ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অত্যাধুনিক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্ভোধন

দেশের ইতিহাসে উম্মোচিত হল আরও একটি মাইলফলক। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যাধুনিক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্ভোধন করেছেন গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন যোগে প্রবেশ করলো। আজই খুলে দেওয়া হয়েছে দৃষ্ট নন্দন ও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ওয়েটি যা উন্নত বিশ্বের আদলে করা। এই এক্সপ্রেস ওয়েটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ্য এটিই বাংলাদেশের প্রথম অত্যাধুনিক এক্সপ্রেস হাইওয়ে যার দৈর্ঘ ৫৫ কিলোমিটার।

এই এক্সপ্রেস ওয়েটি নির্মাণের ফলে অতি অল্প সময়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পৌঁছানো যাবে। বিষেশজ্ঞদের মতে এখন আধা ঘন্টায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পৌছানো যাবে। এই এক্সপ্রেস ওয়েটি যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু হয়ে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর হয়ে মাওয়া পর্যন্ত এবং মাওয়া থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত সম্প্রসারিত। যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও পানছার থেকে ভাঙ্গা ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি এক্সপ্রেসওয়ে পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের একটি অংশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

উম্মোচিত হল আরও একটি মাইল ফলক। উদ্ভোধন করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাঙ্গা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে।

Posted by বিডি খবর তিনশতপয়ষটি ডটকম on Thursday, March 12, 2020

এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯ টি আন্ডারপাস এবং ১০০টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে, যা দেশের যোগাযোগের ক্ষত্রে ব্যপক ভুমিকা রাখবে ও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা, খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ছয় জেলাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ টি জেলার মানুষ সরাসরি এই আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবেন। পরে এই এক্সপ্রেস ওয়েটি নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর সাথে মিলিত হবে। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের পদ্মা সেতুর প্রায় ৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। যা ২০২১ সালে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *