ঘন ঘন আগুন লাগার ঘটনায় রাজধানীবাসী উদ্ভিগ্ন ও আতঙ্কিত
বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
গত কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে প্রায় ৮০ জন মানুষ প্রান হারায়। অনেকে আগুনে পুড়ে এখনো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বার্ন ইউনিটের বেডে। তার রেশ না কাটতেই আবার ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিদগ্ধ ও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেল ২৫ জন। অনেকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এখনো কাতরাচ্ছে। তাদের মধ্য অনেকের অবস্থাই বেশ সংকটজনক। শুক্রবারেও গুলশান-বনানীতে আরো ২টি অগ্নিকান্ড ঘটেছে। তবে তাতে প্রানহানি ঘটেনি।
আজ আবার দেশবাসী সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই টিভি কিংবা অন্য মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলো গুলশান ১ এর ঢিএনসিসির কাচাবাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনা। সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে এই আগুনের সূত্রপাত। কাচামালের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সাজাচ্ছিল নগরবাসীর জন্য। এমন সময় একটি স্টোরের আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরা কাচাবাজারে। তাতে কাচাবাজারের ১৬৯টি দোকানের সবকটিই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এই অগ্নিকান্ডে। তবে কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটেনি। আগুন পাশের ৫ তলা ও পশ্চিম পাশের দুতলা মার্কেটেও লেগেছিল। সেনা, নৌ, বিমান ও ফায়ার সার্ভিসের আড়াই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
কাচাবাজারের আগুন কিভাবে এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কাচাবাজারের আগুন অস্বাভাবিক গতিতে ছড়িয়ে পড়ার কথা না। তা হলে এমনটি হলো কেন? অনেকে মনে করছেন কেউ হয়ত আগুন লাগিয়েছে। আগুন লাগানোর আগে কাচা বাজারে হয়ত দার্হ্য পদার্থ ছড়ানো হয়েছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ মনে করছেন ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারনে এই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অনেকে মনে করছেন পরপর এই অগ্নিকান্ডগুলি একই সূত্রে গাথা। এর পিছনে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস কাজ করতে পারে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এর কারন উৎঘাটন করা সরকারের কাছে মানুষের গনদাবিতে পরিনত হয়েছে।