আওয়ামীলীগের দুই জনকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা শুরু
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্য প্রতীক বরাদ্দের পরই সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু হয়ে গেছে। প্রচারনার প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষ হয়েছে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্য এই সংঘর্ষে আওয়ামীলীগের দুই কর্মী নিহত ও উভয় দলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচারনাকালে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফকে (২৪) মাথা থেঁতলে ও গুলি করে হত্যা করে বিএনপি কর্মীরা। মঙ্গলবার বিকালে নুরু পাটোয়ারীহাটে বিএনপির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষ করে তারা একটি মিছিল বের করে। এই সময় মিছিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হানিফ ও আরেক জনের ওপর হামলা করে বিএনপি কর্মীরা। তারা প্রথমে হানিফের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে কিল ঘুষি মেরে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেয়। তাতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, সর্টগান দিয়ে হানিফের পায়ে গুলি করে। এর পর হানিফের দেহের ওপর পৈশাচিক কায়দায় লাফাতে থাকে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই হানিফের মৃত্যু ঘটে। এই সময় হানিফের সাথে থাকা অন্য আরেকজন আওয়ামীলীগ কর্মীও গুরুতর জখম হয়।
এদিকে ফরিদপুরে নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আওয়ামীলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএনপি কর্মীরা। এই ঘটনায় আরো একজন আওয়ামীলীগ নেতা গুরুতর আহত হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টার সময় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি এলাকায় নিহত ইউসুফ আল মামুন (৪০) উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তিনি ফরিদপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশররাফ হোসেনের কর্মী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান বিএনপির সমর্থক মজিদ ও আজিজ নির্বাচন প্রসঙ্গে ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করলে নিহত ইউসুফ বাধা দেয়। এই সময় মজিদ ও আজিজ ইউসুফকে কিল ঘুষি মারে ও দোকানের বেগারী দিয়ে ইউসুফকে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদুটি ঘটনা ছাড়াও নির্বাচন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিস্রতা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পথসভা ও গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। তাতে বেশ কিছু মানুষ আহত ও বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। এ নিয়ে বিবদমান এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনী আমেজ নষ্ট হবে। এইসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর প্রদক্ষেপ নেওয়া উচিত।