হাইকোর্টে আপিলেও খালেদা জিয়ার নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলই থাকলো
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া আর কোন ক্রমেই অংশ নিতে পারছেন না। নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সমস্ত আইগত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে বলে ধারনা করা যায়। এখন শুধু সুপ্রিম কোর্টে আপিল বাকি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেতে যে সময়ের দরকার তা নাই বলেই মনে হচ্ছে। অপরদিকে বেগম জিয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি। ফলে খালেদা জিয়া আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়ন পত্রই বাতিল করে দিলে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। নির্বাচন কমিশনেও তার প্রার্থিতা বাতিলই থাকে। পরে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিট করা হয়। রিটে দুই বিচারক দুই রকমের রায় দেওয়ায় খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার বিষয়টি অমিমাংশিত থেকে যায়। এই অবস্থায় আপিলের ফাইল চলে যায় প্রধান বিচারপতির হাতে। প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জেবিএম হাসানের একক বেঞ্চে রিটটি শুনানীর জন্য পাঠান। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই একক বেঞ্চে মামলাটির শুনানীকালে বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন। বিচারপতি অনাস্থার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার রিট আবেদনটি আজ খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য জিয়া অর্ফানেজ ট্রাষ্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন জেলখানায় সাজা খাটছেন। এর মধ্য জিয়া অর্ফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট মামলায় ৭ বছরের সাজা হয়। তার সাজা আপিলে স্থগিত কিংবা বাতিল না হওয়ায় নির্বাচনে তিনি অযোগ্য হন।