ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্ধমান যে কারনে পাকিস্তানে ধরা পড়ল

বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
মঙ্গলবার ভারতীয় যুদ্ধ বিমান পাকিস্তানের ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে বালাকোটে একটি জঙ্গি আস্তানায় বোমা বর্ষণ করে। ফলে ভারতের দাবি সেখানে প্রায় ৩ শতাধিক জঙ্গি এই হামলায় নিহত হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হামলার পরপরই এর উপযুক্ত জবাব যথাসময়ে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছিল। সেই মাফিক বুধবার সকাল ৬টায় পাকিস্তানের এফ -১৬ জঙ্গি বিমান ভারতের সীমানায় ঢুকে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এই সময় ভারতীয় পাইলটরা ভেবে ছিল ৪টি পাকিস্তানি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান হামলা করেছে। এই ভেবে ভারতীয় ২টি মিগ-২১ জঙ্গি বিমান পাকিস্তানি বিমান হামলাকে প্রতিহত করতে আকাশে উড়ে। যার একটির পাইলট ছিলেন অভিনন্দন বর্তমান। পরক্ষনেই অভিজিত দেখলেন ৪টি নয়, ২০টি পাকিস্তানি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান একযোগে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। শুরু হয় আকাশে তুমুল প্রতিরোধ যুদ্ধ। এর এক পর্যায়ে অভিনন্দন পাকিস্তানি একটি জঙ্গি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করে। পরক্ষনেই পাকিস্তানি এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের গোলার আঘাতে অভিনন্দনের মিগ-২১ বিমানে আগুন ধরে যায়। এই সময় অভিজিত আত্ন্ররক্ষার্থে প্যারাসুট নিয়ে ঝাপ দেয়। কিন্তু বাতাস তাকে বহনকারী প্যারাসুটটিকে সীমান্ত থেকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ১১ কিলোমিটার ভিতরে নিয়ে যায়। ফলে অভিনন্দন সেখানে প্রথমে স্থানীয় জনতার হাতে ও পরে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।
অপরদিকে পাকিস্তানের এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের পাইলটও বাতাস অনুকুলে থাকায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অংশে প্যারাসুটের সাহায্যে অবতরন করতে সক্ষম হয়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজার পত্রিকা আরও জানিয়েছে, ভারতীয় মিগ-২১ জঙ্গি বিমানের তুলনায় পাকিস্তানি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান অনেক আধুনিক ও শক্তিশালী। সেকালের মিগ-২১ বিমান দিয়ে শক্তিশালি এফ -১৬ জঙ্গি বিমানকে প্রতিরোধ করায় ভারতজুড়ে পাইলট অভিনন্দনকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদৃতি দিয়ে পত্রিকাটি আরও জানায় যে, অতি শক্তিশালী ও আধুনিক সুখোই জঙ্গি বিমান দিয়ে মিগ-২১কে প্রতিস্থাপন করা হবে। তবে অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে পাকিস্তানি জঙ্গি বিমানগুলি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে অনেকটা নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ায় ভারতের সামরিক কৌশলের দুর্বলতাই প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে ভারত জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।