বরগুনার রিফাত হত্যাকান্ড নিয়ে চলছে রাজনীতি
বিডি খবর ৩৬৫ ডটকমঃ
গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে দিবালোকে দা দিয়ে কুপিয়ে নিজ স্ত্রীর সামনে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সরকারী কলেজের সামনে। এই লোম হর্ষক ঘটনার মূল খলনায়ক নয়ন বন্ড নামের এক খুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। রিফাত তার কলেজ পড়ুয়া স্ত্রী মিন্নিকে কলেজ থেকে নিয়ে বাসায় রওনা হয়েছিলেন। এই সময় সন্ত্রাসী নয়ন বন্ডসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা রিফাত শরীফের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা দা দিয়ে রিফাতকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। মিন্নি চেষ্টা করেও তার স্বামীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাচাতে পারেনি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপে প্রচুর রক্তক্ষরন হয় তার। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাঃ রিফাতকে মৃত ঘোষনা করেন।
এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সারাদেশে চলছে নিন্দার ঝড়। বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুদ্ধ মানুষ মানব বন্ধন করে এই হত্যাকান্ডের প্র্তিবাদ ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। ইতিমধ্য এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু হত্যাকান্ডের মূল নায়ক নয়ন বন্ডকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকারীরা সকলেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই হত্যাকান্ডটি যখন ঘটে তখন অনেকেই কাছাকাছি দুরত্ব থেকে তা দেখছিল ও কেউ কেউ ভিডিও ধারনে ব্যস্ত ছিল।
এই হত্যাকান্ডের পরপরই পুলিশ প্রশাসন হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে জোড় তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ঘটনার পরপরই খুনিরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। খুন করার পর খুনিরা পালিয়ে যাবে, পালিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কোন কোন মহল থেকে এই ঘটনাটিতে রাজনৈতিক মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ বলে বেড়াচ্ছেন খুনিরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আছেন। প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে আছেন খুনিরা। আর এই কারনে পুলিশ তাদেরকে ধরছে না। বাস্তবে খুনিরা কেহই তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন না। এরা সমাজের কোন প্রভাবশালীর ছেলেও না। অতি সাধারন ঘরের ছেলে খুনিরা। তাহলে পুলিশ কেন এদেরকে ছাড় দিবে? আসলে কোন কোন মহল হত্যাকান্ডটিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে দেশের পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করছে মাত্র। এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার হউক-এইটা দলমত নির্বিশেষে সকলেই চায়। আর এই বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।