্ছে না। চায়না থেকে একদল চিকিৎসক উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছেন বলে রয়টার’স জানিয়েছে। যদি কিম জং ওন ইতিমধ্য মারা যেতেন তাহলে হয়ত রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করা হত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি হয়নি বলে কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে যে প্রপাকান্ডা ছড়িয়েছে তা অতটা সত্য নাও হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে কিম মারা গেলে উত্তর কোরিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরী হতে পারে বলে আল জাজিরার বিশ্লেষনে বলা হয়েছে। ৩২ বছর বয়সে কিম তার বাবার মৃত্যুর পর দেশটির প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হন।