বিএনপি অফিসের সামনে একটি লাশের অপেক্ষা

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

সারাদেশ ব্যপী নির্বাচন নিয়ে আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য গতকাল বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে মারধর ও পুলিশের ৩টি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এই অবস্থা লাইভ প্রচার করেছে। যার ফলে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশবাসী সরাসরি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছে টিভি চ্যানেল ও বিভিন্ন মিডিয়ার বদলতে।

গতকাল সকাল থেকেই বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিস ঘিরে প্রচুর জনসমাগম ছিল। এর মাঝে দুপুর ১টার সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস একটি বিশাল মিছিল নিয়ে ফকিরাপুলের দিক থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকে। এই সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ রাস্তার একপাশ দিয়ে মিছিল করে যেতে বলে মিছিলে অংশগ্রহনকারী নেতৃবৃন্দকে। এই সময় মিছিলকারীরা পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে ও মুহূর্তের মাঝেই পুলিশকে আক্রমন করে যা বিভিন্ন চ্যানেলের সুবাদে সারাদেশের মানুষ দেখতে পেরেছে।

মিছিলের লোকজন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের বেদম প্রহার করলে তারা দৌড়ে প্রান বাঁচিয়ে নিরাপদ দুরত্বে সরে যায়। এই সময় মিছিলকারীরা পুলিশকে দাওয়া দেয়। আশেপাশে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে পিকেটাররা। পরে পুলিশের ৩টি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বিএনপি কর্মীরা। এই সময় পুলিশ নিরাপদ দুরত্বে থেকে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য চেষ্ঠা করে। এই সময় বিএনপি অফিসের সামনে রনক্ষেত্র তৈরী হয়। প্রায় দুই ঘন্টা চলে পুলিশের সাথে দাওয়া পাল্টা দাওয়া। ৩টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এত উৎসব আনন্দের মাঝে হঠাৎ পুলিশকে আক্রমন ও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পিছনে ভিন্ন কারন রয়েছে। উনুসন্ধ্যানে জানা যায় নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিএনপি দ্বিধাবিভক্ত। মির্জা ফখরু‌ল ইসলাম ও মওদুদ গ্রুপ ঐক্য ফ্রন্টের সাথে নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর রায় ও রুহুল কবির রিজভী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ছাড়া নির্বাচনে যেতে চান না। তাই মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির একটি গ্রুপ নির্বাচন বানচাল করার জন্য গতকাল পুলিশের ওপর বিনা কারনে হামলা করে। এই গ্রুপটি মনে করেছিল পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ পাল্টা গুলি চালাবে। তাতে করে লাশ পড়বে। আর এই লাশ দিয়েই শুরু হত নির্বাচন বানচালের আন্দোলন।

পুলিশ মার খেয়েও ধৈর্য ধারন করে গুলি চালায়নি। যার ফলে লাশও মিলেনি। ফলে নির্বাচন বানচাল ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত সফল হয়নি। এই সমস্ত অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসী সাবধান না হলে এই অপরাজনীতির মধ্য পড়ে নিরীহ মানুষকে লাশ হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.