নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ৩, আহত ৫০

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

নরসিংদী জেলার রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৩ জন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে রায়পুরার বাশগাড়ী ও নীলক্ষায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ব্যবহার করে।

দীর্ঘ দিন ধরে বাশগাড়ীতে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্য এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা শাহেদ সরকার ও অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। গত মে মাসে শাহেদ সরকার হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে মারা যান। তার এক মাস পরে সিরাজুল ইসলাম আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। সিরাজুল ইসলাম নিহতের পর থেকে শাহেদ গ্রুপ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

গতকাল শুক্রবার শাহেদ গ্রুপ আবার বাশগাড়ীতে ফিরলে সিরাজুল ইসলাম গ্রুপের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই সময় উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হলে বাঁশগাড়ী বালুয়াকান্দি এলাকার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ছেলে তোফায়েল হোসেন (১৮) প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যায়। সে শাহেদ গ্রুপের সমর্থক ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরো কয়েকজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষ টেটাবিদ্ধ হয়েও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এই সংঘর্ষের জের ধরে নীলক্ষায়ও রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। নীলক্ষায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জন মারা যায়। নীলক্ষার বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হকের মধ্যেও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। আবার এই দুইজনের মধ্য তাজুল ইসলাম বাশগাড়ীর নিহত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সমর্থক এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক শাহেদ সরকার সমর্থক। তাজুল ইসলাম গ্রুপ ও আব্দুল হক গ্রুপ গতকাল স্ব স্ব গ্রুপের সাথে বাশগাড়িতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। সকালের এই সংঘর্ষের পর দুপুরে উভয় গ্রুপই নীলক্ষায় ফিরে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে উভয় গ্রুপের একজন করে নিহত হয়। এই সংঘর্ষে নিহতরা হলেন-নিলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও এলাকার উসমান মিয়ার ছেলে সোহরাব হোসেন (৩০) ও গোপীনাথপুর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মো. স্বপন মিয়া (২৫)।

উভয় সংঘর্ষে ১৫/১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আসংস্কাজনক। টেটাবিদ্ধ অবস্থায়ও অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ বিবদমান এলাকায় যেয়ে পরিস্থিতি অনুকুলে আনে। ঘটনার পর বিবদমান এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *