গোলান মালভূমির ইতিহাস ও ট্রাম্পের স্বীকৃতি

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

১৯৬৭ সাল পর্যন্ত গোলান মালভূমি ছিল সিরিয়ার দখলে ও সিরিয়ার অংশ। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল গোলান মালভূমি দখল করে নিজেদের কতৃত্ব স্থাপন করে। আরবদের সাথে মাত্র ৬দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল গোলান মালভূমি দখল করে নেয়। এই যুদ্ধে আরবরা হেরে যায় ইসরায়েলের কাছে। গোলান মালভূমি নিয়ে ১৯৭৩ সালে আরবদের সাথে ইসরায়েলের আবারো যুদ্ধ বাধে। এই যুদ্ধেও আরবরা হেরে যায়। ফলে এই মালভূমি দখল করে ইসরায়েল পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন করে। ১৯৮১ সালে ইসরায়েল গোলান মালভূমিকে নিজেদের দাবি করে এর শাসন শুরু করে। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃত্ব ইসরায়েলের এই কতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়নি। এতকাল পর্যন্ত এর মালিকানার পক্ষে ইসরায়েল কোন রকম স্বীকৃতি পায়নি। বিশ্ব সম্প্রাদায় ইসরায়েলকে গোলান মালভূমির স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এটি ছিল বিবদমান এলাকা। এর আয়তন ৬৯০ বর্গমাইল বা ১৮০০ বর্গ কিলোমিটার। এর উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ফুট।

সামরিক ও কৌশলগত কারনে গোলান মালভূমি সিরিয়া ও ইসরায়েল উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এর এক অংশে রয়েছে পাহাড়ি পাথর, অন্য অংশে ঘন বন। এর সমতল অংশ বেশ উর্বর হওয়ায় প্রচুর ফসল ও ফলমূল উৎপন্ন হয়। দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ গোলান মালভূমি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছিল। এতদিন ইসরায়েলকে গোলানের স্বীকৃতি কেউ দেয়নি। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডুনাল্ড ট্রাম্প ঘোষনা দেন তিনি গোলান মালভূমি ইসরায়েলের এর পক্ষে স্বীকৃতি দিবেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এখন ওয়াসিংটন সফরে রয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিহু ট্রাম্পের কাছ থেকে গোলান মালভূমির সপক্ষে দালিলিক সমর্থন আদায় করে নিলেন। ট্রাম্প গোলান মালভূমি ইসরায়েলের এই স্বীকৃতি দিলেন।

ট্রাম্পের এই স্বীকৃতি নিয়ে বিশ্বব্যপী তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ স্বীকৃতি দেওয়ায় ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করছে।  সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে। জাতিসংঘও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মনে করছে। তুরস্ক এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *