নরসিংদী সদর আসনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নরসিংদী সদর আসনের রাজনীতি বেশ জমে উঠেছে। নানা কারনে শিল্প নগরীর এই আসনটি আওয়ামীলীগ ও বিএনপির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘকাল এই আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। এর আগে ৯১, ৯৬ ও ২০০১ সালে এই আসন থেকে পর পর ৩ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির সামসুদ্দিন এছাক। অস্টম জাতীয় সংসদের এমপি সামসুদ্দিন এছাকের মৃত্যু হলে উপ নির্বাচনে এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন ডাকসুর সাবেক জিএস খাইরুল কবির খোকন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী লেঃ কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরু বীর প্রতীক এই আসনে বিএনপির খাইরুল কবির খোকনকে পরাজিত করে প্রথম বারের মত এমপি নির্বাচিত হন। সেই সাথে দীর্ঘদিন পরে এই আসনটি আওয়ামীলীগ ফিরে পায়। ২০১৪ সালে জনাব হিরু আবারও এমপি হন ও বর্তমানে তিনি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জবাব হিরু মহাজোটের মনোনয়ন পান। অপরদিকে এই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক খোকন বিএনপি তথা ঐক্য জোটের মনোনয়ন লাভ করেন। তাই সদর আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হবে বলে আভাস আওয়া যচ্ছে। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিরু গত দশ বছরে সরকারী দলে থাকাতে এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। বিশেষ করে অবহেলিত চর এলাকায় তিনি ব্যপক কাজ করেছেন। এর মধ্য অন্যতম হল বাঁধ নির্মাণ ও সদরের সাথে চরবাসীর যোগাযোগের জন্য প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দৈর্ঘের সড়ক সেতু। যার ফলে চরবাসী এখন নৌকা ছাড়াই এই রাস্তা দিয়ে গাড়িসহ চলাচল করতে পারেন। অপরদিকে সজ্জন হিসাবে পরিচিত হিরুর পক্ষে সাধারন ভোটাররাও রয়েছেন যারা আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সমর্থন করেন ও অব্যহত দেখতে চান।

ডাকসুর সাবেক জিএস হিসাবে নরসিংদীতে জনাব খোকনের বেশ পরিচিতি রয়েছে। হেভিওয়েট নেতা হিসাবে সদরে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তিনি হয়ত এই আসনের বিএনপির সকল ভোটই পাবেন। কিন্তু তার স্থায়ী নিবাস সদরে না হওয়াতে এই আসনে স্থানীয় ও বহিরাগত ইস্যুটি বেশ জোড়েসোড়েই কাজ করছে। সদর আসনের স্থানীয়রা অনেকেই খোকনের বিপক্ষে। তার আরেকটি দুর্বলতা হল তিনি সাধারনের মানুষের ভোট খুব বেশী টানতে পারবেন না। ফলে তাকে শুধু মাত্র দলীয় ভোটের ওপরই নির্ভর করতে হবে। তাই এই আসনে এবার হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থীর মধ্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *