জাতিসংঘকে বলেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে-আল জাজিরাকে ডঃ আব্দুল মোমেন
কক্সবাজারের উপকুলে ৫ শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু নিয়ে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি ট্রলার টেকনাফ উপকুলে ওঠার অপেক্ষায় আছে। এর আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রলারটি সমূদ্রে ভাসছে বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর অভিযোগ করে আসছে। তাদের উদ্ধার করে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া উচিৎ বলে মনে করছে সংস্থাটি। সেই জন্য তারা বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এর জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ আব্দুল মোমেন জানান , মাত্র কয়েক দিন পূর্বে বাংলাদেশ ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশুসহ রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ উপকুলে আসলে তাদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফের একটি ক্যাম্পে রাখা হয়। এর আগেও বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছ। আমরা আর রোহিঙ্গাদের ভার বইতে পারছিনা। রোহিঙ্গাদের মানবাধীকার দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশের একার না। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, বঙ্গপো সাগরের উপকুলে আরও ৮টি দেশ রয়েছে। শুধু বাংলাদেশকেই চাপ দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডঃ আব্দুল মোমেন এসমস্ত কথা বলেন।
প্রায় মাস দুয়েক আগে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিতে রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি দল সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে পাড়ি জমিয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া এদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রশ্নের জবাবে ডঃ মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘকে বলেন রোহিঙ্গাদের কানাডা কিংবা অন্য কোথাও নিয়ে যেতে। আমরা রোহিঙ্গাদের পাঠাতে প্রস্তুত আছি’। এদিকে হিউম্যান রাইট ওয়াচের দক্ষিন এশিয়ার প্রধান বাংলাদেশকে মানবাধীকারের কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের উচিৎ রোহিঙ্গাদের সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া’। এর জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মানবাধীকার শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে লঙ্গন হয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রে কি মানবাধীকারের প্রসঙ্গ আসেনা’? এদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টহল ভোট বাংলাদেশের জল সীমানায় এমন ট্রলার দেখতে পায়নি বলে জানিয়েছে। হয়ত তারা অন্য দেশের জল সীমানায় আছে।