যে যে কারনে মানুষ নৌকায় ভোট দিবে
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
ভাল খারাপ একটা আপিক্ষিক বিষয়। এটাকে পরিমাপ করা যায় না। শুধু ধারনা করা বা বিবেক খাটিয়ে বুঝা যায়। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কে কতটুকু ভাল/খারাপ তা কে কিভাবে চিন্তা করেন তার ওপর নির্ভর করে। এখানে এবসোলুটলী ভাল/খারাপ বলতে কিছু নাই। মানুষের আচার আচরন, শিক্ষাদিক্ষা, যোগ্যতা, মেধা ও মানবিক গুনাবলী দিয়ে তার একটা ধারনা পাওয়া যায় মাত্র। কারো কারো দৃষ্টিতে আওয়ামীলীগের ইতিহাস, অবদান, কর্মকাণ্ড ও রাষ্ট্র পরিচালনা ভাল লাগে। তাই তারা আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে। বিএনপি কিংবা অন্যান্য দলের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সমস্ত কারনে ভোটাররা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবেন তা নিন্মে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে প্রদান করা হল ……
- ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে সেদিন মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ৯ মাস যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছিল। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসাবে মানুষ আওয়ামীলীগই ভোট প্রদান করবে।
- ১৯৯৬-২০০১, ২০০৮-২০১৩ ও ২০১৩-২০১৮ মেয়াদে আওয়ামীলীগ সারাদেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়ন করেছে। যা দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগের শাসনামলে দেশ খাদ্যে স্বনির্ভর হয়েছে। উত্তর ভঙ্গসহ সারাদেশের কোথাও আজ আর আল্লাহর রহমতে মংগা দেখা দেয় না। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অন্য যে কোন দল থেকে আওয়ামীলীগ বেশী ভুমিকা রাখবে বলে দেশবাসী মনে করে। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগের আমলে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ৫০০ ডলার থেকে বেড়ে মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১৭০০ ডলারের ওপরে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগই বাংলাদেশকে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করেছে। তাই তারা আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- অনেক বাধা পেড়িয়ে আওয়ামীলীগ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্য পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই সেতু তৈরী শেষ হলে দক্ষিন ও দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যপক পরিবর্তন আসবে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীত আওয়ামীলীগই সরকারই করেছে। ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়ককে ৪ লেনে রুপান্তরও আওয়ামীলীগ সরকারই করেছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগ সরকারকেই ভোট দিবে।
- গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার, তেজগাও-মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাই ওভার নির্মান করায় রাজধানীতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- সারাদেশে অসংখ্য ব্রিজ, কালভার্টসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতি মানুষের আস্তা ব্যপক হারে বেড়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
- ৩০০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে আওয়ামীলীগ সরকার ২০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। দেশে আজ আর লোড শেডিং নাই। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদ্যুৎ সুবিদা চলে গেছে। দেশে এখন ৯০% মানুষ বিদ্যুৎ সুবিদা পাচ্ছে। তাই তারা আওয়ামীলীগের ওপর ভরসা রেখে আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
- কৃষকদের সহজ শর্তে কৃষি ঋন, সার ও বিজ দেওয়ায় কৃষকরা ভাল করতে পারছে। তাই তারা এই সরকারকেই ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগ আমলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তাই জনগন আওয়ামীলীগ সরকারকেই ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগ আমলেই শিক্ষার হার ব্যপক হারে বেড়ে এখন ৭০% হয়েছে। তাই ভোটাররা আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবেন।
- এই আমলেই দারিদ্র হার কমে সর্বনিন্ম হয়েছে, মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে, শিশু মৃত্যুহার আল্লাহর রহমতে কমেছে, মৃত্যু হার কমেছে ও মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৫ বসর হয়েছে। এই সমস্ত অবদানের জন্য মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগ সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের মাসে দশ হাজার টাকা করে ভাতা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের অভাব দূর হয়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগ সরকার দেশের অক্ষম বয়স্ক নাগরিকদের বয়স্ক ভাতা প্রদান করছে। তাই এই শ্রেনীর মানুষ আওয়ামীলীগইকে ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগই বিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের রিলিফ দিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাই মানুষ এবার আওয়ামীলীগকেই বেশী বেশী ভোট প্রদান করবে।
- আওমীলীগের আমলেই দেশের জিডিপি বেড়ে ৭.৮৬ হয়েছে। যা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যেতে ব্যপক ভুমিকা রাখবে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দিবে।
- আওয়ামীলীগই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর করেছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই বেশী পছন্দ করে।
- আওয়ামীলীগ সরকারই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। তাই মানুষ এই দলটির প্রতিই বেশী আস্তা রাখে।
- এই আমলেই ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধূলায় দেশ অনেক এগিয়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ভোট দেবার কথা।
- আওয়ামীলীগই দেশ থেকে সন্ত্রাস দূর করেছে। দেশে আজ সন্ত্রাস আর চাদাবাজি ব্যপক হারে কমে গেছে। তাই আওয়ামীলীগকেই আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচন করবে।
- আওয়ামীলীগই মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পাঠিয়েছে যা এখন দেশের ৭টি বেসরকারী চ্যানেল ব্যবহার করে সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষের আস্তা বেড়ে গেছে।
- সারাদেশে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগই। স্বল্প মূল্যে মানুষ মোবাইল সহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। সারাদেশই এখন শহরে রূপ নিয়েছে। গ্রামে থেকেই মানুষ শহরের সমস্ত সুবিদা ভোগ করতে পারছে। যা আওয়ামীলীগ সরকারের কারনেই সম্ভব হয়েছে। এই জন্য আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষের আস্তা অনেক বেশী।
- সারা বিশ্ব অবাক হয় বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নে। বাংলাদেশকে তারা উন্নয়নের রোল মডেল বলে। তাই এদেশের মানুষ আবারো ক্ষমতায় দেখতে চায় এই সরকারকেই।
- এ সরকারের আমলেই দেশে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তাই মানুষ আওয়ামীলীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়।
- বিদেশী অনেক বন্ধু রাষ্ট্রই বলে দিয়েছে তারা আওয়ামীলীগকেই আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়।
- দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্যান্য সরকার দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে গেছে। তাই তারা আওয়ামীলীগকেই পছন্দ করে বেশী বেশী।
প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতায় দেশ অনেক এগিয়েছে। শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব নেত্রী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলি পুরস্কার লাভ করে নিজ ও দেশের মর্যাদা বিশ্ব দরবারে বৃদ্ধি করেছেন। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার আবারো ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন অব্যহত থাকবে। দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনীত হবে। যেখানে থাকবে না সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতি। মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে দেশে। দেশ বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সারাদেশটাই শহরে পরিনীত হবে। তাই ব্যপক সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট ক্ষমতায় আসবে বলেই এদেশের অধিকাংশ ভোটার মনে করে।