ইতালী থেকে আসা বাংলাদেশীদের মাধ্যমে ব্যপক হারে করোনা বিস্তারের আশষ্কা
বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কারনে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। চীনের পর ইউরোপের দেশ ইতালীতে এর বিস্তার ও প্রানহানি ঘটেছে বেশী। ইতালীতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্য দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ শতের বেশী মানুষ প্রান হারিয়েছে। বিশ্বের ১৫৩টি দেশে করোনা ভাইরাস বিস্তার লাভ করেছে। বাংলাদেশে এই পর্যন্ত আক্রান্ত ৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জন রোগী শনাক্ত করা হয়। এদের দুজনই ইতালী ভ্রমন করে এসেছে। এই দুই জনের এক জনের স্বজন আক্রান্ত হয়েছে এদের মাধ্যমেই। এর পর শনিবার আরো দুই জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এদেরও একজন এসেছেন ইতালী থেকে অপর জন জার্মানি থেকে। কাজেই দেখা যাচ্ছে ইতালী ফেরত বাংলাদেশীরাই বেশী সংখ্যায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আসছেন।
শনিবার এমিরেটসের একটি বিমানে করে ১৪২ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। রাতে আরেকটি ফ্লাইটে আরো ৫৮ জন ইতালী ফেরত বাংলাদেশী দেশে আসে। আজ সকাল ৮টায় এমিরেটসের আরেকটি ফ্লাইটে করে আরো ১৫২ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে। শনিবার সকালে যে ১৪২ জন দেশে ফিরেছেন তাদেরকে বিমান বন্দর থেকে আসকোনা হাজি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা – নিরীক্ষা করার জন্য। কিন্তু আগত যাত্রীরা বিমান থেকে নেমেই নানা অশালীন আচরন করতে থাকে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে। আসকোনায় তারা আসতে চাচ্ছিল না নানা অজুহাত দেখিয়ে। তারা বলে আসছিল তাদের দেহে করোনা ভাইরাস নাই। ইতালীতে পরীক্ষায় তা প্রমান হয়েছে, ভাইরাস আক্রান্ত থাকলে ইতালী তাদের আসতে দিত না। ইত্যাদি নানা ধরনের কথা বলতে থাকলো। হাজি ক্যাম্পে নিয়ে আসার পর তারা বিশৃংঙ্খলা করতে থাকলো। কিছুতেই তারা ক্যাম্পের ডুরমেটরীতে যেতে চাচ্ছিল না। অপরদিকে সংবাদ মাধ্যমের কিছু কর্মীও ইতালী ফেরদেরকে উস্কানি দিচ্ছিল। এতে করে এক পর্যায়ে ভিতরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মী ছিল না। অবশেষে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ছাড়াই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এরা হাজি ক্যাম্পে গরু ছাগল থাকে বলে মন্তব্য করেছে। অনেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। শনিবার রাত ও রবিবার সকালে যারা এসেছে তাদের কিছু সংখ্যককে হাজি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। হাজি ক্যাম্প কোন পাঁচ তারকা হোটেল কিংবা রিসোর্ট নয় যে এখানে খুব আরামে থাকা যাবে। সাময়িকভাবে হাজি ক্যাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে বিদেশ থেকে আগত বাংলাদেশীদের করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রথম প্রদক্ষেপ হিসাবে।
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন ইতালী ফেরত বাংলাদেশীদের হাজি ক্যাম্পের ভিতরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত ছিল। তা রাখতে না পারাটা সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা। এই দায় তারা এড়িয়ে যেতে পারে না। সংস্লিষ্টরা বলছেন এদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আসলে এরা হাজি ক্যাম্পে যে আচরন করেছে তাতে তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আর এর ফলে এদের মধ্য যারা করোনা আক্রান্ত থাকবেন তাদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস বিস্তার লাভ করার যথেষ্ট কারন দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন ইতালীতে থেকে আগত বাংলাদেশীদের মাধ্যমে দেশের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ভয়াবহ রূপ ধারন করতে পারে।