কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট কি নির্বাচন বানচালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?

নিউজ ডেস্কঃ বিডি খবর ৩৬৫ ডটকম

গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক উত্তাপ আর উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলির সফল সংলাপের মাধ্যমে। ঐক্য ফ্রন্টসহ অন্যান্য জোট ও রাজনৈতিক দলের সাথে প্রধানমন্ত্রীর এই সফল সংলাপ দেশব্যপী মানুষ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। ইতিমধ্যই নির্বাচনী ট্রেন সকল দলের যাত্রী নিয়ে চলতে শুরু করেছে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ সকল দল দলীয় মনোনয়ন ফর্ম বিতরন করে যাচ্ছেন অভিরাম। আর সারা দেশে বইছে নির্বাচনী বাতাস।

ফাইল ফটো

কিন্তু নির্বাচনের এই পরিবেশটাকে মাঝে মধ্যই মনে হচ্ছে ব্যহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে কোন কোন মহল থেকে। এরই মধ্য ঐক্য ফ্রন্টসহ কয়েকটি দল নির্বাচন পিছানোর দাবি জানালে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহনের দিন ৭ দিন পিছিয়ে দিয়া ৩০শে ডিসেম্বর নির্ধারণ করে। আজ আবার ঐক্য ফ্রন্ট মতিঝিলে কামাল হোসেনের চেম্বারে এক সভা করে। সেই সভায় কামাল হোসেনসহ ঐক্য ফ্রন্টের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ঐক্য ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান তারা বুধবার নির্বাচন কমিশনে যাবেন আবার ভোট পিছানোর দাবি নিয়ে।

ফাইল ফটো

সকল দলের সাথে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষনা করেছে। দাবির মুখে আবার নির্বাচন ৭দিন পিছিয়েও দিয়েছে। এখন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সরকার ভোট চুরির জন্য ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করিয়েছে। কারন এই সময় বিদেশী পর্যটকরা ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন পালনের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে পারবে না। কাজেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে।

এ কেমন কথা? স্বাধীন দেশের নির্বাচন বিদেশী পর্যবেক্ষকদের জন্য পিছিয়ে দিতে হবে কেন? আমরা কি বিদেশীদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করছি নাকি? এটা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য অত্যান্ত লজ্জাজনক কথা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত সময় নিয়ে বার বার ব্যাখ্যা করেছে। তারপরও একতরফাভাবে নির্বাচন আবারো পিছানোর দাবি ভাল ইঙ্গিত বহন করে না। এর আড়ালে হয়ত অন্য কোন মতলব থাকতে পারে যা জাতিকে পিছনের দিকে ঠেলে নিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *