প্রতিটি আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী দেওয়ার আসল রহস্য
নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী বাছাই করে তার তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি। প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। অনেক আসন আছে যেখানে ৪ জনকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আসনেই একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়াতে রাজনৈতিক অঙ্গনে পক্ষে বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কারনও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে বিএনপির ব্যাখ্যা অনেকেই মানতে রাজি নন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দলের অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় অনেকে নির্বাচন কমিশনের প্রার্থী যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়ে যেতে পারেন। তাই প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ বাদ পড়লে অন্য আরেক জনকে দলীয় প্রতিক দেওয়া যায়। আবার ঋণগ্রস্ত হওয়ার কারনেও অনেকে বাদ পড়তে পারেন। তবে ঋন খেলাপী থাকলে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন এমনটি সব প্রার্থীই জানে। সুতরাং যারা ঋন খেলাপী তাদেরকে মনোনয়ন না দিলেই তো আর এ সমস্যা থাকছে না।
অপরদিকে শুধু মামলা থাকলেই প্রার্থী তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশনের বাছাইয়ে বাদ পড়ার কোন সুযোগ নাই। কেবল মাত্র ২ বছর বা তার অধিক সময়ের জন্য আদালত কর্তৃক কেউ দন্ড ও সাজাপ্রাপ্ত হইলে অথবা মুক্তি পাওয়ার পর ৫ বছর অতিক্রান্ত না হইলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হইবেন। বিএনপি প্রায় ৮ শতাধিক ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্য দন্ডপ্রাপ্ত হাতে গুনা হয়ত কয়েকজন আছেন। এই কয়েকজনকে মনোনয়ন না দিলেই পারতেন। দন্ডপ্রাপ্ত এই গুটি কয়েকজনের জন্য ৩০০ আসনে ৮ শতাধিক প্রার্থী দিবেন কেন? কাজেই বিএনপির পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা অগ্রহনযোগ্য।
যে কারনে বিএনপি প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছে তা হল……………
* এর মধ্য দিয়ে বিএনপি একাধিক প্রার্থীকে খুশী রাখার চেষ্টা করেছে। এক জনকে মনোনয়ন দিলে হয়ত অন্যরা বিদ্রোহ ঘোষনা করতেন। তাই বিদ্রোহ থামানোর জন্যই হয়ত এমনটি করা হয়েছে।
* একজনকে মনোনয়ন দিলে অন্যরা হয়ত যুক্ত ফ্রন্ট বা অন্যান্য দল কিংবা জোটে চলে যেতে পারেন তাই তাদেরকে জুলিয়ে রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
* শেষ অবধি বিএনপি হয়ত নির্বাচনেই যাবে না তাই একাধিক প্রার্থী দিলেও কোন সমস্যা নাই। যথা সময়ে তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবে। দল নির্বাচনে না গেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে হয়ত অনেকে নির্বাচন করতেন। এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বিএনপি সে সুযোগ বন্ধ করেছে। গুঞ্জন আছে বিএনপির পক্ষ থেকে শেষ সময়ে ধানের শীষ প্রতিক বরাদ্ধ দেওয়া হবে না প্রার্থীদের। ফলে বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে না গেলেও প্রতিক বরাদ্ধ না পাওয়ার কারনে এমনিতেই তারা নির্বাচনে আইসোলেট হয়ে যাবে। আর এই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধ্য দিয়ে হয়ত বিএনপি নিবন্ধন বাতিলের ঝুকি থেকে বেচেঁ যাবে।