জয়ের জরিপে যে কারনে হতাশ বিএনপি

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

পহেলা ফেব্রুয়ারী দুই সিটির ভোট অনুষ্ঠানের দিন। নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও অভাবনীয় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারনা। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোট যুদ্ধ। রাজধানীবাসী তাদের দুই নগর পিতা নির্বাচন করবে এই ভোটের মধ্য দিয়ে। তফসিল ঘোষনার পর এখন পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্য তেমন কোন সহিংসতা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে প্রচারনা।

তফসিল ঘোষনার পর থেকেই বিএনপি ও এর সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে নানা ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের প্রতিও তারা অনাস্থা জ্ঞাপন করে। প্রকৃতপক্ষে এই নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় অভিযোগ গ্রহন করে ব্যবস্থা নেওয়ার মত তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি যাতে করে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে। এই অভিযোগগুলির সবই ছিল গতানুগতিক। এর বাস্তব ভিত্তি ছিল খুবই দুর্বল। এবার দুই সিটির পুরো নির্বাচনই হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেসিন ইভিএমের মাধ্যমে। এটি ভোট গ্রহনের জন্য একটি আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত ভোট গ্রহন ও গননা করে দ্রুত ফলাফল ঘোষনা করা যায়। বিএনপির পক্ষ থেকে এই ইভিএম নিয়েও আপত্তি জানানো হয়। আসলে নির্বাচনে যদি বিএনপি হেরে যায় তাহলে বলা হবে ইভিএমের মধ্যমে ভোট কারচুপি করে বিএনপি প্রার্থীকে হারানো হয়েছে। তাই আগে থেকেই তারা ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলছে।

এই নির্বাচনে সরকারের নানামূখী ব্যপক উন্নয়নের কারনে সরকার তথা আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীরাই জয়লাভ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তা ছাড়া আওয়ামীলীগ যেহেতু সরকারে আছে তাই এর সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে দুই সিটিতে ব্যপক উন্নয়ন সাধন করতে পারবে। তাই ভোটাররা স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষেই বেশী থাকবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থীরাই জয়লাভ করবে। এর অর্থ এমনটি দাঁড়ায় যে, বিএনপি প্রার্থীরা হারবে এবং তখন নির্বাচনও সুষ্ঠ হবে না।

ইতিমধ্য দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে জয়ের জরিপে বিএনপির মনোবল ভেঙ্গে গেছে বলে মনে হচ্ছে। সম্প্রতি দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে সজিব ওয়াজেদ জয়ের করা এক জরিপে দেখা গেছে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ফেসবুকে জয় এই জরিপের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। এর আগেও বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনের আগে জরিপ চালিয়ে যে ফলাফল পেয়েছিলেন সজিব ওয়াজেদ জয় তা বাস্তবেও মিলে গিয়েছিল। তাই নির্ভরযোগ্য এই জরিপটিও নির্ভুল হবে এই ধারনা করা যায়। আর জরিপের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তিত হয়ে পড়েছে বিএনপি প্রার্থীরা ও বিএনপি। তবে বাস্তব ফলাফল দেখতে আরো ২০ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *