নুর হোসেন বনাম শামীম ওসমান আর তারেক বনাম বিএনপি আইনের দৃষ্টিতে সমান অপরাধী

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

নারায়নগঞ্জের সাত খুনের কথা হয়ত অনেকেরই মনে আছে। এই খুনের নেপথ্যে ছিল বহুল আলোচিত ওয়ার্ড কমিশনার ও আওয়ামীলীগ নেতা নুর হোসেন। নুর হোসেনই নারায়নগঞ্জে দায়িত্বরত র‍্যাব সদস্যদের দিয়ে এই সাত খুন  করিয়েছিলেন অনেক টাকার বিনিময়ে। নিজ আধিপত্য বিস্তার ও প্রতিপক্ষকে গায়েল করতেই নুর হোসেন এমন জগন্য কাজ করেছিলেন।

ঘটনা যখন জানাজানি হয়ে যায় ও নুর হোসেনই এর সাথে জড়িত তা বের হয়ে আসে তখন নুর হোসেন অজ্ঞাত স্থান থেকে নারায়নগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোনালাপ নিয়ে তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল সারাদেশসহ মিডিয়াতে। মিডিয়া তখন শামীম ওসমানের সমালোচনায় মুখর ছিল। শামীম ওসমান তখন আত্নপক্ষ সমর্থন করতে যেয়ে বলেছিলেন নুর হোসেন আমাকে ফোন করেছে তাতে আমার অপরাধ কি। সে অপরাধী, সে ফোনে আমার সাথে কথা বলেছে। আমি তার কথা শুনেছি মাত্র। কিন্তু মিডিয়া তখন এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। উল্টা শামীম ওসমানের সমালোচনায় মুখর ছিল মিডিয়া। তবে তখনো নুর হোসেন খুনের সাথে জড়িত তা প্রমান হয়নি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টসহ বেশ কয়েকটি মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে সে এখন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। আর একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীর সাথে বিএনপি হাইকমান্ড ভিডিও শেয়াররিং এর মাধ্যমে দিনক্ষন ঠিক করে  দলবদ্ধভাবে কথা বলছে। শুধু তাই নই তারেক একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। আইনের দৃষ্টিতে এটা অবশ্যই অপরাধ। কোন অপরাধীকে কোন ব্যক্তি আশ্রয় দিলে আশ্রয় দাতাকেও আইনের আওতায় আনা হয়। তা হলে তারেক জিয়ার সাথে যারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিডিউল করে কথা বলছে আইনের দৃষ্টিতে তারাও অপরাধী। তবে এ ক্ষেত্রে মিডিয়া কিংবা আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চুপ কেন?  তারেক জিয়ার সাথে যারা এই বেআইনী বিডিও কনফারেন্স করে মতামত নিয়ে অপরাধ করছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *