সিটি ভোটে কম ভোট কাষ্ট হওয়ার আসল কারন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ
রাজধানীর দুই সিটির ভোট অনুষ্টিত হয়ে গেল ১লা জানুয়ারী। এই ভোটে ঢাকা দক্ষিনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। অপরদিকে ঢাকা উত্তরে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিনে ভোট পড়েছে প্রায় ২৯% আর ঢাকা উত্তরে ভোট পড়েছে প্রায় ২৫%।

নির্বাচনে প্রদত্ত এই ভোট নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে এই কম ভোট কাস্টিংকে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ওপর অনাস্থা বলে মনে করছেন। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন। তবে অনেকে এই বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। আসলে সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন ভোট কম কাস্ট হবার পিছনে দায়ী নয়।

প্রকৃত অর্থে দুই সিটির নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৫% ওপরে। দুই সিটির মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ। প্রথম এনআইডি ভিত্তিক ভোটার লিস্ট তৈরী হয় ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই সময়ে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় সকলেই ঢাকার ভোটার হয়েছে। ওই সময়ে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ভোটার লিস্টে নাম উঠানো সকলের পক্ষ সম্ভব না হওয়ায় ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন জেলার অধিকাংশরা ঢাকার ভোটার হয়েছে। গত ১২ বছরে এই ভাসমান ভোটারদের অনেকে নিজ জেলায় ফিরে গিয়েছে কিংবা অন্যত্র সেটেল হয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ঢাকার মোট ভোটারের ২৫% হবে। আবার ঢাকায় ভোটার ছিল এদের অনেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ৫% হবে। আবার অনেকে ঢাকা ছেড়ে চাকরী কিংবা অন্য পেশার শুবাদে ঢাকা ছেড়ে দেশের অন্যত্র চলে গেছে। এদের সংখ্যাও প্রায় ৫% হবে। আবার দেখা যায় ভোটার হয়েছিল যাত্রা বাড়িতে। পরে বাসা বদল করে চলে গেছে মিরপুরে। কিংবা ভোটার লিস্ট যখন করা হয়েছিল তখন ধানমন্ডি্তে থাকার কারনে সেখানের ভোটার হয়েছিল। পরে বাসা বদল করে বাড্ডায় চলে গেছে। এই ভোটারগুলি মিরপুরে থেকে যাত্রাবাড়ি কিংবা বাড্ডা থেকে ধানমন্ডিতে এসে ভোট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব। কেননা নির্বাচনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এদের সংখ্যাও ১০% এর কম হবে না। এমনিভাবে হিসাব করলে দেখা যায় মাত্র ৬০% ভোটারের মধ্য থেকে ভোট প্রদান সম্ভব হয়েছে দুই সিটির ভোটে। সেই হিসাবে ভোটের হার একেবারে কম নয়। এটি প্রায় ৪৫% এর ওপরে।