কুরবানীর পশুর চামড়ার দামে ধ্বস নামার কারন অনুসন্ধান অতিব জরুরী

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
স্মরনকালের মধ্য এবারই কুরবানীর পশুর চামড়ার দাম সবচেয়ে কম। গত ২০ বছরে কখনো চামড়ার দাম এত কম ছিল না। এবার যেন চামড়ার দামে ধ্বস নেমেছে। এমন দর পতনের পিছনে কি কারন থাকতে পারে তা অনুসন্ধান করে দেশবাসীকে জানানো সরকারের জন্য অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। কেননা এই নিয়ে ইতিমধ্যই রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে ও রাজনৈতিক বক্তব্যও দিচ্ছে অনেকে। বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, সরকারী দলের লোকেরাই সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়েছে। প্রকৃত কারন উৎঘাটন করে জনগনকে জানানো সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্টী কৃত্রিমভাবে দাম কমিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা সরকারেরই দায়িত্ব।
বাংলাদেশে এ বছর প্রায় এক কোটির বেশী কুরবানীর পশু জবাই হয়েছে। এর অর্ধেকই গরু, বাকিসব মহিশ, ছাগল ও ভেড়া। সেই হিসাবে সম পরিমান চামড়াও বিক্রির জন্য প্রস্তুত ছিল। ৮০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০০ শত টাকায়। অনেক স্থানে দেখা গেছে চামড়া ক্রয় করার জন্য ক্রেতাই ছিল না। পানির দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। কুরবানীর চামড়ার টাকা পুরোটাই গরীব পায়। ৩ শত টাকা কয়জন গরীবকে দেওয়া যায়? তাই অনেকে মনে করেছেন এক লক্ষ টাকা দিয়ে যখন কুরবানী দিয়েছি তখন আরো এক হাজার টাকা গরীবকে বিলিয়ে দিতে পারবো। তাই তারা এতো সস্তায় চামড়া বিক্রি না করে কিংবা ক্রেতা না পেয়ে চামড়া মাটিতে পুতে ফেলেছেন। দেশের নানা স্থানে কুরবানীর পশুর চামড়া পানির দামে বিক্রি না করে মাটিতে পুতে রাখার খবর আসছে। চট্রগ্রাম শহরে লক্ষাধিক চামড়া মৌশমী ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে তা সিটি কর্পোরেশন অপসারন করে নির্ধারিত বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে দিয়েছে।
আড়ৎধার কিংবা টেনারী মালিকরা নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় করছেন না। তাই মৌশমী ব্যবসায়ীরা তাদেরকেই দায়ী করছেন চামড়ার মূল্য পতনের জন্য। সরকারের যথেষ্ট দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে এই অবস্থার জন্য। দিনশেষে জনগন সরকারকেই দায়ী করবে এই মূল্য ধ্বসের জন্য।