যে কারনে ঢাকসু ভিপি নুর বার বার আক্রান্ত হচ্ছেন

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ

দীর্ঘ দিন পর অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শুভনকে হারিয়ে ভিপি নির্বাচিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। এই নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক বাদে বাকি সব কটি পদে জয় লাভ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মনোনীত প্যানেল। নির্বাচনের পর সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদের নেতা নুর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন। কিন্তু পরে তিনি শপথ গ্রহন করে এখন ভিপির চেয়ারে বসেন। তবে ঢাবিতে ছাত্রলীগের বিপক্ষ শক্তি ছাত্রদল ও শিবিরের ভোটেই তিনি নির্বাচিত হন বলে অনেকে মনে করেন।

নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতাকে তিনি সন্ত্রাসী হিসাবে অভিযুক্ত করেন। শুধু তা ই নই গোটা ছাত্রলীগকেই তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে অভিযুক্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। সেখানে দেখা যায় সামান্য কথা কাটাকাটির ঘটনাকেও সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে প্রচার করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন তিনি ও তার অনুসারীরা। তিনি ও তার অনুসারীদের ভাবভঙ্গি এমন যেন এক মাত্র তারাই যোগ্য নেতা আর ছাত্রলীগের সব সন্ত্রাসী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকারের বিরুদ্ধে নিয়ে যেতে তার রয়েছে ব্যপক ভুমিকা। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও এখন অনেকেই মনে করেন।

দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার কারনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের প্রভাবও ছাত্ররাজনীতিতে বেশী। তাই সুবিদাবাদী ছাত্ররা নানা ধরনের সুবিদা পেতে ছাত্রলীগেই বেশী যোগ দেয়। কারন ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম করা যাবে। কেউ হলে সিট পাওয়ার জন্য, কেউ মাস্তানী করার জন্য আবার কেউবা চাঁদাবাজি করার জন্য ছাত্রলীগে যোগ দেয়। অর্থাৎ সব মোনাফিকরাই সরকারী দল কিংবা কিংবা তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলিতে যোগ দেয়।

ভিপি নুরুল হক নুরও ঢাবির এক হল শাখার ছাত্রলীগের সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তার আসল রূপ প্রকাশ পায়। অর্থাৎ তিনি সুবিদা নেওয়ার জন্যই ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। নুরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকবার ঢাবি ভিসিকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তখন এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে। আর এই সময় কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয় উভয় পক্ষের মধ্য। নুর, নুরের অনুসারী ও কিছু নাম সর্বস্ব ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের এই কাজকে সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী হামলা বলা হল। এইটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার বিরোধী কিছু মিডিয়া উঠে পড়ে লাগলো যেন ছাত্রলীগ বাদে বাকি সব সংগঠনের নেতারা ফিরিস্তা। এই মিডিয়াগুলির হলুদ সাংবাদিকতা এখনো অব্যহত আছে।

ভিপি নির্বাচিত হবার আগে পরে নুর ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বারংবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। এবং এখনো তা অব্যহত আছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ছাত্রদের সাথে ইতিমধ্য বেশ কয়েকবার নুরের হাতাহাতি হয়েছে। কয়েকদিন আগে টিএসসিতে নুরসহ নুরের অনুসারীরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বেশ কয়েকজনকে পিটিয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা কর্মীরা ঢাকসু ভবনে ঢুকে নুরসহ নুরের অনুসারীদের পিটিয়ে আহত করে। সম্ভাব্য আক্রমন প্রতিহত করতে নুরসহ তার অনুসারীরা ঢাকসু ভবনের সামনে বহিরাগত নিয়ে লাঠিসোটাসহ অপেক্ষা করছিল। পরে তারা পিছু হটে ঢাকসু ভবনে ঢুকে ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এই হামলায় আহত হয়ে নুরসহ ২০/২৫ জন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়। ইতিমধ্য সুস্থ্য হয়ে নুরসহ অধিকাংশ হাসপাতাল ছেড়েছেন।

নুর বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ও ঢাকসু জিএস গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। তিনি জিএস পদ থেকে গোলাম রব্বানীকে পদত্যগ করতেও বলে আসছেন। ভিপি নির্বাচিত হয়ে নুর ছাত্রদের কল্যান কাজে সময় ব্যয় না করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিব্রতকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তিনি নিজেই তাকে হামলার ক্ষেত্র তৈরী করে দেন। আর এ জন্য নুরের ওপর বার বার হামলা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *